প্রবন্ধ ।। কোরবানি ঈদের কিছু কথা ।। আবদুস সালাম
কোরবানি ঈদের কিছু কথা
আবদুস সালাম
সূরা আল হ্বজ্ এর ৩৪নং আয়াত (আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোরবানি নির্ধারণ করেছি যা তারা আল্লাহর দেওয়া চতুষ্পদ জন্তু জবাই করার সময় তার নাম স্মরণ করে ।)
সূরা বাকারার ১৩১নং আয়াত (আজ কলা লাহুআসমিল,করা আসলামতু লী রব্বিল আলামিন)-অর্থাৎ প্রতিপালক তাকে ( ইব্রাহীম আঃ) কে বললেন আত্ম পর সমর্পণ করো। তিনি বললেন আত্মসমর্পণ করলাম।
সূরা সাফফাত্ এর ১০৫নং আয়াত (হজরত ইব্রাহীম আঃ এর কোরবানি মূলত মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে একটি মহান পরীক্ষা স্বরূপ)।
সূরা বাকারার ১২৮নংআয়াত(হজরত ইব্রাহীম আঃ দোয়া করেছিলেন হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের উভয় কে তোমার আনুগত্য শীল করো)।
সূরা আল ইমরান ৯৫নং আয়াত বলো আল্লাহ সত্য বলেছেন ; অতঃপর একনিষ্ঠ ভাবে। ইব্রাহিমী মিল্লাতের পথ অনুসরণ করো --
সূরা মুমতাহিনা আয়াত নং ৪ বলেছেন "নিশ্চয় তোমাদের জন্য হজরত ইব্রাহীম আঃ মধ্যে উৎকৃষ্ট আদর্শ বিদ্যমান ---
সূরা কাওসার এ বলা হয়েছে" অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন ও কোরবানি করুন। "
মহিমান্বিত কোরআন কোরবানির কতটা জরুরি তার দৃঢ় ভাবে ব্যক্ত করেছেন ।
রসূল (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম)দৃঢ়ভাষায় বলেছেন (যে ব্যক্তির সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করলোনা সে যেন আমার ঈদগাহের কাছে না আসে )---ইবনে মাজা
ইসলামী শরীয়তে কোরবানির গুরুত্ব অপরিসীম। পূর্ববর্তী শরীয়তের কোরবানি ও উম্মতে মুহাম্মদের কোরবানি উদ্দেশ্য এক হলেও পদ্ধতি বিধানের ভিন্নতা আমরা দেখতে পাই।
ইবনে মাজার আর একটা হাদিসে আমরা দেখতে পাই সাহাবাগণের কুরবানী সম্বন্ধে" সুন্নাতা আবিকুম ইব্রাহিম" অর্থাৎ এটা তোমাদের পিতা হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম এর প্রতিষ্ঠিত আদর্শ । হযরত ইব্রাহিম (আলাইহিস সাল্লাম) এর কোরবানি মূলত মহান আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে একটি মহান পরীক্ষাস্বরূপ।
কোরবানির ইতিহাস সৃষ্টির আদি থেকেই বিদ্যমান। সময়ের ব্যবধানে তার ভিন্নতা এসেছে।আদম আঃ এর আমল থেকেই কোরবানি প্রচলিত আছে । এই ইতিহাস অনেকেরই জানা । হাবিল এবং কাবিল জন্মের পর থেকেই পৃথিবীর ইতিহাসের পট পরিবর্তনের সূচনা হয়।
ইতিহাস:--
হাবিল ছিলেন আদম এবং হাওয়ার গর্ভের দ্বিতীয় সন্তান তার পেশা ছিল ভেড়া বকরি চরানো আর কাবিল ছিলো আদম হাওয়ার প্রথম সন্তান ।তার পেশা ছিল চাষবাস করা । কাবিল এর আর ও একটা নামের হদিস খুঁজে পায় তার হলো আব্দুল হারিস। যাকে বলা হয় শয়তানের দাস ।পৃথিবীর প্রথম হত্যাকারী একজন মানুষ।
হযরত আদম এবং বিবি হাওয়া শয়তানের চক্করে পড়ে ও স্বর্গ থেকে বহিস্কৃত হন । আল্লাহতালার আদেশে তারা স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে এসে বসবাস শুরু করেন। বহু বছর তারা একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন থাকেন ।পরে আরাফাতের ময়দানে দুজন দুজনকে ফিরে পান । শুরু হয় তাদের পৃথিবীতে সংসারযাত্রা ।ক্রমে তাদের সন্তান-সন্ততি জন্মগ্রহণ করতে শুরু করে ।আদমকে পথভ্রষ্ট করার জন্য উঠেপড়ে লাগে শয়তান ইবলিশ । আদম এর জন্যই তো তাকে শয়তান হতে হয়েছে। সব সময় ইবলিশ তাদেরকে পথভ্রষ্ট করার সুযোগ খুঁজে। আদমের উপর ইবলিশের ভীষণ রাগ। কেননা আদম কে সেজদা করা নিয়েই তো যতো বিরোধের সূত্রপাত ।
বাইবেলে ও হাবিল কাবিলের উপাখ্যান বর্ণিত আছে। এখানে কাবিলের নাম কেইন এবং হাবিলের নাম এবেল ।
কথিত আছে পৃথিবীতে মানুষের বংশ বিস্তারের তাগিদে আদমের আঃ সন্তানদের মধ্যে বিবাহের প্রচলন ছিলো । যমজ এক ভাই এক বোন কে অপর যমজ দুই ভাই বোন বিয়ে করে সংসার করতো । হাবিল এবং কাবিল পরস্পরের জন্য যে পাত্রী নির্দিষ্ট ছিল সেই পাত্রীকে কাবিল বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। সে হাবিলের জন্য নির্দিষ্ট পাত্রীকে বিয়ে করবো বলে বিক্ষোভ শুরু করে ।আদম আঃ বলেন এটা তো আল্লাহ তায়ালার আদেশ । আমি একে পরিবর্তন ক পারি না । এই আদেশ কে তুমি অস্বীকার ও করতে পারো না । তবে যদি তোমার এই বিধান অপছন্দ হয় তবে তুমি আল্লাহ তায়ালার কাছে কোরবানি পেশ করো ।যদি তোমার কোরবানি কবুল হয় তবে তোমরা পাত্রী পাল্টাতে পারো । পিতার নির্দেশ মেনে দুজনে কোরবানি নিয়ে ফাঁকা মাঠে গিয়ে হাজির হয়।
হাবিলের পেশা ছিল ভেড়া বকরী চরানো ,তাই সে বকরী নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে রেখে আসে। এদিকে কাবিলের পেশা ছিল চাষবাস করা ,তাই সে শষ্যদানা রেখে এলো নির্দিষ্ট জায়গায়। এবার অপেক্ষার প্রহর গোনা। আকাশ থেকে আগুন নেমে এসে হাবিলের কোরবানি পুড়িয়ে ফেললো ,মানে তার কোরবানি স্বীকার করে নিলো।
এতে কাবিল প্রচন্ড রেগে যায়। শয়তানের প্ররোচনায় কাবিল হাবিল কে হত্যা করে বসে । এটা মূলত পৃথিবীর প্রথম অন্যায় এবং খুন। এই নিয়ে আরো অনেক অনেক আখ্যান প্রচলিত আছে।
আরবি (কোরব )ধাতু থেকে কোরবানির উৎপত্তি-- অর্থাৎ সান্নিধ্য লাভের উদ্দেশ্যে উৎসর্গকৃত বস্তু, আল্লাহর সান্নিধ্য ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আল্লাহর নামে, নির্দিষ্ট নিয়মে নির্দিষ্ট দিনে পশু জবাই করার নামই হলো কুরবানী। (ফতোয়ায়ে শামী)
মৌলিক এবাদত এর পাশাপাশি কোরবানি প্রথা হযরত আদম (আঃ) থেকে আজ পর্যন্ত সব শরীয়তের বিধান ছিল।
কোরবানি শব্দটি আরবি শব্দ । আভিধানিক অর্থ হল নৈকট্য লাভের উপায় হিসেবে যে কোন বস্তু ব্যবহার করা ।শরীয়তের পরিভাষা হলো নির্দিষ্ট জন্তুকে একমাত্র আল্লাহ পাকের নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে মহান আল্লাহ তাআলার নামে জবাই করা।
সূরা সাফফাত এর 99 থেকে 113 নম্বর আয়াত পর্যন্ত হযরত ইব্রাহিম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আছে ।সেখানে দেখতে পাই 86 বছর বয়সে হযরত ইব্রাহিম আঃ পুত্র সন্তান লাভ করেন । তাফসীরে মাযহারী বর্ণনা মতে হযরত ইব্রাহিম আঃ এর বয়স তখন 99 , তখন ইসমাঈল এর 13 বছর ।পিতা ইব্রাহিম আঃ স্বপ্ন দেখেন যে হযরত ইসমাইল কে জবাই করছেন ।উন্নত চরিত্রের বৈশিষ্ট্য কেমন তার তিনি দেখিয়ে গিয়েছিলেন । একটা স্বপ্নই হযরত ইব্রাহিমকে তিনবার দেখানো হয়। 99 বছর বয়স তখন হযরত ইব্রাহিম আঃ পুত্র ইসমাইল সবিস্তারে জানান । স্বপ্নাদেশের কথা শুনে পিতা কে আল্লাহ তাআলার নির্দেশ পালনের জন্য প্রস্তুত হতে বলেন। শয়তান এর মাঝে ঢুকে পড়ে ।মহান আল্লাহতালা অগ্নিপরীক্ষায় যাতে তিনি উত্তীর্ণ না হতে পারেন সে জন্য প্রচেষ্টা চালাতে শুরু করে ।পরপর তিনবার চক্রান্তের জাল বিছায় । তিন বারই দৃঢ়চেতা আল্লাহ নিবেদিত মহান মানুষ টি শয়তানের শয়তানি সূক্ষ্ম চাতুরী থেকে নিজেকে প্রতিহত করেন। পিতা পুত্র দুজনেই আল্লাহ তাআলার কঠিন পরীক্ষা দিতে এগিয়ে আসেন। ঈমানী চেতনায় দৃঢ়চেতা ইসমাঈল শয়তানের এই কুটকৌশল কে ব্যর্থতায় রূপান্তরিত করেন । শয়তানের উদ্দেশ্যে একুশটি পাথর ছুড়ে মারেন । এই স্মৃতি কে জাগ্রত রাখতে প্রতি বৎসর হাজীগন আসেন ও একটি একটি করে একুশ টি পাথর ছুড়ে মারেন। আল্লাহতায়ালা তার পরীক্ষার প্রার্থীকে সফল প্রার্থী বলে ঘোষণা দেন । পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ ফেরেস্তারা আমীন আমীন বলতে থাকেন । আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দেন ইসমাইলের পরিবর্তে ইব্রাহিমের ছোরার তলে যেন এক দুম্বা এনে দেওয়া হয়। স্বর্গীয় দুম্বাকে ইব্রাহীম আঃ ছুরি চালিয়ে দেন ,হয়ে যায় কুরবানী ।এটাই ছিল ইব্রাহিমের আল্লাহর কাছে সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা এবং তা তিনি সফলভাবে উত্তীর্ণ হন। ইব্রাহিম আঃ এর কাছে এটা ছিলো আত্মসমর্পণ, আত্মত্যাগ, আত্মোৎসর্গের জ্বাজল্য প্রমাণ।
উম্মতে মুহাম্মদীর কোরবানি হযরত ইব্রাহিম আঃ এর কুরবানী কে স্মরণ করিয়ে দেয় । নিছকই শুধু সন্তানকে কোরবানি করতে যাওয়ায় নয় , তিনি সারাজীবন বহুকিছুই কোরবানি ও আত্মসমর্পণ করেছেন। এটি ছিল তার জন্য সবচেয়ে বেশি কঠিন পরীক্ষা যা তিনি অনায়াসে উত্তীর্ণ হতে পেরেছিলেন ।শয়তানকে হারিয়ে তিনি বিজয়ী হয়েছিলেন । তাই ইব্রাহিম সাঃ এর মহান আদর্শ ইসলামের অন্যতম অঙ্গ ।ইসলাম ও কোরবানির যেন একই বৃন্তে দুটি ফুল ।আত্মোৎসর্গের মহান আদর্শ ইসলাম শব্দের ভেতর তার প্রকাশিত।
সূরা বাকারা 131 নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে" ইজ কলা লাহু আসলিম,কলা আসলাম তু লি রাব্বিল আলামিন ", অর্থাৎ প্রতিপালক তাকে ইব্রাহীম আঃ কে বললেন আত্মসমর্পণ করো । তিনি বললেন আত্মসমর্পণ করলাম।
সূরা বাকারার 128 নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে হযরত ইব্রাহিম দোয়া করেছিলেন হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের উভয়কে তোমার অনুগত্যশীল করো এবং আমাদের বংশধর থেকে একদলকে আনুগত্যশীল করো। উম্মতে মোহাম্মদীরা মুসলমান । ইব্রাহিম আঃ প্রথম নাম করণ করেছিলেন মুসলমান। সূরা হ্বজ্ 78 নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে এটা তোমাদের পিতা ইব্রাহিম আঃ এর ধর্ম। তিনি ইতিপূর্বে তোমাদের নাম রেখেছেন মুসলমান। ইব্রাহিম ছিলেন খোদার সবচেয়ে প্রিয়তম বান্দা ।সূরা আল ইমরানের 95 নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন "অতঃপর তোমরা একনিষ্ঠভাবে ইব্রাহিম মিল্লাতের অনুসরণ করো " । সূরা মুমতাহিনার 4 নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে" তোমাদের জন্য হযরত ইব্রাহিম এর মধ্যে উৎকৃষ্ট আদর্শ বিদ্যমান।"
সূরা কাওসার এ বলা হয়েছে "অতএব তোমরা পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ো এবং কোরবানি করো । নামাজ যেমন শারীরিক এবাদ্ৎ এর মধ্যে শ্রেষ্ঠ তেমনি আর্থিক ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইবাদত হল কোরবানি ।কোরবানি আর্থিক ইবাদতের মধ্যে বিশেষ ভাবে স্বতন্ত্র এবং বিশেষ গুরুত্বের দাবিদার। কোরবানি আল্লাহের কাছে তাকওয়া অর্জনের শিক্ষা দেয় ।সূরা হ্বজের 37 নম্বর আয়াতে এরশাদ করা হয়েছে" আল্লাহর কাছে কোরবানির পশুর গোশত, রক্ত, পশম কিছুই পৌঁছায় না। তবে তোমাদের তাকওয়া পৌঁছে যায় । এটাই কোরবানীর আসল উদ্দেশ্য ।কোরবানিকৃত জন্তুর উপর মহান আল্লাহর নাম স্মরণ করা এবং আন্তরিকতার সাথে আল্লাহর নির্দেশ পালন করাই হলো কোরবানির মহান উদ্দেশ্য । নামাজে যেমন ওঠাবসা করা এবং রোজাতে ক্ষুধার্ত পিপাসার্ত হওয়া আসল উদ্দেশ্য নয় ,আসল উদ্দেশ্য হলো মহান আল্লাহতালার নির্দেশে অবনত মস্তকে নিজেকে আত্মসমর্পণ করা।
আন্তরিকতা বর্জিত এবাদত প্রাণহীন কাঠামো স্বরূপ । এর রূপ চাকচিক্য সবই থাকে কিন্তু প্রাণ থাকেনা । তাই আন্তরিকতা বর্জিত এবাদত প্রাণহীন মূর্তির মত। কোরবানি একটা প্রতীক মাত্র। কোরবানিতে আমরা আমাদের নফসের খারাপ দিকগুলো কে কোরবানি করি কোরবানি র আসল উদ্দেশ্য লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ, পরনিন্দা -পরচর্চা, অহংকার, কার্পণ্যতা ,কামনা-বাসনা, দুনিয়ার মায়া- মহব্বত এবং সব রকম কলুষতা কে ছুরি চালায় ।এটাই কোরবানির আসল উদ্দেশ্য।
আল্লাহর আনুগত্য ও আজ্ঞা পালনকে শপথ হিসেবে মেনে নিতে হবে। আর এর মাধ্যমেই কোরবানির তাৎপর্য ও শিক্ষা শিক্ষা নিহিত আছে। সূরা আনআমের 162 নাম্বার আয়াতে এরশাদ করা হয়েছে " আপনি বলুন আমার নামাজ ,আমার কোরবানি, আমার জীবন ,মরন ,বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহরই জন্য উৎসর্গকৃত।"
উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য এ এক মহান আদেশ আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন । এই প্রথা পালন করতে।
আমাদের সকল অহংকার, সকল আমিত্ব, সকল পশুত্ব কে বিসর্জন দিয়ে আদর্শ মানুষ হিসেবে যেন আল্লাহ তায়ালার কাছে যেতে পারি । আল্লাহ তায়ালার কাছে আমরা যেন বেহেস্তের দাবি করতে পারি। আমাদের সব এবাদত তোমার পায়ে সঁপে দিলাম। আমাদের জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।আমীন, আমীন সুম্মা আমীন।
======================================
২৬/০৬/২০২৩