শিশু পেত্নী ও খাদকিনী মেম
অঞ্জলি দে নন্দী, মম
ভারতে তখন বহু বছর ধরে ইংরেজ শাসন চলছে। বহু ব্রিটিশ রমণী তাদের স্বামীদের সঙ্গে এসে এদেশে থাকত।
এক মেম একা তার গাড়ি করে ঘুরতে বেরোতো। তার কোনো সন্তান ছিল না। সে বাচ্চাদের স্কুলের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করত। আর সুযোগ বুঝে কোনও একটি শিশু মেয়েকে নাকে ক্লোরোফোম শুঁকিয়ে অজ্ঞান করে কোলে করে তুলে নিয়ে এসে গাড়িতে শোয়াতো। তারপর খুব দ্রুত টস চালিয়ে নিজের বাংলোয় আসতো। কন্যাটিকে নিজের হাতে কেটে রান্না করে খেতো। রোজ সে এক নারী হয়েও এভাবেই এক এক এক করে অনেক নারী শিশু হত্যা কোরতো।
অনেক বছর কেটে গেল। এবার সে ও তার পতি ভারত ছেড়ে ইংল্যান্ড চলে গেল। তাদের বাংলোটি রক ভারতীয় জমিদার কিনে নিয়ে সেখানে রইলো। তাদের পরিবারে অনেকজন বাচ্চা মেয়ে ছিল। রোজ রাতে তাদের সঙ্গে শিশু পেত্নীরা খেলতে থাকতো। জীবন্ত মেয়েরা জানতোই না যে এতোজন সঙ্গী রোজ রাতে কোথা থেকে আসে আবার সকাল হলেই কোথায় চলে যায়। সারা রাত খেলার জন্য মেয়েরা স্কুলে গিয়ে ঘুমিয়ে পরে। স্কুল থেকে তাই তাদের মাবাবার কাছে কমপ্লেন এলো। তাদের মায়েরা রাতে আর মেয়েদের অন্য ঘরে না শুইয়ে নিজেদের বেডেই শোয়ালো। মায়েরা দেখলো যে তাদের কন্যারা অনেক সাথীদের সাথে রাতে খেলছে। ব্যাপারটা বুঝলো। কিন্তু মায়েরা দেখলো যে দিনের আলো ফুটতেই সঙ্গীরা গায়েব। পরের রাতে তারা বুঝলো যে ঐ মেয়ে সঙ্গীরা আসলো কেউই আর বেঁচে নেই। ওরা রাতে মেয়েদের রূপ ধারণ করে।
এরপর মায়েরা এক তান্ত্রিকের কাছে গেলো। ঘটনা জানালো। তান্ত্রিক বললেন, " আমি সামনের অমাবস্যার রাতে ওদের ঐ বাড়ি থেকে স্বর্গে পাঠিয়ে দব। " তিনি অমাবস্যার রাতে এলেন। হোম করলেন। এক এক করে মোট ১১১১ জন বালিকা ওই আগুনে এসে পরল। আর হাসতে হাসতে হাসতে তাদের আত্মা ঐ বাড়ি ছেড়ে স্বর্গে চলে গেল। তারা আর কোনও রাতেই বাড়ির বালিকাদের সঙ্গে খেলতে এলো না। তারা কত ডাকাডাকি করল, তাও এলো না।
এরপর বাড়ির মালিক সেই মেমকে চিঠিতে সব ঘটনা জানালো। সব পড়ে মেম উত্তর লিখে পাঠালো, " আমি রোজ ভারতীয় শিশু কন্যাদের রান্না করে খেতাম। তারাই পেত্নী হয়ে ওই বাড়িতে ছিল। " মালিক অবাক হল।
এর এক সপ্তাহ পর সেই মেম গাড়ি এক্সিডেন্ট হয়ে রাস্তায়, ইংল্যান্ডের এক শিশু স্কুলের সামনে মারা গিয়েছিল। কারণ সে ও দেশে গিয়েও রোজ আগের মতই ইংরেজ শিশু মেয়েদের ধরে, কেটে খেতো। আর একদিন বেসামাল হয়ে তার গাড়িটি স্কুলের দেওয়ালে গিয়ে ধাক্কা খেলো। আর তার স্পট ডেথ হল।
চিত্রঋন- ইন্টারনেট।
=================