ধারাবাহিক উপন্যাস ।। করোনাবেলার কথা - পর্ব- ৫ ।। সুদীপ ঘোষাল
0
জানুয়ারী ২৩, ২০২১
পর্ব- ৫
আলোর এখন অফুরন্ত সময়। পড়ছি, পড়া আর শোনা ছাড়া কোন কাজ নেইন।ঘরবন্দি হয়ে শুনছি ফেসবুকে পোষ্ট দিচ্ছি জনসচেতনতামূলক।খবরের কাগজ আছে। আমি আর কতটুকু জানি। তবু জানার ইচ্ছে, পিঠে কুঁজ নিয়ে চিত হয়ে শোওয়ার বাসনা। করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত গোটা বিশ্ব। ভারতেও তা মহামারির আকার নিচ্ছে। রাজ্যে যাতে করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ না করতে পারে, তার জন্য জনগণকে প্রতিদিন সতর্ক করে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। রাজ্য সরকার করোনা ঠেকাতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে অনেকদিন। করোনা মোকাবিলায় জরুরী ত্রাণ তহবিল গঠন করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, প্যারাটিচার, পার্টটাইম টিচার সহ শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত সবাইকে ত্রাণ তহবিলে মুক্তহস্তে দান করার জন্য আবেদন করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ও তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চ্যাটার্জি। তিনি বলেছেন, 'আর্থিক বিষয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যা পরিস্থিতি তাতে আগামীদিনে আর্থিক অভাব ঘটবে। আমাদের এই আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলা করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে আমরা একজোট হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়াব।' পাশাপাশি তিনি দলের বিধায়কদের উদ্দেশে বলেন, 'আপনাদের যতটুকু সামর্থ্য, সেই অনুযায়ী এই ত্রাণ তহবিলে সাহায্য করুন। বিধানসভা থেকে যে ভাতা পান, তার কিয়দংশ অনুদান ত্রাণ তহবিলে দিন। আপনারা যা ভাল বুঝবেন, তাই করুন। যেভাবেই হোক করোনার সঙ্গে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। মমতার পাশে দাঁড়ান।' পাশাপাশি তৃণমূলের শিক্ষা সেল ও গণ সংগঠন এবং বামপন্থীদের কাছেও পার্থ চ্যাটার্জি সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
সকলের সমবেত প্রচেষ্টায় পৃথিবীর এই গভীরতম অসুখ সেরে যাবে একদিন।
"একদিন ঝড় থেমে যাবে
আবার পৃথিবী শান্ত হবে "।লকডাউনের সময় প্রকৃতি সেজে উঠছে টাটকা জলে রঙীন ফুলে আর আকাশের নানা রঙের ক্যাভাসে। সুপার মুনের কথা অনেকেই শুনেছেন, দেখেছেন কী? তবে সেই অভাব এবার পূরণ হতে চলেছে। আগামী ৮ এপ্রিল দেখা যাবে সুপার পিঙ্ক মুন বা বৃহত্তম গোলাপি চাঁদ। এতে নাকি করোনাভাইরাসের নিধন ঘটবে বলে অনেকে মনে করছেন। যদিও জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী এবং চাঁদের মধ্যবর্তী গড় দূরত্ব ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার। চাঁদের গোলাপি আভা দেখা যাবে পৃথিবী থেকে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৯০৭ কিলোমিটার দূর থেকে। অর্থাৎ ওইদিন পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব কমে যাবে ২৭ হাজার ৪৯৩ কিলোমিটার এবং দেখা যাবে এই নান্দনিক দৃশ্য।
মিনতি বলে, এখন প্রশ্ন হল এই সুপার মুন বৃহত্তম গোলাপি চাঁদ কী? জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের তুলনায় এইদিন চাঁদের আকার ৩০ শতাংশ বড় হয়ে যায়। সুপার মুনের কক্ষপথ পৃথিবীর নিকটতম হয়। গ্রহ থেকে এই নিকটতম দূরত্বের কারণেই চাঁদকে অনেক বড় এবং উজ্জ্বল দেখায়। তবে পূর্ণিমা হলেই যে সুপার মুন হবে তা কিন্তু নয়। কারণ চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে ঘোরে। পৃথিবী থেকে আরও অনেক দূরে থাকলেও পূর্ণিমার পূর্ণ চাঁদ দেখা যেতে পারে।একে গোলাপি চাঁদ বলার কারণ হল–পূর্ণিমা'র চাঁদের নামকরণের বিষয়টি সাধারণত আমেরিকান অঞ্চল এবং ঋতুগুলির ওপর নির্ভর করে। 'গোলাপি চাঁদ' নামটি গোলাপি ফুলের নামের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া। এই ফুল উত্তর আমেরিকার পূর্ব দিকে বসন্তকালে ফোটে এবং এটি মোটেও চাঁদের রঙ নয়। পুরো গোলাকার চাঁদকে স্প্রাউটিং গ্রাস মুন, এগ মুন এবং ফিশ মুন নামেও ডাকা হয়। তবে, লকডাউন পুরোপুরি তোলার ক্ষেত্রে কোভিড–১৯ সংক্রমণ কী অবস্থায় রয়েছে, সেটাই যে নির্ণায়ক হবে তা স্পষ্ট হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর গড়া টাস্ক ফোর্সের সদস্য রামন আর গঙ্গাখেড়করের কথায়। তিনি জানান, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সংক্রমণের শৃঙ্খলকে ছিন্ন করা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে তিনি জানিয়েছেন, এখন টেস্ট কিট ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জামের বিপুল ঘাটতি রয়েছে। ঘাটতি রয়েছে ভেন্টিলেটরেরও। এপ্রিলের শেষে অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটগুলো তৈরি হয়ে যাবে। এই কিটে পরীক্ষা শেষ হবে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে। ঘাটতি মেটাতে কেন্দ্রীয় সরকার ৫০ লক্ষ অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটের বরাত দিয়েছে। অ্যান্টিবডি টেস্টেই সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায়। তাই দ্রুত পরীক্ষা হলে সংক্রমণের মাত্রাও তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে।
আলো রেডিও শুনছে। খবরে পড়ছেন, আইসিএমআরএর সংক্রামক রোগ ও মহামারী বিভাগের প্রধান গঙ্গাখেড়কর বলেন, কত দিনে সংক্রামিতদের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে, তার হার দেখেই বোঝা যাবে করোনা নিয়ন্ত্রণে এসেছে কি না। তঁার মতে, পরবর্তী তিন সপ্তাহে কতজন কোভিড–১৯ পজিটিভ রোগীর খেঁাজ মিলছে, তার ওপরেই লকডাউন প্রত্যাহারের বিষয়টি নির্ভর করবে। লকডাউন কতটা শিথিল হবে, সেই সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে সংক্রমণের হটস্পটগুলি। গঙ্গাখেড়কর বলেন, গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে এখনও পৌঁছোয়নি ভারত। তবলিগি জমায়েতের প্রভাব ২০০ জেলায় পড়লেও একে গোষ্ঠী সংক্রমণ বলা যাবে না।এর আগে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। তারপর পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব অবনীশ অবস্থি এদিন বলেছেন, 'লকডাউন তখনই পুরোপুরি খোলা হবে যখন রাজ্যে আর করোনার রোগী থাকবেন না। যতক্ষণ একজনও করোনা পজিটিভ মানুষ থেকে যাবেন, ততক্ষণ লকডাউন তোলা কঠিন। কাজেই এর জন্য সময় লাগতে পারে।' এ সবের পাশাপাশি এখনকার মতো লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, এর গেরোয় আটকে পড়েছেন অসংখ্য দরিদ্র মানুষ। কাজ হারিয়ে দু'বেলা অন্নের সংস্থান নিয়ে চিন্তায় বহু মানুষ। সবচেয়ে বড় কথা, সার্বিক লকডাউন দীর্ঘায়িত হলে দেশের অর্থনীতি গভীর থেকে গভীরতর সঙ্কটে চলে যাবে।
এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী এদিন বিজেপি–র ৪০তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বক্তৃতায় বলেছেন, 'সামনে দীর্ঘ লড়াই। এজন্য দেশবাসীকে প্রস্তুত থাকতে হবে। করোনার বিরুদ্ধে জয় না–আসা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।' আরও বলেছেন, 'এবার এমন এক সময়ে দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হচ্ছে যখন শুধু ভারতই নয়, সমগ্র বিশ্ব এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলেছে। মানবতার এই সঙ্কটের সময় একনিষ্ঠভাবে দেশের সেবা করে যেতে হবে।' করোনার সংক্রমণের জেরে ২৪ মার্চ দেশ জুড়ে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন করোনা পরিস্থিতিতে নিজেদের জীবনপণ করে যাঁরা কাজ করে চলেছেন, সেই চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষকে ধন্যবাদপত্র পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের প্রসিদ্ধ মিষ্টির একটা অংশ হাতে গড়া হয়। যখন সাধারণ নাগরিককে দিনে দশ বার রগড়ে রগড়ে সাবান, স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুতে বলার উপদেশ দেওয়া হল, তখন স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে কোনরকম পরিদর্শন ছাড়া স্বাস্থ্যকর বা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হাত স্যানিটিজেড কিনা জানা-নেই, বানানো-মিষ্টি বাঙালিদের খেতে দেওয়ার রাস্তা উন্মুক্ত করা প্রশাসনিক অর্বাচীনতার নামই বটে। আসলে Covid -১৯ শুধু একটা সাদামাটা, প্লেইন-ভ্যানিলা বায়োলজিক্যাল ভাইরাস-ই নয়, এটা মানব সভ্যতার বড়াই করা আর্থ-সামাজিক-চিকিৎসা-প্রশাসনিক উৎকৃষ্টতার লিটমাস টেস্ট আর অ্যাসিড টেস্ট, যেখানে আমরা অনুত্তীর্ণ। সেখানে, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত প্রতিনিধিকে ঠান্ডা মাথায় কাজ করা উচিত যাতে নিরীহ আইনানুগ সর্বসাধারণের জনস্বাস্থ্যের কোনও ঝুঁকি না তৈরি হয় কারো ব্যক্তিগত অবিবেচকতার জন্য। সেখানে কিছু জনগণকে খুশি করার চেষ্টা বুমেরাং হয়ে, সর্বনাশী করাল ছোবল আনতে পারে অজ্ঞতার সামান্য ভুলে প্রথমে এক দিনের জনতা কার্ফু, তারপরে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে তিন দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা এবং সেটি চলাকালীনই দেশজুড়ে লকডাউন। তার ফলে বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছেন এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা। এই কারণে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়াতেও আটকে পড়েন বিহারের ভাগলপুর থেকে আসা অন্তত ১৫০ জন শ্রমিক। প্রতি বছরই এই সময় বিহারের ভাগলপুর থেকে মহিলা ও শিশু সহ প্রায় ১৫০ জনের একটি দল পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমার লক্ষ্মীপুর গ্রামে চাষের কাজ করতে আসেন। এবছরও তাঁরা এসেছিলেন সেই কাজেই। তবে তাঁরা আসার পরেই ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শুরু হয় লকডাউন। তার ফলে তাঁরা কাটোয়ায় আটকে পড়েন। কাটোয়া মহকুমা প্রশাসন ও কাটোয়া পুরসভার তরফ থেকে স্থানীয় আরএমসি মার্কেটে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। শুধু থাকার ব্যবস্থা করাই নয় সেই সঙ্গে তাঁদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাও করে স্থানীয় প্রশাসন। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে ওই শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়। কয়েক দিন এভাবে কাটার পরে ওই শ্রমিকরা কাটোয়া থানায় যোগাযোগ করে তাঁদের পোশাকের সমস্যার কথা জানান। তাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে একই জামাকাপড় পরে আছেন বলে জানান। এর ফলে তাঁদের যে সমস্যা হচ্ছে সেকথাও গোপন করেননি।এই সমস্যার কথা জানার পরে কাটোয়া থানার পক্ষ শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের জন্য জামা-কাপড়ের ব্যবস্থা করা হয়। কাটোয়া থানার আইসি বিকাশ দত্ত বলেন, "শ্রমিকরা একই জামাকাপড় দীর্ঘদিন ধরে পরে আছেন একথা জেনে কাটোয়া থানার পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। দলে কত জন স্ত্রী, পুরুষ ও বাচ্চা আছে তা জেনে নেওয়া হয়। তারপরে মহিলাদের জন্য শাড়ি, সায়া ও ব্লাউজ, বাচ্চাদের জন্য জামা ও প্যান্ট, কম বয়সী মেয়েদের জন্য চুড়িদার এবং পুরুষদের জন্য লুঙ্গি ও বারমুডার ব্যবস্থা করা হয়। তাঁদের হাতে ইতিমধ্যেই সেই পোশাক তুলে দেওয়া হয়েছে।"করোনাভাইরাস দূরে রাখতে যে সব উপায়ের কথা বলা হচ্ছে তার মধ্যে একটি হল পরিচ্ছন্ন থাকা। এই শ্রমিকদের পক্ষে নিজেদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন ঠিকই তবে প্রশাসনের উদ্যোগে এখন তাঁরা অনেকটাই পরিচ্ছন্ন ভাবে থাকতে পারবেন। নিয়মিত ভাবে পোশাক বদলও করতে পারবেন। লকডাউন উঠলে তাঁরা কাজ পেয়ে যাবেন। মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী অজিত কুমার কুন্ডু, সভাপতি কালাচাঁন কুন্ডু, সাধারন সম্পাদক যুগল দেবনাথ এবং সনাতন যুব সেবা সংঘের সভাপতি শ্রী বিবেকানন্দ দেবনাথ এর উদ্যোগে হিন্দু মুসলিম জাত ধর্ম নির্বিশেষে মন্দিরের নিজস্ব তহবিল ও স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বী তরুন যুবকদের নিজ নিজ ব্যক্তি দানের টাকায় এই ত্রানসামগ্রী বিতরণ করা হয়৷ এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন রিয়াদ৷ মন্দির কমিটির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী অজিত কুমার কুন্ডু বলেন, "মানবসেবার চেয়ে বড় ধর্ম অার কিছুই হয় না৷ আমাদের সনাতন ধর্মে মানবসেবা ও দানের কথা বলা আছে।"প্রায় তিনদিনের খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে ছিলো ৩ কেজি চাল, ২ কেজি অালু, ১ কেজি ডাল, হাফ লিটার তেল, ১ কেজি লবন এবং ১টি সাবান। উল্লেখ্য যে, এই উদ্যোমী তরুনরা নিজ এলাকায় সবসময় মানবসেবায় অতুলনীয় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে।কিছুই বড় নয় জীবনের থেকে। তাই বন্ধুত্বকে পাশে সরিয়ে রেখে হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট তথা নরেন্দ্র মোদির বিশেষ বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ভারত যদি অ্যান্টিম্যালেরিয়াল ওষুধ মার্কিন মুলুকে রপ্তানির অনুরোধ নাকচ করে, তাহলে তার ফল ভুগতে হবে ভারতকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অনুরোধ করেন যাতে হাইড্রোঅক্সিক্লোরোকুইনের রপ্তানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হোক। হোয়াইট হাউসে ব্রিফিংয়ের সময়ে ট্রাম্প জানান, 'আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খুব ভাল। আমি বলেছি, আপনি যদি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন, তাহলে খুবই ভাল হবে। যদি তিনি একান্তই এদেশে ওই ওষুধ আসতে না দেন, তাহলেও আমি অবাক হব। আমার কিছু বলার থাকবে না। তবে তার ফল ভুগতে হতে পারে ভারতকে।সূত্রের খবর, হাইড্রোঅক্সিক্লোরোকুইনের অর্ডার মার্চ মাসে দিয়েছিল আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি বার্তায় বলেন, 'বহু বছর ধরে ভারত বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমেরিকার সুবিধে নিয়েছে। তাই এখন যদি ভারত পিছিয়ে যায় আমি অবাকই হব। তবে যাই সিদ্ধান্ত হোক না কেন প্রধানমন্ত্রীকে আমায় তা জানাতে হবে।' ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারির পর নয়াদিল্লি থেকে কোনও জবাব এখনও দেওয়া হয় নি। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার জন্য ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে রবিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ডাউনিং স্ট্রিটের ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে বলা হয় যে, বরিস জনসনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, কিছু পরীক্ষার জন্য তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। বরিস জনসন ছাড়াও তাঁর অফিসের স্বাস্থ্যসচিব ম্যাট হ্যানকক এবং জুনিয়র স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাদিন ডরিসও করোনায় আক্রান্ত।গত ২৬ মার্চ বরিস জনসন করোনায় আক্রান্ত হন। এরপরই আইসোলেশনে চলে যান তিনি। আগের থেকে তিনি অনেক সুস্থ রয়েছেন বলেও জানান তিনি। বিগত দিনগুলিতে ডাউনিং স্ট্রিটের বাসভবন থেকেই অফিসের কাজকর্ম করছিলেন বরিস জনসন।উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই সারা দেশে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ।লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হোক৷ কেন্দ্রর কাছে এমনই আর্জি রেখেছে বিভিন্ন রাজ্য৷ দেশজুড়ে করোনামোকাবিলার এর থেকে আর ভাল পথ নেই বলেই মনে করছে রাজ্যগুলি৷ সেই কারণেই এমন আর্জি করা হচ্ছে বল সূত্রের খবর৷ যদিও এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী৷ লকডাউন ওঠার ৪৮ বা ৭২ ঘণ্টা আগেই পরবর্তী পরিস্থিতির কথা স্থির করবেন তিনি৷ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে অনেকের পক্ষ থেকেই দাবি করা হয় যে লকডাউন চললে করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে অনেকটা সুবিধা মিলবে৷ যদিও বিভিন্ন করোনা স্পর্শকাতর জোনগুলিকে চিহ্নিত করে সেই জায়গায় চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে, এমনই ভাবনা চিন্তা চলছিল কেন্দ্রীয় স্তরে৷ কিন্তু রাজ্যগুলির আর্জির পর সেই ভাবনার বদল হতে পারে বলে সূত্রের খবর৷ তাই মনে করা হচ্ছে ২১ দিনের পর আবার লকডাউনের সয়মসীমা বাড়তে পারে৷ যদিও এই চিন্তা নিয়ে দুরকম মত উঠে আসছে৷ কারণ অনেকেই মনে করছেন যে লকডাউন না উঠলে রুটিরুজির টান পড়বে অনেকের৷ অন্যদিকে লকডাউন না থাকলে করোনার সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে৷ এখন প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ৷
মিনতি বলল,জানুয়ারি থেকে করোনাভাইরাসে জর্জরিত চিন (China)। দিনের পর দিন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েছে হুহু করে। কিন্তু মঙ্গলবার ছবিটা পুরোপুরি বদলে গেল। কারণ এই প্রথম কোভিড ১৯-এ (Covid 19) আক্রান্ত হয়ে নতুন করে কারও মৃত্যু হল না সেই দেশে।চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন মঙ্গলবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি চিনে। এমনিতে মার্চের শুরু থেকেই চিনে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে হুহু করে। কিন্তু তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ এখন বাড়াচ্ছে বিদেশ থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিনে আসা।প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মার্চের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত বাইরের দেশ থেকে আসা অন্তত হাজার জনের শরীরে করোনাভাইরাসের (Coronavirus) উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে। ফলে এখনও চিন্তামুক্ত হয়নি প্রশাসন। বরং তাঁদের আশঙ্কা করোনাভাইরাসের এই দ্বিতীয় ভাগে বেজিংয়ে প্রভাব পড়তে পারে, কারণ বিদেশ থেকে বেশি মানুষ বেজিংয়েই আসছেন। করোনাভাইরাসের প্রকোপ আটকাতে গোটা বিশ্ব এখন লকডাউনের (Lockdown) পথে হাঁটছে। এই বুদ্ধিটা প্রথম চিনই দিয়েছিল। হুবেই (Hubei) প্রদেশের উহান শহরে মাত্রাছাড়া ভাবে বাড়ছিল আক্রান্তের সংখ্যা। তখনই গোটা শহরকে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।
আজ টিভির খবর শুনছে আলো।খবরে বলছে, লক ডাউন উঠবে ১৪ এপ্রিল মধ্যরাতে। ১৫ এপ্রিল সকাল থেকেই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারে দেশের জনজীবন। বাংলার ক্ষেত্রে সেই লক ডাউন উঠবে ১৫ এপ্রিল মধ্যরাত্রে। পরেরদিন থেকে স্বাভাবিক হওয়ার কথা বাংলার। কিন্তু সত্যিই কী সব কিছু আগের মতই স্বাভাবিক হয়ে যাবে? এই প্রশ্নটাই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলা জুড়ে। তবে রাজ্যের অভিজ্ঞ মহলের ধারনা লক ডাউন উঠলেও কিছু বাধা নিষেধ থেকেই যাবে। চট করে স্কুল-কলেজ, অফিস-কাছারি, সিনেমা হল, মল-মাল্টিপ্লেক্স, ফার্স্ট ফুডের দোকান, জামা কাপড়ের দোকান, ইলেকট্রনিক্সের দোকান, হার্ডওয়্যারের দোকান, সেলুন, স্পা, খুলবে না। গণপরিবহণও খুব একটা সচল হবে না। তার মধ্যে থাকবে রেলও। আর এখানেই ঝুলছে গাদা গুচ্ছের প্রশ্ন। আদৌ কি রেল চলবে? রেলমন্ত্রক সুত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ এপ্রিল থেকে রেল চালাবার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে সংশ্লীষ্ট মন্ত্রক। কিন্তু কোনও রাজ্যে লক ডাউন চললে সেখানে রেলের পরিষেবা চালু হবে না। আবার যে এলাকায় সংক্রমণ বেশি ছড়িয়েছে সেখানেও রেল পরিষেবা দেবে না। তবে চেষ্টা করা হবে দেশের নানা প্রান্তে আটকে পড়া মানুষদের আগে নিজের নিজের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে। বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজ নিজ রাজ্যে পৌঁছে দেওয়ার কাজ গুরুত্ব দিয়েই করা হবে।সেই সঙ্গে বাধ্যতামূলক করা হতে পারে মাস্ক পড়া। ট্রেনে ওঠার আগে যাত্রীদের ভালো করে শারীরিক পরীক্ষাও করা হবে। তবে সব ট্রেনই এক সঙ্গে চালু করে দেওয়া হবে না। শহরতলির ট্রেন যেখানে খুব ভিড় হয় সেই লাইনে আপাতত ট্রেন চালু করা হবে না। তবে এই সব কিছুর আগে কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে সম্পূর্ণ ছাড়পত্র আসা।বাংলায় কি হবে? রাজ্য সরকার লক ডাউন দীর্ঘায়িত করতে চায় না। আবার সব কিছু বিধি নিষেধ একদম উঠে যাবে এমনও নয়। নোয়াপাড়া থেকে কবি সুভাষ মেট্রো রেল চালু না হলেও ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো রেল চালু হতে পারে। আবার দমদম স্টেশন থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত চক্ররেল চললেও চলতে পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে কৃষ্ণনগর বা বনগাঁ থেকে সরাসরি লোকাল ট্রেন দমদম হয়ে মাঝেরহাট চলে আসবে। শিয়ালদা মেইন ও দক্ষিণ শাখায় এখনই কোনও লোকাল ট্রেন চালু হবে না। কারণ দিনে এই সব শাখায় যদি দুটি করেও ট্রেন চলে তাহলেও ভিড় হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাবে। একই ছবি হাওড়া স্টেশনের ক্ষেত্রেও প্রয়োজ্য। সেখানেও পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের শহরতলির ট্রেন চট করে চালু হবে না। তবে শিয়ালদা ও হাওড়া দুই স্টেশন থেকেই ধাপে ধাপে দূরপাল্লার ট্রেন চালু করা হলেও হতে পারে। জোর দেওয়া হবে আন্তঃরাজ্য এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি চালু করার বিষয়ে। তবে এই সব কিছু এখনও পর্যন্ত ভাবনাচিন্তার স্তরেই রয়ে গিয়েছে। বাস্তবটা ১৫ এপ্রিলের পরেই বোঝা যাবে। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, সর্বত্র লকডাউন না-তুলে সংক্রমণ ও হটস্পটের (Hotspot) নিরিখে গোটা দেশকে তিন বা তার বেশি জোনে ভাগ করা হোক। একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রতিটি জোনের অবস্থা খতিয়ে দেখে লকডাউন তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক আলাদা আলাদা করে। গত বছরই অ্যামাজন অরণ্যে আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বিশ্বে। কয়েক মাস পর ভয়াবহ দাবানলের গ্রাসে চলে যায় অস্ট্রেলিয়া। শুশুনিয়ার ক্ষেত্রেও তেমনই বেদনাদায়ক ছবি সামনে এল। করোনারি আতঙ্কের পরিবেশের লকডাউন এর আতঙ্কের পরিবেশে পুলিশ, ডাক্তার ও নার্সদের প্রশংসা না করে উপায় নেই। দিনরাত তাদের সেবার মাধ্যমে জনগণ সুস্থ হয়ে উঠছে ।এক ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ রেখেছেন জনগণকে ।ফুটপাতে অসংখ্য না খেতে পাওয়া মানুষকে খাওয়াচ্ছেন বৃদ্ধদের বাজার করে দিচ্ছেন কোন অসহায় মহিলাকে সাহায্য করছেন । একমাত্র কারো ক্ষতি করার জন্য বাহুবলের প্রয়োজন, তা না হলে ভালোবাসা যথেষ্ট। বাঁকুড়া জেলার ছাতনা থানার অন্তর্গত শুশুনিয়া পাহাড়ের ঢালে বিস্তৃত জঙ্গলে গতকাল দুপুরের পর আগুন লাগে। গোটা পাহাড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। অসৎ উদ্দেশে শুকনো পাতায় আগুন লাগানোর ফলেই এই বিপত্তি বলে ধারণা এলাকাবাসীর। বিকেলে দমকল বাহিনী সেখানে গেলেও বিপুল এলাকার কারণে, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। রাতে তা ভয়াবহ আকার নেয়। আজ সকাল থেকে দমকল ও বনকর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে রেঞ্জার জানিয়েছেন। সারা রাত ধরে চলা দাবানলে পাহাড়ের জীব বৈচিত্র্য অত্যন্ত সঙ্কটের মুখে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনাভাইরাস ঠেকাতে সবার প্রথম সাফল্য পেয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। কারণ তারা বিপুল পরিমাণে পরীক্ষা করে সাধারণ সুস্থ মানুষকে রোগীদের থেকে আলাদা করতে পেরেছিল। তারা সেই সংক্রমণে রাশ টানতে পেরেছিল। ফলে দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে মডেল হয়ে যায়।
ক্রমশঃ ----------
=========================================================
Better Some Tabs. For You
1.
Samsung Galaxy Tab A 10.1 (10.1 inch, RAM 2GB, ROM 32GB, Wi-Fi-Only), Black
Deal Price: Rs. 12,499.00
Extra 10% direct off on SBI Card (20-23 Jan, 2021)
For Details CLICK HERE
Lenovo Tab M10 HD Tablet (10.1 inch, 2GB, 32GB, Wi-Fi Only) Slate Black
Samsung Galaxy Tab A7 (10.4 inch, RAM 3 GB, ROM 32 GB, Wi-Fi-only), Grey
Deal Price: Rs. 16,999.00
Extra 10% direct off on SBI Card (20-23 Jan, 2021)
For Details CLICK HERE
=======================
========================