শোঁ করে চলে গেল সাইকেলটা। ঘুতুন ভেবেছিল আজ বুঝি দেখা পাবে না সাইকেলটার।ওর ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল। সাইকেলটার দেখা না পেলে মনটা ওরই খারাপ হয়ে যেত।ওতো এমনই সাইকেল চালাতে চায়। তীব্র গতিতে।
সাইকেল আরোহীও ভেবেছিল বাচ্চাটিকে বোধ হয় আজ দেখতে পাবে না। ওরও বাচ্চাটিকে একবার না একবার দেখলে মনটা কেমন কেমন লাগে। বাচ্চাটার নির্ভেজাল অবসর, সরলতা...সেসবের এক ঝলক পেলেই ওর ভাল লাগে।খুব ভাল লাগে।
যেটা বাচ্চাটা জানে না হয়তো কোনোদিন জানতেও পারবে না যে ওই সাইকেল আরোহীর কতখানি ব্যস্ততা।সাইকেলের পথটুকু ওকে ওভাবেই তীব্র গতিতে চালিয়ে যেতে হবে তা সে বয়স যতই ওর চল্লিশ ছুঁই ছুঁই হোক।নইলে ওযে ট্রেনটা মিস করবে।আর যদি মিস করে তাহলে পরের ট্রেন পেতে পেতে আরো পঞ্চাশ মিনিট।ফলে বাড়ি পৌঁছতে পৌঁছতে সন্ধ্যে ছেড়ে রাত হয়ে যাবে।
অন্যদিকে সাইকেল আরোহীটা যেটা জানেনা হয়তো জানতেও পারবেনা কখনও সেটা হল, বাচ্চাটার পায়ে কিছু সমস্যা থাকায়, খুব একটা দৌড়াদৌড়ি সে কোনোকালেই করতে পারবে না।কোনোকালেই না।
তবু ওই আর কি। ঘুতুন সাইকেল আরোহীটাকে দেখে বেশ মজা পায়।সাইকেল আরোহীও ঘুতুনকে দেখে একটু স্বস্তি পায়।ওদের এই একে অন্যকে নজরে রাখাটা ঘটতে থাকে বাকিদের অলক্ষ্যে।
------------------------
প্রতীক মিত্র
কোন্নগর-712235,হুগলী,পশ্চিমবঙ্গ
ফোন: 8902418417