রিভিউ।। প্রান্তিক জীবন - নিখিল পানডে ।। পাঠ প্রতিক্রিয়া: গোবিন্দ মোদক
গ্রন্থ: প্রান্তিক জীবন
(অণুগল্প সংকলন)
গ্রন্থকার: নিখিল পানডে
পাঠ প্রতিক্রিয়া: গোবিন্দ মোদক, কৃষ্ণনগর
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে কবি-গল্পকার নিখিল পানডের অণুগল্পের আর একটি উৎকৃষ্ট সংকলন 'প্রান্তিক জীবন'। তাঁর অণুগল্পগুলি প্রকৃত অর্থেই জীবন-রসায়নে নিবিড়ভাবেই সম্পৃক্ত এবং প্রত্যেকটি অণুগল্পই পৃথক আলোচনার সুযোগ্য দাবিদার। জীবনকে ছুঁয়ে থাকা অতি তুচ্ছাতিতুচ্ছ ঘটনাবলিও নির্মাণগুণে এবং পরিবেশনের পারিপাট্যে অনবদ্য এবং অসাধারণ হয়ে উঠেছে। বস্তুতপক্ষে একজন কবি যখন অণুগল্পের কলম হাতে তুলে নেন তখন তা এক ভিন্নতর মাত্রা পায়। তাছাড়া যেহেতু কবি নিখিল পানডে বিশ্বাস করেন "কবিতার মতো অণুগল্পও একান্ত সাধনার দাবি করে" – সেইহেতু তাঁর অণুগল্প নির্মাণ যে সনিষ্ঠ পাঠকের চোখ টানবে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। গ্রন্থখানির পাঠানুভূতির কিঞ্চিৎ অংশ এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করা হলো মাত্র। মতামত অবশ্যই সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত এবং কাউকে আঘাত করার জন্য নয়।
এখন প্রত্যেকটি অণুগল্পকে পৃথক পৃথকভাবে আলোচনা করা হলো —
মণি-কাঞ্চন: অণুগল্পের সঠিক বৈশিষ্ট্যকে বজায় রেখে মণি-কাঞ্চন ভাস্বর। বহুদিন বাদে দুই বন্ধুর দেখা – তাদের দু-এক টুকরো কথাবার্তা আর প্রাণখোলা হাসির শব্দ পাওয়া যায় মণি-কাঞ্চন গল্পটিতে। নির্মেদ ঝরঝরে উৎকৃষ্ট অণুগল্প।
শশীকান্ত: একজন ফুলবাবুর ফুরফুরে গল্প যে 'জ্যাক অব্ অল ট্রেডস্ বাট মাস্টার অব্ নান' হয়েও আদবকায়দা ও ফুটানিতে কম যায় না – কিন্তু সে যে ক্ষেত্রবিশেষে ধরা পড়ে যাচ্ছে যেটা বোঝবার মতো অবস্থায় সে নেই!
ইজ্জত: বাস্তবানুগ গল্প যেখানে লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদক রয়েছেন, রয়েছেন লেখক তালিকায় ডক্টরেট ব্যক্তি – কিন্তু ড. আর ডা.-এর গেরোতে গল্পটা শিক্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
কোভিড নাইনটিন: মাতৃদায় হতে উদ্ধার হতে চোদ্দোগুষ্ঠি খাওয়ানোর যে রেওয়াজ তা প্রকারান্তরে ভূত-ভোজন ছাড়া কিছু নয় – একথা অনেকেই মানবেন। সেই বিষয়টিকে উপজীব্য করে তার সঙ্গে অভূতপূর্ব মুন্সিয়ানায় কোভিড নাইনটিনকে গেঁথে দিয়ে অনবদ্য অণুগল্পটি উপহার দিয়েছেন সার্থক অণুগল্পকার নিখিল পানডে।
পেপারওয়ালা: গল্পটিতে ছোট ছোট বাক্যে বড় বাজিমাৎ করেছেন গল্পকার। সংসারে যখন 'ভাঁডে মা ভবানী' হয় তখন নিতান্ত প্রয়োজনে ঈষৎ মিথ্যার আশ্রয় না নিলে ছাপোষা গৃহস্থ সামাল দিতে পারে না। গল্পকারের অনবদ্য দেখার চোখে বিষয়টি ধরা পড়েছে এবং অত্যন্ত মুন্সিয়ানার সঙ্গে গল্পকার বুনে দিয়েছেন তার অণুগল্পের নিটোল জমিন। বাঃ!
ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট: যারা একটু আধটু ফেসবুক ঘাঁটাঘাঁটি করেন তাদের অনেকেরই হয়তো চোখে পড়ে থাকবে কোনও টিন-এজার সুন্দরীর অনন্য সাধারণ ফেসবুক বার্তা – "জুতো ও কাম ছেড়ে প্রোফাইলে প্রবেশ করুন!" অবশ্য এতে হতভম্ব হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু পাঠককে হতভম্ব হতে হবে যখন তিনি দেখবেন এই বিষয়টিকে উপজীব্য করে জনৈক অণুগল্পকার শ্রী পানডে উপহার দিয়েছেন অসাধারণ একটি অণুগল্প: ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট।
সম্বন্ধ: একদম হাল আমলের গল্প। গল্পের চরিত্র (রাণু ও বারীণ) দু'টি আমাদের খুব চেনা-জানা, আমাদের চারপাশে এমন অনেক চরিত্র, হয়তো বা আমরাই সেই কুশীলব। মাসতুতো বোনের সঙ্গে প্রায় বাইশ বছর পরে যোগাযোগ – এ এমন কিছু ঘটনা হয়তো নয়, কিন্তু ওস্তাদের মার যেমন শেষ রাতে, তেমনই অণুগল্পকারের নিজস্বতা শেষ বাক্যে – ছেলেটি ড্রাঙ্কার। শাবাশ! শাবাশ শ্রী পানডে, শাবাশ আপনার কলমকে!
পিয়নের পদার্পণ: সাধারণ মানুষের তুলনায় একজন লেখকের দেখবার চোখ যে কতোখানি আলাদা হতে পারে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে বর্তমান অণুগল্পটি। পরিবারের কর্তার অবর্তমানে যাবতীয় চিঠিপত্র তার বিধবা পত্নীর নামেই আসবে – এ তো অত্যন্ত স্বাভাবিক। কিন্তু পিয়নের দেওয়া একটি নিমন্ত্রণপত্রে নিজের নাম দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে কর্ত্রী – মুহূর্তে তার বুক জুড়ে হাহাকার – মানুষটা তাকে ছেড়ে দিয়ে সব দায়িত্বের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে গেল মাথার উপর! অনবদ্য একটি নির্মাণ।
উড়ো খই: লেখালেখির জগতের একটি অতি সাধারণ বিষয় – কাব্যগ্রন্থের নাম 'প্রেমাস্পদের খোঁজে' হলেও কোথাও প্রেমাস্পদের টিকিরও দেখা মেলে না – প্রকৃত ঘটনায় রয়েছে শাণিত ব্যঙ্গের চাবুক – বইটির নাম 'অচেনা ভুবন', প্রকাশক নাম পাল্টে 'প্রেমাস্পদের খোঁজে' করেছেন। বাঃ রে মজা!
স্যানিটাইজার: লকডাইনের গল্প – অভাবের গল্প – নুন আনতে পান্তা ফুরানোর গল্প। বিদ্যুৎচমকের মতো গল্পের পরিণতিটি পাঠকের মনোভূমিতে আছড়ে প'ড়ে স্থায়ী দাগ রেখে যায়।
অনাথ : অনাথ গল্পে আমরা দু'টি প্রজন্মকে পাশাপাশি দেখতে পাই — তবে একথা ঠিক যে গল্পের কৃষ্ণাদির মতো সহজেই পরদুঃখে কাতর হয়ে পড়া মানুষের সংখ্যা যেমন ভীষণভাবে কমছে, তেমনই বাড়ছে রতনের মতো রুক্ষ, মানবতাহীন চাঁচাছোলা মানুষের সংখ্যা। গল্পটি হয়তো সে অর্থে পাঠকের মন জয় করতে পারবে না – কিন্তু এর গভীর অন্তর্নিহিত অর্থ পাঠককে ভাবাবে। ভাবাবেই।
ওড়না: ওড়না। রংবেরঙের ওড়না। লকডাউনের পটভূমিকায় লেখা অনন্য একটি রংদার গল্প ওড়না। পাঠকের ভালো লাগবেই এমনই একটি গল্প ওড়না।
নরসুন্দর সেলুন: ফিরে পড়বার মতো সুন্দর অণুগল্প। যদিও প্রেক্ষাপট অসামান্য কিছু নয়, তবুও গল্পটির তথা কাহিনির নির্মাণকুশলতায় মুগ্ধ হতেই হয়।
পুতুল খেলা: করোনা মহামারীর পটভূমিকায় লেখা ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির গল্প – করোনা ছোটদের 'বর-বউ' খেলাকে আটকে দিতে পারেনি।
হ্যাপি লকডাউন: লকডাউনকে উপজীব্য করে আর একটি বলিষ্ঠ অণুগল্প।
লিটন ম্যাগাজিন: একটা লিটল ম্যাগাজিন যে কিভাবে চলে তা সবচেয়ে ভালো জানেন তার সম্পাদক। কেউ তাকে টিঁকিয়ে রাখতে জি.পি.এফ. থেকে লোন নেন, কেউ অন্যত্র ধার করেন। কিন্তু একজন মহিলা পত্রিকা সম্পাদক তার পত্রিকার বার্ষিক সম্মেলনকে সাকসেসফুল করতে যখন তার সাধের নেকলেসটাকে কুড়ি হাজার টাকায় বন্ধক রাখেন তখন গল্পটি ভিন্ন মাত্রা পায়। স্যালুট!
অজগর দীর্ঘশ্বাস: হ্যাঁ, অজগর দীর্ঘশ্বাসও হয় যে দীর্ঘশ্বাস বন্ধুত্বের মতো সুন্দর সুরেলা সম্পর্ককে মুহূর্তে গ্রাস করে – তারই সুচারু গল্প।
মহাপ্রভু: গল্পটির শেষে লাইনটি এইরকম – শ্যামলী স্তম্ভিত, দেখে পরনের গামছাটি হয়েছে উত্তরীয়! হ্যাঁ, এইরকমই এক ভাবনার গল্প মহাপ্রভু, যা পড়বার পর নিশ্চিতভাবেই ভাবাবে, এক-একবার এক এক রকম মানে নিয়ে হাজির হবে পাঠকের মনে। আর প্রতিবারই একটা টিকটিকি ডেকে উঠবে টকটক করে।
মান্যতা: হ্যাঁ, একেই বলে অণুগল্প – শেষ লাইনটি বাঁধিয়ে রাখবার মতো।
সাত্ত্বিক মানুষ: গল্পের পরিণতি বড়োই অভাবনীয়, একেবারে যাকে বলে মারকাটারী!
লিকার শপ: বাস্তবানুগ গল্প।
লাঞ্চ আওয়ার: গ্রন্থের অন্যতম সেরা গল্প লাঞ্চ-আওয়ার। যেখানে বিক্রমের মোবাইলের রিংটোন গায়ত্রী মন্ত্রের বদলে ঝিনচ্যাক সুরে বেজে ওঠে। গল্পকারকে ধন্যবাদ সুন্দর গল্পটি উপহার দেবার জন্য।
ভার্চুয়াল রিলেশন: ভার্চুয়াল জগতের অনবদ্য অণুগল্প।
পৈশাচিক উল্লাস: এটিও ভার্চুয়াল জগতের আর একটি অনুভবী প্রকাশ।
অটুট ভাণ্ডার: কি বলব! জাস্ট ফাটাফাটি!
ডাঁটা চচ্চড়ি / ছদ্মরাগ: বাজারের গল্প – চেনা কাহিনী, কিন্তু পরিবেশনের গুণে সুস্বাদু (থুড়ি সুখপাঠ্য)।
পরিযায়ী: অতিমারীর পটভূমিকায় চিরন্তন পিতা-পুত্রীর ভালোবাসার নিটোল গল্প।
দুর্গা: এ গল্পটি সম্পর্কে কিছু বলবার নেই। চেনা জানা কাহিনী অথচ পরিবেশনের গুণে জাস্ট ফাটাফাটি। কোনও কথা হবে না।
উলট পুরাণ: পুরস্কৃত হবার মতোই নিটোল অণুগল্প।
ছাতাতন্ত্র: বেশ গল্প। শেষ লাইনে বাজিমাত — "আসলে ছাতা বন্ধ করার কৌশলটাই ভুলে গেছে রতন।" বাঃ! বাঃ!
স্যানিটাইজেশন: গল্পটা পড়ে কেন জানি না গল্পকারকে বলতে ইচ্ছা হচ্ছে- জিও গুরু!
হরিদাস পাল: জব্বর লেখা। যাকে বলে সমুচিত জবাব!
কুমারী পুজো: আহা! এমন গল্প কেন আর হয় না। এ গল্প প্রকৃত অর্থেই বিন্দুতে সিন্ধুদর্শন! কেয়া বাৎ!
বেহালার পলাশ সামন্ত: ফেসবুকে এমন পলাশ সামন্ত অগুণতি আছে, শুধু বেহালা কেন, আপনার আমার, সবার চারপাশে, চেনা বৃত্তের মধ্যে বা বাইরেও…।
রক্তের জাতপাত: অসাধারণ বিন্যাস।
বেলাশেষে: কি বলব! সাহিত্যজগতে যাঁরা একটু আধুটু লেখালেখি করেন তাঁদের সবার কমবেশী এমন অভিজ্ঞতা আছে। ধন্যবাদ লেখককে। তবে একটা মন্তব্য / উক্তির কথা উল্লেখ না করলেই নয়- "এরা কবি না কবুতর!"
বয়কট: চাবুক গল্প। যেমন কর্ম তেমন ফল! যাই হোক, বাস্তবানুগ অসাধারণ নির্মাণ। সত্যিই যদি এমন করে কাউকে টাইট দেওয়া যেতে পারতো!
ছক্কা: বাঃ! একদম ছক্কা মারার মতোই গল্পের বাঁধুনি।
জেনারেশন গ্যাপ: ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো বিষয়ক গল্পটি বেশ সমৃদ্ধ গল্প। অ্যাকসেপ্ট করা যেতেই পারে।
নীরবতা: দুই অণুগল্পকার আবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু – তাদেরকে নিয়েই অণুগল্প। গল্পটি পড়তে পড়তে বিস্ময় জাগে, সম্যক বুঝতে পারি বর্তমান অণুগল্পকার নিখিল পানডে প্রকৃত অর্থেই নিজস্ব একটি ঘরানা তৈরি করতে পেরেছেন যাতে করে তাঁর কলমকে অনেকের মধ্যে চিনে নেওয়া যায়।
বার্ধক্য দশা: সংসারের একটা &রূঢ় বাস্তব সত্য'কে আসাধারণ একটি অণুগল্পের মোড়কে উপস্থাপিত করেছেন গল্পকার। প্রকৃত অর্থেই আজকের এই সামাজিক অবক্ষয়ের যুগে বৃদ্ধ মা-বাবার বার্ধক্যদশা সন্তানদের কাছে বোঝার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা যেন-তেন-প্রকারেণ সেই বোঝা থেকে অব্যাহতি পেতে চায়। তাই শেষ লাইনে লেখা গল্পকারের শাণিত চাবুকটি (ডাক্তারবাবুরা কেন যে বোঝেন না – সবাই ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হাসপাতালে আসে না!) শপাং শপাং করে আছড়ে পড়ে এই মেকি ভদ্র সমাজের পিঠে, মুখে, বুকে, সারা শরীরে। আবারও বলি সাবাস!
দয়াময়: চিরন্তন-এর চোখ দিয়ে লেখক বাস্তবকে সঠিক অর্থেই চিনেছেন – "এই পার্থিব জগৎ চোখের জলের মূল্য দিতে পারেনি কখনও। আমি তো কোন ছার!" সুন্দর অনুভূতি, বলিষ্ঠ উপস্থাপনা।
টারজান: সামাজিক সমস্যার প্রকৃষ্ট গল্প।
অকাল-কুষ্মাণ্ড: গল্পটি আরও একটু বলিষ্ঠ হতে পারতো।
মুশকিল আসান: বলবার মতো কোনও গল্প নেই, অথচ কথার বাঁধুনিতে গল্পটি দাঁড়িয়ে আছে পোক্ত ভিতের ওপর।
আর্তি: লেখকের উপলব্ধিজাত উপাদানে সম্পৃক্ত 'আর্তি' পাঠককে ভীষণভাবেই ভাবাবে।
ক্লাসমেট: মানুষের মন বড়ই বিচিত্র। লেখক বহু দেখেছেন। তার বহুদর্শী কুশলী কলম ক্লাসমেটকে মূর্ত করে তুলেছে।
বাটার জুতো: এটি প্রকৃত অর্থেই একটি লহমা গল্প যার শেষ লাইনে অসাধারণ চমক!
কমেন্টের ইতিবৃত্ত: কিছু বলার নেই! সব্বাই পড়ুন। ২৪ পঙ্ক্তির গল্পটি!
মিথ্যাবাদী যুধিষ্ঠির: গল্পটির নামে যেমন চমক, গল্পর ভেতরও তেমনই চমক। এমনটা তো হয়েই থাকে, কিন্তু সচেতন লেখক পাঠকের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার কাজটা করেন।
উপলব্ধি: আমার উপলব্ধিতে ঠিক লাগলো না।
আসল কথা: আসল কথা হলো 'আসল কথা' গল্পটি আসলে ভালোই।
সোনার খাঁচা: এটি একটি এ-প্লাস গ্রেডের গল্প।
ফেলতে ছাই ভাঙা কুলো: চমৎকার একঝলক গল্প।
জ্ঞানদা কুটিব: পড়ে একটা অতৃপ্তি রয়ে গেল।
শেষ দেখা: গল্পটি প্রকৃত অর্থেই পাঠককে ভাবাবে, যদিও গল্পটি লকডাউনের প্রেক্ষিতে লেখা।
মকান: চেনা জানা ঘটনার অসাধারণ নির্মাণকল্প এই গল্পটি।
শেষ মাস: সংকলনের অন্যতম সেরা গল্প। গল্পটিতে হয়তো কিছুই নেই, কিন্তু যা আছে তার মূল্য অমূল্য।
সেকেন্ড এডিশন: ফেসবুকের ফ্রেশ গল্প।
জাহানারা জেরক্স সেন্টার: গল্পটির জবাব নেই। পড়লে হয়তো তেমন কাজ দেবে না, কিন্তু মনে মনে বলবেন- বাঃ!
সুনীতি ভবন: নৈরাশ্যের মধ্যে একঝলক আশার আলো।
রাজযোটক: একেবারে চাবুক গল্প, এ প্লাস গ্রেডের।
সংশয়: গল্পটির চমক একেবারে চমকের মতোই। তবুও পাঠশেষে থেকে যায় সংশয়...
শংসাপত্র: এমন নিটোল অণুগল্পের জন্য (বিশেষতঃ কাহিনিবিন্যাস এবং নির্মাণশৈলী) গল্পকার অবশ্যই শংসাপত্র পাবেন। বাঃ! সেইসঙ্গে বি বি সি লন্ডন জিন্দাবাদ!
দ্রৌপদীর শাড়ি: ফেসবুক যেন দ্রৌপদীর শাড়ি... যত স্ক্রল করবে ততই খুলতে থাকবে... আদি-অন্তহীন! দারুণ! কাহিনিও চমৎকার।
কবিতায় সারাদিন: বেশ বলেছেন!
সত্য সাধক: সত্যিই সত্য সাধক!
বিবেক বোধন: বেশ গল্প!
পাঠকদের কাছে অনুরোধ করবো, বইটি নিজ উদ্যোগে সংগ্রহ করে পড়ে দেখুন। ৭৮টি গল্পের মধ্যে অন্ততঃ ৭০টি গল্প আপনাকে ছুঁয়ে যাবে এই বিশ্বাস পোষণ করি॥
___________________________
গ্রন্থ: প্রান্তিক জীবন (অণুগল্প সংকলন)
গ্রন্থকার: নিখিল পানডে
প্রকাশক: ঈশপ
মূল্য: ২০০ টাকা
====================
প্রেরক: গোবিন্দ মোদক।
সম্পাদক: কথা কোলাজ সাহিত্য পত্রিকা।
রাধানগর, ডাক- ঘূর্ণি, কৃষ্ণনগর, নদিয়া।
পশ্চিমবঙ্গ, ডাকসূচক - 741103