হোটেলে ঢুকে স্নান সেরে সাফসুতরো হয়ে সবেমাত্র কফির কাপে চুমুক দিয়েছি, এমন সময় মোবাইলটা বেজে উঠল।
- পাড়ি পত্রিকার সম্পাদক তো ?
- হ্যাঁ । কে বলছেন ?
- আমি স্বরূপ গুপ্ত । আপনার পত্রিকার শারদীয়া সংখ্যার জন্য একটি গল্প পাঠিয়েছিলাম, পেয়েছেন
কি ?
- পেয়েছি ।
- গল্পটি কি নির্বাচিত হয়েছে ?
- অনেক লেখা এসেছে, এখনও সব লেখা পড়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। দিন দশেকের মধ্যেই জানতে পারবেন ।
- আপনার গলা শুনে মনে হচ্ছে, আপনি আমার থেকে অনেকটাই ছোটো । আমি এই ডিসেম্বরে একান্নয় পা দেব। আমি বরং তোমাকে তুমি করে বলি, কেমন ! তুমি তো আমার ছোটো ভাইয়ের মতো।
- তা বলতেই পারেন । আমারও আপনির থেকে তুমি শুনতে বেশি ভালো লাগে ।
- শোনো ভায়া, আমি রামপুরহাটে থাকি । আমার বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে তারাপীঠ । আরও অনেক ঘোরার জায়গা আছে আশেপাশে । কয়েকটা দিন হাতে নিয়ে সপরিবারে চলে এসো । একেবারে সংকোচ করবে না, আমার বাড়িতেই উঠবে । আমি ছুটি নিয়ে নিজেই সব জায়গাগুলি ভালো করে ঘুরিয়ে দেব ।
- ও আপনি রামপুরহাটে থাকেন । তাহলে তো আমি আপনার বাড়ির কাছেই আছি এখন । আজ দুপুরে আমি তারাপীঠ পৌছেছি...
স্বরূপবাবুর দিক থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পেলাম না । বোধহয় নেটওয়ার্ক প্রবলেম । আমি তাঁর নাম্বারে কল করলাম । রিং হয়ে হয়ে কেটে গেল । আবার করলাম । এবারও পুরো রিং হল কেউ ধরলেন না । তৃতীয়বার ফোন করে দেখি, সুইচ অব ।
--------------------------------
চন্দন মিত্র
ভগবানপুর (হরিণডাঙা),
ডায়মন্ড হারবার,
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা।