মরণের টুকরো
সেরিব্রাল হওয়ার পর রতন বুঝেছিল তার ঠাকুমা আর হয়ত বেশি দিন বাঁচবে না। তাকে দেখলেই ছলছল চোখে জড়ানো গলায় তার ঠাকুমা বলতো - মরণ ...মরণ! আর ঠিক তখনই সেই ঘরের ঘুলঘুলিতে থাকা চড়ুই যুগল কিচিরমিচির করে উঠতো। রতন তার ঠাকুমার মুখে হাত রাখলে পাখি দুটোও চুপ করে যেতো। এই ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটায় রতনও কিঞ্চিৎ আশ্চর্য হয়ে পড়ছিল।
এক দুপুরে রতনের ঠাকুমা মারা গেলেন। ঘুলঘুলিও নিস্তব্ধ। শ্মশান থেকে ফিরে কৌতূহলবশত রতন ঘুলঘুলিতে চোখ রেখে দেখে যে একটি মৃত বাচ্চা পাখির গায়ে ঠোঁট রেখে পাখি দুটি ঝিমিয়ে আছে।
রতন ভাবে এক মরণের প্রথম টুকরো চুল্লিতে আর দ্বিতীয় টুকরো ঘুলঘুলিতে কীসের অপেক্ষায়, কে জানে ...
========================
সোমনাথ বেনিয়া
১৪৮, সারদা পল্লি বাই লেন
ডাক + থানা - নিমতা
জেলা - উত্তর ২৪ - পরগনা
কলকাতা - ৭০০ ০৪৯।
ফোন - 8697668875/9143155045(W/ap)