বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন :

অণুগল্প।। ভালোবাসা ।। তীর্থঙ্কর সুমিত


ভালোবাসা

তীর্থঙ্কর সুমিত



রামু ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। খাঁ খাঁ রোদ পেরিয়ে এক মহিলা প্রতিদিন ছুটে যায় অজানা পথের দিকে,কোথায় যায়?

এ পথের শেষ প্রান্তে মস্ত এক পাঁচিল। পাঁচিলের  ও পাশে বিশাল জলাশয়। তবুও যেন ভীষণ তারা।প্রতিদিন একই সময়, একই জায়গা, এর উদ্দেশ্য টা কি?

অপলকে চেয়ে থাকে রামু তার দিকে। পুরোনো স্মৃতির রোমন্থন করে হয়তো কিন্তু...
ভদ্রমহিলা চেয়ে থাকলেও পুরোনো স্মৃতি রোমন্থন হয়না। তবে কোথায় যায়? কি ই বা করতে চায়!

ভাঙা ছাদ প্রতিদিনই একটু একটু করে ভেঙে পড়ছে মাটিতে। রোদ মাখা তপ্ত দুপুরে ডাক আসে  দাদাবাবু খেতে আসুন।

রামু - যাচ্ছিরে।

অন্ধের স্টিকে ভর করে খাবার ঘরের দিকে এগিয়ে গেলেন।

জানেন দাদাবাবু পাগলির উপদ্রব বেড়েই চলেছে। পাশের পাড়ার চঞ্চলের মেয়ে এতো জ্বালাচ্ছে পাগল হয়ে।

কোন চঞ্চল?

আরে রিস্কাওয়ালা চঞ্চল ওপাড়ার।

রামু খানিকটা স্তব্ধ হয়ে তাঁর মৃত বাবাকে প্রণাম জানালেন।

মুখে বিড়বিড় করে বলতে লাগলেন, ভালোবাসা মরেনা আমি একদিন কথা দিয়েছিলাম পাগলী তোর চোখে ভূবন দেখবো।

আজ বিকালের সাত রঙা রামধনু রামুর চোখে জ্বলজ্বল করে উঠলো।
=======================

 
তীর্থঙ্কর সুমিত
মানকুণ্ডু, হুগলী

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.