ছোটগল্প ।।অথবা বৃষ্টির ফোঁটা ।। ঋভু চট্টোপাধ্যায় ।।
অথবা বৃষ্টির ফোঁটা
ঋভু চট্টোপাধ্যায়
-একস্কিউসমি, একটু শুনছেন।
কথাগুলো কানে যেতেই মোবাইলের থেকে মুখ তুলে সামনের দিকে তাকাতেই তন্ময় দেখল এক ভদ্রমহিলা।বয়স কম বেশি তার মতই হবে, বেশ উৎকন্ঠার সাথে তার দিকে তাকিয়ে বসে আছেন।তন্ময় চারদিকে চোখদুটো ঘুরিয়ে ভদ্রমহিলার দিকে তাকিয়ে উত্তর দিল,'আমায় কিছু বলছেন?'
-হ্যাঁ, মানে আশেপাশে এটিএম কাউন্টার কোথায় আছে বলতে পারবেন ? এই হাসপাতালের এটিএমটাতে কিছু একটা সমস্যা আছে, টাকা উঠল না।
–কাছাকাছি তো আর এটিএম নেই, থাকলেও আমার জানা নেই।তবে একটু দূরে একটা আছে জানি, আমি নিজেও একবার টাকা তুলে ছিলাম।
-আচ্ছা।
শেষের কথাগুলো বলেই ভদ্রমহিলা আর কিছু বলতে যাচ্ছিলেন কিন্তু তন্ময় মাথা নিচু করে মোবাইল ঘাঁটতে আরম্ভ করাতে উনিও পিছিয়ে গেলেন।উটকো অজানা বা অচেনা কোন মহিলার সাথে এতো বেশি কথা বলবার ওর বিন্দু মাত্র ইচ্ছে নেই।তাছাড়া এসেছে একটা হাসপাতালে, বাড়িতে বউ আছে।কিছু সময় আগে ফোন করে হাসপাতালের অবস্থা জানিয়েওছে।নেহাৎ শাশুড়িমা এসেছেন তাই স্বরূপকে হাসপাতালে রাতে থাকবার কথাটা বলতে পারল।না হলে সারাটা দিন অফিস করে বন্ধুর বাবার জন্যে এরকম ভাবে রাত জাগতে ভালো লাগে না, ঘরে আবার নতুন বউ।
-শুনছেন, আপনাকে বিরক্ত করতে খারাপ লাগছে কিন্তু খুব নিরুপায় হয়ে গেছি।মানে ..
ভদ্রমহিলা আবার কথা বলতে আরম্ভ করতে তন্ময়কেও আরেকবার তার দিকে তাকাতে হল।
আচ্ছা মুশকিল তো।হাসপাতালে আসা সবার দিকে একবার দেখে নিল।না, কম বয়সি অনেক লোকই আছে।অনেকেই যথেষ্ট হ্যাণ্ডসাম, মহিলাদের আবার এই হ্যাণ্ডসামদের প্রতি একটু ক্র্যাক থাকে।ওর নিজের এক বন্ধু কলেজের স্টুডেণ্টদের টিউসন দিত।বিয়ের পর কোন কারণে টিউসন কমে গেলে খুব দুঃখ করে বলে,'বুঝলি বিয়ের পরেই সব সুন্দরী মেয়েগুলো আমার কাছে পড়তে আসা বন্ধ করে দিল।'
তন্ময় তাকেও কোন কিছু উত্তর দিতে পারেনি।তাহলে কি এই মহিলাও সেরকম কিছু..?পর্ণাকে বললেই খচে যাবে।কিন্তু এই মহিলা শুধু শুধু তাকেই কেন জিজ্ঞেস করছে।উত্তর না দেওয়াটাও অভদ্রতা। তাই জিজ্ঞেস করল,'বলুন কি সমস্যা?'
–আমি কি আপনার ডান পাশের চেয়ারটাতে একটু বসতে পারি ?
তন্ময় তাকিয়ে দেখল পাশের চেয়ারে তার নিজেরই আনা একটা ব্যাগ রাখা আছে।ব্যাগটাতে বাড়ি থেকে তৈরী করে আনা রুটি তরকারি আর এক বোতল জল আছে।ভদ্রমহিলা একটু আগেই নিজের মোবাইল বের করে তন্ময়ের সাথে কিছু একটা মেলাচ্ছিলেন।তন্ময় লক্ষ্য করেছে।
ব্যাগটা বাঁ'পাশের ফাঁকা চেয়ারে রেখে বলে উঠল,'বসুন।'
রাতের হাসপাতাল।এমনিতেই রুগীর সংখ্যা কম।যারা আছেন তাদের বেশির ভাগ পেসেন্ট পার্টি।আগে হাসপাতালের বেসমেন্টটাতে পেসেন্ট পার্টির শোওয়ার জন্যে একটা ব্যবস্থা করা ছিল।এখন সে সব তুলে দিয়েছে।এই রিসেপসেনের একটা পাশে বসে থাকতে হয়।তাতে আবার হাসপাতালেও বিরাট ফ্যানা।সন্ধে সাড়ে সাতটার মধ্যে যে থাকবে তার নাম এন্ট্রি করাতে হবে।তন্ময় একটু আগেই সেই সব ফর্মালিটি করে এখানে বসে মোবাইল ঘাঁটছিল।তখনই..
ভদ্রমহিলা পাশে বসবার সময় তন্ময় তারদিকে একবার ভালো করে দেখল।বেশ সুন্দরী কোন সন্দেহ নেই, তবে তাড়াতাড়িতে একটা ঘরে পরে থাকা সালোয়ার কামিজই পরে চলে এসেছেন।তাও আবার দুটোর দু'রকমের রঙ।এসিতেও ঘামছিলেন, বেশ কয়েকবার মুখ মুছলেন।পাশে বসেই বলে উঠলেন,'বিশ্বাস করুন, এভাবে বিরক্ত করতে খুব খারাপ লাগছে, কিন্তু আমি নিরুপায়।আমার হাসবেণ্ড হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে গেছেন…'
–কি হয়েছে ?
-অ্যাক্সিডেন্ট।অবস্থা ভালো নয়।
শেষের কথাগুলো বলবার সাথে ভদ্রমহিলা আবার ফুঁপিয়ে উঠলেন।তন্ময়ের নিজেকে খুব অস্বাভাবিক লাগল।এমনি অবস্থাতে কোনদিন তো পড়তে হয় নি।বউএর চোখের জল একটু কাছে ডেকে আদর করে ভুলিয়ে দেওয়া যায়।কয়েকমাস আগে দাদা শ্বশুর মারা গেলে ঠিক এমনি ভাবেই পর্ণা ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠেছিল।গাড়িতে যাবার সময়েই তন্ময়ের কোলে মাথা রেখেই গেছিল। কিন্তু ইনি তো…
-আহা কাঁদবেন না, ঠিক হয়ে যাবে।আপনি বড় হাসপাতালে এনেছেন ড়াক্তারবাবুরা রয়েছেন তো.. কিন্তু আপনি একা রয়েছেন, আর কেউ আসেনি।
ভদ্রমহিলা চোখদুটো একবার মুছে উত্তর দিলেন,'আসলে আমার শ্বশুর বাড়ি তো কাছাকাছি নয়।ওনার কেউ কাছাকাছি থাকেন না।চাকরির সূত্রে আমরা এখানে কোর্য়াটারে থাকি।'
–কিভাবে হল ?
-আর বলবেন না, কিছু টুকিটাকি জিনিস কিনতে বাজার বেরিয়ে ছিল।সামনেই বাজার, মিনিট দশ লাগতে পারে।দু' ঘন্টা হয়ে গেল দেখে ফোন করতেই পুলিশ ফোন ধরে, তখনই হাসপাতালে। আমি কোন রকমে কোর্য়াটারের দরজাটা বন্ধ করেই বেরিয়ে আসি।তাড়াতাড়িতে ব্যাগ নিলাম, কিন্তু কোন টাকা নেই।এটিএম কার্ডটা আছে কিন্তু দেখুন এমন ভাগ্য এখানকার মেশিনটাও খারাপ।তাই আপনাকে জিজ্ঞেস করছিলাম।
-ডাক্তারবাবুরা কি বলছেন ?
ভদ্র মহিলা একটা লম্বা শ্বাস টেনে উত্তর দিলেন,'সিটি স্ক্যান হয়েছে, আনকনসাসই আছে, এটাই ভয়ের। বাকি জানিনা।তবে আটচল্লিশ ঘন্টা সময় নিয়েছে।'
তন্ময় একবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে নিল,সাড়ে আটটা।এরই মধ্যে হাসপাতালের ভিতরে সবাই যে যার মত শোওয়ার ব্যবস্থা আরম্ভ করে দিয়েছে।তন্ময় ব্যাগের ভিতরে একটা চাদর এনেছে তবে শুতে পারবে বলে মনে হয় না।তাছা্ড়া হাসপাতালের ভিতরে ঘুম হয় না।কি রকম যেন একটা ভয় তাড়া করে বেড়ায়।নিজের বাবার বেলায় সরকারি বেসরকারি মিলে অনেক হাসপাতালেই রাতে থেকেছে এবার তো…
-আপনার কাছে খুচরো পয়সা হবে ? খুব মাথা ধরেছে, কিছু একটা ট্যাবলেট যদি…
-চা বা কফি কিছু খান, অনেক সময়..
-ওর দেরি দেখে সেই মাত্র আভেনে চা চাপিয়ে ছিলাম।এখনো চাপানোই আছে।
– ও তাহলে চলুন, ক্যান্টিনে কফি খাওয়া যেতে পারে।মানে আপনার কোন আপত্তি না থাকলে।
– না, না আপত্তি কেন হবে, সন্ধে থেকে সত্যিই আমার চা বা কফি কোনটাই খাওয়া হয় নি।
ক্যান্টিনে কফি কাপে চুমুক দিয়ে তন্ময় লক্ষ করল ভদ্রমহিলা মাঝে মাঝেই খুব অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকছেন।চোখে চোখ পড়তেই মাথা ঘাড় সরিয়ে নিচ্ছে।তন্ময় জিজ্ঞেস করল, 'কিছু খাবেন? ডিনার তো করা হয়….'
–পরে খেয়ে নেবো, আসলে আমার কাছে খুচরো টাকা নেই।কার্ডে যদি পেমেন্ট না নেয়..
-আমি দিয়ে দিচ্ছি।ঠিক আছে আপনি কোন পেমেন্ট অ্যাপ কি ব্যবহার করেন ?
-হ্যাঁ করি, তবে এই কয়েকটা টাকা আর দিতে হবে না।
–কিন্তু আপনি আমাকে খাওয়াবেন কেন ? আমি তো আপনার কোন বন্ধু বা কোন কিছু নই।
-সে যদি প্রশ্ন করেন তবে তো আমারও জানতে ইচ্ছে করে, এতো লোক থাকতে আপনি আমার সাথেই এরকম কথা বলছেন কেন ?
ভদ্রমহিলা একটা লম্বা শ্বাস নিয়ে উত্তর দিলেন,'আপত্তি না থাকলে আমাকে একটু এটিএম কাউন্টারে নিয়ে যাবেন? খুব প্রয়োজন পড়ে গেছে।'
-বেশ কিছুটা দূর কিন্তু।
-আপনি ম্যারেড, সম্ভবত আপনার মিসেসের নাম পর্ণা।
-তন্ময় বেশ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল,'বাব্বা, আপনি এর মধ্যে এত কিছু কি করে জেনে গেলেন?'
–আপনি হাসপাতালে ঢোকার পর আমার একটা ধাক্কা লাগে, তারপর আপনাকেই দেখে যাচ্ছিলাম, খারাপ হলেও বলি, আপনার ফোনে কথা বলাও শুনেছি।
তন্ময় কিছু বলতে যাচ্ছিল ভদ্রমহিলা ডান হাত তুলে থামতে বলে নিজেই বলে উঠলেন,'একটু কষ্ট করে আমাকে এটিএম কাউন্টারে নিয়ে চলুন না।খুব দরকার হয়ে গেছে।'
হাসপাতালে ঢোকবার সময়ে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়ছিল।ভিতরে আসার পর এক পশলা বেশ জোরে বৃষ্টি হয়ে গেল। ভদ্রমহিলার কথা শুনে হাসপাতালের রিসেপসেনে সিক্যোরিটিকে এটিএমের কথা বলে বাইকটা হাসপাতালের স্ট্যাণ্ড থেকে বের করতেই দেখল ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়ছে।ভদ্রমহিলাকে সেকথা জানাতেই উনি বলে উঠলেন, 'ঠিক কতটা রাস্তা হতে পারে?'
–বললাম যে প্রায় এক কিলোমিটার।
–বৃষ্টি পড়বার আগে ফিরে চলে আসবো।
তন্ময়ের খুব ইতস্তত লাগছিল। কেউ দেখে ফেললে মুশকিল, তাছাড়া কি মতলব আছে কে জানে? কিন্তু যদি সত্যি হয়! যা হয় হবে, সেরকম হলে মাঝ রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চলে আসবে।
তন্ময় আর কোন উত্তর না দিয়ে বাইক স্টার্ট করল।কিন্তু টাকা তোলবার পরেই বাঁধল বিপত্তি।কোথাও কিছু নেই ঝমঝম করে বৃষ্টি নেমে গেল।তন্ময় বাড়ি থেকে বেরোবার সময় বৃষ্টি সেরকম না পড়ায় একটা ছাতা এনেছে।কিন্তু হাসপাতাল থেকে এটিএম থেকে বেরোবার সময় সব শুদ্ধ ব্যাগটা সিক্যোরিটির কাছে রেখে দিয়ে এসেছে।বৃষ্টির বেগ বাড়তে দেখে তন্ময়কে বাইকটা স্ট্যাণ্ড করে এটিএমের ভিতরে যেতে হল।ভদ্রমহিলাও ভিতরে ছিলেন।তন্ময়কে ভিতরে আসতে দেখেই বলে উঠলেন,'বা, বেশ হল তো, দুজন বন্দি হয়ে গেলাম।'
–তন্ময়ের কথাগুলো শুনেই মাথার ভিতরটা ঝাঁ ঝাঁ করে উঠল। কি মেয়ে রে বাবা, হাসব্যাণ্ড হাসপাতালে ভর্তি, মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আর উনি এখানে রোমান্টিক হয়ে গেছেন। নিজেকে বেশ কিছুটা সামলে নিয়ে ভদ্রমহিলা উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে থাকলেন।কিছুসময় চুপ থেকে নিজের থেকেই বলতে আরম্ভ করলেন,'জানেন, আমার ভাগ্যটা খুব খারাপ।প্রথম হাসবেণ্ডও বিয়ের একমাসের মধ্যেই অ্যাক্সিডেন্টে মারা যায়।'
চমকে উঠল তন্ময়,'তারমানে ইনি...?
-আমার দ্বিতীয় হাসবেণ্ড, সেই একমাসের মধ্যেই।তারপর হঠাৎ আপনাকে দেখতে পাই, বিশ্বাস করুন মানে কি বলব...
ভদ্রমহিলা আরো কিছু বলতে যাচ্ছিলেন।এমন সময় ফোনটা বেজে উঠল। ভদ্রমহিলা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে কেউ একজন একটু জোরে কথা বলছিল সেটা তন্ময় অনুমান করল। কিছু জিজ্ঞেস করবার আগেই ফোনটা রেখে ভদ্রমহিলা নিজের থেকেই বলে দিলেন,'হাসপাতাল থেকে, খোঁজাখুঁজি করছিল। কি একটা টেস্ট হবে, কনসার্ন সিগনেচার লাগবে।না পেয়ে চেল্লাচ্ছিল।'
তন্ময় কোন উত্তর না দিয়ে আগের মতই দাঁড়িয়ে থাকল।বাইরের বৃষ্টিটা একটু কমতে আবার হাসপাতালে এল। কিন্তু বাইক রেখে দেখল সামনের গেটটা বন্ধ।পিছনের এমার্জেন্সি গেট দিয়ে ভিতরে এসে ব্যাগটা নিয়ে একটা চেয়ারে বসে পড়ল।ভদ্রমহিলাকে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে দেখতে পেল।একবার নিজের থেকে গিয়ে জিজ্ঞেস করল।ভদ্রমহিলা না বলতে আর বাড়াবাড়ি না করে পিছিয়ে গেল।সুজয়কে ফোন করে তার বাবা কেমন আছে জানালো।তারপর পর্ণাকে ফোন করে নিজের সঙ্গে আনা রুটি আর তরকারিটা খেয়ে নিল।একটা চেয়ারে পা তুলে পিঠটা ছাড়িয়ে একটু বসল।অদ্ভুত ব্যাপার হল এর মধ্যে ঐ ভদ্রমহিলাকে একবারের জন্যেও নিচের ফ্লোরে দেখতে পেল না।রাত বাড়ছে, গ্রাউণ্ড ফ্লোরের বেশির ভাগ আলোই নেভানো।পেসেন্ট পার্টির বেশির ভাগই নিচে কিছু একটা পেতে শুয়ে পড়েছেন।মোবাইলটা ব্যাগে রেখে চোখদুটো বন্ধ করতেই শরীরটা কেমন যেন চেয়ারে এলিয়ে গেল।সারাটা দিন অফিসের পর এভাবে বসে বসেই ঘুম চলে এল।কিছু সময় পর গায়ে একটা হাল্কা ধাক্কা অনুভব করতেই চোখ দুটো খুলে গেল।দেখতে পেল সামনে হাসপাতালের একজন হাউসকিপিং এর স্টাফ দাঁড়িয়ে আছে।তন্ময়ের চোখ খোলা দেখেই পাশে বসে থাকা একটা পেসেন্ট পার্টি বলে উঠলেন,'কাল রাতে এতো কিছু হয়ে গেল আপনি তো কিছুই জানেন না?খুব ঘুমাচ্ছিলেন নাকি?'
-হ্যাঁ।ঘুমিয়ে গেছিলাম ?
–আপনার পাশে যে ভদ্রমহিলা বসে ছিলেন আপনার পরিচিতা ?
- না, এখানে এসেই আলাপ।
-ও।গতকাল রাতেই ওনার হাসবেণ্ড মারা গেলেন।এবার বাড়ির লোক এসে ভদ্রমহিলাকে এই হাসপাতালের ভিতরেই মার ধোর আরম্ভ করেছিলেন।মেয়েটি নাকি তার আগের হাসবেণ্ডকেও মেরে দিয়েছে, এটা সেকেণ্ড, এটাকেও...।
তন্ময় কিছু উত্তর দিল না।এত কিছু যখন হয়েছে তারমানে চিৎকার ও হয়েছে খুব।কিন্তু ঘুম ভাঙলনা কেন ? চোখ মুখ ধুয়ে ব্যাগের থেকে মোবাইল বের করে পর্ণাকে ফোন করে সব কিছু বলল আগের রাতে ইচ্ছে করেই কিছু জানায় নি।তারপর নেট অন করতেই দেখল একটা আননোন নাম্বার থেকে রাত আড়াইটের সময় একটা ইমেজ পাঠিয়েছে।তন্ময় ইমেজটা ওপেন করতেই অবাক হয়ে গেল, একি এতো ওর নিজেরই ছবি এটা এখানে এল কিভাবে?তন্ময়ের চোখ দুটো বড় বড় হয়ে গেল।ছবিটা ভালো করে দেখে নিচের দিকে নামাতেই দেখল নিচে লেখা আছে, 'আমার প্রথম হাসবেণ্ড।'
**************************