ছবিঋণ- ইন্টারনেট ।
গণেশ সামন্ত বিড়ি থেকে সিগারেটে প্রমোশন ঘটিয়ে ফেললো।আগের চেয়ে রোজগারপাতি বেড়েছে। চেহারাতেও চেকনাই।জামা কাপড়ও বেশ দামী।
তরলের নেশা ছিল না।এখন বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে সিক্সটি খেকে বিয়ার ব্র্যান্ডি রাম হুইস্কি ভদকা.. টিচার্স ব্ল্যাক ডগ সিগনচার নামীদামি সব ব্র্যান্ড। সিগারেটে দু আঙুলের ফাঁকে লম্বা শ্বাস টেনে চুটকি মেরে ছাই ছেড়ে বলাই সুমন্তদের গর্বভরে বলতো... একই জিনিস নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না,বুঝলি..ব্র্যান্ড চেঞ্জ করতে হবে।
কিছুদিন পরেই শোনা গেল কাজের জায়গায় গোলমাল..পুলিশ কেস।তারপর যা.হয়...নেতাদের ধরে কেসটাকে ম্যানেজ করে নিল কোনরকমে।
গণেশের পাড়ার টালির ঘর থেকে ঢালাই বাড়ি.. দু কামরা থেকে চার কামরা... শেষমেষ শহরে ক্রিম জায়গায় বিলাস বহুল ফ্ল্যাট বাড়ি।এক গাড়ি থেকে অন্য দামী গাড়ি অবশ্যই বাতানুকূল।
হঠাৎ বড়লোক হয়ে গেলেও পাড়ার বন্ধু সুমন্ত,আনন্দ,বলাইদের ভুলতে পারে না... আড্ডা দিতে চলে আসে নিজের সেডান গাড়ি চড়ে।তাছাড়া বাপের বানানো দু কামরা টালির বাড়িটা রেখে দিয়েছে।এখন লোকে তাকিয়ে দেখে... সেদিনের গণশা হঠাৎ কেমন মার্কামরা হয়ে গেল।
বছর তিনেক পরেই দেখা গেল টালির বাড়িতে গণেেশদের প্রত্রাবর্তন। সে বাড়িও নেই গাড়িও নেই। একেবারে পুর্ণমূষিক ভব। এখন পুলিশ থেকে সি বিআই.. পুরোণো কেসেই ধরা পড়েছে.. চাকরীটাও খোয়ালো।
গণেশকে সাইকেলে চড়ে আসতে দেখে বলাই বলে ফেলল কথাটা.. কি রে ব্রান্ড চেঞ্জ করলি মনে হচ্ছে.. ডানহিল খেকে আম বিড়ি. সেডান খেকে সাইকেলে।বাহ্্দারুণ....
গণেশ টাল সামলাতে না পেরে সাইকেল নিয়ে উল্টে পড়লো রাস্তায়।
--------------------