রিভিউ ।। সুদক্ষ এক গল্পকারের আত্মপ্রকাশ ।। অরবিন্দ পুরকাইত
সুদক্ষ এক গল্পকারের আত্মপ্রকাশ
অরবিন্দ পুরকাইত
১৪২০ সনে এক মুদ্রিত পত্রের সূচনা সংখ্যায় আলোচনা করার সুযোগ হয়েছিল তাঁর প্রথম পুস্তকের। কবিতার। আর আট বছরের ব্যবধানে এখন তাঁর প্রথম ছোটগল্পের বইয়ের আলোচনা।
আলোচ্য পুস্তকের পাতায় দেখছি ইতোমধ্যে 'এক টুকরো জীবন' নামে একটি উপন্যাস প্রকাশিত এবং 'অথচ স্রোত' নামে একটি উপন্যাস যন্ত্রস্থ। আমাদের প্রায়-নিকট প্রতিবেশী তিনি। রামকুমার সরদার। বসত এই জেলার মগরাহাট থানার ধামুয়ায়। সেকেলে ধাঁচের সামান্য একটি সেলুন-সম্বল তাঁর হতদরিদ্র দশা। এ বইপ্রকাশেও তার দৃষ্টান্ত ধরা আছে – একাধিক মানুষের আর্থিক সহযোগিতায় প্রকাশের মুখ দেখতে পেরেছে বইটি। আর্থিকভাবে অসমর্থ নিষ্ঠ লেখককে তাঁর বই প্রকাশে সহৃদয় মানুষদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া প্রকৃতই ভাল কাজের দৃষ্টান্ত। আর্থিক সঙ্গতি-অসঙ্গতি নির্বিশেষে খ্যাতিমান অনেক সাহিত্যিকেরই অন্যের অর্থানুকূল্যে পুস্তক প্রকাশের দৃষ্টান্ত আছে। আলোচনার শুরুতে আমি অভিবাদন জানাতে চাই শ্রী সরদার এবং তাঁর মতো সাহিত্যিকদের, অত্যন্ত দারিদ্র্যের মধ্যেও সাহিত্যের সমৃদ্ধ সরণিতে যাঁরা উল্লেখযোগ্য কিছু-না-কিছু সংযোজন করে চলেছেন।
পূর্বে তাঁর গল্প বিচ্ছিন্নভাবে দু-একটি পড়েছি 'সুচেতনা' পত্রে। বইয়ে একসঙ্গে আঠেরোটি গল্প পড়তে পাওয়া অবশ্যই এক বিশেষ পাওয়া এবং গল্পকারের সঙ্গে পরিচয় নিবিড় হওয়াও নিশ্চয়ই।
তাঁর ছোটগল্প আকারে প্রায় প্রতিটি প্রকৃতই ছোট (তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই যেন ১৪৪ পাতার বইটিও একটু ছোট আকারে)। কিন্তু সেই ছোট আধারে ধৃত ভুবন ছোট নয়। তাঁর গল্পে দাম্পত্য, বাৎসল্য, প্রেম, বিরূপ প্রতিবেশী, মানবিক প্রতিবেশী, আতিথেয়তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অস্থির সময়ের স্বার্থসর্বস্ব রাজনীতির বলি, অন্ধ সাম্প্রদায়িকতার অসহায় শিকার – কতকিছুই না এসেছে একান্ত বিশ্বস্ততায়! তাঁর গল্প বাড়তি মেদবর্জিত, বাহুল্যহীন। গল্প মেদবর্জিত হতেই হবে এমন মাথার দিব্যি কেউ দেয়নি। সাহিত্যের এই শাখাটির একটু-আধটু মেদ, ছোটখাটো শাখাপ্রশাখা বা গল্পের ভিতরে গপ্পো একেবারে অসহ্য নয়। গল্পকে তা আকর্ষণীয় করে তুলতে সাহায্যও করতে পারে। প্রশ্নটা সাযুজ্য, পরিবেশন-পারিপাট্য এবং অবশ্যই পরিমিতিবোধের – গল্পকে যেন তা সাহায্য করে, পথভ্রষ্ট বা লক্ষ্যভ্রষ্ট না করে। বলা হয়ে থাকে পাঠকদের এখন সময়াভাব। তাই অণুগল্প বা বিশ-দশ শব্দের গল্প থেকে এক লাইনের গল্পের চল বেড়েছে নেহাত কম নয়। তা বলে যাকে ছোটগল্প বলা হয়ে থাকে, তার পিঠটান দিতে হয়েছে এমন বলার এখনও কোনো সুযোগ নেই। তা সেই ছোটগল্প বা গল্প কিঞ্চিৎ মেদযুক্ত এবং নির্মেদ – উভয় রূপেই অবস্থান করছে আজও সাহিত্যজগতে। শ্রী সরদার এমনকি তাঁর গল্পের কুশীলবদের পাঠকের কাছে আলাদা করে পরিচয় করিয়ে দিতে, পারস্পরিক সম্পর্কে আলোকসম্পাত করতে বা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি বোঝাতে সচরাচর বাড়তি বাক্য ব্যয় করেন না, পাঠ এগোনোর মাধ্যমে পাঠকের বুঝে নেওয়ার উপরে ছেড়ে দেন। তাঁর গল্পে তিনি চাঁচাছোলা গল্পকারই, অযথা বর্ণনাকার বা ব্যাখ্যাকাররূপে হাজির করেন না নিজেকে। ফলত তাঁর গল্প গতিশীলও। একই কারণে তাঁর কোনও কোনও গল্প – অনুধাবনের জন্যে – অন্তত দ্বিতীয় পাঠ দাবি করতে পারে।
প্রথম গল্প 'লকডাউন'-এ একেবারে সমসাময়িক বাস্তব সামনে এসে পড়ে। চতুর্থ দফা লকডাউনের মধ্যে, রেশনের লম্বা লাইন থেকে দরিদ্র দয়ানাথ যখন জানতে পারে যে নতুন নয় – সেদিন পুরোনো কার্ডের মাল দেওয়া হচ্ছে, দূরত্ব বজায় রেখে পথে দাঁড়িয়ে না থেকে একটু জিরিয়ে নিতে নিজের সেলুন দোকানটি না খুলে তাতে ঢোকার একটা সরু পাল্লা খুলে ভিতরে বেঞ্চে বসতে গিয়ে কী বিপত্তি! কপর্দকহীন অবস্থায়, 'গায়ের উপর ওঠা' এক খদ্দেরের দাড়ি কাটবে-কি-কাটবে না ভেবে যখন দ্বিধান্বিত তখন প্রাপ্তি ঘটল পুলিশি যন্ত্রণা ও অপমানের! সহজ-চলন এ গল্প নিছক কোনো অভাবী একক দয়ানাথের কথা নয়, একান্তভাবে এ গল্পের সর্বাঙ্গে নিদারুণভাবে ব্যতিক্রমী এক সময়েরই সাক্ষ্য। বুঝতে পারা যায় এ গল্পে বলতে গেলে একটা বাক্যও বানাতে হয় না লেখককে, রূঢ় বাস্তব লেখকের হাত ধরে নিজেই গল্পরূপে প্রকাশিত হয়। পুস্তকধৃত গল্পের প্রতিটিই বিষয়বস্তু বা বক্তব্যে একে অন্যের থেকে ভিন্ন এবং প্রায় কোনোটিই হেলাফেলার নয়। গল্প ধরে ধরে বিশদ আলোচনা স্বাভাবিক কারণেই সম্ভব নয়, আমরা অতি সংক্ষেপে দু-একটি করে কথা বলব – মূলত ছোট ছোট উদ্ধৃতির মাধ্যমে। 'আপদ' গল্পে ছেলে রোহনকে ভাত বেড়ে দিয়ে, মা-বাপহীন, প্রায়-চালচুলোহীন নেশাখোর কাল্লু প্রসঙ্গে স্বামী নয়নের উদ্দেশে সজনীর উক্তি, 'খুব যে বলতে, ভাত দিবি কেন? ওকে খেতে দিবি কেন? যাও, সে আমার কে? এবার ভাতের হাঁড়িটা নিয়ে শ্মশানে চলে যাও। সে এবার জন্মের খাওয়া খেয়ে নিক!' অনবদ্য এ গল্প। 'মানসীর একটা নরম সুশ্রী হাতের তালু অতনুর শক্ত মুঠোয়। মানসীর চোখেমুখে সে কী বিদ্যুৎ। নারী যে এত প্রাণঘাতী ও প্রাণদায়ী আয়ুষ তা টের পেয়েছিল সেদিন।' 'মানসফুল' গল্পের অংশ এটি। ভাল মানের গল্প। 'সুমুর ফোন। এমনই ভয় পাচ্ছিল গগন। এইবার বাড়িতে বুঝি একটা কেওয়াস শুরু হল। ছেলে হলে এত..., মেয়ে হলে...। পুরুষালি হাতের চেটোয় ঘপাঘপ হাততালির চাঁটা। সঙ্গে খিস্তির গেরো। দাবি দাওয়ায় পারলে ভালো না পারলে শাড়ি জামা খুলে দিয়ে বিভৎস খেউড় নাচ।' – 'আজকের বৃহন্নলা' ভাল লাগে। 'রুক্মিনীর ঔদ্ধত্য ঠংঠং করে বেজে ওঠে ঘর ময়। এভাবেই দিন যায়। মাস যায়। বছর যায়। একগুচ্ছ কচি রোদ্দুরের মতো হৈ হৈ করে ঘুরে বেড়ায় যে টিঙটিঙে দামাল দুষ্টু মানিক, সে হঠাৎ সেদিন গেল কোথায়?' – সমাজ-বাস্তবতার পথ ধরে মাতৃহারা এক কিশোরের বিষাদ-করুণ পরিণতি 'চোখের মানিক' গল্পে। 'দূরের মানুষ' গল্পে ধোঁয়ার কুণ্ডলীর মধ্যে মাটিতে মুখ গুঁজে পড়ে-থাকা লণ্ডভণ্ড-শরীর লিটলের উদ্দেশে মনে মনে বলে মাথুর, "বিধ্বস্ত হিরোশিমা শহর 'লিটল বয়', তুই এমন নরক হয়ে গেলি! ওরা তোকে ব্যবহারই করল শুধু? তোকে না বলেছিলাম, মানুষের ভিতরে থেকে মানুষকে চালিত করে অন্য কেউ। যা, চলে যা। অনেক দূরের রাতের ট্রেনে। তোর মনে আছে?" সত্তর দশকের শেষভাগের প্রেক্ষাপটে লেখা এ গল্পটি পরিচিত ভয়াল এক সত্যের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয় পাঠককে। প্রেম ও প্রতারণার যৌথ চিত্র অনবদ্য 'রুরু' গল্পে। শ্রেয়ার ভাবনায়, 'ব্যস্ত, ত্রস্ত মানুষের এই পৃথিবীতে এমন কত সুখ-দুঃখ বাতাসে যে বাষ্প হয়, সে সব খবর কে-ই বা রাখে?' 'প্রেমিক পুরুষের আদরে মেয়েরা গলে যাবে না তা কি হয়?' গলে না গিয়ে ফিরিয়ে দেয় বিদিশা অনিমেষকে, 'রৌদ্রবলাকা' গল্পে। পরিণতি অবশ্য মিলন-মধুর। সুন্দর প্রেমের গল্প। বধূটি প্রশ্ন করল, 'সবই কি বাজে খরচ?' উত্তর এল, 'তা কেন, না হলে এই বাইশ বছর পরও এমন কাছে আসা?' চমৎকার গল্প 'বাইশ বছর পর'। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের আবহে নিদারুণ বেদনার আখ্যান 'ফেরা'র বুক ভেঙে দেওয়া অন্তিম এই সংলাপ : 'এই তো, লোক নেয়নি। বাবুরা লোক ফিরিয়ে দেচে।' প্রকৃতি ও তার কীটপতঙ্গকে জড়িয়ে সংসারের সাদৃশ্য অনুভব – অসাধারণ গল্প 'বিছে'। মস্ত এক কোলাব্যাঙ বিঘৎপ্রমাণ এক বিছেকে গিলছে – এ দৃশ্য স্টাডিরুমসর্বস্ব নাগরিক লেখকের আয়ত্তে আসা মুশকিল সচরাচর। 'সিআইডি' গল্পে থানার জবরদস্ত অফিসার এ কে পন্থ বলেছিলেন, 'জানেন, ফাউ যারা খায় তাদের খাওয়ার কোনও পরিমাপ থাকে না! তারা খেতে খেতে আগুনও খেয়ে ফ্যালে!' 'বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর শুরু হল জাতিদাঙ্গা। হুমকি। টাকা দাও, নইলে ওপারে চলে যাও। কথার ভিতরে বারিন শিউরে উঠেছিল কতবার।' সুহাসকে বলে বারিন, 'বাবু, আমাগো এই মনটা কী বলে জানেন?'...'যিনি প্রলয়, তিনিই সৃষ্টি। প্রলয় আপনার মনেও তো ছিল, বাবু।' অনবদ্য গল্প 'চোর'। প্রাণপ্রিয় কন্যার দাম্পত্য অশান্তির এক আশ্বস্ত-করা সমাধানের গল্প 'সুন্দরের জন্য'। তিতুকে জড়িয়ে ক'টা চুমু খেয়ে বলল দয়ানাথ, 'তুই আর একবার বলতো ভাই, আমি তো আছি।' প্রাকৃতিক দুর্যোগের পটভূমিতে অনবদ্য এ পুস্তকের নাম-গল্পটি। জ্যান্ত। গ্রামীণ এক অসাধারণ চরিত্রনির্মাণ 'বিচিত্র কোদাল' গল্পের গণেশ। "সন্ন্যাসী এইবার খুলে ফেললেন ওঁর রক্তবস্ত্রটা। বললেন, 'দেখো, এর থেকে কিছু অনুমান করতে পারো?'" আনন্দে পাগল হয়ে গিয়ে বলতে থাকল রমেশ, 'খুঁজে পেয়েছি ঠাকুর। খুঁজে পেয়েছি। ঠাকুর, কোথায় গেলেন? ঠাকুর...।' অনবদ্য 'খড়ম' গল্পটিও। পুস্তকের শেষ গল্প 'দয়ানাথের ডায়েরি'র অন্তিম পঙ্্ক্তি : "দয়ানাথ ঋষির কাঁধ চাপড়ে ওর মাথায় একটা ঝাঁকুনি দিয়ে বলল, 'লড়াইটা তুই জিতে গেলি ভাই।'" সুন্দর গল্প।
বড়দের গল্প হলেও, ছোটরা কী অনবদ্যভাবে জড়িয়ে আছে একাধিক গল্পের পরতে পরতে, গল্পকে ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছে দিয়ে! গল্পের বুননে ছোটদেরকে এমন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে চালিত করা খুব সহজ নয়, অত্যন্ত দক্ষ হাতের পক্ষেই সম্ভব।
এই গল্পকার নিজের যাপনকে একাধিক গল্পের বিষয় করেছেন অত্যন্ত মুনশিয়ানায় – একাধারে বাস্তব ও অনুভবী। তাঁর গল্পগুলি থেকে মনে হয়, লিখতে জানলে আমাদের যাপনের কতকিছু থেকেই না গল্প হতে পারে!
উত্তমপুরুষে লেখা একাধিক গল্পে কথকের স্ত্রী রুণুই। গল্প আলাদা আলাদা। ছোটবেলার বন্ধু অনিখ, কথক কখনও দয়ানাথ কখনও মৃদুল..., কন্যা স্বাতী, বন্ধু সরল ফিরে ফিরে আসে।
'বলি তোগার কি এখন মাগি-ভাতারে ঝগড়া কেনবার সময় হল?' (চোখের মানিক); 'বাসরাস্তার দিকে পাঁই পাঁই করে দৌড়ুল।' (রুরু); 'শত্তুর। শত্তুর। শত্তুর। আমার সাথে মোত কথা কইবি।' ['কতা'ই বোধহয় ঠিক হত], 'মেয়ে তো নয়, মেয়ের ছাঁই।' (ফেরা); 'দাদা, বউদির তরে আমি অস্তে অস্তে টাকা জমিয়ে নয় একখানা কাপড় কিনে দিচি।' ['জইমে' হওয়াই বাস্তবসম্মত বোধহয়], 'সুমিতা ভয়ে ভয়ে সিঁটকে ওঠে।' (বিচিত্র কোদাল) – এইরকম সংলাপ এবং 'ঘরটার অস্থায়ী কাঠকাঠমাগুলি', 'কেউ আড়কাঠি ঝুলে পড়লে' ('আড়কাঠে' আদতে, সম্ভবত ছাপার ভুল), 'জ্বোরো শরীর' ইত্যাদি শব্দপ্রয়োগের জন্য গল্পকারকে আলাদা করে ধন্যবাদ জানাই। কেন-না মান্য চলিত বাংলায় লিখতে হলেও, আপন জন্মভাষার প্রতি দায়বদ্ধতাকে আমরা পুরোপুরি এড়িয়ে যেতে পারি না। তার চিহ্নও কোথাও কোথাও রাখা দরকার বই-কি এবং তা করাও যায় নিশ্চয়ই!
কোনও কোনও গল্পে পর্ব-বিভাজন থাকলে ভাল হত। ছাপা এবং প্রুফ দেখায় দ্রুততার ছাপ স্পষ্ট, ছাপার ভুল রয়ে গেছে ভাল রকমেই। শুভঙ্কর মণ্ডলের প্রচ্ছদ অনবদ্য।
রৌদ্রবলাকা গল্পে 'মিতাদি' কি 'মিতালি'? 'কমলবাবু... স্ত্রী মিতাদিকে ডেকে নিয়ে...।' এখানেই বোঝা যায়, মিতাদি নয়, মিতালিই। কিন্তু সর্বত্র সেই মিতাদি হয়েই রইল বেখেয়ালে!
গল্পকারের প্রতি অনেক শুভেচ্ছা। দীর্ঘ প্রতিকূলতার মধ্যেও এতদিন যখন সচল রাখতে পেরেছেন কলম, আশ্বস্তবোধ করতে পারি যে সে কলমের আর থেমে যাওয়ার ভয় নেই।
----------------
পুস্তকের নাম : তিতলি
লেখকের নাম : রামকুমার সরদার
প্রকাশকের নাম : সুচেতনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা
প্রকাশকাল : ২০২১ সাল
মূল্য : ২৫০ টাকা