রাতের খাবার সবে শেষ করলাম , ঠিক তখনই কারেন্টটা চলে গেল। মনটা একরাশ বিরক্তিতে ভরে গেল। মনে মনে কারেন্টকে গালাগালি দিতে দিতে বাড়ির পেছনে কলপাড়ে গেলাম হাত ধুতে। সারা গ্রাম অন্ধকার হয়ে আছে। হাতরে হাতরে কলটা ধরে চাপতে যাব, তখনই পায়ে কী একটা জড়িয়ে গেল। আমার মেজাজটা আরও বিগড়ে গেল। চিৎকার করে বললাম, " এখানে দড়ি কে ফেলে গেছে ?" আমার চিৎকার শুনে বাবা ভেতর থেকে একটা হ্যারিকেন নিয়ে এদিকে আসতে আসতে বললেন, " কী হয়েছে , কোথায় দড়ি ?" আমি পায়ের থেকে দড়িটা খুলে সেটা হাতে নিয়ে বললাম, " এই দেখ।" বাবা হ্যারিকেনটা নিয়ে আমার হাতের সামনে ধরে বলল, " কোথায় দড়ি দেখি ?" আমি হাতটাকে আলোর সামনে এনে বললাম, " এই দেখো দড়...দ..ড়ি...." । হাতের বস্তুটিকে দেখে আমার মাথা চক্কর দিয়ে উঠল। ওটা মোটেই দড়ি নয়, একটা সাপ ! চিতৎকার দিয়ে আমি অজ্ঞান হয়ে গেলাম।
পরিশিষ্ট : যখন জ্ঞান ফিরল, তখন আমি আমার খাটে শুয়ে আছি। বাবা আমাকে বলল, " এখন আর ভয়ের কিছু নেই। তুই যে সাপটা হাতে নিয়েছিলি ওটা একটা নির্বিষ সাপ ছিল। আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। একেই বলে, " রজ্জু ভ্রমে সর্প" ।
❌❌❌
আবির চক্রবর্তী
শ্যামাশ্রী পল্লী, ঘোলা
কদমতলা, সোদপুর ।