এক মায়ের আর্তনাদ
অশোক দাশ
কত টুকরো কথা, কত শত ঘটনা উজ্জীবিত করে, প্রেরণা যোগায় ,দেহ মনে বাড়ে শক্তি।চলমান ইনসাফ যাত্রায় ফুটে উঠেছে ,সারা ভারতবর্ষের নিপীড়িত বঞ্চিত শোষিত অবহেলিত মানুষের বেদনার কথা। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে, দেশকে টুকরো করার ষড়যন্ত্র। ধর্মের নামে বিভেদ সৃষ্টি করে মানুষের মাঝে হিংসার বিষ বপন। জল -জমি-নদী -খনি-শিল্প-কলকারখানা বিক্রি করার নির্লজ্জ প্রয়াস। শাসকের অঙ্গুলী হেলনে খুন ধর্ষণ লুটপাট দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য এখন সোনার ভারত। বাক স্বাধীনতার গলা টিপে হত্যা করে চলেছে শাসকের আজ্ঞাবাহিনী।
সেই সব কথা শুনতে হচ্ছে এই দীর্ঘ যাত্রাপথে। এক বয়স্কা মা কাঁদতে কাঁদতে মীনাক্ষী কে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকে, তোমরা দেশটাকে বাঁচাও মানুষকে বাঁচাও ।আমরা তোমাদের পাশে আছি। এই অসক্ত শরীরে আমাকেও তোমরা সাথে নাও। আমিও হাঁটবো। তোমরাই পারবে এই নরক যন্ত্রণা থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে। গলা বুঝে আসে চোখ দিয়ে ঝরে পড়ে তপ্ত অশ্রুর মুক্তকণা।
পদযাত্রা আগিয়ে চলে। গ্রামের পর গ্রাম নগরের পরে নগর সবখানে একটাই আওয়াজ, আমরা শান্তিতে বাঁচতে চাই, দুমুঠো ভাত চাই ,শক্ত হাতে কাজ চাই, দুর্নীতির অবসান চাই। সু -বিচার, ন্যায়বিচার চাই। সব অন্যায়ের ইনসাফ চাই। আকাশ বাতাস বিদীর্ণ করে ভেসে ওঠে একটাই সুর ইনসাফ - ইনসাফ--------।
=======================
অশোক দাশ
ভোজান, রসপুর, হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।