ঈষাণ কোণে মেঘ
ছেলেটা ভেবেছিল বদলে দেবে। একা হাতেই। বীজ ছড়ালো । বৃষ্টি দিল। রৌদ্র পাখির ডানায় বেড়ে উঠলো ফুল ফল বীজের সংসার। হাসি ধরে না তার মুখে।
ছেলেটা ভেবেছিল এবার মানুষ গড়বে। কাদামাটি নিয়ে নাড়তে নাড়তে জন্ম নিল স্বপ্ন। প্রেম, মায়া মমতা,আর ভালবাসায় ছেলেটার মুখে হাসি ধরে না।
কদিন যেতে না যেতেই ঈশান কোণে জন্মালো মেঘ । বৃষ্টির জলে পুষ্ট ফলে জন্মালো ভাগীদার। ছেলেটার মুখে আর হাসি নেই।
=======০০০=====
জলজ দর্পণ
কালো কালো ছায়া মূর্তি চারিদিক। এক রকম ভাবে চেয়ে থাকে সব । জলজ দর্পণে হাঁ করে চেয়ে থাকে রবি ।আজকাল সে ছায়া দেখে ই হাসে, হাততালি দিয়ে নাচে। ভাত খায়।
রোদমাখা মানুষগুলো নাকি বড় বেশি বিচ্ছিরি। কচি মুখের কথা শুনে মা হেসে গড়িয়ে যায় । বাঁকা নাক , দেঁতো হাসি, ধূর্ত চাহনির মুখে কালি দিতে জলজ দর্পণের নাকি জুড়ি মেলা ভার।কাল আর ঘুম হয় না। বিশ্রামের ক্লান্তি আমার ডানা জুড়ে ।ওদের দানা খাওয়াই আর ফ্যাল ফ্যাল চেয়ে থাকি।
=======০০০=====
বিশ্বনাথ প্রামানিক
সোনারপুর।