অপরাজিতা
শুভশ্রী দাস
"তোমার নৌকর মুখোমুখি আমার সৈন্য দল ,বাঁচার লড়াই" গান শুনে ঘুম ভাঙল অপু র।বরাবর এর অভ্যাস ।গান শুনে ঘুম ভাঙার ।আজও তাই ।তবে আজ অন্যরকম, কারন আজ ওর ডির্ভোস এর বছর পূর্তি ।মনে আসছিল পুরোনো স্মৃতি।মানুষ বড্ড বদলে যায়।
মা আসছি বলে অপু বেরিয়ে গেল।
ওরে খেয়ে যা!
সময় নেই দেরী হয়েছে।মা বুঝেছিল আজ মেয়ে অন্যরকম।সেটাই স্বাভাবিক ।
অফিস এ ঢুকতে অপু কে স্যার বললেন কেবিন এ এসো দরকার আছে ।
বললেন তোমার যায়গায় অন্যজন আসবে।
মানে স্যার, আমি কী তাহলে,,,,
আরে না না।
তোমার প্রমোশন হয়েছে।
তুমি শুধু ইন্টারভিউ এর নোটিস টা রেডি করে দাও ।
আজ অপুর খুব আনন্দ ।যাকে বলে কাটা ঘায়ে মলম।
হ্যাঁ স্যার করে দিচ্ছি।
তুমি কাল একবার কলকাতা যেও ।ওখানেই তোমার প্রমোশন প্রোগ্রাম হবে।আমিও যাব।
মি:বসু কাল একটু অফিস দেখবেন আমি থাকছি না।
অপরাজিতা এস এখন।
আজ প্রথম ইন্টারভিউ নেবে অপু।সবাই ম্যাডাম বলে ডাকছে।একদিন কত লাঞ্ছিত হয়ে ছিল
সত্যিই সময়ের কাছে আমরা খুব ছোটো ।
ভেতরে আসুন ।
নাম কী?
অর্ঘ্য বোস।
নাম টা শুনে হতভম্ব ভাবে তাকাল।
অনেকটা সামলে নিল সে।
আজ বিচ্ছেদ এর দিন মহামিলন ।
এখন দুজন এক জায়গা তে কাজ করে।
অপুর মা জানে না।
আসলে তারা আবার আগের মতো হতে চায় ।
ভুলে যেতে চায় পুরোনো গল্প ।আজ ওরা অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বেরিয়েছে।আজ ওদের আবার জন্ম হলো ।
আর সত্যি কথা বলতে কী অফিস এর স্যার আর অর্ঘ্য দুই বন্ধু।স্যার চেয়েছিল বিচ্ছেদ বললে বা একটা সই করলে বিচ্ছেদ হয় না।ভালবাসা হল চিরবসন্ত চির রঙিন।
-------------