শ্রীকৃষ্ণকীর্তণ
তরুণ মান্না
--স্যার,একটু কথা ছিল।বাংলা অনার্সের ক্লাস থেকে বেরোতে গিয়ে থমকে দাঁড়ালেন খ্যাতনামা অধ্যাপক।
--হ্যাঁ,কী বল?
স্যার,বৈষ্ণবপদাবলীটা যদি একটু...।লজ্জাবনত মুখ।
--ঠিক আছে সন্ধ্যের দিকে চলে এসো আমার বাসায়।
ছাত্রীটি পড়তে মাঝে মধ্যে অধ্যাপকের বাসায় আসে।আজ অধ্যাপক পড়াচ্ছেন 'পূর্বরাগ ও অনুরাগ' ।--" 'সই কেবা শুনাইল শ্যাম-নাম।/কানের ভিতর দিয়া মরমে পশিল গো/আকুল করিল মোর প্রাণ।।'এখানে রাধা শ্যামের নাম
শুনেই পাগল।শ্যাম-নাম তাকে আকুল করে তুলেছে ...।"
প্রথম বর্ষের ছাত্রীটি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।তার মন চলে যায় বৃন্দাবনে।মনে হয়,শ্যামরায় তার সামনে বসে আছে।মধুর সুরে
বাঁশি বাজাচ্ছে।সেই মোহন বাঁশির সুরে উথালি-
পাথালি তার মন।কৃষ্ণের চতুর চাহনি অস্ফুট কামনার সুরভিতে সে দিশেহারা।পাগলিনী রাধা।
যমুনায় জল আনতে এসে ভেসে গেল তার গাগরি।ভেসে গেল কুল মান মর্যাদা।কুশলী কৃষ্ণের মিষ্টি হাসির চোরাস্রোতে একটু একটু করে সরে যেতে থাকে তার পায়ের তলার মাটি।
প্রবল স্রোতে সে ভেসে যেতে থাকে।কূলহীন দিশাহীন অথৈ দরিয়ার পানি...
..........................