ছবি ঋণ- ইন্টারনেট
সুপারিওরিটি কমপ্লেক্স
পীযূষ কান্তি সরকার
নাম ছিল তার রাজু সাহু। আদালতের এফিডেবিট বলে হয়ে গিয়েছিল রাজা সাহা। কথায়-বার্তায় আপাদমস্তক খাঁটি বাঙালি।তার একান্ত ইচ্ছা ছিল শিক্ষক হবে কিন্তু শেষ পর্যন্ত একটি স্কুলের ডিলিং ক্লার্ক - এর পদে চাকরি পেল সে। তবে স্কুলের নাম ভাঁড়িয়ে সকলকে রাজা বলত সে ওই স্কুলের শিক্ষক। শিক্ষক সেজে টিউশান পড়িয়ে মোটা টাকা রোজগার করত সে।
শিক্ষক হয়েও প্রলয় রায়-কে রাজা সাহার কথামতো চলতে হত। আড়ালে ছিল হেডমাস্টার বিশু ঘোষের প্রশ্রয়। রাজা যদি বলত --'সকালের দিকে কোশ্চেন সেট করতে পারব না, টিফিনের পর করবো' তো তাই মানতে হত প্রলয়কে। অবশ্যই ছাত্রদের স্বার্থে।
তার ইচ্ছা মেনে নিতে নিতে একসময় বচসায় জড়িয়ে পড়ল প্রলয়। দশ-বারোটা বই ফলো করে , নিজের জ্ঞানকে হাতিয়ার করে কোশ্চেন তৈরি করার পর তার হাতের লেখা পরিস্কার হলেও 'বুঝতে পারছি না' -- এই অজুহাতে তাকে ডিক্টেশন দিতে বাধ্য করা, ক্লার্ক হয়েও শিক্ষককে নিজের ইচ্ছামতো চালনা করা -- এই সবকিছুর প্রতিবাদের স্বার্থে সেদিন জ্বলে উঠল প্রলয়, " অনেক সহ্য করেছি, আর নয়। এবার হেডমাস্টারমশাইকে স্পষ্ট বলে দেব কোয়েশ্চেন কেবলমাত্র টাইপ করার জন্য ক্লার্কের প্রয়োজন নেই। আমার জন্য একটা কম্পিউটারের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।ময়ূরপুচ্ছ লাগানো 'কাক'-কে ময়ূর বলতে পারব না।"
----------------
পীযূষ কান্তি সরকার
কদমতলা, হাওড়া -১