ছোটগল্প ।। শুক্লপক্ষ ।। বাণীব্রত গোস্বামী
রাত প্রায় সাড়ে বারোটা। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ ঢুকল শুভেন্দু'র। নামী কোম্পানির প্রতিষ্ঠিত সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। পাশে শুয়ে আছে অতসী। এতক্ষণ শুভেন্দুর মাথার চুলের মধ্যে আঙুল চালাচ্ছিল। নিঃশ্বাসটা এখন জোরে পড়ছে। মনে হয় ঘুমিয়ে পড়েছে। আস্তে করে মোবাইলটা খুলল শুভেন্দু। বিপাশা এত রাতে! মেসেজটা খুলল! 'টিভি দেখেছ?'
শুভেন্দুর প্রশ্ন, 'কেন? কী হয়েছে?'
--- 'দীঘার হোটেলে মার্ডার। আজ বিকেলে ঘর থেকে লাশ'।
--- তাতে আমাদের কী?
--- 'এতো আজব বোকা! বউয়ের পাশে শুয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছো! আমাদের হোটেলটায়,মানে আমাদের দুটো ঘর পরেই।'
--- 'সেকি!'
--- 'সেকি নয়, একি! পুলিশ ভিজিটার্স খাতা নিয়ে গেছে।'
--- 'আমার তো আধারের জেরক্স দেওয়া আছে!'
--- 'তোমাকে ফোন করলে তুমি আমার কথা বলবে না'।
--- 'মানে?'
--- 'মানে কিছু নেই। আমার পরিবার আছে'।
--- 'আমার নেই?'
--- 'সে আমার জানার দরকার নেই'।
--- 'ঠিক আছে এখন রাখো। কাল বিকেল চারটে, নিউটাউন কফি হাউস। গুড্ নাইট'।
--- 'আর গুড্ নাইট। জানিনা কপালে কী আছে!'
শুভেন্দু উঠে সিগারেট ধরাল। অতসীর সাথে ওর বিয়ে হয়েছে পাঁচ বছর। দুবছরের মাথায় অতসীর গর্ভে সন্তান এসেছিল, কিন্তু কোলে আসেনি। তার আগেই সব শেষ হয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকেই ওদের সম্পর্কটা কেটে যাওয়া দুধের মত। কোন কোন সময় ছানার মত জমে, বাকি বেশিরভাগটাই জল। খুবই জোলো। অতসী স্কুলে পড়ায়। টিউশনিও করে। শুভেন্দুর মতই ব্যস্ত। সংসারের দুধে জ্বাল দেওয়ার সময় কারোরই নেই। ফলে সর্ না ওঠাই স্বাভাবিক। আছে এক ছাদের নীচে। কিন্তু সেই ফাঁকটা মনের সুতো দিয়ে সেলাই করা হয়নি। সংসারের চাপে ছিদ্রটা বাড়ছে। ক্রমশ। সেই ফাঁক দিয়েই বিপাশার প্রবেশ। অতসী তবুও মাঝেমধ্যে চেষ্টা করে। সন্তান না থাকায় শুভেন্দুর পিছুটান-টা কমে গেছে। আর অতসীর পাঁচ বছরের চেনা শরীরটা অনুঘটকের কাজ করে না। তবু মাঝেমাঝে যেটা হয়, সেটা নিত্যকর্ম। আর যাই হোক ভালোবাসা নয়। ঝগড়া হয়। সে তো সব সংসারেই হয়। ঝড় উঠতেই পারে, কিন্তু ঝড়ের পরে প্রবল বৃষ্টিতে সেই ভিজিয়ে দেওয়াটা নেই, যেটা প্রথম দুবছর ছিল।
পরদিন সকাল। ঠান্ডাটা বেশ জমিয়ে পড়েছে। গতকাল কত রাতে ঘুমিয়েছে শুভেন্দুর খেয়াল নেই। অতসীর ডাকে ধড়মড় করে উঠল। অতসীর গলায় হালকা ঝাঁঝ।
"মাঝরাতে অবধি মোবাইল ঘেঁটে, বেলা অবধি শুয়ে পড়ে থাকলে সংসার চলবে? মঞ্জুমাসী এখনই এসে যাবে। বাজার যা আছে তাতে হবে না।অন্তত দয়া করে ডিমটা এনে দাও।"
শুভেন্দু লাফিয়ে উঠে মোবাইল-টা খুলল।
এবার অতসীর ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল। "এই মোবাইল আর ফেসবুক। ইন্টারনেটের বাংলাটা আন্তর্জাল না হয়ে অন্তর্জলীযাত্রা হওয়া উচিত।"
অন্যদিন হলে, শুভেন্দু মেজাজ হারাতো। কিন্তু আজ নিজের ল্যাজেই গোবর। মাখন মিশিয়ে বলল, "যা…চ্ছি যাচ্ছি।" বলেই টিভিটা চালাল। আবোলতাবোল সব খবর দেখাচ্ছে। দেশ বিদেশের সব খবরই আজ মিথ্যে। আসল খবরটা দাঁত মাজতে মাজতে খুঁজছে শুভেন্দু। হঠাৎ অতসী চা নিয়ে বসল টিভির সামনে। আরে, ও তো রোজ এই সময় মেডিটেশন করে। কিছু বলতেও পারছে না শুভেন্দু। আর ঠিক সেই সময়ই ব্রেকিং নিউজ, 'দীঘার হোটেলে পানশালার নর্তকীর দেহ উদ্ধার'। শুধু তাই নয়, খবর দেখানোর সাথে সাথে সি.সি. টিভি ফুটেজ থেকে গত দুদিনের সব পর্যটককেই দেখাতে লাগল। শুভেন্দুর বুক ধড়ফড় করছে। অতসী হঠাৎ বলে উঠল, "দ্যাখো দ্যাখো, এই লোকটার চেহারাটা পুরো তোমার মত।"
ও..ফ্, যেখানে বাঘের ভয়, সেটাই দেখতে হয়। নিজেকে সামলে নিল শুভেন্দু। স্বভাবিক গলায় বলে উঠল, "আরে, পৃথিবীতে একই রকম দেখতে সাতজন মানুষ থাকে। হতেই পারে।"
কে, কোথায়, কবে, বলেছে শুভেন্দু জানে না। অতসী চুপ করে রইলো।
দোকানে গেল শুভেন্দু। মাথার মধ্যে একটাই চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। এই খবরের চ্যানলগুলোর তো খেয়েদেয়ে কাজ নেই। একটা খবর পেলে হল, সারাদিন কচলাবে। বারবার করে অতসী লঙ্কা আনতে বলেছিল, ভুলে গেল। মাথার আর দোষ কী! মাথার মধ্যে যা লঙ্কাকান্ড চলছে। তবুও ভাগ্য সহায়। বিপাশা যে নতুন সোয়েটারটা কিনে দিয়েছিল, সেটা পরা ছিল। যাক, ওটা এখন লুকিয়ে ফেলতে হবে। তবে, যে করোনার অতিমারীতে সারা বিশ্ব জর্জরিত। সেই করোনা এখন শুভেন্দুর কাছে ঈশ্বরের আশীর্বাদ। মুখে মাস্ক আর মাথায় ক্লিনিকাল টুপি না থাকলে যে কী হতো, ভেবেই শুভেন্দুর জিভ শুকিয়ে যাচ্ছে। গলা দিয়ে আজ ভাত নামছে না। তাও দুটো নাকে-মুখে গুঁজে অফিস বেরোলো।
ঠিক বিকেল চারটে। নিউ-টাউন কফিহাউস। বিপাশা এল দশ মিনিট পর। এসেই সরাসরি প্রশ্ন, "কী ঠিক করলে?"
--- "আমি কী করব?"
--- "আমি কী করব মানে! তোমার যে বন্ধু লালবাজারে চাকরি করে, তাকে ফোন করেছ?"
--- "তাকে ফোন করতে যাব কেন? আমার কি কোন প্রেস্টিজ্ নেই?"
--- "এখন প্রেস্টিজ দেখাচ্ছ? বউকে শিলিগুড়িতে কনফারেন্স আছে বলে, দীঘায় লোকের বউ নিয়ে ফূর্তি করতে পারো! আর এখন প্রেস্টিজ্!"
এ কোন বিপাশাকে দেখছে শুভেন্দু! এ কী সেই বিপাশা! যে বিপাশা এই শহরের দূষিত বাতাসের মধ্য একটুকরো বিশুদ্ধ প্রশ্বাস। পরশু দিনই তো যার শরীরে যাবতীয় একঘেয়মিতা থেকে মুক্তি লুকিয়ে ছিল। প্রতিটি স্পর্শে নতুন আবিষ্কার। এক মুহুর্তে সব ওলটপালট। একটা ছোট্ট ঘটনা জীবনের পরীক্ষা নিচ্ছে। প্রেমের রসায়নে, সম্পর্কের লিটমাস তার আসল রঙ বলে দিচ্ছে। আবার বিপাশার কথায় চমকে উঠল শুভেন্দু। বিপাশা পেশাদারী ভঙ্গিমায় বলে উঠল, "শোন আমার স্বামী আছে, মেয়ে আছে, আমি কোন রিস্ক নিতে পারব না। পুলিশ যদি তোমায় ফোন করে আমাকে জড়াবে না। তুমি কী করবে তোমার ব্যাপার।"
--- "তা কী করে হয়? দোষ আমরা দুজনে করেছি। যা হবে দুজনে ফেস্ করব।"
এবার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এল বিপাশা। বিপাশার অন্য চেহারা ফুটে উঠল। ঝেঁঝিয়ে উঠল, "আমার সংসার যদি ভাঙ্গে, তোমার জীবন আমি নরক বানিয়ে দেব।"
সূর্য ডুবছে। কফিহাউসের কাঁচ দিয়ে একটা কনে দেখা আলো এসে পড়েছে বিপাশার গালে। তবু একটুও ভালো লাগছে না শুভেন্দুর। অথচ ও তো বলেছিল, সংসার ওর কর্তব্য, দায়িত্ব। যেটা ও বুদ্ধি দিয়ে সামলায়। কিন্তু ওর মনে শুধু শুভেন্দু। দীঘার সৈকতে বসে পরশুও বলেছিল, 'তুমি আমার সারা শরীরে যে কবিতা লিখে দাও, তার ছন্দ আমি কোথাও পাই না। তুমি না থাকলে আমার জীবনটা মরুভূমির মত শুষ্ক। কথা দাও, তুমি চিরকাল আমার মরুদ্যান হয়ে থাকবে।'
কিন্তু আজ বিপাশার অন্য রূপ। সে শুধু গোলাপ চায়। কাঁটার ভাগ সে নেবে না। সমাজ, সংসার, জীবন সব ঠিক তালে বাজবে। সে শুধু মাঝেমধ্যে বেসুরো গাইবে। সেটা তার ব্যতিক্রমী আনন্দ। 'নিপাতনে সিদ্ধ'র মত। যাতে একঘেয়ে সুর নতুন করে কানে বাজে। আর এই স্বাদ পরিবর্তনের উপকরণ হল শুভেন্দু। এর বেশি কিছু নয়। উঠে পড়ল শুভেন্দু। এবার হাত ধরল বিপাশা। গলায় ছলনার সুর, "তুমি রাগ কোরো না। একটু বোঝার চেষ্টা কর। তুমি পুরুষ মানুষ। হীরের আংটি। কিন্তু আমি তো একজন মহিলা। কারোর স্ত্রী, কারোর মা। আমার কথাটা একটু ঠান্ডা মাথায় ভাব। তুমি আমার জন্য এইটুকু করতে পারবে না। প্লি….জ, একটু সামলে নিও।"
শুভেন্দু কথা বাড়ালো না। উঠে পড়ল। অতসী বাসে উঠে গেল। কুয়াশা নামছে। ঝাপসা হয়ে আসছে চারিদিক। গাড়ির জোরালো আলোগুলো যেন ওর মনের ভেতর ঢুকে যাচ্ছে। সব পরিষ্কার করে দিচ্ছে। পুরুষ বলে কী তার সমাজ নেই, সম্মান নেই। তার কী জীবন, সংসার কিচ্ছু নেই। অতসীর মুখটা মনে পড়ল। কী অসম্ভব বিশ্বাস করে সে শুভেন্দুকে। তোষামোদ করে সংসার টিকিয়ে রাখতে চায় না। তার ভালোবাসাতে অভিনয় নেই। মুখঝামটাতে দূরত্ব নেই। সেই অতসীকে সে ঠকিয়েছে। নিজের কাছেই নিজে খুব ছোট হয়ে গেল শুভেন্দু। এর থেকে বড় শাস্তি আইনের হাতে নেই।
পরদিন ৩১শে ডিসেম্বর। বেলা দুটো। টিফিন সেরে একটা সিগারেট ধরিয়েছে শুভেন্দু। হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠল। স্ক্রীনে ফুটে উঠল 'পাশা'। ইচ্ছে করেই এভাবে সেভ্ করা।
--- "হ্যা….লো?"
--- "এই টিভি দেখেছ? খুনী ধরা পড়ে গেছে।"
--- "ধরা অনেকেই পড়ে গেছে বিপাশা।"
--- "তুমি কিন্তু এখনও আমার ওপর রাগ করে আছ। এই জানো, ঐ যে, ঐ ওয়েটারটা বংশী না, কী নাম যেন, ও-ই খুন করেছে। টাকা-পয়সা, গয়নার লোভে খাবারে বিষ মিশিয়েছিল, তারপর সব চুরি করে দরজা বাইরে থেকে লক করে চম্পট। কী হল? তুমি কোন কথা বলছ না?"
--- "ভালো হয়েছে। আমাদের আর কোন টেনশন থাকল না।"
--- "চল না গো। আজকের দিনটা সেলিব্রেট করি। নলবনে আসবে? আজকে তো থার্টি ফার্স্ট। খুব মজা হবে।"
--- "না, আমার কাজ আছে।"
--- "আজকে আবার কীসের কাজ?"
--- "একটা বিষ মেশানো হত্যা হয়তো একটা অমৃতের সন্ধান দিল, ও তুমি বুঝবে না।"
বলে ফোন কেটে দিল শুভেন্দু।
আজ উত্তুরে হাওয়াটার বেশ দাপট আছে। সুদূর বরফমোড়া পাহাড় থেকে ঠান্ডা বয়ে নিয়ে আসছে। এক ঝলক কনকনে হাওয়া শুভেন্দুর মাথাটা শীতল করে দিল। পিছনের বড় ঝিলটায় কিছু পরিযায়ী পাখি এসেছে। কত দূর থেক উড়ে এসেছে ঘর বাঁধবে বলে। কত মন দিয়ে বাসা বাঁধছে শিরীষের ডালে। দুজনে। কত প্রেম! মনের কুয়াশা কেটে যাচ্ছে। মনে পড়ল, সেই ভয়ঙ্কর দিনের কথা। অতসীকে বারবার বলেছিল, নয় ছুটি নাও, না হলে চাকরি ছেড়ে দাও। অতসী কথা শোনে নি। ভয়ঙ্কর সংবাদটা এরকমই এক শীতের দুপুরে এসেছিল। স্কূলফেরৎ বাস থেকে নামতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিল অতসী। নষ্ট হয়ে গেল ওদের প্রেমের ফসল। হারিয়ে গেল নান্দনিক আনন্দে পাওয়া ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ উপহার। সন্তান। খুব রাগ হয়েছিল শুভেন্দুর। চারিদিকে শুধু শূন্যতা। সেই শূন্যতা একদিন ভরাট করে দিল বিপাশা। সংসারের মাধ্যাকর্ষণ কমতে লাগল, দূরত্ব বাড়তে লাগল অতসীর সাথে। কিন্তু আজ বুঝতে পারছে শুভেন্দু, যে; আলো জ্বেলে রাতকে দিন করা যায় না। শুধু সামান্য আলোকিত করা যায় মাত্র।
আজ একটা গোলাপের তোড়া কিনেছে শুভেন্দু। সঙ্গে কিছু খাবার। দরজা খুলল অতসী। লাল রঙের শাড়ির ওপর, একটা চন্দন রঙের চাদর। শুভেন্দুর মায়ের চাদর। বাড়িতে গায়ে দেয়। ওতে মায়ের গায়ের গন্ধ আছে। শুভেন্দুর ভালো লাগে। চুলটা আজ আলগা খোঁপা করা। ঘাড়ের নীচে, পিঠের ওপর অলসভাবে দুলছে। আজ ছুটি ছিল অতসীর। কোন সাজ নেই চোখেমুখে। তা-ও সুন্দর লাগছে। মায়ের মত। শুধু নীচের টুকটুকে লাল শাড়িটা সময়কে এগিয়ে এনেছে। ফুলের তোড়াটা অতসীর হাতে দিয়ে বলল, "হ্যাপি নিউ ইয়ার।"
অতসীর অবাক হয়ে প্রশ্ন, "হঠাৎ ফুল, খাবার। তোমার শরীর ঠিক আছে তো?"
---- "শরীর নয়,মনটা ভালো আছে।"
--- "কেন গো? প্রোমোশন?"
--- "হ্যাঁ জীবনের সিঁড়িতে।"
--- "তোমার কথার মানে বুঝি না বাপু!"
--- "যাই, স্নান সেরে আসি।"
--- "এই ঠান্ডায় এত রাতে স্নান করবে!"
--- "স্নান আজ আমায় করতেই হবে অতসী।"
খেতে খেতে অনেক গল্প করল ওরা। টিভি দেখতে দেখতে। বারান্দায় এসে একটা সিগারেট ধরাল শুভেন্দু। অতসী এসে পিছনে দাঁড়াল। একটু গা ঘেঁষে। চাঁদের আলো কার্ণিশ বেয়ে বারান্দায় পড়েছে। মাঝেমধ্যে বাজি ফাটছে। হঠাৎ আকাশের অন্ধকারটা কেটে যাচ্ছে। গোপন তারাগুলো মিটমিট করে উঠছে। পিছনে চলে যাচ্ছে একটা বিষাক্ত বছর, আসছে আগামী দিনের ডালি নিয়ে একটা নতুন আশার বছর। প্রায় বারোটা। ঘড়ির দুটো কাঁটা খুব কাছাকাছি চলে আসছে। একটা, আর একটার ওপর উঠে যাচ্ছে। অতসীর সারা শরীর কাঁপছে। বুঝতে পারছে এ আদরে শুধু শরীর নেই, মন আছে। শুভেন্দু অতসীর গালে নাক ঘষে বলল, নতুন বছর নতুন সূর্য, নতুন আলো, সব অন্ধকার কেটে যাবে।
--- জানি, মনে হচ্ছে, সে আসছে।
--- কে?
--- ধ্যাৎ….
-----------------------------------------
নাম- বাণীব্রত গোস্বামী
ঠিকানা- ৯/৬ ইস্টমল রোড্, কোলকাতা- ৭০০০৮০.