সামনের সিটে বসা কিশোরটিকে বললাম —সুমন, কোথায় নামবে ?
ছেলেটি থতমত খেয়ে বলল — দাঁড়ান; কাকু, আপনি আমার নাম জানলেন কীভাবে ?
আমি সবিনয়ে জানাই — কেন বাবা কোনো অপরাধ করে ফেলেছি ?
সে বলে — না; মানে আপনি ।
ছেলেটি আর কিছুই বলে না; কেবল মাঝেমধ্যে আমার মুখের দিকে তাকায় । আমি বললাম— শোনো ! তুমি অনেক বড় হবে । এবার তুমি আর সেকেন্ড নয় ফার্স্ট হয়েই ক্লাস টেনে উঠবে ।
ছেলেটি আমার পায়ের ধুলো নিতে চায় । আমি তাকে সামলাই । ছেলেটি সম্ভবত টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল । আসলে সে খেয়াল করেনি তার ব্যাগে সে নিজেই লিখে রেখেছিল — সুমন দাস,নবম শ্রেণি, ক-বিভাগ, ক্রমিক সংখ্যা— ০২।