বহুদিন হল ঘরটা বন্ধই।দেওয়ালে ফাটল ধরিয়ে গাছ তার লতা পাতা দিয়ে বানাচ্ছে কারু কাজ।দরজাটার পাশে আরো একটা গাছ। তার শুকনো পাতা জমে থাকে ঘরের চৌকাঠের সামনে।লকডাউনে মানুষ নিজেকে বাঁচাবে না লাইব্রেরি বাঁচাবে? লাইব্রেরিটার একটা নামও আছে। পাঁচুগোপাল স্মৃতি পাঠাগার।
আরো দিন যায়। ঘরটা অবহেলাতেই থাকে।উৎসব হয়।ঘরের দরজাও খোলা হয়।না, বই পড়ার কারণে নয়।ভোটের কারণে। ঘর পরিষ্কার করা হয়। নোংরা ফেলার সাথে সাথে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পত্র-পত্রিকাও বাদ চলে যায়।তাদের স্থান হয় ডাস্টবিনে।
আরো কটা দিন যায় চলে।বাচ্চা ছেলেগুলো খেলার মাঠ থেকে ফেরার পথে কখন যে পাঠাগারের 'পা'এর ওপর।ঁ জুড়ে দিয়েছে!
দিন ক্রমে স্বাভাবিক হচ্ছে।জীবনে ফিরছে ছন্দ।সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ এবং আপোষ বাড়ছে সমান্তরালে।অন্যদিকে নেতা-নেত্রীদের মধ্যে বাড়ছে দাপট। এবার বয়স্কদের কেউ কেউ আশাবাদী ছিলেন ঘরটা আবার খোলা হবে।ছোটো বাচ্চাগুলো আবার বই পড়া শুরু করবে।ঘরটা খোলা হয় ঠিকই তবে দরজাটা ভেঙে।
তারপর? তারপর না হয় আর নাই বা বললাম।তবে এটা সত্যিই জীবনযুদ্ধে কাষ্ঠল হয়ে যাওয়া বয়স্কদের কারো কারো চোখে রীতিমতো জল ছিল।
----------------------
প্রতীক মিত্র
কোন্নগর-712235,পশ্চিমবঙ্গ
ফোন: 8902418417