কুটিল সম্রাট ঔরঙ্গজেব
সুজয় সাহা
মুঘল সম্রাটদের মধ্যে ঔরঙ্গজেবই ছিলেন সবচেয়ে কুটিল চরিত্রের এমনটাই উল্লেখ আছে ইতিহাসের পাতায়। ঔরঙ্গজেবের চরিত্রের যে দিকটি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয় তা হল তিনি একজন খচ্চর ইসলামী শাসক ছিলেন। এমনকি এও শোনা যায় তিনি নাকি বহু মন্দির ধ্বংস করেছিলেন। ইতিহাসের পাতা উল্টোলে জানা যায়, বরাবরই শিক্ষার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন ঔরঙ্গজেব।অন্যতম পচ্ছন্দ ছিল হিন্দির বাগধারা। সিংহাসনে বসার পর ঔরঙ্গজেব একজন ধর্মগুরুকে বলেছিলেন ধর্মের ভাষা আওড়ানোর তুলনায় স্থানীয় ভাষায় কথা বলতে পারা একজন শাসকের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।ইতিহাস অনুশীলন করলে এটাও জানা যায় তিনি তার পুত্র আজম শাহকে যোগ্য উত্তরসূরি ঘোষণা করেছিলেন।অন্যান্য মুঘল সম্রাটদের তুলনায় তার খুব একটা সুনাম ছিল না। তার প্রপিতামহ আকবরকে দেখা হয় একজন ধর্মনিরপেক্ষ শাসক হিসেবে তার পিতামহ জাহাঙ্গীর শিল্প সাহিত্যের প্রতি আগ্ৰহের কারনে পরিচিত ছিলেন এবং পিতা শাহাজাহান ছিলেন একজন রোমান্টিক শাসক যিনি তার স্ত্রীর নামে তাজমহল নির্মাণ করেন।
কিন্তু অন্তিম মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। তাকে প্রায়শই একজন নিষ্ঠুর শাসক হিসেবে বর্ণনা করা হয়। এবং ছিলেন সাম্রাজ্য বিস্তারকারী। তিনি কঠোর শরিয়া আইন চালু করেছিলেন। হিন্দুদের জন্য ফিরিয়ে এনেছিলেন বৈষম্যমূলক জিজিয়া কর যা তাদেরকে তাদের নিরাপত্তার জন্য প্রদান করতে হতো। তিনি সঙ্গীতসহ বিভিন্ন শিল্পকলাকে ঘৃণা করতেন এবং বেশ কয়েকটি মন্দির ধ্বংস করে ফেলার জন্য নির্দেশ দেন। এসবও ঘটেছে কয়েকশো বছর আগে। হিন্দুদের পবিত্র শহর বারানসীতে জ্ঞানব্যাপী মসজিদকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হয়। বিশ্বনাথ মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের ওপরে এই মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে ১৬৬৯ সালে ষোড়শ শতাব্দীর এই হিন্দুদের মন্দিরটি ধ্বংস করা হয়, গোঁড়ামির মাধ্যমে তিনি সংস্কৃতিকে ধবংস করতে চেয়েছিলেন। ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে অস্বীকার করলে তেগ বাহাদুরের শিরচ্ছেদ করতেও পিছুপা হননি।
=========================
চিত্র ঋণ - ইন্টারনেট
নাম: সুজয় সাহা
162/a 3 no.natungram,rishra Hooghly
Post: morepukur