রবিন ও তাপসীর ১৫ তম বিবাহ বার্ষিকীর আর মাত্র চার মাস বাকি । এবারের বিবাহবার্ষিকী টা একটু অন্যরকম ভাবে পালন করবে বলে দুজন মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল । কিন্তু অল্প কয়েকদিনের মধ্যে রবিন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে । অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারলো , রবিনের দুটো কিডনি - ই নষ্ট হয়ে গেছে । ডাক্তারবাবু জানিয়ে দেন , মাসখানেকের মধ্যে কিডনি না পাল্টালে আর বাঁচানো যাবে না । এই খবরে তাপসী বিমর্ষ হয়ে পরে । কেননা কিডনি পাল্টানোর ক্ষমতা তাদের মত সাধারন পরিবারের পক্ষে কখনোই সম্ভব নয় । কিন্তু তাপসী স্বামীকে বাঁচাতে দৃঢ় সংকল্প ।
ডাক্তারদের সঙ্গে নানা রকম শলাপরামর্শ করে তাপসী । এরপর ঠিক বিবাহ বার্ষিকীর দিন সে নিজের একটি কিডনি স্বামীকে দান করে ১৫ তম বিবাহ বার্ষিকী কে স্মরণীয় করে রাখলো । সেদিন হয়তো ছিল না আলোর রোশনাই , ছিল না গোলাপের সুগন্ধি তোড়া , ছিলনা হীরের আংটি - কিন্তু যে উপহার তাপসী স্বামীকে দিয়েছিল পৃথিবীর কোন উপহারই এরচেয়ে কোনদিন দামি হতে পারে না ।
স্ত্রীর দেওয়া উপহার নিয়েই আজ আর দশটা মানুষের মতো স্বাভাবিক জীবন-যাপন করছে রবিন।
------------------------
খিদিরপুর
বালুরঘাট
দক্ষিন দিনাজপুর
পশ্চিমবঙ্গ