গল্প ।। ফেসবুকের ফাঁস ।। রমলা মুখার্জী
0
অক্টোবর ১০, ২০২০
ফেসবুকের ফাঁস
রমলা মুখার্জী
ব্যাঙের ছাতার মত বেসরকারী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গজিয়ে উঠেছে। চারদিকে বেকার ইঞ্জিনিয়ারের সংখ্যাও বাড়ছে দিন দিন। সরকারী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অল্পের জন্য চান্স না পেয়ে অগত্যা অন্তরা কলকাতার সল্টলেকে একটা বেসরকারী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বি.টেক পড়তে এসেছে। বর্ধমান জেলার গ্রাম দেবীপুরের মেয়ে অন্তরা। সাজগোজের বাহুল্যহীন, সাদামাটা, বড় চুপচাপ সে। তাদের এই কলকাতার মেসের আর সব মেয়েদের থেকে অন্তরা একটু আলাদা। ওর কালো চোখে দিঘির গভীরতা-অন্তরে সহস্র চিন্তনের আনাগোনা; তাই তো সে বিজ্ঞানের ছাত্রী হয়েও পড়ার ফাঁকে ফাঁকে গল্প, কবিতা লিখতে ভালবাসে।
মেসে খাবার টেবিলে সবাই একসঙ্গেই খেতে বসে,কিন্তু কই অন্বেষাকে তো দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। অন্তরা অন্বেষার রুমমেট ইলোরাকে জিজ্ঞেস করল,
- কি ব্যাপার, অন্বেষাকে তো দেখছি না, খাবে না?
- না, ওর ল্যাপটপটা ক'দিন ধরেই ট্রাবল দিচ্ছিল,আজ একেবারেই কাজ করছে না, তারই শোকে সে অন্নজল ত্যাগ করেছে।
- সত্যি,তোরা পারিস ও বটে, চল তো গিয়ে দেখি।
- আমি অনেক বুঝিয়েছি,তুই বরং সৃজিতাকে নিয়ে যা,দেখ ওর অনশন ধর্মঘট ভাঙাতে পারিস কিনা।
সৃজিতাকে নিয়ে অন্তরা গিয়ে দেখে অন্বেষা শুয়ে শুয়ে কাঁদছে।দেখে হাসি পায় অন্তরার।হাসি চেপে অন্বেষাকে জিজ্ঞেস করে,
- কিরে অন্বেষা কি হয়েছে?একটা যন্ত্রের জন্য এত যন্ত্রণা পাচ্ছিস?
- তুই জানিস না, আমার সব ফ্রেন্ডসদের সঙ্গে সমস্ত কমিউনিকেশন অফ,কাউকে কানেক্টই করতে পারছি না,এভাবে কি বাঁচা যায়?
সৃজিতা বলে ওঠে,
- জানি রে ল্যাপটপ ছাড়া জীবন একেবারে অচল,কিন্তু কি করবি বল?বাবা-মা ছাড়া তবু জীবন চলে,কিন্তু ল্যাপটপ-মোবাইল ছাড়া তো ভাবাই যায় না-
- ল্যাপটপের প্রসেসরটাই তো খারাপ হয়ে গেছে-সেটার তো অনেক দাম।আর আমার তো ভাল মোবাইল সেটও নেই।নেট, ফেসবুক ছাড়া কি একটা দিনও কাটানো যায়?
অন্তরা অভিভাবকের সুরে ধমকে ওঠে,
কাটানো যায় অন্বেষা, দেখ তুই কয়েকবছর আগেও কেউ ল্যাপটপ,স্মার্টফোন ইউজ করত না,সবাই কি তারা খুব একঘেয়ে দিন কাটাতো?বরং আমাদের থেকে তারা অনেক শান্তিতে ছিল। নে, নে খাবি চল,এখন তো ফোরজি সেট খুব সস্তা হয়ে গেছে-ঐ একটা কিনে কাজ চালিয়ে নিবি।
অনেক কষ্টে অন্বেষাকে অল্প কিছু খাওয়ানো গেলো।নিজের রুমে এসে অন্তরার কেবলই মনে হয় যে তাদের জেনারেশন কি ভয়ানক যান্ত্রিক হয়ে পড়ছে-এর শেষ কোথায়?চিন্তাশীল অন্তরার মনে সৃজিতার কথাগুলো কেবলই ঘুরপাক খেতে লাগল।এদের কাছে বাবা-মার থেকেও আপন হল মোবাইল,ল্যাপটপ!অন্তরা বোঝাতে গেলে ওরা তো অন্তরাকে ব্যাকডেটেড বলে হাসাহাসি করবে।ওদের ভেতরের সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলো কেমন যেন ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে-কেমন আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছে ওরা।
অন্বেষার বাবা দীপকবাবু প্রাইভেট ফার্মে অল্পবেতনের কেরানী।তবু তাঁর যথাসর্বস্ব দিয়ে অন্বেষাকে প্রাইভেট কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াচ্ছেন।কলেজে ভর্তির টাকা,প্রতি সেমিস্টারের ফিজ,মেসে থাকা-খাওয়ার খরচ যোগাতে দীপকবাবু একেবারে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন;কিন্তু অন্বেষার সেদিকে হুঁশই নেই।বন্ধুদের নিয়ে ভাল রেস্টুরেন্টে খেয়ে,সিনেমা দেখে বড় টাকার অপচয় করে সে।অন্তরা কতবার বারণ করেছে,কিন্তু কোন ফল হয়নি।বাবাকে ভুজুং ভাজুং দিয়ে টাকা আনিয়ে বেশ ভাল একটা স্মার্টফোনের সেট অন্বেষা কিনে ফেলল।ইদানীং ফেসবুকে একজনের সাথে সম্পর্কটা তার অনেকদূর গড়িয়েছে।অদেখা,অজানা সেই বন্ধুর জন্যে তার প্রগাঢ় ভালবাসা-অথচ তার মা বাড়িতে একটাও কাজের লোক না রেখে,হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে,দু-চারটে টিউশন করে মেয়ের খরচ যোগাতে দীপকবাবুকে সাহায্য করছেন।বছরখানেক আগে অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়ার ফলে অন্বেষার যখন লিভার এনলার্জড হয়ে খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিল,তাকে দুর্গাপুরে তার বাড়িতে দিতে এসে অন্তরা অন্বেষার বাড়ির সবকথা জানতে পারে।বর্তমানের বাবা-মায়ের ভবিষ্যৎ ভেবে অন্তরা শঙ্কিত হয়।
সারাক্ষণ মেসের অন্য সব মেয়েরা ফেসবুকে আর হোয়াটঅ্যাপে বন্ধুদের চ্যাটিং করলেও অন্তরার সব থেকে বড় বন্ধু তার দিদি সঞ্চারী।সঞ্চারী মোটে দুবছরের বড় তার থেকে।সুগায়ক অপূর্ববাবু সখ করে গানের স্তবক বিশেষের নাম রেখেছেন মেয়েদের।তা সঞ্চারী মুখ রেখেছে বাপের,তার মিষ্টি গলার গান শুনে অতি বড় নিন্দুকও প্রশংসা না করে পারেনা।কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও অপূর্ববাবু অন্তরাকে গানের ধারেকাছে আনতে পারেন নি,তবে সে ভাল গান লেখে,গল্প-কবিতা তার ইদানীং বেশ নামী পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।সুখের মিষ্টি সংসার অন্তরাদের।ঠাকুমার বড় আদরের নাতনী সে,তাই বাড়ি ছেড়ে মেসে থাকতে অন্তরার বড় কষ্ট হয়।সবসময় বাড়ির জন্যে মনটা হু হু করে।বন্ধুরাতো হোম সিকনেস্ বলে খ্যাপায়।প্রতি সপ্তাহে না হোক পনেরো দিন অন্তর তার বাড়ি যাওয়া চাই-ই।যে সপ্তাহে যেতে পারে না,দিদি কিংবা বাবা-মা হাজির হন মেসের সবার জন্যে নাড়ু,মুড়ি,চালভাজা,নিমকি কত কি নিয়ে- আর আনেন তাঁদের বাগানের কত ফলমূল আম,কলা,পেয়ারা,লিচু,জামরুল,নারকেল,পেঁপে-আরও কত কি।আগে অন্তরার পূর্বপুরুষেরা জমিদার ছিলেন-এখনও বেশকিছু জমি-জায়গা,পুকুর অবশিষ্ট আছে।সেসব দেখাশোনা করে আর বাড়িতে ও দু-চার জায়গার গানের স্কুল থেকে অপূর্ববাবুর যা আয় হয় তা দিয়ে অন্তরাদের ভালভাবেই চলে যায়।সঞ্চারী কলকাতায় এলেই তাকে নিয়ে অন্তরা যায় বিভিন্ন জায়গায় অডিশন দেওয়াতে,নয়তো বিভিন্ন প্রোগ্রামের জন্য যোগাযোগ করতে।অপূর্ববাবু সুগায়ক হওয়া স্বত্ত্বেও গ্রামে পড়ে থাকার জন্যে সঠিক মূল্যায়ন হয়নি;তাই অন্তরার ইচ্ছে সঞ্চারী দিকে দিকে নিজেকে মেলে ধরুক,তার দিদির গান সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়ুক।সঞ্চারী স্বভাবে অন্তরার ঠিক উল্টো,ভীষণ আমুদে,সাজতে ভালবাসে।তার মিষ্টি গানের আর মজার মজার গল্পের ভক্ত সব মেয়েরাই,বরং জ্যেঠিমা টাইপের অন্তরার থেকে সঞ্চারীদিকেই তাদের বেশি পছন্দ।সঞ্চারী যখন অনেক চেষ্টার পর টিভির একটা ভাল চ্যানেলে গান গাইবার সুযোগ পেয়ে গেল মেসের সব মেয়েরা আনন্দে নাচতে নাচতে সঞ্চারীকে আবদার করল,'সঞ্চারীদি,এবার দেশের বাড়ির খাবার নয়,রেস্টুরেন্টে খাওয়াতে হবে।' অন্তরাও দারুণ খুশি-অন্তরারও একান্ত প্রচেষ্টা ছিল,এ যেন তারই জয়।তাই সে বলে, "দিদি,চল না সবাই মিলে কাল রবিবারে বটানিক্যাল গার্ডেনে যাই,যাব যাব করে যাওয়া হচ্ছে না,শুনেছি ব্রাঞ্চিংপাম আছে,ভীষণ দেখার ইচ্ছে,রবীন্দ্রনাথের কবিতাটা একটু পরিবর্তন করে বলে, "তালগাছ পাঁচপায়ে দাঁড়িয়ে/সব গাছ ছাড়িয়ে
উঁকি মারে আকাশে।"
সবাই কলকল করে বলে ওঠে,"পাঁচ পা মানে?"
অন্তরা বলে,'আরে তালগাছের তো একটামাত্র লম্বা স্টেম হয়,সেটাই আমরা দেখি,কিন্তু বটানিক্যাল গার্ডেনে পাঁচ-সাতটা কাণ্ডেরও বেশ ক'টা তালগাছ আছে।'
-"তুই কি করে জানলি?"অন্বেষার প্রশ্ন।
-আরে তোরা তো নেটে কেবল সিনেমাই দেখিস,নেটে যে কতরকমের জানবার জিনিস আছে তার ঠিক-ঠিকানা নেই।
নন্দিতা বলে ওঠে,"জানি,বোটানিক্সে একটা বড় বটগাছ আছে।"
অন্তরা বলে,"সেটা তো একটা পাঁচবছরের শিশুও জানে,কিন্তু ঐ বটগাছটার কতগুলো গুঁড়ি আছে,ঐ গাছটা কত পুরনো জানিস?"
-"না বাবা অতসব জানিনা।''
-"আড়াইশো বছরের পুরোনো ঐ বিশাল বটগাছ,হাজার তিনেক গুঁড়ি আছে,কিন্তু আসল গুঁড়িটাই নষ্ট হয়ে গেছে।
-"তাহলে বেঁচে আছে কি করে?"
-"এইটাই বটগাছের অ্যাডাপটেশন,গাছের ব্রাঞ্চ থেকে ঝুরিমূল বেরিয়ে মাটিতে পৌঁছালে ঠিক আসল স্টেমের মতই গাছকে সাপোর্ট দেয়-তাই অরিজিনাল কাণ্ডটা না থাকলেও কোন ক্ষতি হয় না গাছটার।বিশালতার জন্যে ঐ বটগাছটার গ্রিনিস বুকেও নাম আছে।"
সঞ্চারী বোনকে ভালভাবেই চেনে-একবার তার আউট নলেজের ভাণ্ডার যদি খোলে তো সহজে শেষ হয় না-তাড়াতাড়ি বোনকে থামিয়ে বলে ওঠে-
-ভাল রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার কিনে ওখানে গিয়ে খাব,কি কেমন আইডিয়া,আউটিংও হবে-আমার খাওয়ানোও হবে-কি রাজি তো?
সবাই একবাক্যে রাজিই শুধু নয়,অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে লাগল কখন সকাল হবে।
পরদিন হৈ হৈ করে সবাই চলল শিবপুরে বোটানিক্যাল গার্ডেনের উদ্দেশ্যে।প্রোগ্রাম ঠিক হবার পরেই অন্বেষা সেই রাত্রেই ফেসবুক ফ্রেন্ড কাজলকে ঐ গার্ডেনের সেকেন্ড গেটে অপেক্ষা করার জন্যে বলে রাখল।অন্বেষা প্রাণের বন্ধুকে,চোখের কাজলকে চোখে না দেখে থাকতে পারছে না।
পরদিন সকালে বটানিক্যাল গার্ডেনে খাবারদাবার প্যাক করে অন্বেষার তাড়ায় সবাই একটু তাড়াতাড়িই পৌঁছে গেল।শুধু ব্রাঞ্চিং পাম আর বটগাছই নয় কত কি যে তারা দেখল,একটা পুকুরে বিরাট পদ্মপাতার মত ভাসছে জায়েন্ট লিলি,গাইড অন্তরা জানাল এই পাতায় দেড়-দুবছরের বাচ্ছাও নাকি ভেসে থাকতে পারে।সরু,ছোট,লম্বা,বেঁটে নানানরকম বাঁশগাছ,দারুচিনি,হিং,মেহগিনি,রুদ্রাক্ষ,জয়িত্রী এসব অচেনা গাছ দেখতে দেখতে তারা ফার্নস্হাউস দেখে পৌঁছালো ক্যাকটাস হাউসে।নানান ফার্নস্ আর ক্যাকটাস দেখে তারা তো অবাক হয়ে গেলো।কিন্তু পেটুক নন্দিতা একগাদা সকালে ব্রেকফাস্ট খেয়েও লাঞ্চ করার জন্যে তাড়া দিতে লাগল।ক্ষিদে অবশ্য সকলেরই পেয়েছিল।ঘুরতে ঘুরতে কখন যে তিনটে বেজে গেছে কেউ খেয়ালই করেনি।খাওয়ার পর সঞ্চারীর গান,অন্তরার স্বরচিত কবিতা,ইলোরার মজার মজার জোকস্ আর সবাইকার প্রাণখোলা হাসিতে আসরটা যখন জমে ক্ষীর হয়ে উঠেছে ঠিক সেই সময় হঠাৎ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে অন্বেষা ছুটল সেকেন্ড গেটের দিকে-সবাই তো মুখ চাওয়াচাওই করতে লাগল।ইলোরা বলল,"চিন্তা করিস না,ওর ফেসবুকেশ্বর কদমতলার বদলে ঐ সেকেন্ড গেটটায় আসবেন।" তার বলার ঢঙে সবাই তো হো হো করে হেসে উঠল।
দ্বিতীয় গেটে হাঁপাতে হাঁপাতে অন্বেষা গিয়ে দেখল তার অদেখা বন্ধু দেখা দিতে আগেই চলে এসেছে। নীল জিনসের প্যান্ট আর ব্ল্যাক শার্টে কি অদ্ভুত সুন্দর লাগছে-এই দুটো রঙের কথাই তো তাকে জানিয়ে রেখেছিল কাজল;পিছন ফিরে থাকলেও অন্বেষা তার হৃদয়েশ্বরকে ঠিক চিনতে পেরেছে।কি ম্যানলি চেহারা,আর দাঁড়াবার স্টাইলটা কি দারুণ-যেন শাহরুখ খান।অন্বেষা কাজলের কাছে গিয়ে বলল,"হাই কাজল,আমি অন্বেষা,একটু দেরী হয়ে গেল-মানে"-
-"হাই অন্বেষা,একটু কেন,তোমার জন্যে আমি যুগ যুগ অপেক্ষা করতে রাজি আছি।আমিই তোমার ফেসবুকের কাজল;"
কাজল সামনে ফিরতেই অন্বেষা অবাক বিস্ময়ে দেখল যে কাজল পুরুষ নয়,পুরুষালী গঠনের এক নারী।প্রচণ্ড রাগে,হতাশায় অন্বেষা চিৎকার করে উঠল,"তুমি মেয়ে?আমাকে সেকথা ফেসবুকে ঘুণাক্ষরে জানাওনি কেন?হোয়াটঅ্যাপের চ্যাটিং এও তো জানাতে পারতে একবার-লুকিয়েছিলে কেন,কেন,কেন?তুমি আমার কাজল হতে পার না,কিছুতেই না"-
-"না গো অন্বেষা,আমিই তোমার সেই ফেসবুকের কাজল,আমি মেয়েদেরই ভালবাসি,মেয়েদের সঙ্গেই আমার মানসিক,দৈহিক সবরকম সম্পর্ক।"
-"মানে,মানে তুমি সমকামী?না এ হতে পারে না-না-না-''
-"কেন হতে পারে না?তোমার জন্যে এই ডায়মণ্ড রিং আর সোনার চেন এনেছি-চল ঐ গাছটার নিছে বসি-তোমাকে পরিয়ে দিই-আরও অনেক কিছু তোমায় দেব-তুমি শুধু আমার বন্ধু হয়ে যাও-বিরাট ফ্ল্যাটে আমি বড় একা-তুমি আমার সঙ্গে থাক-তোমার হাত ধরে মিনতি করছি-"
-"না,না,না,কখনই নয়-এ আমি চাই না-না না-না-"
হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে ছুটতে ছুটতে কোনরকম অন্বেষা পৌঁছায় বন্ধুদের কাছে।তারপর কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান।তাড়াতাড়ি বন্ধুরা অন্বেষাকে নিয়ে স্থানীয় এক ডক্টরের কাছে গেল।অনেকক্ষণ পরে যখন জ্ঞান ফিরল অন্বেষাকে ঠিক স্বাভাবিক অবস্থায় পাওয়া গেল না-ঘোরের মধ্যে প্রলাপ বকছে।কেন যে এমন হল বন্ধুরা বুঝে উঠতে পারল না।ডক্টরকে সব জানাল।ডক্টর বললেন হঠাৎ ভীষণ মানসিক আঘাত আর বিরাট আশাভঙ্গ থেকে এরকমটা হয়েছে।সারতে বেশ সময় লাগবে।তিনি একজন বড় মানসিক ডাক্তারের কাছে যাবার পরামর্শ দিলেন।অন্তরাই ব্যবস্থা করে পরের দিনই অন্বেষাকে মানসিক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেল-দুর্গাপুর থেকে অন্বেষার বাবা-মাও খবর পেয়ে চলে এসেছেন।ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধপত্র আর অন্বেষাকে নিয়ে অন্বেষার বাবা-মা দুর্গাপুরে ফিরে গেলেন।এখন বাবা-মায়ের সান্নিধ্যই অন্বেষার সব থেকে বেশি দরকার।সৃজিতারা মর্মে মর্মে বুঝতে পারল বাবা-মা ছাড়া জীবন অচল-তাদের ভ্রান্ত ধারণার অবসান ঘটল।
=============
ডঃ রমলা মুখার্জী
বৈঁচি, বিবেকানন্দ পল্লী
হুগলী, ৭১২১৩৪
হোয়াটসঅ্যাপ- ৯৪৭৪৪৬২৫৯০
মোবাইল- ৭০০৩৫৫০৫৯৫
Apply for SBI's Simply Click Credit Card and Earn upto 10x SBI Rewards on all online purchases and also on all offline purchases! You can get 5%-20% instant discount on Flipkart, Amazon etc. online sites in different times. You can purchase things with no cost EMI using this card. It takes only 5 mins to apply. 0 |
SAMSUNG-এর নিজস্ব সাইট থেকে SAMSUNG-এর মোবাইল কিনুন। পাবেন 50% পর্যন্ত ছাড়। সঙ্গে ব্যাঙ্কের ছাড়। নো কস্ট ইএমআই। বিশদ জানতে আগ্রহীরা এখানে ক্লিক করুন SAMSUNG-এর মোবাইল ছাড়াও হেডফোন, টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি সব কিছুতে পাবেন অতিরিক্ত ছাড়। |
Get Medicine delivered to your doorstep! Also save 30% Off on First Medicine Order. 18% Off (up to Rs 2,000) + 12% cashback (up to Rs 200) Code - CK30 |
Buy Latest Fashion at 50-90% Off only on Ajio!CLICK HERE to Visit Ajio Store Now!
|
Enjoy Upto 50% Off on Sports Merchandise and Accessories reebok. |
Amazing Discounts on Addidas Website! Get Upto 50% Off. Click here To Shop Now! |
Tags