সুদীপ ঘোষাল
এবার সুমন্তদা ওরফে সুমনদা, সহকারি তোতনকে নিয়ে আমাজনের জঙ্গলে গেলেন। সাজসজ্জা যা প্রয়োজন সেসব তো সঙ্গেই থাকে।সুমন্তদা বেশি ঝোলা বইতে পছন্দ করেন না। ব্যাগের মধ্যে একটা ধারালো ভোজালি ও জামাকাপড় কিছু খাবার আর এটিএম কার্ড, মোবাইল আর পরিচয়পত্র সঙ্গে থাকে দুজনেরই। সুমন্তদা বলেন তোতনকে,আমাজন অরণ্যের গুরুত্ব অনেক। পৃথিবীর ২০% অক্সিজেন আসে আমাজন থেকে। এর জন্যে একে পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয়। আমাজন পৃথিবীতে প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের একটি। এই বনের নদী বা আমাজন নদী বেশির ভাগ নদীর উৎস। এই নদী বিশ্বে প্রচুর পানির যোগান দিয়ে থাকে। এছাড়াও আমাজনে ৪৫ লাখ প্রজাতির পোকামাকড়, ৪২৮ প্রজাতির উভচর, ৩৭৮ প্রজাতির সরিসৃপ এবং ৪২৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী আছে। পাশাপাশি আমাজন নদীতে ৩০০০ প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী আছে।
সুমনদা জানেন এখানকার আদিবাসিরা আধুনিক সমাজের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায় না।জোর করে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক করতে গেলে গণহত্যা ঘটে। তোতন বলে,বিপজ্জনক এই ভ্রমণে আমাদের মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে।আদিবাসীদের বিষমাখানো তির বিদ্ধ হলে শরীরে, হাসপাতাল যাওয়ার আগেই মৃত্যু ঘটে। আমাজন জঙ্গল নামে পরিচিত যা দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদী বিধৌত অঞ্চলে অবস্থিত বিশাল বনভূমি। ৭০ লক্ষ বর্গকিলোমিটার অববাহিকা পরিবেষ্টিত এই অরণ্যের প্রায় ৫৫ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এলাকাটি মূলত আর্দ্র জলবায়ু দ্বারা প্রভাবিত। ৯ টি দেশ জুড়ে এই অরণ্য বিস্তৃত। আমাজন অরণ্য ৬০% রয়েছে ব্রাজিলে, ১৩% রয়েছে পেরুতে এবং বাকি অংশ রয়েছে কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা, ইকুয়েডর, বলিভিয়া, গায়ানা, সুরিনাম ও ফরাসি গায়ানা। পৃথিবী জুড়ে যে রেইনফরেস্ট তার অর্ধেক টাই এই অরণ্য নিজেই। নানা রকম প্রজাতির বাসস্থান হিসেবে সমৃদ্ধ এই আমাজন।এই বনে প্রায় ৩৯০ বিলিয়ন বৃক্ষ রয়েছে যেগুলো প্রায় ১৬০০০ প্রজাতিতে বিভক্ত।আমাজন রেইনফরেস্ট কিংবা আমাজনে জঙ্গল শুধু পৃথিবীর বৃহত্তম বনাঞ্চলই নয়; জীববৈচিত্রের ঘনত্বের বিচারেও শীর্ষ অবস্থানে আছে এই বনাঞ্চল। প্রায় সাড়ে ৫ কোটি বছরের পুরনো এই জঙ্গলের মাঝ দিয়েই বয়ে গেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী।
সুমনদা বলেন তোতনকে, পৃথিবীর ফুসফুস খ্যাত অ্যামাজন জঙ্গলের রহস্যঘেরা বৈশিষ্ট্য জেনে নিন-আমাজন জঙ্গল মূলত দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদী বিদৌত অঞ্চলে অবস্থিত বিশাল বনভূমি। অ্যামাজন জঙ্গল আয়তনে এতো বিশাল যে রাজনৈতিকভাবে এর উপর নিয়ন্ত্রণ আছে ৯টি দেশের। বিজ্ঞানীদের গবেষণামতে, এ জঙ্গল এর সৃষ্টি হয়েছিলো আনুমানিক প্রায় সাড়ে ৫ কোটি বছর পূর্বে।এর আগে ভূপৃষ্ঠের টেকটনিক প্লেটগুলো চলনের ফলে আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকা এই দু'টি ভূখণ্ডের মধ্যকার দূরত্ব বাড়তে থাকে। দুই মহাদেশের মধ্যকার আটলান্টিক মহাসাগর এর আয়তনও একইসঙ্গে বৃদ্ধি পায় এবং পৃথিবীর প্রান্তীয় এলাকার তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়েছে।এর ফলে আমাজন নদীর অববাহিকায় এই বিশাল বনাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। প্রায় ২ কোটি বছর সময় লেগেছিলো আমাজনের পূর্ণাঙ্গ জঙ্গলে পরিণত হতে। আয়তনে আমাজন ৫৫ লাখ বর্গকিলোমিটার বা ২১ লাখ বর্গমাইল। আমাজন বিশ্বের বৃহত্তম জঙ্গল। যদি আরো সুনির্দিষ্টভাবে বলতে হয়, তবে অ্যামাজন পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ট্রপিক্যাল রেইনফরেস্ট বা প্রান্তীয় বর্ষাপ্রবণ বনাঞ্চল।
সুমনদা জঙ্গলে ঘোরার অভিজ্ঞতা শর্ট হ্যান্ড লেটারে লিখে রাখেন।তারপর সময়মত বাংলায় লেখেন।তোতন বলে,শর্টহ্যান্ড লেখা কেমন, আমরা জানি না তো।
সুমনদা বলেন, শিখলে শিখতে পারো।শর্টহ্যান্ড হলো দ্রুত নোট নেবার কৌশল। মানে কোন এক সেমিনারে আপনি গেলেন সেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বক্তারা বললো তবে তা সাধারণভাবে লেখার মত সুযোগ আপনাকে না দিয়ে অনর্গল বলে গেলেন তারা, আর এত কথা তারা বলছে তা আপনি মনেও রাখতে পারবেন না। এদিকে ভিডিও রেকর্ড করার মত মোবাইল বা সাউন্ড রেকর্ডার নাই আপনার যে তাদের কথা রেকর্ড করে রাখবেন বাসায় গিয়ে আরামে বসে শুনবেন। তাই দ্রুত কিছু সাংকেতিক চিহ্ন দিয়ে বক্তার কথা নোট করার কৌশলকে শর্টহ্যান্ড বলে, বাংলায় সাটঁলিপি।
দ্রুত নোট করতে, তথ্য গোপন রাখতে, তথ্য আদান প্রদানে তথ্য বেহাত হবার সম্ভাবনা থাকলে শর্টহ্যান্ডে লেখা হয়, যাতে সাধারণ জনসাধারণ বুঝতে না পারে।
একটা সময় সব সরকারি বেসরকরি অফিসে এর দরকার ছিলো, এখন শুধুমাত্র সরকারি মন্ত্রানালয়ে কাজে লাগে।বাজারে অনেক বই আছে সেখান থেকে শিখতে পারেন, অনেক ট্রেনিং সেন্টার আছে সেখান থেকেও শিখতে পারেন, আর আমার ভিডিও দেখে শিখতে পারে। সুমনদা জানেন,আমাজন জঙ্গল এর উপর মূলত ৯টি দেশের রাজনৈতিক আধিপত্য আছে। এর মধ্যে ব্রাজিল এর নিয়ন্ত্রণ আছে শতকরা ৬০ ভাগ, পেরুর নিয়ন্ত্রণে শতকরা ১৩ ভাগ, শতকার ৮ ভাগ বলিভিয়ার নিয়ন্ত্রণে, কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার আছে যথাক্রমে ৭ এবং ৬ ভাগ নিয়ন্ত্রণ।অন্যদিকে গায়নার নিয়ন্ত্রণে আছে শতকরা ৩ ভাগের কিছু বেশি এলাকা। সুরেনিয়াম এর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে শতকরা আড়াই ভাগ, ফ্রেঞ্চ গায়না এবং ইকুয়েডর এর রয়েছে যথাক্রমে শতকরা ১.৪ এবং ১ ভাগ নিয়ন্ত্রণ। বিশ্বের বৃহত্তম প্রান্তীয় জঙ্গলের বুক চিরে বয়ে চলেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আমাজন নদী।এ নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৭ হাজার কিলোমিটার। তবে পানি প্রবাহের দিক দিয়ে আমাজন বিশ্বের বৃহত্তম নীল নদের থেকেও এগিয়ে। প্রতি সেকেন্ডে এই নদীর মোহনা দিয়ে প্রায় ২১ লিটার পানি আটলান্টিক মহাসাগরে গিয়ে পড়ে এছাড়াও অ্যামাজন নদীর অববাহিকাও আয়তনের হিসাবে পৃথিবীতে বৃহত্তম।আমাজন রেইনফরেস্ট কিংবা আমাজনে জঙ্গল শুধু পৃথিবীর বৃহত্তম বনাঞ্চলই নয়; জীববৈচিত্রের ঘনত্বের বিচারেও শীর্ষ অবস্থানে আছে এই বনাঞ্চল। প্রায় সাড়ে ৫ কোটি বছরের পুরনো এই জঙ্গলের মাঝ দিয়েই বয়ে গেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী। পৃথিবীর ফুসফুস খ্যাত অ্যামাজন জঙ্গলের রহস্যঘেরা বৈশিষ্ট্য জেনে নিন-আমাজন জঙ্গল মূলত দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদী বিদৌত অঞ্চলে অবস্থিত বিশাল বনভূমি। অ্যামাজন জঙ্গল আয়তনে এতো বিশাল যে রাজনৈতিকভাবে এর উপর নিয়ন্ত্রণ আছে ৯টি দেশের। বিজ্ঞানীদের গবেষণামতে, এ জঙ্গল এর সৃষ্টি হয়েছিলো আনুমানিক প্রায় সাড়ে ৫ কোটি বছর পূর্বে।এর আগে ভূপৃষ্ঠের টেকটনিক প্লেটগুলো চলনের ফলে আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকা এই দু'টি ভূখণ্ডের মধ্যকার দূরত্ব বাড়তে থাকে। দুই মহাদেশের মধ্যকার আটলান্টিক মহাসাগর এর আয়তনও একইসঙ্গে বৃদ্ধি পায় এবং পৃথিবীর প্রান্তীয় এলাকার তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।এই বনে বড় ৩০০শ এর বেশি উপজাতি বাস করে। মোট ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর সংখ্যা ১০লাখেরও বেশি। তারা বেশির ভাগ ব্রাজিলীয়। এছাড়া তারা পর্তুগীজ, স্প্যানিস ইত্যাদি ভাষায় কথা বলে। এছাড়াও এদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে। এদের মধ্যে কিছু যাযাবর। এদের বহিঃবিশ্বের সাথে তেমন যোগাযোগ নেই
সুমনদা বলেন,আধুনিক সভ্যতা ও মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন আমাজনের গভীর জঙ্গলের এসব আদিবাসীদের বিভিন্ন সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুজন নৃবিজ্ঞানী। এ দুই বিজ্ঞানী গভীর জঙ্গলে গত দুই বছর ধরে সময় কাটিয়েছেন। অধ্যাপক কিম হিল ও রবার্ট ওয়াকারের প্রস্তাব, আদিবাসীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা ও শিক্ষিত করে গড়ে তোলা দরকার। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের জঙ্গলে প্রবেশ করার আগেই এটা করতে হবে।
তাদের এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছে সার্ভাইভাল ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি দাতব্য সংস্থা। তারা সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে আমাজন বনের ব্রাজিলের উত্তর-পূর্ব দিকের অংশে বসবাস করেন এমন একটি আদিবাসীদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। গুয়াজাজারা নামক আদিবাসী গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে দাবি সতর্ক করা হয়, জোর করে আধুনিক সভ্যতা ও মানুষের সঙ্গে যদি তাদের সম্পর্ক স্থাপন করা হয় তাহলে এটা গণহত্যার শামিল হবে।
সুমনদা ও তোতন ধীরে ধীরে জঙ্গলের গভীরে প্রবেশ করলো।হাতে তাদের ভোজালি। জঙ্গল কেটে তারা এগিয়ে চলেছেন ভিতরে। হঠাৎ একটা আওয়াজ শুনে তারা থমকে গেলেন।দেখলেন একটা চিতাবাঘ।চোখের পলক পড়ার আগেই দুজনেই মুখোশ পরা পিছনদিকে ঘুরলেন।মুখোশ পরাই আছে পিছনদিকে।চিতা কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকল তারপর চলে গেল গভীরে।আবার সুমনদা হাঁটতে লাগলেন।পিছনে তোতন।
সুমনদা বলছেন,এখানকার গাছগুলোর উচ্চতা অনেকটাই বেশি কারণ অতিরিক্ত ঘনত্বের কারণে সূর্যের কিরণ মাটি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সূর্যালোকের প্রয়োজনে গাছগুলি মাটি থেকে অনেক উপর পর্যন্ত বাড়তে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এভাবেই ধীরে ধীরে এখানকার উদ্ভিদ এত উচ্চতা প্রাপ্ত লাভ করেছে। এই অরণ্যের উদ্ভিত গুলি ১২০ ফুট পর্যন্ত উচু। সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রায় ৪০ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে এই অরণ্যে। এছাড়া রয়েছে ২.৫ মিলিয়ন প্রজাতির কীটপতঙ্গ, ৩৭৮ প্রজাতির সরীসৃপ, ১,২৯৪ প্রজাতির পাখি, ৪২৮ প্রজাতির উভচর এবং ৪২৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী। বলা বাহুল্য এত প্রজাতির ভিন্নতার সঙ্গে আরও অজানা অনেক জীব অণুজীব এই অরণ্যে বিরাজমান। এত ধরনের প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদ সমৃদ্ধ এই অরণ্য আশ্চর্য রহস্যে ঘেরা। তোতন অবাক হয়ে শোনে সুমনদার কথা।
সুমনদা বলেন,বিজ্ঞানীরা মনে করেন আজ থেকে ৮০ থেকে ৫০ লক্ষ বছর আগে এখানেই আদি মানবেরা এপ-জাতীয় প্রাণী থেকে বিবর্তিত হয়। আজ থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার থেকে ৯০ হাজার বছর আগে আধুনিক মানুষের উৎপত্তি ঘটে এবং এরা আফ্রিকা থেকে পৃথিবীর অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ৫ হাজার বছর আগে উত্তর-পূর্ব আফ্রিকায় বিশ্বের প্রথম মহান সভ্যতাগুলির একটি, মিশরীয় সভ্যতা, জন্মলাভ করে। এরপর আফ্রিকাতে আরও বহু সংস্কৃতি ও রাজ্যের প্রতিষ্ঠা ও পতন হয়েছে। ৫০০ বছর আগেও সারা আফ্রিকা মহাদেশ জুড়ে সমৃদ্ধ নগর, বাজার, এবং শিক্ষাকেন্দ্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।
এবার গভীর জঙ্গলে সুমন ও তোতন শুয়ে পড়লেন একটা গাছে উঠে।খাবার সঙ্গে ছিল।শুকনো খাবার খেয়েই এই দুদিন ওরা আছে।গাছের সঙ্গে নিজেদের বেঁধে নিয়েছেন দুজনে।তারপর গভীররাতে শুরু হল আদিবাসীদের আগুন জ্বালিয়ে নাচ।আদিবাসীরা দেখতে পেল দুজনকে আগুনের শিখার আলোয়।দুজনকে বেঁধে এনে রাখল ওরা আগুনের পাশে।সুমন ও তোতন অস্ত্র ত্যাগ করেছে বুদ্ধি করে।তারপর সুমনদা ঈশারায় বুঝিয়ে চলেছেন, আমরা তোমাদের বন্ধু। আমরা জঙ্গল দেখতে এসেছি।আদিবাসীদের দলপতি সংকেত বুঝে হাসিমুখে ওদের কথা বলছেন। কিন্তু সুমনদা বুঝতে পারছেন না ভাষা।
রাত শেষ হলেও এখনও অন্ধকার।এখানে সূর্যের আলো প্রবেশ করে না।
সর্দার বুঝেশুনে সুমন দা ও তোতনের বাঁধন খুলে দিয়েছে। সুমনদা ও তোতন তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছে, তাদের সঙ্গে ঘুরছে এবং এর ফলে কি হয়েছে, জঙ্গলে থাকার বাসনা মিটছে।তারা যেসব জায়গা চেনে, দুর্গম অঞ্চলে যাওয়া সুমনের পক্ষেই সম্ভব হতো না,আদিবাসীদের সাহায্য ছাড়া।
সুমনদা তোতনকে বললেন এত শাপে বর হল দেখছি।এদের পাল্লায় পড়ে আমরা জঙ্গলটা ভালো মতো দেখতে পাচ্ছি। খাবার-দাবারও ফ্রিতে পেয়ে যাচ্ছি ।আমাদের খাবার প্রায় শেষ। আমাদের খাবার-দাবার প্রায় শূন্য হয়ে গেছে। আর আমি জানি আমাদের জঙ্গলের ভেতর জানাশোনা বেশী নেই, এদের সঙ্গে আমরা গভীর জঙ্গলে প্রবেশ করতে পারছি এবং বিপদ থেকে রক্ষা পেয়ে যাচ্ছি। কত জন্তু-জানোয়ার দেখা হচ্ছে। এগুলো আমাদের একার পক্ষে সম্ভব হতো না।
তোতন বলল ঠিক বলেছেন সুমনদা এদের সঙ্গ না পেলে আমরা এই জঙ্গ, পুরোটা দেখতে পেতাম ন। যতটা দেখতে পেয়েছি, এদের কল্যাণেই পেয়েছি। না হলে ভয়ে ভয়ে আমাদের আর ঘোরার আগ্রহ থাকতো না।
আদিবাসীদের সর্দার সুমনদাকে ইশারায় যা বলে চলেন, তার অর্থ হল যে তাঁরা বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চায় না। তারা জঙ্গলে বেশ সুখেই আছে। তাদের সভ্য মানুষ হওয়ার প্রয়োজন নেই। এই জঙ্গলে পশুদের মতো জীবন কাটাতে তারা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং এতেই তারা ভালো আছে।
=====================
Sudip Ghoshal
Nandanpara
khajurdihi Purbo bordhoman.