সৌহার্দ্যকে মোটেও পছন্দ করে না সৌরিন্দ্রীয়া। কিন্তু সৌরিন্দ্রীয়ার মা সুতপা সৌহার্দ্যকেই নিজের মেয়ের যোগ্য মনে করেন। এ কারণে সৌরিন্দ্রীয়ার সাথে মায়ের বেশ অঘোষিত সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছে। সৌরিন্দ্রীয়া আক্ষেপ করে বললো, তোমাদের হাতে কি আর কোনো সুপুত্র নেই?
সুতপা বললেন, আছে বৈকি! কিন্তু সৌহার্দ্যর মত উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আর কারো নেই।
সৌরিন্দ্রীয়া ক্ষোভ মিশিয়ে বললো, ও কালো! কত কালো!
সুতপা মেয়ের কথা শেষ না হতেই বললেন, তোর বাবা কি পরিষ্কার?
বাবার কথা উঠতেই সৌরিন্দ্রীয়া চুপ হয়ে গেলো। অপলকে মায়ের দিকে চেয়ে থাকলো। সুতপা বললেন, অনেক পরিষ্কার ছেলে রাস্তায় রিক্সা টানে। রংটা আসল নয়, সুখের জন্য সুন্দর মন দরকার। যা সৌহার্দ্যর ভেতর আমি দেখি। কত ভাল ছেলে, কত ভদ্র।
সৌরিন্দ্রীয়া মায়ের কথার উত্তর দিতে পারলো না। সোজা নিজের ঘরে চলে গেলো। মা পিছন পিছন এলেন। সৌরিন্দ্রীয়া বললো, সৌসির স্বামী কত সুন্দর দেখতে! কত দারুণ লাগে ওদের দেখতে !
সুতপা বললেন, তবে সৌসি মামলা করেছিলো কেনো? ওদের মাঝে কি বোঝাপড়া আছে? সারাক্ষণ ঝগড়া করে। কেউ কাউকে পাত্তা দেয় না, সমীহ করে না। শ্রদ্ধা করে না কেউ কাউকে।
সৌরিন্দ্রীয়া এবার বললো, মা, আমি কি তোমাদের ঘরে অতিরিক্ত হয়ে গিয়েছি? আমাকে বিদায় করার জন্য এত উতালা হয়েছো কেনো?
সুতপা বললেন, সৌহার্দ্য মাত্র কয়েক দিনের ছুটিতে এসেছে। তোকে বিয়ে করেই ফিরবে।
সৌরিন্দ্রীয়া আশ্চর্য হয়ে বললো, বিয়ে কি এতই মামুলি বিষয়? আমি পড়াশোনা করছি। বিয়ের কথা ভাবনাতেও নেইনি। মা, বিয়ের জন্য প্রস্তুতি লাগে।
সুতপা আর বেশী বললেন না। একদিনে বেশী বোঝালে হিতে আবার বিপরীত হবে। সৌরিন্দ্রীয়া ঘরে কিছুক্ষণ ভাবলো, তারপর মিনিট দুই ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাদলো।
মনের বিরুদ্ধে কিছু চলে গেলে মন মেনে নিতে চায় না। আবার পিতা মাতার দিক বিবেচনা করলেও নিজের মত স্থির থাকে না। নিজের সাথে নিজের যুদ্ধ বেঁধে গেলো। প্রিয় বান্ধবী সৌচিন্দ্রীয়াকে ফোন দিলো, সৌচি, সৌহার্দ্য দাদাকে চিনিস না? ঐ যে কালো করে...
সৌচিন্দ্রীয়া বললো, হ্যাঁ হ্যাঁ, ভালো চাকরি পেয়েছেন শুনলাম।
সৌরিন্দ্রীয়া বললো, বাবা তার সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেছে। কলেজে কত কথা বলার চেষ্টা করতেন, কোনো দিন পাত্তা দিয়েছি বল্?
সৌচিন্দ্রীয়া বললো, ভালো চাকরি পেয়েছে বলে ওমন একটা কালো ছেলেকে বিয়ে করবি? দুইদিন কথা বলা যায়, গোটা জীবন সংসার করা যায়? একা একা বাইরে বের হবি? তাকে নিয়ে তো বাইরে বেরও হতে পারবি না।
এমন সময় বাবা সৌমিত্র ঘরে ঢুকলেন। সৌরিন্দ্রীয়া বাবাকে দেখে ফোন কেটে দিলো। সৌমিত্র বললেন, ছেলেটা আমার তোর সবার চেনা। চেনা, জানা প্রতিষ্ঠিত ছেলে। আর জানার বাকি থাকে না।
সৌরিন্দ্রীয়া আবদার করে বললো, বাবা, আমার পছন্দ-অপছন্দের তোমাদের কাছে কোনো মূল্য নেই?
মেয়ের রাগ দেখে সৌমিত্র বললেন, বাবা মাকে সম্মান না করলে কেউ সুখী হয় না। বাবা মা সন্তানের অমঙ্গল কোনো দিন চায় না।
সৌরিন্দ্রীয়া নাছোড়বান্দার মত করে উত্তর করলো, কোনো বাবা মা সন্তানের উপর কখনো কোনো কিছু চাপিয়ে দেয় না। আমার জীবনের সিদ্ধান্তে আমার মতামতকে তোমাদের গুরুত্ব দেয়া উচিত।
মেয়ের উক্তিতে বাবা কষ্ট পেলেন। কিন্তু আশা ত্যাগ করলেন না। নিজের ঘরে চলে গেলেন। সুতপা স্বামীর মুখ দেখে বুঝলেন, বললেন, ওকে আমরা ভাববার সময়টুকু না হয় দিই!
সৌমিত্র বললেন, জোরারোপে কিছু হয় না। আজীবন মেয়েটা জেদী। আমি সৌভিককে না বলে দেই?
সুতপা না-সূচক মাথা ঝাঁকিয়ে বললেন, অপেক্ষা করো। সৌরিকে আমি দেখবো। রাজী না হয়ে যাবে কই!
পরদিন সৌরিন্দ্রীয়া কলেজে গেলো। সৌচিন্দ্রীয়া সৌরিন্দ্রীয়াকে দেখতে পেয়ে সৌমিন্দ্রীয়াকে টেনে সৌরিন্দ্রীয়ার কাছে এলো। সৌমিন্দ্রীয়া বললো, মন খারাপ কেন্? কী হয়েছে?
সৌরিন্দ্রীয়ার উত্তর সৌচিন্দ্রীয়ায় দিলো, সৌহার্দ্য দাদার সাথে ওর বাবা ওর বিয়ে ঠিক করেছেন!
সৌমিন্দ্রিয়া বললো, ভালো তো। দাদা তো দারুণ ছেলে। কলেজে তাঁর কত সুনাম ছিলো। কত ভালো জব পেয়েছেন! কপাল তোর সৌরি!
সৌচিন্দ্রীয়া ব্যঙ্গ করে বললো,কত ভাল ছেলে! অত্যাধুনিক কৃষ্ণ! কৃষ্ণ জোটে কয়জনের কপালে! ব্লাক ডায়মন্ড!
সৌমিন্দ্রীয়া বললো, কালোয় তোর নজর পড়লো? তাঁর গুণ তোর নজর এড়ালো? রূপের কদর দুইদিনের, গুণের কদর আজীবন।
সৌচিন্দ্রিয়া বললো, শোন্, টাকায় ট্রাংক ভরে, রূপে মন ভরে। ট্রাংক ভরা টাকা থাকলো, মন থাকলো খালি, ও টাকা তখন নামমাত্র কাগজই।
সৌরিন্দ্রীয়া সৌচিন্দ্রীয়ার কটাক্ষ উচ্চারণ বুঝতে পারলো আর বুঝলো এ বিবাহ হলে সারা জীবন ওকে এমন কথা শুনতে হবে। সৌচিন্দ্রীয়া আবার বললো, সৌখিনকে পাত্তা দিলি না, সৌমিককে পাত্তা দিলি না। শেষ পর্যন্ত সৌহার্দ্যে নোঙর? মানুষ দেখলেই বলবে টাকার লোভে বিয়ে করেছিস!
কান মাথা ধরে এলো সৌরিন্দ্রীয়ার। দুই বান্ধবীকে চলে যেতে বললো। একা থাকতে চাইলো ও। যাওয়ার সময় সৌচিন্দ্রীয়া বললো, মানাবে ভালো। মানিক জোড় হবে!
সৌরিন্দ্রীয়ার চোখ জলে ভিজে গেলো। এ হাসি-তামাশা তাকে বিদ্ধ করতে থাকলো। পরিবেশ মনের অনুকূলে না। চিৎকার করে কান্না করতে ইচ্ছা হলো৷ বাবা মা তার বিরুদ্ধে। এই বিরুদ্ধস্রোত ও রুখবে কী করে? এই বিরুদ্ধস্রোতে ও হেরে গেলে পরিবেশ তাকে হাজার ঘৃণ্য চিৎকার শোনাবে।
সৌরিন্দ্রীয়া এসে নিজ ঘরে চলে গেলো। সুতপা এসে মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন আর বলছেন, তুই এত ভেঙে পড়ছিস কেন্? বিষণ্ন থাকছিস কেন্? শ্যামলাটুকু বাদ দে, দেখ্ আর সব ভালো। মানুষ কি সব দিক থেকে শত ভাগ পারফেক্ট হয়? ওরা তোকে পছন্দ করেন, যারা যেচে নিচ্ছেন তাদের বাসায় তুই সম্মানের সাথেই থাকবি।
মাকে থামিয়ে দিয়ে সৌরিন্দ্রীয়া বললো, তোমরা কি মা আমাকে বুঝবে না?
সুতপা বললেন, কালো তাতে কি? দেখতে খারাপ? কালো জগতের আলো।
সৌরিন্দ্রীয়া ক্ষেপে গিয়ে বললো, কবিতা পাঠের আসরে যেয়ে বলো, কালো জগতে আলো। জীবন কবিতার মত ছন্দ মিলের না।
সুতপা বললেন, তুই খুব জেদী, জেদের ফল ভালো হয় না।
সৌরিন্দ্রীয়া বললো, দয়া করে আমার বিয়ে নিয়ে ভাবনা বন্ধ করো। আমি বাঁচবো না।
সুতপা নিরাশ হয়ে নিজের ঘরে এলেন। সৌহার্দ্যকে তিনি হাত ছাড়া করতে চান না। কালো মানুষ উদার মনের হয় তা তিনি দীর্ঘ সংসার জীবনে বুঝেছেন।
সৌমিত্র দিন শেষে কর্মক্ষেত্র থেকে বাড়ি এলেন। বললেন, সৌভিকের সাথে দেখা হয়েছিল। কত আন্তরিক তিনি! কত গল্প করলেন! ছেলেপক্ষ কখনো এত উৎসাহী হয় না। আমি তাঁদের নিরাশ করি কী করে?
সুতপা বললেন, মেয়ের মতের দরকার নেই। পাকা কথা দিয়েছো, কথা রাখবে।
সৌমিত্র বললেন, যে জেদী মেয়ে, তার মতের বিরুদ্ধে কিছু করলে না জানি কি করে বসে! এত আদর দিয়ে বাচ্চা মানুষ করা ঠিক না। অবাধ্য হয়ে যায়।
সৌমিত্র বাবু মেয়ের কাছে এলেন, মা, তোর চোখ স্বর্ণকারের চোখ নয়, তাই সোনাকে তামাজ্ঞান করছিস। তোর চিন্তা জুড়ে যে সৌন্দর্য বিরাজ করছে মূলত সেটা প্রকৃত সৌন্দর্য না। তোর যে সীমাবদ্ধ জ্ঞান তাতে অলীক আর ভেককেই বেশী সুন্দর মনে হয়। সুন্দরের সংগা শুধু সৌন্দর্যে সীমাবদ্ধ তা নয়। সুন্দরের সংগা অনেক হ্যাঁ-য়ের সমষ্টি।
সৌরিন্দ্রীয়ার রাগ চরমে উঠলো, বললো, বাবা, তুমি সুন্দর খুঁজছো না, তুমি তোমার মেয়েকে অর্থের মাঝে ভাসিয়ে দিচ্ছো। তুমি তোমার মেয়েকে অর্থের কাছে বিসর্জন দিচ্ছো।
সৌমিত্র মেয়ের কথা শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন। সুতপাও সৌরিন্দ্রীয়ার কথা শুনলেন। সৌরিন্দ্রীয়া বললো, আমার বিয়ে দেয়া তোমাদের কাছে এতই জরুরি কেনো? আমি তোমাদের অন্ন বসে বসে ধ্বংস করলে বলে দাও, আমি কালই ঘর ছেড়ে চলে যাবো।
বাবা মা মেয়ের ঘর থেকে অত্যন্ত বিমর্ষ হয়ে ফিরে এলেন। পরদিন কলেজে গেলো। কোথা থেকে সৌচিন্দ্রীয়া দৌঁড়ে এলো, কী খবর বল্? তোর মা বাবা কি এখনো মনস্থির করে আছেন?
সৌরিন্দ্রীয়া বললো, কত ভাবে সৌভিক দাদা আমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করতেন, কোনো দিন কি সুযোগ দিয়েছি? এখন তার ঘরে যদি যেতে হয় এর চেয়ে কি পরাজয় আছে?
সৌচিন্দ্রীয়া বললো, যার বন্ধুদের মধ্যে কেউ কালো নেই, তার জীবন সঙ্গী হবে কালো! ফেসবুকে তোকে নিয়ে শোরগোল পড়ে যাবে। ধিক্কার দেবে সবাই।
সৌমিন্দ্রীয়া বললো, মেয়েদের জীবনটাই তাই। বাবা মা যার কাছে তুলে দেবে তার ঘরেই যেতে হয়। আর বাবা মায়ের আশীর্বাদে যারা বিয়ে করে তাদের সুখ অঢেল হয়।
সৌচিন্দ্রীয়া কথা কেড়ে নিয়ে বললো, তাই বলে কানা, খোড়া, বধির ঠিক করলেও? নিজস্ব মতের দাম নেই? যত সব জ্ঞানী কথা।
সৌরিন্দ্রীয়া ক্লাস না করে ফিরে এলো। বাবা মা ওকে নিয়েই কথা বলছিলেন। ও জানালায় দাঁড়িয়ে শুনছে। সৌমিত্র বললেন, মনের উপর জোর দিয়ে ফল ভালো পাওয়া যায় না। যে মেয়ে আজীবন আমার কথাকে উপদেশ ভেবে গ্রহণ করেছে, সে কথা শুনছে না। আমি বিয়ে ভেঙে দেবো।
সুতপা বললেন, অদৃষ্ট মন্দ হলে এমনই হয়। তোমার মেয়ে সৌহার্দ্যকে অপছন্দ করার মধ্য দিয়ে এটাই বোঝালো ও তোমাকেও ভালোবাসে না। তুমি বাবা বলে ও বাবা বলে ডাকে, নতুবা ও তোমাকে নমস্কারও দিতো না।
এ পর্যন্ত শুনে সৌরিন্দ্রীয়া ঘরে চলে গেলো। মনটা ওর খুব ভেঙে গেলো। সৌচিন্দ্রীয়া ফোন দিলো, কিরে হবু বরকে নিয়ে স্বপ্নজাল বুনছিস?
সৌরিন্দ্রীয়া বিরক্তি প্রকাশ করে ফোন কেটে দিলো। সৌচিন্দ্রীয়া আবার ফোন দিলো আর বললো, তোর বাবা অর্থলোভী, নতুবা এমন একটা বিশ্রী চেহারার ছেলের সাথে তোর মত রূপধন্যাকে বিয়ে দিতে চান? শোন্, বাবা মা সত্য, কিন্তু সব সময় তাঁরা সত্য থাকেন না। বাবা মায়ের চেয়ে আপন কেউ নেই। তাই বলে তাঁরা যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই কি স্বতঃসিদ্ধ সঠিক?
সৌচিন্দ্রীয়ার কল ধরে রাখলো না সৌরিন্দ্রীয়া। শুধু চিন্তাকে সে নিজের বশে আনার চেষ্টা করছে। হ্যাঁ-বোধক ভাবনায় নিমগ্ন করতে চাইলো নিজের অবাধ্য মনকে।
ওদিকে সৌমিত্র বাবু সৌভিককে ফোন দিলেন, বললেন, খুব আশা ছিলো দাদা, কিন্তু বিশেষ কারণে বিয়েটা হচ্ছে না। কথা দেয়ার জন্য আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
বিবাহটা ভেঙে গেলো। সুতপা আঁচলে মুখ ঢাকলেন। সৌমিত্র বাবুও বাকশূন্য।
সৌরিন্দ্রীয়াকে অস্বস্তি ছেয়ে ধরলো। মায়ের কথাগুলো ওকে কুরে কুরে খাচ্ছে। একটু পরে সুতপা এলেন, বললেন, আর মন খারাপ করে থাকিস না। তোর বাবা বিয়ে ভেঙে দিয়েছে।
সৌরিন্দ্রীয়া বিস্ময়ে মুখ তুলে তাকালো। সুতপা বললেন, আমাদের একমাত্র মেয়ে তুই। আমাদের যত স্বপ্ন তোকে ঘিরে। তোর সুখ আমাদের সুখ। তোর চাওয়া-পাওয়ার মূল্য তাই আমাদের কাছে অনেক।
সুতপা নিজের ঘরে চলে গেলেন। চরম সিদ্ধান্তহীনতায় পড়লো সৌরিন্দ্রীয়া। সারারাত ভাবলো। ভেবে ও সিদ্ধান্তে পৌঁছালো। মাকে রাজী হওয়ার কথা বলবে বলে ঠিক করলো। কিন্তু বলবে বলবে করে বেশ কটা দিন চলেই গেলো।
সৌহার্দ্যর ছুটি শেষ প্রায়। ধূমধাম করে রাজকীয় ভাবে বিবাহ করলো। সব জানতে পেরে সৌরিন্দ্রীয়া সৌচিন্দ্রীয়াকে ফোন দিলো, তুই সৌহার্দ্যকে বিয়ে করলি কেন্?
সৌচিন্দ্রীয়া বললো, আর বলিস না, বাবা মা খুব করে ধরেছিলো, তাদের কথা না রাখলে অনেক কষ্ট পেতো। মেয়ে হয়ে বাবা মাকে কষ্ট দেবো? তাই আর কি! ঝটফট করে কিভাবে কি সব হয়ে গেলো!
কথাটি শুনে সৌরিন্দ্রীয়ার ঠোঁটে একটু হাসি জাগলো। বড় কষ্টের হাসি। বড় মিষ্টি হাসি। মোনালিসা হাসি।
যশোর।