চিঠির কথা
রানু বর্মণ
সুচরিতাষু প্রিয়তম,
জীবনের ফেলে আসা পথে স্মৃতির বালুচরে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ মনে পড়ে গেছে তোমার কথা।
হৃদয়ের চিত্রপটে ভেসে উঠছে বহুদিন আগের সেই ধূলো জমা স্মৃতি বিজড়িত প্রথম দেখা। আজো চোখের মধ্য মনিতে স্থির হয়ে আছে একটি ছবি।আমি তোমাকে ভালোবাসে পাগল হয়েছিলাম।অস্থির মন তোমার প্রেমের মদিরা পান করে হয়েছিলো পূর্ণ্যতোয়া নদী। প্রতিটি নিশ্বাস তোমাকে অনভব করেছে হৃদয়ের অন্ত গ্রন্থিতে।
তুমি ছিলে আমার ভরা যৌবনে কুসুম বাগের কোকিল। আমার ফুলের বাগান জুড়ে ছিলো তোমার অবাধ বিচরণ। বসন্তের বিজন সন্ধ্যায় তুমি আর আমি সমুদ্র তীরে জল রাশির ঢেউয়ের তালে স্বপ্নের বেলাভূমিতে রচনা করেছিলাম সুখ বলয়। হঠাৎ দমকা হাওয়ায় ঐ ঢেউয়ের অতল তলে তলিয়ে গেল সব।এলো মেলো হলো চলার পথ।আজ সব অতীত।বহু দিন দেখা নেই। জটিল জীবন আর্বতে ঘূর্ণায়মান কালের চাকায় আজ আমি অন্যের ঘরনী। তুমি কেমন আছো! বড্ড জানতে ইচ্ছে করে। একবার ঐ মুখে শুনতে ইচ্ছে করে আমার ক্ষমাহীন অপরাধের কারন। ভালোবাসার মিথ্যের আয়না টাকে এক টানে তোমার চোখের সামনে ভেঙে দিয়ে একবার বলতে ইচ্ছে করে তোমাকে ভালোবেসেছিলাম-- "শুধু তোমাকে"। ঝিনুক যেমন মুক্তকে লুকিয়ে রাখে নিজের মধ্যে তেমনি ভাবে আমার হৃদয়ের গভীর তলদেশে থেকে যাবে তুমি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।জানতো সুখ -দুখ আজ আমাকে স্পর্শ করেনা।হৃদয় আজ আর কথা বলেনা। আমার ফুলের বাগান পুড়ে গেছে যন্ত্রনার তীব্র দাবদাহে।
সবার মাঝে থেকেও আজ আমি বড় একা।
যদি কখনো আমাকে মনে পড়ে ,,,যদি তোমার হৃদয়ে ওঠে কখন ঝড়,,প্রলয়ের কাছে পাঠিও খবর তুমি বুঝেছো আমার ভুল ছিলো না,,,
ইতি
তোমার শ্রীতমা
=====================
রাণু বর্মণ
বেগমপুর কলোনী
বারুইপুর
দঃ২৪ পরগণা
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
অসাধারণ ! অনাবদ্য লাগলো রানু ম্যাডামের লেখা চিঠি টি , খোলা মনে এমন লেখা কঠিন ।
উত্তরমুছুননাম; -উজ্জ্বল বিশ্বাস
উত্তরমুছুন