যে দল শুধু লড়াই চায়, ভোটে জিততে চায় না তার নেতা তিনি। তার সংসার বা পেট কিভাবে চলে সে শুধু ঈশ্বর জানেন এবং জানেন এই ঈশ্বরবিরোধী কমরেড।
নাম-ধাম খুইয়ে তিনি শুধুই কমরেড।
রাস্তায় পেয়ে আমাকে ইশারায় থামতে বল্লেন। প্রমাদ গুনলাম। এর খপ্পরে পড়া মানে সারাটা দিন মায়ের ভোগে গেল।
বল্লেন, খুব শরীর খারাপ। চলো গুরুর কাছে। ডঃ গুরু মানে তো ৫০০ টাকা। তার মানে মূল্যবান সময় পয়সা দুই বরবাদ। লাইনে দাঁড়াতে হবে দু'ঘন্টা। উনি তো লাইন দেওয়ার পাত্র নন, অগত্যা আমি।
অবশ্য পাঁচ মিনিট যেতে না যেতেই ডাক্তারের আহ্বান এলো। ইশারায় আমাকেও কমরেড ভেতরে ডাকলেন।
ডাক্তার ধমক দিলেন। - মরে যাবেন যে, শরীরের যত্ন নিন।
উনি চুপচাপ। তার সমস্ত স্যাম্পেল ফাইলের ঔষধ এক এক করে বুঝিয়ে দিলেন।
ভিজিট তো দূর অস্ত, ঔষধও ফ্রি অফ কষ্ট।
ডাক্তার হাসতে হাসতে বল্লেন, আপনার চিকিৎসা হবে নাকি ?
বললাম, আপাতত আমার কোনো অসুবিধে নেই।
ডাক্তার বল্লেন, এ লোকটা ভগবান না মানলেও একে আমি ভগবান মনে করি। যখনই অসুবিধে হবে চলে আসবেন, ভিজিট লাগবে না।
চমৎকৃত হলাম।
দুপুর গড়িয়ে যাচ্ছে। এবার খেতে হবে।
কমরেড ঝেঁঝিয়ে উঠলেন, অত খাই – খাই করো কেন ?
চলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে।
এবার ম্যাট্রিমনিয়্যাল ডট কম। লিভ টুগেদার থেকে গেট টুগেদার।
নো মাইক, নো ছাদনাতলা। স্রেফ রেজিস্ট্রেশান। ঘন্টাখানেকের মধ্যে কমরেডের মধ্যস্থতায় বরপক্ষ কনেপক্ষ কুপোকাৎ।
বর – কনে কমরেডের প্রতি মহাকৃতজ্ঞ।
তারপর ভুরিভোজন।
খেয়ে দেয়ে পরিত্রান চাইলাম।
কমরেড এবার দাবী পেশ করলেন, খেয়ে দেয়ে পালাবে, সে হবে না।
চলো তৃতীয় অভিযান এবার।
এবার এক দম্পতির মান – অভিমান ভাঙানোর পালা।
ভদ্রলোক বলেন, পাঁচদিন ফোন করছি। এই আসছি এই আসছি করে রোজ ঢপবাজি। ঐদিকে শ্রীরাধার কানু বিনে গীত নাই।
ভদ্রলোক বলেন, কী মন্ত্র দিয়েছে, কে জানে ? সপ্তাহে একবার না দেখতে পেলেই মুখ গোমড়া, আর আমার উপর ঝাল ঝাড়তে থাকে।
ভদ্রলোক বল্লেন, বুঝলে হে ছোকরা তোমার বয়স কম। শরীর কিছু নয়, ও খোলসমাত্র। মনই হোল মধুবৃন্দাবন, ওখানে আমার প্রবেশাধিকার নাই, কমরেড গেড়ে বসে আছেন।
কমরেড কিছু না বলে দুষ্টুমির হাসি হাসছেন।
ভদ্রলোক বল্লেন, বুঝলে ভায়া, এ ব্যাটা নাস্তিক ঈশ্বর মানে না। শাস্ত্রে আছে, সব ছাড়লে সব পাওয়া যায়। এ শালা সব ছেড়েছে কিন্তু অ্যাসিডে সব জবর দখল করে বসে আছে।
===================================
ছবি ঋণ- ইন্টারনেট