Click the image to explore all Offers

অণুগল্প || সাধনার ফল || চন্দন চক্রবর্তী

সাধনার ফল 

চন্দন চক্রবর্তী 


মেয়ে জামাই রওনা হয়ে গেছে । দুচারজন আত্মীয় স্বজন যারা এসেছিল একে একে চলে গেল। ঘর এখন ফাঁকা । রমলা মা সরস্বতীর ফটোটার সামনে এসে বসে পড়ল । কটা দিন যা গেল ! এখন একলা ঘরে মা'ই তার সব । 

ছবিটা অজিতের আঁকা । লোকটার অনেক গুন ছিল । না শিখেই কেমন আঁকতে পারতেন ! বিয়ের পর তারা এই ছবিটার সামনে বসেই সাধনা করতেন । রমলা গান গাইতো,অজিত তবলা বাজাতেন । হঠাৎ ওর কি হল ! বা হাতটা বাতে পঙ্গু হয়ে গেল ! তারপর থেকেই তাদের সংসারে নেবে এলো দুর্দিন । মধুরা তখন সবে দশে পড়েছে ।

মেয়েকে ঘরে একলা রাখা সম্ভব ছিল না । সঙ্গে যে নিয়ে যাবে তাও সম্ভব নয় । তাই মধুরা ছোট থাকতে পাবলিক ফাংশনে যাওয়া বন্ধ ছিল । বাড়িতে ওরা গান,তবলা শেখাতেন । অজিত বাড়ি বাড়ি যেতেন ।  তাদের চলে যেত । অজিত পঙ্গু হতেই একার টিউশনিতে তখন সংসার চালানো খুব কষ্টকর হচ্ছিল ।

মনে আছে । কোন এক সরস্বতী পুজোর জলসায় রমলা গাইতে গেছে । তার বাঁধা তবলচি আসেন নি । কমিটি অজিতকে ঠিক করে দিয়েছিল । সেই আলাপ । বড়লোক ঘরের গান পাগল ছেলে । দাদাদের সংসারে সংগীতের কারণেই বাড়িতে মনমালিন্য । অতএব বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এলেন । উভয় পক্ষই আর যোগাযোগ রাখলেন না ।

রমলার জীবনও খুব একটা সরল ছিল না । বাবা খুব ভালো গাইতেন । রমলার গানের তালিম বাবার কছেই । কিন্তু ছোট থাকতেই বাবাকে হারিয়ে মাকে নিয়ে তাদের মামা বাড়িতে কাটাতে হয়েছে । গান শেখা বা চর্চার তখনই ইতি । মামার মেয়ে গান করত,সে শুনতো । মামার বাড়িতে গান গাওয়ার অধিকার তারা রমলাকে দেননি । তখন অনেক বাধা ডিঙিয়ে সে জলসায় গাইতে গেছে ।

তাই আজিতকে বিয়ে করতে আর দেরি করেনি । মা'কে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে উঠে এসেছিল । কিন্তু বিয়ের পরে পরেই সেই মা'ও চলে গেলেন !

তাদের সংসারে এবার সংগীতের জোয়ার এলো । মা সরস্বতীর ছবিটা অজিত তখন দিন রাত খেটে এঁকেছিলেন । তখন বয়স ছিল । বুকে জোর ছিল । আর ছিল তাদের বড় শিল্পী হওয়ার বুক ভরা স্বপ্ন । 

হাতটা পঙ্গু হওয়ার পর অজিত আর বেশি দিন বাঁচেন নি । কেমন মন মরা হয়ে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন । রমলাও রাগে দুঃখে সাধনা করতো না । একা হাতে সংসার সংগ্রামের হাল ধরতে বাধ্য হলো ।

বয়সের সাথে গলা পড়ে এলো । রেওয়াজ আর করতো না,স্বপ্ন আর দেখতো না । শুধু রোজগারের কথা ভেবে গান শেখানোটা চালিয়ে গেছে । একটু অভিমানও বুঝি ছিল । অজিত মারা যাবার পর তাই মধুরাকে আর গান  শেখানোর কথা ভাবতো না । নিজেদের জীবনে গান গান করে কত কষ্টের মধ্যে কাটলো । এরপর আর ভরসা হয় না ! 

কিন্তু মেয়ের গলায় যেন সরস্বতী ভর করে !  বাড়ির ক্লাস শুনেই ওর শিক্ষা, অথচ ! 

এখন রমলার গলায় আর সুর বাজে না । টিউসনি প্রায় বন্ধ । কিন্তু মেয়ের এখন, এখানে ওখানে ডাক পরে । সুনাম হচ্ছে, টিভিতে গাইছে । আর এই গানের সুবাদেই ওর সম্বন্ধটা এলো !

মাস খানেক আগে মধুরা ফাংসনে গেছে । রমলার সেদিন ক্লাস বন্ধ ছিল । শরীরটা ভালো নেই । শুয়েছিল ।  বাইরে কে দরজার কড়া নাড়ছে ?  উঠতে হল । 

বারান্দা থেকে নেমে ছোট উঠোন । তার মাথায় সদর দরজা খুলতেই এবার রমলার অবাক হবার পালা ! বিরাট গাড়ি দাঁড়িয়ে তার দরজায় !

ড্রাইভার গাড়ি থেকে নেবে দরজার মুখে দাঁড়িয়ে । এক ভদ্রলোক সাথে একজন ভদ্রমহিলা,গাড়ি থেকে নেবে এলেন !

হাত দুটো জোড়া করে সামনে যারা দাঁড়ালেন তাদের মত মানুষ রমলার দরজায় সামনে ! জেগে স্বপ্ন দেখার মত ! চেহারা বেশভূষায় বেশ আভিজাত্যের ছাপ । 

ঘরে বসার মত এক চৌকি ছাড়া আর কিছুই নেই । একটা রঙ ওঠা চেয়ার আর চৌকিতে ওরা বসলেন । দেওয়ার মতও কিছু ছিল না । রমলা খালি চা,সাথে বিস্কুট দিয়ে ওদের আপ্যায়ন করলো । 

এবার ওদের আসার উদ্দেশ্য শুনে রমলার অবাক হওয়ার পালা । লালবাজারে মিউজিকাল ইন্সট্রুমেন্টের সবচেয়ে বড় দোকানের মালিক এসেছেন তার বাড়ি ! আসার উদ্দেশ্য তাদের একমাত্র ইঞ্জিনিয়ার ছেলের সাথে মধুরার সম্বন্ধ করতে ! যাদের টিউশনির টাকায় দিন গুজার হয় ! টিভি চ্যানেলে ওরা মধুরার গান শুনেছেন । আর তাইতেই ওদের দুজনার ইচ্ছা মধুরাকে পুত্র বধূ করার ! হা ঈশ্বর ! এও সম্ভব !

না আর তাকাতে হয় নি । ওরা নিঃশর্ত মাধুরাকে পছন্দ করে গেলেন । মধুরা তখন বাড়িতে ছিল না । কিন্তু তখনই কথা পাকা ! ছেলেও আর আসবে না । সেও নাকি টিভিতে ওর গান শুনেছে, কোন ফাংসনে মধুরাকে আগেই সামনা সামনি দেখেছে ! বিয়ের ব্যাপারে তার মত খোলাখুলি জানিয়েছে । মধুরাকে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করবে না ! 

রমলা এই কদিন স্বপ্নের ঘোরে ছিল । কোথা দিয়ে কি হয়ে গেল কিছুই মালুম হল না । এটা মা সরস্বতীর কৃপা ছাড়া আর কি ! 

আর্ট এক জীবনে হয় না । এটা সে আগেই শুনেছে । তার আর অজিতের সারা জীবনের সাধনার স্বীকৃতি মা এইভাবে পূরণ করবেন,ভাবে নি ! 

তার করুণা যে কোন পথে আসে ! ফাঁকা ঘরে রমলা মায়ের মুখের দিকে অপলক তাকিয়ে রইল ! চোখ দিয়ে তখন আনন্দাশ্রু ধারা নাবছে ।

===================




Apply for SBI's Simply Click Credit Card

and Earn upto 10x SBI Rewards on all online purchases and also on all offline purchases!

You can get 5%-20% instant discount on Flipkart, Amazon etc. online sites in different times.

You can purchase things with no cost EMI using this card. It takes only 5 mins to apply. 

CLICK HERE TO KNOW MORE

0


SAMSUNG-এর নিজস্ব সাইট  থেকে SAMSUNG-এর মোবাইল  কিনুন। পাবেন 50% পর্যন্ত ছাড়।  সঙ্গে ব্যাঙ্কের ছাড়। নো কস্ট ইএমআই। বিশদ জানতে আগ্রহীরা এখানে ক্লিক করুন

SAMSUNG-এর মোবাইল ছাড়াও হেডফোন, টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি সব কিছুতে পাবেন অতিরিক্ত ছাড়



Get Medicine delivered to your doorstep!

Also save 30% Off on First Medicine Order.

 18% Off (up to Rs 2,000)

+ 12% cashback (up to Rs 200)

 Code - CK30

CLICK HERE & Shop Now!

  


Buy Latest Fashion at 50-90% Off only on Ajio!

CLICK HERE to Visit Ajio  Store Now!

 

 

Enjoy Upto 50% Off on Sports Merchandise and Accessories reebok.

CLICK HERE to Shop now


 

Amazing Discounts on Addidas Website! Get Upto 50% Off.

Click here  To Shop Now!


 

 

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.