রবিবারটা বেশ অলসভাবে কাটায় বিজন। একটু বেলা করে ঘুম থেকে উঠে হেলেদুলে দুলকি চালে বাজার করতে যায়। যত না বাজার করে তার চেয়ে বেশি বাজারে দেখা হওয়া চেনা পরিচিতদের সঙ্গে গল্প গুজব করে সময় কাটায়। অবশ্য আর দুমাস পরে সপ্তাহের সাতটা দিনই রবিবার হয়ে যাবে বিজনের কাছে। অর্থাৎ আর দুমাস পরে সে অবসর নেবে কর্মজীবন থেকে।
আজ রবিবার। বাজার করে বাড়ি ফিরে অভ্যাস মত ফোনটা নিয়ে বসেছে বিজন। বিড়ি সিগারেটের নেশা না থাকলেও, এই একটা নেশা আছে তার। নিয়মিত সে ফেসবুক ফলো করে। প্রায়ই বিভিন্ন রকম পোষ্ট করে। অন্যের পোষ্টে কমেন্ট করে, লাইক দেয়। ফেসবুকে তার অনেক বন্ধু বান্ধব আছে। হঠাৎ একটা ছবিতে তার চোখ আটকে যায়। কৃষ্ণনগর থেকে গতরাতে ছবিটা পোষ্ট করেছে তার বন্ধু তথা প্রাক্তন সহকর্মী অশোক। অশোক তার ভাগ্নার অন্নপ্রাশনের একটা ছবি পোষ্ট করেছে। বেশ পুরানো ছবি। কিছুটা ঝাপসা হয়ে গেছে। অশোক লিখেছে, "একদিন তুই আমার কোলে বসে ভাত খেয়েছিলি। এবার আমি তোর কাঁধে চাপবো, আর কয়েক ঘন্টা পরে। কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গেছে।" পোষ্টটা দেখে বেশ অবাক হয় বিজন। ছবিটার মধ্যে কোনো অস্বাভাবিকতা না থাকলেও, মন্তব্যটা কেমন যেন স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না বিজনের। সে ভাবতে থাকে, কাঁধে চাপবে! কেন? ছোটরা বড়দের কোলে পিঠে চেপে বড় হয়, মানুষ হয়। কিন্তু বড়রা কখন ছোটদের কাঁধে চাপে? চিন্তা করতে করতে চমকে ওঠে বিজন। তবে কি অশোকের মৃত্যু আসন্ন? মন্তব্যটা কি সেরকম কোনো ইঙ্গিত দিচ্ছে? অশোক কি কোনো গুরুতর অসুখে ভুগছে? তাই বা কি করে হবে? এইতো দিন দশেক আগে সে উত্তর ভারতে ঘুরে এলো। অসুস্থ হলে কি এতদিনের জন্য ঘুরতে যেতে পারতো? তাহলে কি হতে পারে? তবে কি অশোক আত্মহত্যার কথা ভেবে পোষ্ট করেছে? কিন্তু আত্মহত্যা কেন করবে?
মাস ছয়েক আগে অশোক কর্মজীবন থেকে অবসর নিয়ে কলকাতা ছেড়ে তার পৈতৃক ভিটে কৃষ্ণনগরে ফিরে গেছে। অকৃতদার অশোক তার কর্মজীবনের প্রায় পুরোটাই কলকাতার একটা মেসে কাটিয়েছে। নাটকের নেশা তার বরাবরই ছিল। একটা গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ছিল। কাজের পর সন্ধ্যার সময়ে নাটক নিয়ে থাকতো। কলকাতায় সেটেল হওয়ার ইচ্ছা তার কখনই ছিল না। তাই অবসর গ্রহণের পর সে কৃষ্ণনগরের বাড়িতে ফিরে গেছে। পৈতৃক ভিটের প্রতি তার বিশেষ আকর্ষণ ছিল। পুজো পার্বনের ছুটিতে সে গ্রামের বাড়িতে চলে যেত। অবসর গ্রহণের কয়েক দিন পরেই সে পাকাপাকিভাবে কলকাতা ছেড়ে কৃষ্ণনগরে ফিরে যায়। অবশ্য বন্ধু, সহকর্মীদের সঙ্গে সে ফোন মারফত যোগাযোগ রাখে।
অশোককে ফোন করলো বিজন। কিন্তু ফোনটা বেজে গেল। কেউ ধরলো না। আবার ফোন করলো। এবারও বেজে গেল। তিন চারবার চেষ্টা করলো। কোনো সাড়া নেই অন্য দিক থেকে। তবে কি কোনো অঘটন ঘটে গেছে এর মধ্যে? অশোককে নিয়ে ভাবতে ভাবতে মন ভারি হয়ে এলো বিজনের। কেন এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল অশোকের জীবন? কি কারন আছে এরমধ্যে? বাড়ির অশান্তি? কিন্তু তার কোনো সুযোগ নেই। কয়েক বছর আগে অশোকের বাবা মা মারা গেছেন। সে বিয়ে করে নি। বাড়িতে সে সম্পুর্ন একা। তাহলে অশান্তি হবে কার সঙ্গে? টাকা পয়সার অভাব নেই। তাহলে কি হতে পারে? একাকীত্বের যন্ত্রণা? কলকাতার মেসে লোকজনের ভিড় ছিল। কিন্তু নিজের বাড়িতে সে একা! সম্পুর্ন একা! কাছাকাছি তার দিদির বাড়ি থাকলেও, প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে।
অবশ্য এসব নিয়ে এখন ভাবার সময় নয়। যদি অশোক এখনো কোনো অঘটন ঘটিয়ে না থাকে তবে তাকে বাঁচাতে হবে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে হয়তো দেরি হয়ে যাবে! কলকাতা থেকে কৃষ্ণনগরের দুরত্ব কম নয়! এতদূর থেকে সে কি করে অশোককে বাঁচাবে? ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। অশোকের দিদির বাড়ির ফোন নম্বর বিজনের জানা নেই। থানায় গিয়ে লাভ হবে না। কারন অশোকের বাড়ির ঠিকানা সে জানে না। এখন সে কি করবে? ভাবতে ভাবতে হতবুদ্ধি হয়ে যায় বিজন। তার মাথা কাজ করছে না। সে ভাবলো অন্য বন্ধুদের পরামর্শ নেবে।
তড়িঘড়ি বিজন ফোন করে প্রদীপকে। প্রদীপও তাদের সহকর্মী এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু। খড়দার বাসিন্দা প্রদীপ বাড়িতে ছিল। বিজনের মুখে সব শুনে সে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বেরিয়ে পড়ে। প্রদীপের গাড়ি আছে। সে নিজেই চালায়। অবশ্য বেহালা থেকে খড়দায় পৌছাতে বিজনের বেশ কিছুটা সময় লেগে গেল। বেলা দুটো নাগাদ তারা রওনা দিল কৃষ্ণনগরের উদ্দেশ্যে। বেশ জোরে গাড়ি চালাচ্ছে প্রদীপ। কৃষ্ণনগর সহরে পৌঁছাতে পাঁচটা বেজে গেল। খুব খিদে পেয়েছে দুজনের। রাস্তার ধারে খাবারের দোকান চোখে পড়লেও খাওয়ার মানসিকতা কারো নেই। অশোকের বাড়ি অবশ্য কৃষ্ণনগর সহর থেকে অনেক দুরে। কয়েক বছর আগে প্রদীপ একবার অশোকের বাড়ি এসেছিলো। কিন্তু রাস্তাঘাট, পরিবেশ এরমধ্যে অনেক পাল্টে গেছে। অনেক আধুনিক হয়ে উঠেছে এলাকাটা। ঠিক রাস্তায় যাচ্ছে কিনা বুঝতে পারছে না। বারে বারে রাস্তার লোকজনদের জিজ্ঞাসা করতে হচ্ছে। এক জায়গায় গাড়ি রেখে বেশ খানিকটা হেঁটে যেতে হলো প্রদীপদের। অশোকদের বাড়ির আশেপাশের এলাকাটা অবশ্য একই রকম আছে। বিরাট বড় একটা ফুলের নার্সারির মাঝে অশোকদের বাড়িটা। যখন তারা অশোকদের বাড়ির কাছে পৌঁছালো, ঘড়িতে প্রায় ছটা। তারা অবাক হয়ে দেখলো দরজায় তালা ঝুলছে। দরজায় তালা দিয়ে কোথায় গেল অশোক? শীতকাল, সন্ধ্যা হয়ে গেছে। রাস্তায় লোকজন নেই। বেশ নির্জন জায়গা। চারিদিক গাছগাছালিতে ভর্তি। প্রায় জঙ্গলাকীর্ণ। সামনে একটা বড় পুকুর আছে। সরু মেঠো রাস্তাটা এঁকে বেঁকে কোথায় গিয়ে শেষ হয়েছে বোঝা যাচ্ছে না। প্রদীপ মোবাইলের টর্চলাইট জ্বেলে এদিকে ওদিকে দেখার চেষ্টা করছে। দুজনেই ভাবছে এখন কি করবে? কোন দিকে যাবে? কাকে জিজ্ঞাসা করবে? নাকি বাড়ি ফিরে যাবে? কিছুই বুঝতে পারছে না!
হঠাৎ বিজনের নজরে পড়লো একজন বৃদ্ধ মেঠো পথ ধরে হেঁটে চলেছে। দুজনে প্রায় দৌড়ে গিয়ে তাকে ধরলো, অশোকের কথা জিজ্ঞাসা করলো। বৃদ্ধের কথায় বোঝা গেল যে সে অশোককে চেনে। অশোকের প্রতিবেশী। জিজ্ঞাসা করতে সে বললো, "আপনারা অনেকে দেরি করে এলেন। সকালে এসে অশোকের ভাগ্না নিয়ে গেছে। দেখতে হলে শ্মশান কালীর মাঠে চলে যান।"
"শ্মশান কালীর মাঠ! মানে শ্মশানে যেতে হবে?" অস্ফুটে প্রশ্ন করলো বিজন।
বৃদ্ধ হাত নেড়ে বললো, "আপনারা এতদূর থেকে এসেছেন, আর দেরি করলে শেষটুকু দেখতে পাবেন না। এখনই রওনা হোন। আরো প্রায় দশ কিলোমিটার যেতে হবে। সন্ধ্যা নেমে গেছে। তাড়াতাড়ি যান। শ্মশান কালীর মাঠেই হচ্ছে।"
"তার মানে কি সত্যিই...," প্রদীপ কিছু একটা জিজ্ঞাসা করতে গেল। কিন্তু তার আগেই বৃদ্ধ হাঁটতে শুরু করে দিয়েছে।
অশোকের 'শেষটুকু' দেখা! তার মানে সব শেষ! সত্যিই কি অশোক শেষ করে দিল নিজেকে? নাকি অন্যকিছু? ভাবতে ভাবতে চোখে জল এসে যায় দুজনের। তাদের এতদিনের পুরানো বন্ধু, সত্যিই কি তাদের ছেড়ে চলে গেল পরপারে?
আবার অনেকটা রাস্তা হেঁটে এসে গাড়িতে উঠলো দুজনে। একবার ভাবে কি হবে অশোকের দাহকার্য দেখে? আবার ভাবে এতদূর যখন এসেছে তখন শেষটুকু না হয় দেখেই ফেরা যাক। রাস্তার লোকজনদের জিজ্ঞাসা করতে করতে প্রদীপ গাড়ি চালাতে থাকে।
কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার পর বিজন মুখ খোলে, "কিভাবে কি হলো বলতো? কিছুই বুঝতে পারছি না!"
প্রদীপ, "আমিও বুঝতে পারছি না। শরীর স্বাস্থ্য ভালো। অসুখে মারা যায়নি, এটা পরিষ্কার।"
বিজন, "কোনো রোগ গোপন করেনি এটাও পরিস্কার। রোগ ব্যাধি থাকলে অতদুরে ঘুরতে যেত না। বাড়িতে একা থাকতো, কোনো রকম ডিপ্রেশনে ভুগছিলো নাতো?"
প্রদীপ, "মনে হয় না। কারন আগে থেকেই অশোকের মেন্টাল প্রিপারেশন ছিল। রিটায়ারমেন্টের আগে থেকেই জানতো, ঘরে ফিরে একা থাকতে হবে। তাহলে আবার ডিপ্রেশন কিসের? অন্যকিছুও হতে পারে। মানে ওর জমি জায়গা, টাকাকড়ি এসব কে পাবে তাই নিয়ে কোনও ঝামেলা হয়ে থাকতে পারে!"
বিজন, "কিন্তু সে নিয়েওতো কোনো সমস্যা নেই। ওর দিদির একমাত্র ছেলে ওর ওয়ারিশ। অবশ্য গ্রামে গঞ্জে অনেক রকম পলিটিক্স দেখা যায়। গায়ের জোরে জমি বাড়ি কেড়ে নেওয়া হয়। জমি জায়গার জন্য মার্ডার পর্যন্ত হয়। পুলিশ কিছুই করে না। এরকম কোনো ঝামেলায় পড়েনিতো?"
প্রদীপ, "হতে পারে। বয়স্ক মানুষ, একা থাকে। উটকো ঝামেলা হতেই পারে। তবে মার্ডার হওয়ার কথা আগে থেকে জানবে কি করে? ফেসবুকে পোষ্ট করলো কি করে? পরিস্কার লিখেছে - কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গেছে। অর্থাৎ কি ঘটতে চলেছে সেটা সে ভালোভাবে জানতো।"
বিজন, "তারমানে অন্তিম পরিনতির ব্যাপারে ওয়াকিবহাল ছিল। কিন্তু কিভাবে কি হলো সেটাতো
বোঝা যাচ্ছে না! পুরোটাই রহস্যে মোড়া! দেখা যাক শ্মশানে গিয়ে কিছু জানতে পারি কিনা! অবশ্য এসব গোলমেলে ব্যাপারে কেউ মুখ খুললে তবেই জানতে পারবো।"
প্রদীপ, "আমরা উটকো, অচেনা লোক। হয়তো আমাদের কাছে কেউ মুখ খুলবে না। রহস্যটা রহস্যই থেকে যাবে। আর জেনেই বা কি হবে? যা হওয়ার হয়ে গেছে। অশোকতো আর ফিরে আসবে না। আমরা খুব দেরি করে ফেলেছি। কাল রাতে আমরা কেউ যদি ফেসবুকে ঐ পোষ্টটা দেখতাম, তাহলে কাল রাতেই চলে আসতাম। হয়তো অশোককে বাঁচাতে পারতাম। মরার আগে নিশ্চয়ই খুব যন্ত্রণা পেয়েছে।"
বিজন, "ভবিতব্য ভবিতব্য। যার যেদিন যাওয়ার, সেদিন যেতে হবে। অন্যরা কেবল ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে দেখবে আর চোখের জল ফেলবে।"
প্রায় চল্লিশ মিনিট পরে বিজনরা পৌছালো শ্মশান কালীর মাঠে। বেশ বড় মাঠ। মাঠের দুদিকে লোহার গোলপোস্ট রয়েছে। তারমানে এটা একটা খেলার মাঠ। মাঠের মাঝখানে প্যান্ডেল করা হয়েছে। মাইকে গান ভেসে আসছে প্যান্ডেল থেকে। কিন্তু শ্মশান কোথায়? প্যান্ডেল থেকে বেশদুরে আবছা অন্ধকারে দাঁড়িয়ে একজন সিগারেট খাচ্ছে। তার দিকে এগিয়ে গেল প্রদীপ, বিজন।
অবাক হয়ে প্রদীপ প্রশ্ন করে, "অশোক! তুই এখানে?"
অশোক, "আমিতো এখানকার বাসিন্দা। এখানেই আমার বাড়ি। আমিতো কাছেই থাকি। এসেছি নাটকের জন্য। কিন্তু এই শীতের রাতে তোরা কোথা থেকে এলি? এখানে কি করছিস?"
সমস্ত কথা খুলে বললো বিজন। শুনে প্রথমে হো হো করে হেসে ওঠে অশোক। তারপর দুঃখ প্রকাশ করে বলে, "সরি বিজন, সরি প্রদীপ, আমার একটু ভুলের জন্য তোদের এই শীতের রাতে হেনস্থা হতে হলো। দুটো আলাদা ঘটনা মিশে গিয়ে এই জটিলতার সৃষ্টি করেছে। প্রথম ঘটনাটা হলো, তোরা যেমন প্রতি বছর বিবাহ বার্ষিকী পালন করিস, আমারতো সেসব কিছুর বালাই নেই, তবে এই বছর থেকে আমি আমার ভাগ্নার অন্নপ্রাশন বার্ষিকী পালন করছি। ব্যপারটা কিছুই নয়, একটু হৈচৈ, একটু আনন্দ, একটু হুজুক, একটু খাওয়া দাওয়া আর আদরের ভাগ্নাকে গিফ্ট দেওয়ার একটা বাহানা। সেইজন্য গতকাল ভাগ্নার অন্নপ্রাশনের ছবিটা পোষ্ট করেছিলাম। আমার উচিত ছিল বিষদভাবে লেখা। আর দ্বিতীয় ঘটনা হলো, আমার ভাগ্নাটা হলো একেবারে নরানং মাতুলক্রম। মানে আমার মত নাটক পাগল। ছোট থেকেই নাটক করতে ভালোবাসে। আজ এখানে বাৎসরিক বিচিত্রানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখন সঙ্গীতানুষ্ঠান হচ্ছে। একটু আগে এই প্যান্ডেলে 'বিক্রম বেতাল' নাটক অনুষ্ঠিত হলো। আমার ভাগ্না বিক্রমের ভূমিকায় অভিনয় করলো। যার বেতালের ভূমিকায় অভিনয় করার কথা ছিল, সে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমাকে ফোনে জিজ্ঞাসা করলো অভিনয় করতে পারবো কিনা, রাজি হলাম। সেইজন্য ফেসবুকে লিখেছিলাম ভাগ্নার কাঁধে উঠবো। এখন বুঝতে পারছিস কাঁধে ওঠার ব্যাপারটা? এই সামান্য ভুলটা যে তোদের এতটা ট্রাবল দেবে আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। ঠিক হয়েছিল আজ সকালে রিহার্সাল করে নেব। তাই ভোর হতে না হতেই আমার ভাগ্না আমাকে বাড়ি থেকে এখানে নিয়ে আসে। তাড়াহুড়োতে আমার মোবাইল ফোনটা বাড়িতে ফেলে এসেছি।"
"কিন্তু তোর প্রতিবেশী যে বললো - তাড়াতাড়ি যান। না হলে শেষটুকু দেখতে পাবেন না।" একটু ভেবে বিজন নিজের ভুল সংশোধন করে বললো, "তারমানে দাহকার্য নয়, নাটকের শেষাংশের কথা বলেছিলো। ওফ্ সব মিলে মিশে একটা খিচুড়ি হয়ে গেছে!"
প্রদীপ, "খিচুড়ি নয়। যেন একটা কমেডি। কমেডি অফ এররস।"
"ভেতরে আয়, আগে অতিথি আপ্যায়ণের ব্যবস্থা করি।" বিজন, প্রদীপকে নিয়ে প্যান্ডেলে ঢুকলো অশোক।
======================
34/10/A, M.G.ROAD,
BUDGE BUDGE,
KOLKATA - 700137.