গল্পের নাম হালুয়া , না হল না অণুগল্পের নাম হবে এটা । কাগজে কলমে গল্পহলেও এর শর্তগুলো যেন অণুগল্পের মতো । কিছুটা আকাশভেদী কান্না আর চোখে অবিরাম জল ।
সেই কতদিন আগের কথা অনল আর অমলার দেখা । অমলা প্রথম পড়তে আসে অনলের কোচিং সেন্টারে । ক্লাস নাইন , চোখে মুখে দীপ্তির ছটা ।
অনল তাকে খুব স্নেহ করে । একদিন পড়ানোর ছলে অনল অমলার চোখে চোখ রাখে । তার ভাষা বুঝতে চায় , চোখের ভাষায় কেমন যেন সম্মতির লক্ষণ । আবেগে ভেসে যায় দুজনে । কোথায় হারায় জানে না ।
তারপর একদিন অনল চাকরি পেয়ে চলে যায় সুদূর সুন্দরবনের এক অন্ত্যজ গ্রামে । সেখানকার স্কুল মাস্টার সে । সেখানকার সব ছাত্রীর মধ্যে সে যেন অমলাকেই খুঁজে ফেরে । এদিকে অমলা অনলের বিহনে ছোট ডায়েরিতে লিখে রাখে বিরহ যাপনের কথা ।
পাঁচ বছরের তাদের দেখা এক বিয়ে বাড়িতে , উভয়েরই নেমন্তন্ন ছিল সেখানে । চোখ চাওয়া চাওয়ি হয় দুজনের , কেউ কোনো কথা বলতে পারে না । হাওয়ায় হাওয়ায় শুধু ভেসে আসে একটিই শব্দ -- লে হালুয়া ।
----------------------------
ঠিকানা
দীপঙ্কর সরকার
কাঁঠাল পুলি
(সিংহের হাটের কাছে)
চাকদহ
নদীয়া
৭৪১২২২
M 6297618158