নিরু বাড়ি ফেরেনি
অশোক দাশ
গতকাল ছিল নিদ্রাহীন রাত। আতঙ্কের প্রহর গুনতে গুনতে সকাল হয় ।মা- বাবা বাড়ির সকলে উদ্বিগ্ন ।
এমন সময় বিধ্বস্ত শরীরে নিরু বাড়ি ফেরে ।মা উদ্বিগ্ন হয়ে জিজ্ঞাসা করে , নিরু সারারাত কোথায় ছিলিস? নিরুত্তর নিরু ---
চোখ দিয়ে টপ্ টপ্ করে ফোঁটা ফোঁটা জল ঝরে পড়ে । বাবা আর স্থির থাকতে না পেরে নিরুকে দুহাতে ধরে ঝাঁকুনি দিয়ে জিজ্ঞাসা করে , নিরু বল চুপ করে থাকিস না , তোকে কি কেউ--- বাবার কথা শেষ করতে না দিয়ে নিরু কান্না ভেজা কন্ঠে বলে ওঠে, ছেলেটাকে বাঁচাতে পারলাম না বাবা ----।
কে কাদের ছেলে? মা জানতে চায়।
পাশের বস্তির একটি ছেলে ।নাম রনজয়। বয়স বছর পনেরো হবে । এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ।ওদের বাড়ির সকলেই করোনা আক্রান্ত । বাড়িতেই চিকিত্সা চলছিল ।হঠাত্ করেই রণজয়ের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায় ।খবরটা শোনার পর আমরা কয়েক জন বন্ধু মিলে এমবুলেন্সের খোঁজ করি কিন্তু না মেলায় ট্রলি ভ্যানে চাপিয়ে টানতে টানতে হসপিটালের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে থাকি ।কোথায় ভর্তি করতে না পেরে নার্সিং হোমের সন্ধানে ছুটছি ইতিমধ্যে রনজয়ের শ্বাস কষ্ট বাড়তে থাকে, অবশেষে বিনা চিকিত্সায় পথেই রনজয় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে ।
এখনও ওর আর্তস্বর আমার কানে বাজছে, আমি বাঁচতে চাই, আমাকে বাঁচাও------।
----------------------------
ভোজান, রসপুর, হাওড়া, পঃবঙ্গ, ভারত
মোবাইল নং:- 8348725333