কয়েক কোটি টাকার বাড়ি। বলা ভাল প্রাসাদ। ছবির মতো ফুলের বাগান। ফলের বাগান।পুকুর ভর্তি মাছ।গা ভর্তি গহনা । সংসারে সুখ যেন ধরে না ।বাড়ির বউ সাবধানী । অতিথির যাতায়াত অপছন্দ । বাগানে গরু-ছাগল ঢোকার জো নেই। শ্বশুর -শাশুড়ি শুরুতেই তাড়িয়েছে। অন্দরের ধুলোবালি ঝেড়েই ফেলেছে । দুঃখের গল্প শোনার আশঙ্কায় সম্বন্ধ ও সম্পর্ক এড়িয়ে চলে। স্বামীকে নিজের দিকে টেনে রেখেছে। স্বামীর অবস্থা ভাষাহীন শিশুর মতো, বলা ভাল গৃহপালিত স্বামী।
রোজগারের যন্ত্র হলেও সংসারে তার কোনও মতামত পাত্তা পায় না। সোনা বাঁধানো সংসারে বউ-ই শেষ কথা।
এ সংসারে কারও প্রবেশাধিকার নেই। শুধু বউয়ের বাপের বাড়ির লোকজন নয়নের মণি। এভাবেই চলছিল সোনার সংসার । তাদের একার সংসার । সংসারের আর কোনও কিছুর সঙ্গে তাদের যোগাযোগের প্রয়োজন নেই।
প্রাচুর্যের হুঙ্কারে বউয়ের পা জোড়া হয়তো মাটিতে পড়ে না। একদিন আকাশ থেকেই পড়তে হল। সামান্য উপসর্গ নিয়ে নামকরা বেসরকারি হসপিটাল । ডক্টর বলেছেন, ব্লাড-ক্যানসার । বড়জোর তিন মাস আয়ু। সোনার সংসারে আজ ঘোর অমাবস্যা । মৃত্যু পথযাত্রী বউয়ের চোখে জল গড়িয়ে যাচ্ছে । সুখের ঘরে আজ শোক জ্বলজ্বল করছে । সব বন্ধ রাখা ছিল । এ বাড়িতে কেউই ঢুকতে পারেনি । ঢুকতে দেওয়াও হয়নি । তবু রোগ ঠিক ঢুকে গেছে।
ছবি ঋণ- ইন্টারনেট ।
--------------