ব্যস্ত সিডিউল থেকে এতটুকু সময় বের করেছে আজ সুকল্যান। রোজ তো দোকান, ব্যবসার চাপ, সংসারের ঘানি টেনে যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। আজ এসব নেই। আজ সে ফ্রি। তাই সারাদিন সে এই বাচ্চাদের সাথেই কাটাবে। প্রতিবছরই তাই করে থাকে ও করে যাবে।
আজ থেকে প্রায় বছর ত্রিশ আগের কথা। এরকমই ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের একটি দিন। সরস্বতী পুজোর পরদিন। তখন কলেজে বাণিজ্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সুকল্যান। একদিন সকালে টিউশন থেকে ফেরার পথে প্রথম দেখেছিল মেঘমালাকে। কথা বলতে পারেনি পাক্কা দু'মাস। আর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই মেঘমালা কলেজ ছেড়ে দেয়। শোনা যায় ওকে ওর বাবা নাকি বিয়ে দিয়ে দেয় অভাবের তাড়নায়। সুকল্যানের আনা গোলাপ পাঞ্জাবীর পকেটেই শুকোয়। প্রথম প্রেম গোলাপের মতোই ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। কিন্তু ভুলতে পারেনা। আর নিজের জীবনটাও অগোছালোই থেকে যায় সুকল্যানের।
আজ হোমে এসে শুনল, নতুন এক ওয়ার্ডেন এসেছেন বাচ্চাদের দেখাশোনা করতে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তার নাম মেঘমালা সেন।
--------------