মুখাগ্নি
ফাল্গুনী দে
'খোকা' নামকরা সুপারি কিলার। ভালো নাম একটা ছিল কিন্তু সে নামে কেউ কোনোদিন ডাকেনি। খোকা একবার সুপারি নিলে কাজের হেরফের হয়না। এমন মসৃণভাবে লাশ ফেলে দেবে ভগবানও টের পাবেনা। খোকার কোন ঠিকানা নেই, ফোন নম্বর নেই। তাকে কেউ কোনোদিন চোখেও দেখেনি। পীর সাহেবের মাজার ছাড়িয়ে নির্জন মাঠের ধারে সমবায় গুদামের দেওয়ালে বিড়বিড় করে বললেই নাকি খোকা সব শুনে নেয়। পাওনাগণ্ডা মাজারে নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে দেবার নির্দেশ থাকে।
খুনের দিন খোকা খুব মদ খায়। মদ খেলে খোকা হিংস্র দানব হয়ে ওঠে, জলজ্যান্ত মানুষকে টার্গেট ভাবতে সুবিধা হয়। মরার আগে ধস্তাধস্তি, মরতে মরতে ছটফটানি, অবশেষে বস্তাবন্দি টুকরো টুকরো দেহ গায়েব করতে শরীরে যথেষ্ট জোর লাগে। মৃত্যুর পর লাশ কেন ভারী হয়ে ওঠে ? খোকা জানেনা। পেটে ছুরি ঢুকে যাবার পর টার্গেট যখন মৃত্যু যন্ত্রণায় কঁকিয়ে ওঠে, খোকা তার বুকের উপর বসে বিড়ি ধরায়। বিড়ি টানতে টানতে দেখে লাশের মুখ যেন অবিকল খোকার নিজেরই। আতঙ্কে শিউরে উঠে নিঃসন্তান খোকা লাশের মুখে গুঁজে দেয় আধপোড়া বিড়ির আগুন।
----------------------
ফাল্গুনী দে