মনে আছে সেনা ছাউনির সেই আফগান সেনা অফিসারকে, কাবুল নদীর প্রেমে যে পাগল ছিল? বাঙালি লেখক যার আতিথেয়তা ভুলতে পারেননি বলে তাঁর উপন্যাসে জানিয়ে গেছেন আমাদের? চাঁদের আলোয় কাবুল নদীর অপরূপ সৌন্দর্য আর দেশপ্রেমের উষ্ণ ছোঁওয়া দিয়ে লেখককে অভিভূত করেছিল বন্দুক হাতে নেওয়া, সামরিক পোশাকে সজ্জিত এক তরুণ আফগান যুবক। আজ রক্তে ভাসছে সেই কাবুল নদী। মৃত্যুনীল অবসাদ তার শান্ত উপত্যকা জুড়ে। যুবতীর হাহাকারে অন্য শব্দ বাজছে না কানে। বন্দুকের নলের সামনে অসহায় বলিষ্ঠ আফগান যুবক। আবার উদ্বাস্তুতে ছেয়ে যাবে আসন্ন সময়। আবার শিকড় ছিঁড়ে ভেসে যাওয়া অজানার বুকে। সভ্য পৃথিবীর নির্বাক, নিথর ভূমিকা পালন- আবার দেখতে হবে দুচোখের জল চেপে রেখে। সভ্যতা কাকে বলে? ভদ্রভাবে মেনে নেওয়া অন্যায় তান্ডব? সভ্যতা কাকে বলে? অপমানে লাঞ্ছিত, বেদনায় ভেঙে পড়া নারী? সভ্যতা কাকে বলে? বন্ধ করে চোখ, কান, মন- বন্ধ করে মনুষ্যত্ব বোধ- শুধু সয়ে যাওয়া, শুধু ক্ষয়ে যাওয়া, শুধু বয়ে যাওয়া- উদয়ের থেকে অস্ত, জীবনের থেকে মৃত্যু? রোজ.. রোজ... রোজ? ক্ষেতের যে আলটার ধারে আমার ঘর, যে কুয়ো থেকে আমি রোজ জল তুলি, যে কারখানার চিমনির ধোঁয়া আমি রোজ সকাল-সন্ধ্যায় দেখি, সেই আমার দেশ, আমার পরিচয়! হঠাৎ করে একদিন আর সেখানে থাকা চললো না। মায়ের পাশে ঘুমিয়ে থাকা শিশু দেখলো, মাকে ওরা কেড়ে নিয়ে গেলো। আর একজন মা- বাঁচানোর শেষ আশায়, একমাত্র সন্তানকে ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে কাঁটাতারের বেড়ার ওপাশে। সেখানে কি আছে, তাও সে জানে না। তবু সে নিশ্চিতের থেকে আজ অনিশ্চিতকে বেশী ভরসা করছে। বিশ্বযুদ্ধের বিভীষিকাময় সেই সব দিনগুলোতে ইহুদীরা নিজের দেশ ছেড়ে দলে দলে ছড়িয়ে পড়েছিলো সারা বিশ্বের আনাচে কানাচে। সাতচল্লিশের ইতিহাস বলে, দেশ ভাগের কারণে ভারতীয় উপমহাদেশের উদ্বাস্তুর সংখ্যা ছিলো দু'কোটির কাছাকাছি। পরিচিত মাটি ছেড়ে দলে দলে রোহিঙ্গারা আজ শরণার্থী শিবিরে বাস করে। কোথাও ওদের নাকি কিছু অধিকার নেই। আজ আবার আফগানিস্তানের দুয়ারে দুয়ারে কড়া নাড়ছে বন্দুকের নল- বিপন্ন, ঘরছাড়া হাজার হাজার মানুষ; সবাই জন্মভূমি, নিজের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে চায়। নতুন উদ্বাস্তুতে ছেয়ে যাবে পৃথিবীর আঙিনা আবার! অথবা কোনো একদিন সম্পূর্ণ পৃথিবীকে গ্রাস করবে সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসী সঙ্গীন।
সব মানুষই চায় তার নিজের জীবনটা সহজ ভাবে নিজের পরিসরে কাটাতে। কিন্তু পরিস্থিতি ও দুঃসময় মানুষকে বাধ্য করে দেশের বন্ধন কাটিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাতে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (UNHCR) তথ্যের উল্লেখ করে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো যে, ২০১৮ সালে বিশ্বে গড়ে প্রতিদিন ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এর ফলে মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার হার নাকি প্রতি দুই সেকেন্ডে একজন। ভাবা কি সম্ভব? যুদ্ধ, হিংসা, নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা বার বার যতো মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছে, তাদের মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যাই বেশী। আর এই সংখ্যাটা কিন্তু থেমে নেই, ক্রমশ বেড়েই চলেছে। গত ১০ বছরে এই স্থানচ্যুত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশী হয়ে গেছে। ২০০৯ তে এই সংখ্যা ছিল ৩৬ মিলিয়নের কাছাকাছি আর ২০২০ সালের শুরুতে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৮২.৪ মিলিয়ন। তার মধ্যে প্রায় ২৬ মিলিয়ন মানুষ উদ্বাস্তু আর তার মধ্যে প্রায় ৪ মিলিয়ন মানুষের কোনো দেশ নেই। পৃথিবীর মোট উদ্বাস্তু জনসংখ্যার অর্ধেকের বয়স ১৮ বছরের কম। এদের মধ্যে অর্ধেক বাচ্চাই সঠিক ভাবে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ থেকেও বঞ্চিত।
আলোচনার সুবিধার্থে স্থানচ্যুত মানুষকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। একটি হলো শরণার্থী, অন্যটি বাস্তুহারা। সংঘর্ষ, নিপীড়ন বা অন্য কোনো কারণে যেসব মানুষ নিজের দেশ ছেড়ে চলে গিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়, তাদের বলা হয় শরণার্থী বা উদ্বাস্তু (refugee)। আর যেসব মানুষ উপরোক্ত কারণগুলির জন্য নিজের দেশেরই অন্য কোথাও নতুন করে আশ্রয় খোঁজে, তারা হলো বাস্তুহারা। এদের বলা হয় 'Internally displaced person' বা সংক্ষেপে IDP। এশিয়া মহাদেশে উদ্বাস্তু সমস্যা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশী। ইরাক ও সিরিয়ার মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ও বিধ্বংসী যুদ্ধের ফলে, বহু পরিবার তার নিজ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। আফগানিস্তানে তালেবানরা দখল নেবার পর, দেশ ছেড়ে চলে যাবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে সে দেশের মানুষ। আকাশ পথে উড়ন্ত বিমান থেকে একজন জীবিত মানুষ নীচে পড়ে যাচ্ছে- নিজের দেশ ছেড়ে চলে যাবার চরম আর্তির এই করুণ পরিণতি, মাত্র কয়েকদিন আগে সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে আমরা সবাই প্রত্যক্ষ করেছি। সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে উদ্বাস্তুর ঢল তুরস্কে এসে আশ্রয় নেবার ফলে তুরস্কে এখন এশিয়ার মধ্যে উদ্বাস্তুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশী। আবার তুরস্ক থেকে উদ্বাস্তুরা গ্রীসের সীমান্তে প্রবেশ করার চেষ্টা করার ফলে তুরস্কের সঙ্গে গ্রীসের এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কে ফাটল দেখা দিয়েছে। ওদিকে মায়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও ব্যাপক গণহত্যার ফলে ২০১৭ সালে সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্য থেকে দলে দলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এসে মূলতঃ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে কক্সবাজারে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষ অবস্থান করছেন। চলতি বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশের কক্সবাজারের কুতুপালং শিবিরে বর্তমানে ৯ লাখের মতো শরণার্থী (আনুমানিক) রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা রেপটিম এর ২০১৮ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো শরণার্থী শিবির বলে চিহ্নিত হয়েছে বাংলাদেশের কক্সবাজারের কুতুপালং শিবির।
কুতুপালং ছাড়াও, সারা পৃথিবী জুড়ে শরণার্থী শিবিরের সংখ্যা অগণিত। তার মধ্যে বৃহৎ এবং উল্লেখযোগ্য কিছু শরণার্থী শিবিরের একটি হলো উত্তর-পশ্চিম উগান্ডার বিডি বিডি শরণার্থী শিবির। ২০১৩ সালে দক্ষিণ সুদানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। তার কবল থেকে বাঁচার জন্য পালিয়ে এসে এই গ্রামটিতে আশ্রয় নিয়েছিলো সেখানকার মানুষ। এর ফলে ২০১৬ সালে এখানে এই শিবির তৈরী করা হয়। বর্তমানে এই শিবিরে আছেন আনুমানিক ৩ লাখের কাছাকাছি শরণার্থী। সোমালিয়ার গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচার জন্য পালিয়ে আসা মানুষদের আশ্রয় দিতে, ১৯৯১ সালে চালু হয় কেনিয়ার দাডাব শরণার্থী শিবির। বর্তমানে (২০২০ অনুসারে) ২ লাখেরও বেশী শরণার্থী আছেন এই শিবিরে। আর একটি উল্লেখযোগ্য শিবির হলো উত্তর-পশ্চিম কেনিয়ার কাকুমা শরণার্থী শিবির। ১৯৯২ সালে ইথিওপিয়ায় অভ্যন্তরীন সমস্যার কারণে সেখানকার বহু মানুষ আশ্রয়ের খোঁজে এখানে এসে ওঠে। তার ফলে স্থাপিত হয় এই শিবির। বর্তমানে (২০২০) এখানে বাস করেন প্রায় ১ লাখ ৯৭ হাজার মানুষ। তাঞ্জানিয়ার নায়ারুগুসু সহ মোট তিনটি শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করছেন প্রায় দেড় লাখের মতো বুরুন্ডি শরণার্থী। প্যালেস্টাইনের গাজায় অবস্থিত শরণার্থী শিবিরের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য জাবালিয়া শরণার্থী শিবির। ১৯৪৮ সালে আরব-ইজরায়েল যুদ্ধের সময় মাত্র ৩৫০০০ শরণার্থী নিয়ে এটি তৈরী হয়। বর্তমানে এখানে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার শরণার্থী আছেন। জর্ডনের জাতারি শরণার্থী শিবিরে বর্তমানে আছেন সিরিয়া থেকে উচ্ছেদ হওয়া প্রায় ৮০ হাজার শরণার্থী। দক্ষিণ সুদানের ইদা শরণার্থী শিবিরে প্রায় ৭০ হাজার শরণার্থী রয়েছেন। ১৯৭২ সালে চালু হয় তাঞ্জানিয়ার কাটুম্বা শরণার্থী শিবির। বর্তমানে এখানে বুরুন্ডি শরণার্থীর সংখ্যা ৫০০০০ ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়াও সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে এই রকম আরও বহু শরণার্থী শিবির।
UNHCR এর ২০২০ এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের মোট উদ্বাস্তুর ২৬ শতাংশ আফ্রিকা মহাদেশে অবস্থান করে (এশিয়ার পরেই আফ্রিকার স্থান)। তার মধ্যে উগান্ডায় উদ্বাস্তুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশী। সুদান এবং ইথিওপিয়া যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের ধারণা অনুযায়ী, আগামী দিনে এই বাস্তুহারা ও শরণার্থীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকবে। এর মূল কারণ সেই একই- যুদ্ধ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এই ধারণারই স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলে পৃথিবীর নানা দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের দিকে তাকালে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের টানাপোড়েন, সৌদি আরব ও ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের সাম্প্রতিক বৈরিতা,। তিন বছর ধরে ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ এবং শিয়া ও সুন্নির মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াই। সেখানেও ইরান ও সৌদি জোটের সশস্ত্র বিরোধ সুস্পষ্ট। গৃহযুদ্ধ কবলিত সিরিয়ায় অভ্যন্তরীন গোলোযোগ এখনো অব্যাহত। সেই সঙ্গে আবার রয়েছে দেশটিকে ঘিরে আমেরিকা ও রাশিয়ার মতো শীর্ষ দেশগুলির চাপান উতোর। দেশটি নাকি পুরোটাই এখন প্রায় ধ্বংসস্তূপ। এমনকি সেখানে নাকি বাসযোগ্য এলাকা বা ঘরবাড়িরও রীতিমতো অভাব হয়ে পড়েছে। রয়েছে খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসেরও অভাব। কাজেই সিরিয়া ছেড়েও বহু মানুষ অচিরেই অন্যত্র চলে যেতে চেষ্টা করবে বা ইতিমধ্যেই করছে। আফগানিস্তান এখন তালেবানের ক্ষমতা দখলে। ইতিমধ্যেই সেই দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। কিছু মানুষকে আমেরিকা আশ্রয় দেবে বলে স্বীকার করলেও, আগে তাদের অন্য দেশে গিয়ে, তারপর সেখান থেকে নাকি আবেদন করতে হবে। ফলতঃ এশিয়ার দেশগুলিতে উদ্বাস্তুর সংখ্যা ইতিমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে। ভবিষ্যতে হয়তো আরও মানুষ ছাড়তে বাধ্য হবেন নিজেদের ঘর,বাড়ি, দেশ। লাতিন আমেরিকার ভেনেজুয়েলা, কলম্বিয়া, বলিভিয়া, মেক্সিকোতেও শান্তি নেই। হংকং পরিস্থিতি এখনো শান্ত হয়নি। চীনের নিয়ন্ত্রণাধীন এই ভূখণ্ড থেকে ধনাঢ্য ব্যক্তিরা এরই মধ্যে অন্য দেশে যেতে শুরু করেছে। অবস্থার পরিবর্তন না হলে, আরও অনেক মানুষ এই দেশ থেকে অন্যত্র সরে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
'ইন্টারন্যাশনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টার' বা IDMC এর সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২০ এর শেষে, যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাস্তুহারা (Internal displacement) মানুষের সংখ্যা বিশ্বে প্রায় ৫৫ মিলিয়নে পৌঁছে গেছে। মাত্র এক বছরের মধ্যে সংখ্যাটা বেড়েছে ৪০.৫ মিলিয়ন, যা নাকি গত দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। তার মধ্যে ৪৮ মিলিয়ন মানুষ স্থানচ্যুত হয়েছেন যুদ্ধ, নির্যাতন ও মানবাধিকার লংঘনের কারণে এবং ৭ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে। ২০১৯ সালে সাইক্লোন ইডাইয়ের প্রভাবে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে সহস্রাধিক লোকের মৃত্যু হয়েছে (আনুমানিক ১৩০০)। এই সামুদ্রিক ঝড় একই সঙ্গে মোজাম্বিক, জিম্বাবুয়ে ও মালাবিতে কয়েক লাখ লোকের বসতি নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। তারাও এখন উদ্বাস্তু। পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে প্রায়ই প্রাকৃতিক দুর্যোগ চরম আকার ধারণ করে। জাপানে সম্প্রতি আঘাত হেনেছে টাইফুন হাগিবিস। সে দেশে ৬০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড়ো সামুদ্রিক ঝড় এটি। রাজধানী টোকিও সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহর ও জনপদে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশ এই দেশগুলি সবচেয়ে বেশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ। হিমালয় সংলগ্ন এলাকা আর নেপালে সাধারণত বর্ষার সময় প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। তার কারণ হিসেবে ভারত ও বাংলাদেশের বহু নদীর কূল ছাপিয়ে বিধ্বংসী বন্যার কবলে পড়ে দুই দেশের নদী উপকূলবর্তী অঞ্চল। বন্যা আর নদীর ভাঙনে প্রায় প্রতি বছরই বাস্তুহারা হতে হয় সেই সব এলাকার বহু মানুষকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে, আগামী সময়ে ঝড়ঝঞ্ঝা, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা ও খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বারবার দেখা দেবে। এর ফলেও বাস্তহারা হতে হবে আরো অনেক মানুষকে।
--------------------------------------
তথ্যসূত্র:
/global-report/grid2021/
• প্রথম আলো
********************
ঠিকানা:
Kalikapur, Taki road
(near Shanti Bhawan wedding hall)
PO. Barasat, Dist: 24 Pgs (N), WB.
Excellent writting
উত্তরমুছুন