কল্পবিজ্ঞান ।। মহাকাশীয় অপরাধী ।। অদিতি ঘটক
মহাকাশীয় অপরাধী
অদিতি ঘটক
"তাহলে এখনো আপনি অনুতপ্ত নন।
আপনার করা এমন গুরুতর অপরাধের এতদিন কেটে যাওয়ার পরও আপনার কোনো অনুশোচনা নেই।"
মনে মনে বলেন কিভাবে এই রকম সিস্টেম ফেলিওর হয়? মনিটরিং আরও জোরদার করার বিষয়ে কমিটিকে বলতে হবে।
মুখে বলেন, "আপনার কিন্তু এখনো 'সেলেস্টিয়াল ডেঞ্জার' ট্যাগটা রয়েই গেল।
যাই হোক, আপনার ফ্রন্টাল লোব তৈরি হয়ে এসেছে। খুব সামান্য কাজ বাকি আছে। আশা করি এথিকাল কমিটি খুব তাড়াতাড়ি হ্যান্ডওভার করে দেবে। পরের বারই সেট করা যাবে।"
কথাগুলো যিনি বললেন তাঁর নাম ৫--- জু (এসটি.ই) ৫/৭২৯ বিকাশ।
এইমাত্র যিনি তার ডানহাতের তর্জনী সেই বিপজ্জনক মানুষটির কপালের রগে ঠেকিয়ে মস্তিষ্ক পরীক্ষা করছিলেন। আসলে ওনার তর্জনীতে বিশেষ ধরনের স্বচ্ছ খালি চোখে দেখা যায় না এমন মাইক্রোস্কোপিক বোতাম ইমপ্ল্যান্ট করা আছে, যা রগে ধরলে সেই ব্যক্তির দেহের উষ্ণতা নিয়ে সক্রিয় হবে। যা মস্তিষ্কের ছবি পরিস্কার ভাবে কপালে ফুটিয়ে তোলার জন্য ব্যবহার করা হয়।সেই ছবি একই সঙ্গে এথিক্স কমিটির কর্তাদের কাছে পৌঁছে যাবে।
"এই নিন আর্থ ইয়ারের হিসেবে ১৫ দিনের জন্য আপনার আরও ১৫ টি পিল।
------ "আমার ওই কটা পিলে হয় না। এখানে খিদে বেশি পায়। আরও কটা পিল লাগবে।"
"মনে রাখবেন আপনি একজন 'নৈতিক বন্দি।' আপনার লজ্জিত হওয়া উচিত।
এই রকম জায়গায় দিনের পর দিন থাকছেন কিভাবে ?
উহঃ, কি গরম ! পুরো পরিবেশটাই অসহ্য !
বার বার পোর্টাল তৈরি করে আসতে হচ্ছে আপনার জন্য।
এত বড় জঘন্য অপরাধের পরও আপনি অনুতপ্ত হচ্ছেন না।
নরকের থেকেও ভয়ঙ্কর এই রকম একটা জায়গায় আপনি নির্বাসিত। তাও আপনার মস্তিষ্কের রাসায়নিক কোনো পরিবর্তন হল না !
কি আর করা যাবে। স্পেসকে সঠিক দিশায় চালনা করার জন্য আপনার মস্তিষ্কের পরিবর্তন জরুরি।"
উঃ... কত কথা বলতে হচ্ছে। আপনার ওয়েভ লেন্থ মিসম্যাচ হচ্ছে, নাহলে কি আর এত কথা বলতে হয় ! চোখের দিকে তাকালেই হত।"
যাঁকে এত কথা বলা হচ্ছে তাঁর নাম ২---৩ভেই১১/৩২৪ নীল।
সে একজন গুরুতর সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাকে তাঁর অপরাধের শাস্তি হিসেবে পৃথিবীতে নির্বাসন দেওয়া হয়েছে এবং পৃথিবীর পরিক্রমন গতির হিসেবে তাকে পনের দিন সময় দেওয়া হয়েছে নিজের মস্তিষ্কের ভাবনা চিন্তার রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটানোর। কিন্তু নীল পরিবর্তনের কোনো চেষ্টাই করেনি। সেইজন্য প্রায় দুমাসের উপর সে পৃথিবী গ্রহে বন্দি।
◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆
এখন মানুষ আর পৃথিবীতে থাকেনা। বহু যুগ আগেই পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে গেছে। জল নেই গাছপালা নেই। পশুপাখি, জীবজন্তু পর্যন্ত নেই। চারিদিকে ধু ধু মরভূমি বা ঊষর প্রান্তর। মাটি নষ্ট। বাতাস কার্বন মনোক্সাইড ও মিথেনে পূর্ণ। অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি পৃথিবীর বুকে এসে পড়ে। সূর্য ঢলে গেলে সন্ধ্যার সময় থেকেই হালকা কুয়াশায় চরাচর মুড়ে যায়। তাতে শ্বাস নেওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়ে। ভ্যাপসা গরম ও বিশ্রী গন্ধে প্রাণ ওষ্ঠাগত। দিনের উষ্ণতা ৭০℃ থেকে৮০℃ এ ঘোরাফেরা করে। বিষাক্ত ব্যাকটেরিয়ার বাস গোটা পৃথিবী জুড়ে।
এই অবস্থা শুরু হওয়ার সময়েই মানুষ পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে। সেই সময় দ্রুত হারে পৃথিবীর দক্ষিণ মেরুর বরফ গলে মাটি বেরিয়ে পড়েছে। সমুদ্রের জলস্তর এত বেড়ে যে অনেক দেশ মানচিত্র থেকে লোপাট হয়ে গেছে। যেসব দেশ তখনও টিকে আছে সেখানে নিত্য লেগে আছে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা। পানীয় জলের তীব্র আকাল ও সামান্য সম্পদের অধিকার কায়েম রাখা বা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য ভয়াবহ যুদ্ধ। তবুও পৃথিবীতে গাছপালা ছিল, পশুপাখি ছিল। নোনতা হলেও জল ছিল। সুন্দর নীল আকাশ ছিল। মধুর বাতাস ছিল। গ্রহটা মোটের উপর দেখতে খুব সুন্দর ছিল।
মানুষ পৃথিবীর মত হুবুহু আর কোনো গ্রহ এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি কেন কাছের এন্ড্রোমিডা, বা দূরবর্তী জিএন-জেড১১ কোনো গ্যালাক্সিতেই খুঁজে পায়নি। একটা গ্রহ চার হাজার মাইন্ড স্পিডের দূরত্বের একটা গ্যালাক্সি নাম মিনজো। সেই গ্যালাক্সির মিডিল সোলার সিস্টেমে খানিকটা পৃথিবীর মত গ্রহ পাওয়া গিয়েছিল কিন্তু তার বায়ু মন্ডল খুব পাতলা। নিষ্ক্রিয় গ্যাসে পূর্ণ। গ্রহটা পৃথিবীর থেকে ছোট। তার থেকেও সমস্যা সেই সোলার সিস্টেমের সোলারের তেজ ফুরিয়ে এসছে। গ্রহটা ঠান্ডা। আলো কম। আরো বিপদ মিনজো গ্যালাক্সি পাশের সুপিরিয়া গ্যালাক্সির খুব কাছে চলে এসেছে। দুটি গ্যালাক্সির মধ্যে সাংঘাতিক অস্থিরতা কাজ করছে।গ্রহের চরিত্র বদল হচ্ছে। তাই কিছু দিন থাকার পর আবার একটা গ্যালাক্সির খোঁজ করতে হবে।
তাতেও অনেকে উৎসাহী ছিল কারন মানুষ মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা নিয়েই জন্মায় আর এখন এই সব কোনো অসুবিধাই নয়। যন্ত্রের সাহায্যে কৃত্রিম ভাবে মানুষ নিজের শারীরিক পরিবর্তন করে সেই সব অসুবিধা অনায়াসে দূর করতে পারে যা পৃথিবীর সঙ্গে তাদের জিনের যোগাযোগ বলে পৃথিবী বাসের ক্ষেত্রে করা অসম্ভব। তাদের শরীর ও এই গ্রহ পরস্পর বিরোধীরা করবে। তা সত্ত্বেও এই সোলার সিস্টেম থেকে যেতে কারুর মন চাইল না।
ভেতরের আসল কথা গ্যালাক্সি অভিযানের লোকেরা জানে। আর জানে সিস্টেম রেগুলেটরি অথরিটির মাথারা। এদের ছাড়া আর কাউকেই এ কথা জানানো হয়নি। সেই কথাটা হল সুপিরিয়া গ্যালাক্সির এলিয়েনরা মিনজো গ্যালাক্সির আর্থ লাইক প্ল্যানেটের শক্ত মাটি কি যেন কেমিক্যাল দিয়ে একদম প্লাজমার মত করে দিয়েছে। সেই প্লাজমা থেকে এমন অদৃশ্য গ্যাস বের হচ্ছে যে সেই প্লানেটের বায়ুমন্ডল ধীরে ধীরে লোপ পাচ্ছে। এই ক্ষয় রোধ করার জন্য জানা দরকার কেমিক্যালটির কম্পোজিশন কিন্তু সেটা কি কেমিক্যাল তার কম্পোজিশন কি শত গবেষণা করেও এখনো অবধি সঠিক জানা যায় নি।
২--৩ভেই/৩২৪ নীল সেই প্রজেক্টেই কাজ করছিল। অনেকটা এগিয়েও ছিল। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এলিয়েনরা এখনো এত দ্রুত গতির যান আবিস্কার করতে পারেনি। না হলে এই সোলার সিস্টেমের সমূহ বিপদ। কিন্তু সে আর কদিন। সবাইকে বলা হয়েছে পূর্বপুরুষদের বহুকাল আগের করা কিছু ভুল শোধরানোর জন্য এই সোলার সিস্টেমেই আমাদের থাকা উচিত। সবাই এখন স্পেসস্টেশনে থাকে। সবাই বলতে যে কজন এখনো জীবিত আছে। পৃথিবীর প্রায় ছশো কোটি জনগণের মধ্যে কতজন আর সুস্থ ও জীবিত ছিল ! তারমধ্যে কজনকে আর নিয়ে আসা গিয়েছিল। মোটে এক হাজার জন। যারা বেড়ে বেড়ে পরবর্তীতে সাত হাজার হয়েছিলেন। তাঁদের উত্তর পুরুষ এঁরা।
এখন এক একজন নিজের ইচ্ছেমতো বাঁচে যেমন সাজা প্রাপ্ত নীলের বয়স 324 বছর। সবারই একটি করে ক্লোন থাকে যখন যে বডি পার্ট খারাপ হয়ে যায় তা ক্লোন থেকে নেওয়া হয়। কিন্তু মস্তিষ্কের ব্যাপারে পুরোপুরি ক্লোনের উপর ভরসা করা হয় না। নতুন আর একটি ক্লোন তৈরি করে তাতে মস্তিষ্কের যে অংশ ঠিক কাজ করে না তাকে ট্রিটমেন্ট করে সঠিক সিস্টেম আপডেট করে তবে হোস্টের শরীরে প্রবেশ করানো হয়। তাই নীলের দেরি হচ্ছে।
◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆
নীলের অপরাধও কম নয়। এখন কেউই বাজে কাজে সময় নষ্ট করে না। করার সময় বা ইচ্ছে কোনোটাই মানুষের এখন নেই। আর সে কিনা কি এক অদ্ভুতুড়ে যন্ত্র কানে দিয়ে অফিস যাচ্ছে। যদিও অফিস তার নিজের কিউবিকল থেকেই করা যায়। যাকে ওরা কিউজি বলে। মানে মানুষের এখন বিভিন্ন স্পেস স্টেশনের ভেতরই ওই কিউবিকল টাই বাড়ি। অফিস। খেলার জায়গা। সবই। ভাবলেই হল। কিন্তু তারও নির্দিষ্ট সময় আছে। নিয়ম আছে। নীতি আছে। দুমদাম যা ইচ্ছে করলে চলে না। নীল তাই করেছে যদিও সে ছেলেমানুষ। বয়সের দিক থেকে টিনএজেই পড়ে। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে বিশেষ করে অন্য ভদ্রমহিলা যখন একই ওয়ার্ক স্পেস এরিয়ায় ওর পাশেই আছেন সেখানে নীল কি ভাবে অদ্ভুতুড়ে যন্ত্র কানে নিয়ে মহিলার দিকে তাকিয়ে মাথা দোলায়। মুখে আওয়াজ করে। এটা কি সুস্থ মানুষের লক্ষণ ? তাই তো ভদ্রমহিলাকে এথিকাল কমিটিতে রিপোর্ট করতে হল। একটা বিকৃত মস্তিষ্কের ছেলের সঙ্গে কাজ করা যায় ?
যদিও এখানে কেউ সাধারণ নয়। সবাই বিজ্ঞানী। তারা সবাই আর্থ, মার্শ, জুপিটারের ও তাদের উপগ্রহের মাঝের স্পেস গুলোতে স্পেসস্টেশনে আর্থ লাইক আর্টিফিশিয়াল এটম্সফিয়ার তৈরি করে থাকে। যেমন নীলের দিদা থাকে আর্থ আর মুনের মাঝের গ্যাপে। জি-- ল ৯/ এ। তিনিই তো তাঁর দাদুর দাদুর দেওয়া উপহার জন্মদিনে নীলকে দিয়েছিলেন। নীল জানে ওটাকে হেড ফোন বলে। ওতে গান শোনা যায়। আগে মানুষ মুঠোর মধ্যে একটা যন্ত্র নিয়ে ঘুরত তখন তো শুধু পৃথিবীর এ প্রান্তের মানুষের সাথে ও প্রান্তের মানুষের যোগাযোগ রাখলেই চলত। সেই যন্ত্রেই গান শুনত, ছবি আঁকত, সিনেমা, নাটক কি সব দেখত, করত। ওরা বলত বিনোদন, সাংস্কৃতিক চর্চা। পরে দিদার দাদুর, দাদুর সময় সেই যন্ত্রই দুদিকে বাটন দেওয়া একটা তারের মধ্যে এল। সেই তারের ভেতর নানা সুইচ। যা টিপবে সেটা চোখের সামনে বাতাসে ভেসে উঠবে। মজা হচ্ছে তুমি ছাড়া আর কেউ দেখতে পাবে না। অন্য আরেক জন ওই যন্ত্র লাগলে বা তাকে তুমি একটা বাটন ধার দিলে সেও পাবে। তা নীলের দিদা এই যন্ত্র দিয়ে একটা গান নীলকে শুনিয়েছিলেন। নীল ওই গানই শুনছিল। মনের ভেতর অদ্ভুত একটা অনুভুতি হচ্ছিল। এই অনুভূতির নাম কি নীল জানে না। তাকে কি ভাষায় বোঝানো যায় নীলের জানা নেই। এ সব অনেক, অনেক পুরোনো। পৃথিবী গ্রহে থাকার সময়কার ঐতিহাসিক কথা। যা এই স্পেস স্টেশনের কোনো লোকই অনুভব করতে পারে না। অনুভূতি কি তাই তারা জানে না। এখন মানুষ অনেক উন্নত। কথাও খুব কম বলে। সবই ওয়েব লেন্থ ম্যাচ করিয়ে চোখের দিকে তাকালেই হয়ে যায়। তার মৃত্যু সে চাইলে তবেই হয়। নাহলে সে অর্গান পাল্টে পাল্টে দীর্ঘ বছর বাঁচতে পারে। এলিয়েন এট্যাক সামলাতে পারে। ইনফ্যাক্ট পালিয়ে যায় প্রক্সিমা সেনটাউইরিতে। প্রতিটা স্পেসস্টেশনে একটা করে গ্যালাক্সি ট্রান্সফার শাটল মজুত আছে। স্পেসে মানে সোলার সিস্টেমে অন্য কোনও গ্যালাক্সি থেকে যেমন ম্যাগেলান্টিক বা সিগার গ্যালাক্সি থেকে মাঝে মাঝেই ছুটকো ছাটকা এট্যাক আসে। তবে ওই সব প্রাণী গুলো মানুষের মত বুদ্ধিমান নয়। অনেক নিকৃষ্ট প্রজাতির। তাই হেরে মানে মরে ভুত হয়ে যায়। তবুও তারা পিঁপড়ের মত দল বেধে আসে। আসলে মানুষ পুরো সুপার নোভার উপর অধিকার কায়েম করতে চায়। তাকে নিজের ইচ্ছে মত চালাতে চায়। তাই সংঘাত বাধে। মানুষও এলিয়েন এট্যাক সামলানোর জন্য সোলার সিস্টেমে একটা সুরক্ষা জাল তৈরি করতে চায় কিন্তু প্রতিটি স্পেসস্টেশন তাদের তৈরি সুরক্ষা জাল কে উৎকৃষ্ট বলছে। কেউই অন্যেরটা নিতে সহমত হচ্ছে না। তাই কোনো রক্ষা কবচ তৈরি করা যাচ্ছে না। উন্নত উন্নত রক্ষা কবচ তৈরি হচ্ছে, প্রদর্শিত হচ্ছে, বৈঠক হচ্ছে, কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না।
◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆
নীল বন্দি হলেও এখন ও পোড়া পৃথিবীবাসী। নীল ভাবে মহাকাশবাসী মানুষ এখন সব সময় বিজ্ঞানের চর্চা করে। সমস্ত সিস্টেম ঠিক রাখার জন্য প্রতিনিয়ত উন্নত করার জন্য করতেই হয়। সে আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর নির্ভর করে না বরং নিজেকেই কৃত্রিম বানিয়ে ফেলেছে। নীলও একজন রসায়নবিদ। কিন্তু সে দিদার দেওয়া ওই যন্ত্রর মানুষ গুলোর মতো আর গান গায় না। হাসে না। কাঁদে না। এই পৃথিবীটা তাঁরই পূর্ব পুরুষের ভুলের জন্য ছারখার হয়ে গেছে। পৃথিবী এখন পোড়া গ্রহ ছাড়া আর কিছু নয়। বাতাস বিষাক্ত। মানুষের অসাধ্য এই গ্রহকে বাসযোগ্য করে তোলা। নীল সারাদিন তার ঘরে বসে পিল থেকে কেমিক্যল যৌগ বিশ্লিষ্ট করে। নীল দেখেছে তার ফেলে দেওয়া খাবারের পিলের কেমিক্যাল থেকে তার টাইটানিয়ম ঘরের পাশের মাটিতে ছোট সবুজ ঘাস গজিয়েছ। যা সে এথিকাল কমিটির লোকেদের চোখের আড়ালে রেখে দিয়েছে। পৃথিবী আবার তার দিদার দাদুর দাদুর দেওয়া ছবির মত সুন্দর হবে। তত দিন যেন নীলের মাথার ব্যারাম না সাড়ে। যা তার হাতের মুঠোয়। এটি সামান্য ভাবনার রদ বদল।কেমিক্যাল অদল বদল। হা হা হা !
★★★★★★★ ■★★★★★★★★★★★★★★
টিকা:- ৫ --জু (এসটি.ই) ৫/৭২৯ বিকাশ-- থাকার জায়গার ঠিকানা অনুযায়ী নাম হয়। যেমন বিকাশ নামের বিজ্ঞানী ব্যক্তিটির ঠিকানা সূর্যের সোলার সিস্টেমের ৫ নম্বর গ্রহ জুপিটার ও তার উপগ্রহ ইউরোপার মাঝের ৫ নম্বর স্পেস স্টেশন। তার বয়স ৭২৯ বছর।
দ্বিতীয় ব্যক্তি নীল থাকে ভেনাস ও আর্থের মধ্যবর্তী অঞ্চলে ১১ নম্বর স্পেস স্টেশনে। তার বয়স ৩২৪ বছর। সব হিসেবই আর্থ ইয়ারের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী।
দিদা থাকে পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যবর্তী অঞ্চলে।
-----------------------------
শব্দ সংখ্যা-- ১৬৬৮