গল্প ।। আকাশের নীল ।। অঙ্কিতা পাল
0
May 01, 2022
আকাশের নীল
অঙ্কিতা পাল
একদিন বিকেলে নীলিমা তার তার মেয়েকে নিয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল, এমন সময় হঠাৎই তার কানে ভেসে আসে একটি প্রশ্ন - নীল তুমি কেমন আছো? প্রথমে নীলিমা প্রশ্ন টি এড়িয়ে চলে যায়, তারপর সন্ধ্যেবেলা যখন সে বিছানায় একা শুয়ে থাকে তখনই হঠাৎ তার মনে প্রশ্নটিই আবার উদয় হয়। এই প্রশ্নটিই যেন বারবার তার কানে ভেসে আসে, যতই নীলিমা ভুলবার চেষ্টা করুক না কেন বারবার প্রতিধ্বনিত হতে থাকে। সে তখন আচমকাই উঠে বসে দুই কানে হাত দিয়ে চিৎকার করে বলে - না........... না। আমি এখনো তোমায় ভুলতে পারিনি।
তারের ও চিৎকার শুনে পাশের ঘর থেকে তার মেয়ে অনুপমা ছুটে আসে, প্রশ্ন করে কি হয়েছে মা তোমার? একটু জল খাবে।
নীলিমা তখন তার মুখের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকে এবং বলে- হ্যা রে মা একটু জল দে। অনুপমা জল দেয় জল খেয়ে আবার শুয়ে পড়ে, নীলিমার শরীর যেন ঠকঠক করে কাঁপে এবং দরদর করে ঘামতে থাকে। নীলিমা চোখ বন্ধ করে আবার শুয়ে পড়ে, চোখ বন্ধ করার সাথে সাথেই তার মনে পড়ে যায় কুড়ি বছর আগেকার পুরনো স্মৃতি। যেই স্মৃতিতে ছিল শুধু নীল ও আকাশ।
নীলিমা তখন নবম শ্রেণীর ছাত্রী ও আকাশ একাদশ শ্রেণীতে পড়ে। হঠাৎই একদিন স্কুল ছুটির পর, নীলিমা কিছু সহপাঠির সাথে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছে এমন সময় একটি ছেলে তাদের পিছন সাইকেলে করে তাদের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং নির্ভয়ে প্রশ্ন করে - তোমাদের মধ্যে নীলিমা কে গো? তারা ছেলেটার ব্যবহারে একটু বিরক্ত হয়ে গনগন করে হাঁটা দেয়। কিছুদিন পর পুনরায় একই ঘটনা ঘটে, নীলিমা প্রচন্ড বিরক্ত হয় এবং প্রশ্ন করে - কেন বলতো আমাদের সাথে? ছেলেটি দিকে তাকিয়ে বলে - ডু ইউ লাভ মি? তখন নীলিমা রেগে গিয়ে ছেলেটির গালে ঠাস করে একটা চড় মেরে চলে যায়। কিন্তুু কোথাও যেন নীলিমার মনের এককোনে আকাশের জন্য জায়গা তৈরী হয়...............
এভাবে কয়েক বছর কেটে যায় আকাশ একদিন নীলিমার বাড়িতে আসে, তার বাবা-মার সাথে সাক্ষাৎ করে এবং বিয়ের প্রস্তাব দেয়। যেহেতু আকাশ বেকার ছিল সেজন্য নীলিমার বাবা-মা এই প্রস্তাবে সম্মতি দেন নি। তারা আকাশের ব্যবহারে বিরক্ত হয়ে নীলিমার অন্যত্র বিবাহের ব্যবস্থা করেন, এরপর তার ধুমধাম করে বিয়ে হয়। এভাবে পঁচিশ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর, আবার নীলিমার সাথে আকাশের সাক্ষাৎ হয়।
আজ আকাশ একজন বড় ব্যবসায়ী কিন্তু নীলিমার জীবনে তার একমাত্র মেয়ে অনুপমা ছাড়া আর কেউ নেই।
তাই নীলিমা তার শূন্য জীবনে আকাশের পথ চেয়ে বসে থাকে............
তারের ও চিৎকার শুনে পাশের ঘর থেকে তার মেয়ে অনুপমা ছুটে আসে, প্রশ্ন করে কি হয়েছে মা তোমার? একটু জল খাবে।
নীলিমা তখন তার মুখের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকে এবং বলে- হ্যা রে মা একটু জল দে। অনুপমা জল দেয় জল খেয়ে আবার শুয়ে পড়ে, নীলিমার শরীর যেন ঠকঠক করে কাঁপে এবং দরদর করে ঘামতে থাকে। নীলিমা চোখ বন্ধ করে আবার শুয়ে পড়ে, চোখ বন্ধ করার সাথে সাথেই তার মনে পড়ে যায় কুড়ি বছর আগেকার পুরনো স্মৃতি। যেই স্মৃতিতে ছিল শুধু নীল ও আকাশ।
নীলিমা তখন নবম শ্রেণীর ছাত্রী ও আকাশ একাদশ শ্রেণীতে পড়ে। হঠাৎই একদিন স্কুল ছুটির পর, নীলিমা কিছু সহপাঠির সাথে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছে এমন সময় একটি ছেলে তাদের পিছন সাইকেলে করে তাদের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং নির্ভয়ে প্রশ্ন করে - তোমাদের মধ্যে নীলিমা কে গো? তারা ছেলেটার ব্যবহারে একটু বিরক্ত হয়ে গনগন করে হাঁটা দেয়। কিছুদিন পর পুনরায় একই ঘটনা ঘটে, নীলিমা প্রচন্ড বিরক্ত হয় এবং প্রশ্ন করে - কেন বলতো আমাদের সাথে? ছেলেটি দিকে তাকিয়ে বলে - ডু ইউ লাভ মি? তখন নীলিমা রেগে গিয়ে ছেলেটির গালে ঠাস করে একটা চড় মেরে চলে যায়। কিন্তুু কোথাও যেন নীলিমার মনের এককোনে আকাশের জন্য জায়গা তৈরী হয়...............
এভাবে কয়েক বছর কেটে যায় আকাশ একদিন নীলিমার বাড়িতে আসে, তার বাবা-মার সাথে সাক্ষাৎ করে এবং বিয়ের প্রস্তাব দেয়। যেহেতু আকাশ বেকার ছিল সেজন্য নীলিমার বাবা-মা এই প্রস্তাবে সম্মতি দেন নি। তারা আকাশের ব্যবহারে বিরক্ত হয়ে নীলিমার অন্যত্র বিবাহের ব্যবস্থা করেন, এরপর তার ধুমধাম করে বিয়ে হয়। এভাবে পঁচিশ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর, আবার নীলিমার সাথে আকাশের সাক্ষাৎ হয়।
আজ আকাশ একজন বড় ব্যবসায়ী কিন্তু নীলিমার জীবনে তার একমাত্র মেয়ে অনুপমা ছাড়া আর কেউ নেই।
তাই নীলিমা তার শূন্য জীবনে আকাশের পথ চেয়ে বসে থাকে............
--------------------------------
নাম - অঙ্কিতা পাল
ভাঙ্গড় দক্ষিণ ২৪ পরগনা
দূরাভাষ - ৯৭৪৯৬১৭২২০
ভাঙ্গড় দক্ষিণ ২৪ পরগনা
দূরাভাষ - ৯৭৪৯৬১৭২২০
Tags