চিঠিঃ প্রায় এক হারিয়ে যাওয়া শিল্প
অঙ্কিতা পাল
১. বর্তমান সভ্যতার হারিয়েছে চিঠির ব্যবহার। একসময় চিঠি ছিল
ভাষা প্রকাশের ন্যতম প্রধান মাধ্যম। এরি হাত ধরে কত খবর আদান প্রদান হতো। মানব সভ্যতা যত এগোচ্ছে ততোই বাড়ছে স্মার্টফোনে থাকা হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, শেয়ারচ্যাট, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদির ব্যবহার।
২. একসময় কৈশোর বয়সের প্রেমিক-প্রেমিকারা চিঠির মাধ্যমে ভালো-মন্দের খবর নিতো ও নিজেদের মনের ভাব প্রকাশ করতো। কিন্তু এখন চিঠির পরিবর্তে ফেসবুকের মেসেঞ্জার কেই প্রাধান্য দেয় তারা।
৩. বিভিন্ন বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্ররা ছাত্রীরা কোন কারণে অনুপস্থিত থাকলে, তার কারণ দেখিয়ে চিঠি দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সেই কারণের একটি মেসেজ পাঠিয়ে দিলেই চলে যায়।
৪. স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ কয়েক বছর আগে পর্যন্ত বিভিন্ন প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলি স্কুল ডায়েরিতে লিখে দিতেন। কিন্তু আজ তারা মনে করেন সময় অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত, তাই তারা বিভিন্ন তথ্য সামগ্রীকে ফোনে পাঠিয়ে দেন।
৫. বন্ধুবান্ধব বা দূরে থাকা আত্মীয়-স্বজন তারা কেউই আর চিঠি লিখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। ভিডিও কলে বা বিভিন্ন চ্যাটের মাধ্যমে তাদের বার্তা প্রেরণ ও দেখা সাক্ষাৎ করেন।
আরো যতই মানবসভ্যতা অগ্রসর হবে, ততই বাড়বে স্মার্টফোনের মতন বিভিন্ন যন্ত্রের ব্যবহার। আর তার তার সাথে সাথেই হ্রাস পেয়ে যাবে বা অবলুপ্তি ঘটবে " চিঠি " নামক কাগজের তৈরি মূল্যবান জিনিস টির।
আসলে সর্বশেষে একটা কথাই বলা যায়, বর্তমান যুগের মানব সভ্যতা যন্ত্রের দ্বারা বন্দী।
==============
নাম - অঙ্কিতা পাল
ভাঙ্গড় দক্ষিণ ২৪ পরগনা
দূরাভাষ - ৯৭৪৯৬১৭২২০