দুর্ঘটনার কারণে
প্রতীক মিত্র
না।মোটেই একপেশে না।দু'পক্ষই যথেষ্ট পুড়েছে আবার যখন ইতিবাচকের আলো পেয়েছে ছড়ানো-ছিটোনো কোলাজগুলো জুড়েছে দু'পক্ষই। দোষ কারো একার নয়, সম্পর্কের আয়ুষ্কাল তা সে যতটাই হোক না কেন তার জন্যও প্রশংসিত কেউ একা নয়। দু'জনে এখন একে অন্যের থেকে অনেক দুরে। যোগাযোগ করার বিষয়ে তাগিদ নেই বিন্দুমাত্র।বন্ধু, বাড়ির লোক আর হাতে গোণা পরিচিত যারা জানে ওদের বিষয়টা তারাও দেখেছে ওদের উদাসীনতা। ভাবখানা হল এইতো বেশ চলছে, আর কি দরকার।দিন দিনের মতন,রাতের চেহারা রাতের মতন।ছেলেটি প্রথম প্রথম এই বিচ্ছেদ মেনে নিতে না পেরে বিভিন্ন উপায়ে চেষ্টা করতো মেয়েটিকে সম্পর্কে ফেরানোর।পারেনি।ঘুমের ওষুধ খেয়েছে একাধিক বার।না তার কিছু হয়েছে না সেটা শুনে মেয়েটি দিয়েছে কোনো প্রতিক্রিয়া। মেয়েটিও খুব চেয়েছিল ছেলেটির সাথে মিটমাট হয়ে যাক কিন্তু তার তাগিদটা উঠেছিল পরে,ছেলেটির উদ্যোম কেটে যাওয়ার পরে। ফলে মন খারাপ উভয় পক্ষে হলেও সে মন খারাপ কখনো সেই পর্যায়ে পৌঁছায় নি যাতে করে ঘৃণা বা বিদ্বেষ একে অন্যের প্রতিনাম হয়ে দাঁড়ায়।
সেই দু'জনেরই আজ এখানে আসার কথা।দু'জনেই আমার বিশেষ পরিচিত।আমার দুর্ঘটনার কথা শুনে দু'জনেই দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল।ফোনে কথা বলে ভিডিও কলে দেখেও তারা সন্তুষ্ট হয়নি।ভিন রাজ্য থেকে হাজির হয়েছে আমাকে দেখবে বলে।আমি আগেভাগেই বলে রেখেছিলাম দু'জনকেই যে ওরা একই দিনে আসবে,অস্বস্তি হবে না?ওরা বিষয়টা গায়েই মাখেনি।
দেওয়ালে একটা ল্যান্ডস্কেপ আঁকা ছিল।ফ্রেম-টেম দিয়ে বাঁধানো।ওরা যে যার সময় মত আসে।একসাথে কথা হয়,খাওয়া এবং মদ…সবই।আমি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলাম যে ছবিটা সরাতে পারিনি বলে।ওরা হাবেভাবে আলাদা আলাদাভাবে যা বোঝালো তাতে মনে হল,ছবিটা থাকাতে তারা বেশ যেন খুশিই হয়েছে।
প্রতীক মিত্র
কোন্নগর, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
ফোন: 7044171752