উচিত শিক্ষা
মিঠুন মুখার্জী
সোমবার সকালবেলা। প্রচন্ড গরম পরছে কদিন। ঋত্বিকা ব্যাগ নিয়ে সাইকেল চালিয়ে বায়োলজি টিচারের কাছে পড়তে যাচ্ছিল। সপ্তাহে দুদিন সকাল সাতটা থেকে পড়া। ঋত্বিকার বয়স ষোল-সতেরো হবে। রাধেশ্যামের চায়ের দোকান পেরিয়ে একটা ফাঁকা রাস্তা দিয়ে ঋত্বিকার পড়তে যেতে হয়। রাস্তার দু'পাশে পাট ক্ষেত। তাই ওখান থেকে যেতে ওর গা-টা কেমন ছমছম করে। ভূত-প্রেতের ভয় নেই ওর, ভয় মানুষের। আজ যখন ওই জায়গাটা দিয়ে ও যাচ্ছিল, তখন হঠাৎ দুটি ত্রিশ-পয়ত্রিশ বছরের যুবক ওর রাস্তা আটকায়। ঋত্বিকা বলে----"কি ব্যাপার, আপনারা এভাবে আমার রাস্তা আটকালেন কেন? কি চাই আপনাদের?" এই কথাটি শুনে ছেলে দুটি শয়তানি হাসি দেয়। বলে---- "তোমাকেই চাই মামনি। তুমি আমাদের নেশা ধরিয়েছ।"
এরপর সাইকেল ফেলে দিয়ে ঋত্বিকা দৌড় মারতে যায়,এমন সময় তারা ওকে ধরে ফেলে। দুজনে চ্যাংদোলা করে ওকে পাট খেতের মধ্যে নিয়ে যেতে লাগে। এমন সময় যে পা ধরেছিল তার অন্ডকোষে ঝেড়ে ঋত্বিকা একটা লাথি মারে। তৎক্ষণাৎ বাবাগো মাগো বলে ঋত্বিকাকে সে ছেড়ে দেয়। তারপর দাঁড়িয়ে অপরজনের দুটি চোখে ঋত্বিকা আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেয়। সেও যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত বুদ্ধি মতো নিজের কাছে থাকা ফোন দিয়ে পুলিশকে সব জানায় সে। এদিকে ব্যাগে থাকা ক্লোরোফর্ম নিয়ে ঋত্বিকা যুবক দুজনের নাকে শুকায়। দুজনই অজ্ঞান হয়ে যায়। মিনিট দশেকের মধ্যে পুলিশ এসে যুবক দু'জনকে গ্রেফতার করে। আশেপাশের সকল মানুষ ঋত্বিকার উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা করে বলে ---- "মেয়েরা আর দুর্বল নেই। সাহস ও বুদ্ধি থাকলে শয়তানদের জব্দ করা যায়।"
==================
মিঠুন মুখার্জী
C/O-- গোবিন্দ মুখার্জী
গ্ৰাম : নবজীবন পল্লী
পোস্ট+থানা -- গোবরডাঙা
জেলা -- উত্তর ২৪ পরগণা
পিন-- 743252
মোবাইল: 9614555989