প্রেম সবার জীবনে আসে। স্বপ্নার জীবনেও এসেছিল স্বপ্নময়। হাবেভবে, আবেগে উচ্ছাসে সবেতে সে তার জানান দিত। কিন্তু স্বপ্না জেনেও না জানার ভান করত।
তবে তার মনে ভান ছিলনা। সহজ-সরল অনাড়ম্বর মন,বারবার ধরা দিতে চাইত। ধরা দিতে পারত না।নিজেকে নিবেদন করার জন্য নিঃস্ব হয়ে থাকতো।বিরহে ব্যাকুল হত, কিন্তু বলতে পারতো না।
একদিন সহেলি সারথী আবদার করে বসল, তার একটা কাজ করে দিতে হবে । স্বপ্না না করতে পারেনি।
তার হয়ে চিঠি দিতে হবে স্বপ্নময়কে। চিঠি পড়ে রাগে অভিমানে ছিড়ে ফেলতে ইচ্ছে করছিল।কিন্তু পারেনি। সারথীকে সে আপনের চেয়ে আপন মনে করে।
স্বপ্না পরের দিন ফুল আর চিঠি নিয়ে স্বপ্নময়ের সামনে দাঁড়ালো। স্বপ্নময়ের খুশি আর হাসিতে মুখটা কি রাঙা ।
সে সেগুলো হাতে নিয়ে ওর দিকে তাকাতেই, মনে হল স্বপ্নার মনটা শুকনো, নিরুৎসাহ। মুখ নিচু করে দূরে দাঁড়িয়ে আছে। তবে কি কোন দুঃসংবাদ ?
তাড়াতাড়ি চিঠিটা পড়ে।পড়ে অবাক বিস্ময়ে স্বপ্নার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। স্বপ্না কোন কথা বলে না। কেবল চোখ দিয়ে টপটপ করে অশ্রু ঝরে যায়।
সারথী ও কম যায় না। সে পিছন থেকে লুকিয়ে ঘটনা লক্ষ্য করে বুঝতে পারল,স্বপ্না, স্বপ্নময়কে ভালোবাসে। স্বপ্নময় ও তাই।তাই দুজনের মাঝে কাটা না হয়ে, নিজেই সামনে এসে দাড়ালো। ফুটে উঠল ফুল হয়ে।
নিজের যন্ত্রনা বুকে চেপে বলে উঠলো সামান্য পরীক্ষায় পাস করতে পারলি না? কখনো তো বলিস নি ভালবাসিস ! ধরা পড়ে গেলি তো?
দুজনেই অবাক বিস্ময়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকে।
---------------------------
সোনারপুর
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ।