মৃণাল কান্তি দেব
ব্রিটিশাবৃত বাংলা তথা ভারতবর্ষ। একদিকে রেনেসাঁর দ্যুতি। আর অন্যদিকে বিদ্রোহের অগ্নিশিখা। আর এই দুয়ের মাঝে মহাসমারোহে চলছে বাংলা নববর্ষ উদাযাপন। গবেষক বার্ক সাহেব ও তাঁর সঙ্গীরা অবাক হচ্ছেন বাংলা নববর্ষকে ঘিরে থাকা উন্মাদনা দেখে। খুব স্বাভাবিক। কারণ, সাহেবদের নববর্ষ যেখানে আধুনিক রাজকীয়তা মোড়া সেখানে বাংলার নববর্ষ মোড়া আন্তরিকতা,লোকসংস্কৃতি, আতিথেয়তায়। বার্ক সাহেবের অন্যান্য গবেষক বন্ধুরা এই বিষয় দেখে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেলেন। তা হল- বাংলার মধ্যে এমন এক ছন্দ আছে, যা মাতিয়ে রাখে স্রষ্টাদের, যা আন্দোলিত করে অতি বড়ো নীরস মানুষদের। তাঁরা একবাক্যে স্বীকার করলেন -যদি বিশ্বের মাঝে সংস্কৃতি, উৎসব আর আবেগের হৃদশিরা বিরাজ করে,তাহলে তার নাম হবে বাংলা। এ কথা অস্বীকার করার কোনো জায়গা নেই যে, সাংস্কৃতিক রাগিনীতে মোড়া ভারতবর্ষের অন্যতম প্রধাণ অলিন্দ ছিল বাংলা। আর সেই বাংলার অনিন্দ্যসুন্দর উৎসবের মধ্যে একটি হল নববর্ষ। গাজন, চরক আর পয়লা বৈশাখ শুধুমাত্র শুভাগ্নিতে মোড়া শুভাঙ্গী হিসেবে পালিত হয় না, এই মহালগন উদযাপিত হয় সাধনা, আরাধনা ও অন্বয়কারী আলোকশিখা হিসেবে। নববর্ষর প্রসঙ্গ এলেই আমরা কয়েকটি চিরচেনা বিষয়ের মাঝেই আবদ্ধ হয়ে পড়ি। কিন্তু নববর্ষ উৎসব মানেই তো শুধু সেগুলো নয়, এর বাইরেও এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা নববর্ষের রাজকীয়তাকে বৃদ্ধি করেছে এবং সাংস্কৃতিক শিকড়কে পুষ্ট করেছে। ব্রিটিশদের আগমন বাংলা তথা সমগ্র ভারতবর্ষের রেখা পাল্টে দিয়েছিলো। ক্রমপরিবর্তনশীল সেই রেখা ঘিরে বিবর্তিত হয়েছিল সাংস্কৃতিক ধারা। কাজেই সংস্কৃতি, ইতিহাসচর্চা আর গবেষণার বৃহত্তম ক্ষেত্রে এই বিষয় উঠে আসা অবশ্যক।
বাংলা নববর্ষতে রাজকীয় আমেজ আসে ব্রিটিশ কালচারে সিক্ত হওয়া জমিদারবাড়ি থেকে। এ কথা অনেকেই জানি, বাংলার বহু জমিদার তাদের পরিধি বিস্তার করেছিল উন্নত বাণিজ্যের দুরন্ত তটরেখা পর্যন্ত। বাজার বৃদ্ধি, রাজকীয়তা বৃদ্ধির অন্যতম উপায় হয়ে উঠে এই উৎসব। সারল্যতা আর বাঙালিয়ানার মোড়া হালখাতার উৎসব পরিণত হতে শুরু করেছিল রাজকীয় মহাযজ্ঞে। কলকাতা ও তার সন্নিহিত অঞ্চলের বড়ো জমিদাররা শুরু করেছিলেন দেশীয় ও বিদেশী শিল্পকার্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির বিশেষ মেলা। ব্রিটিশদের একাংশ অবশ্য দেশীয় ও বিদেশীয় দ্রব্যের "সংমিশ্রণ"কে প্রাধান্য দিতে না চাইলেও ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের একটা বড়ো অংশ এই বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েছিলো। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, প্রাচীন বঙ্গদেশের পশ্চিমের অঞ্চলগুলিতে নববর্ষ উৎসব বৃহৎ মিলনোৎসবে পরিণত হয়েছিল। ব্রিটিশদের স্টাইলে নানারকম দেশীয় শরবত প্রস্তুত করতেন জমিদারদের দ্বারা বাছাই করা প্রস্তুতকারীরা। শোনা যায়, আড়গোড়া মার্কেটের মশলা ব্যবসায়ীরা এদিন বিশেষ মশলা উৎসব চালু করেছিলেন। সাহেবরা তারিফ করতেন এই উৎসবের। পাশাপাশি চলতো বড়ো করে লক্ষ্মী নারায়ণ ও সিদ্ধাদাতার আরাধনা। নববর্ষের সাথে জুড়ে থাকা এই ভক্তিভাব ও আরাধনার মাঝেও এক বদল আসে। জমিদাররা তাঁদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বাজারে চালু করেছিলেন লক্ষ্মী গণেশের বিশেষ আরাধনা। অতিথিদের জন্য ও ক্রেতাদের জন্য থাকতো এলাহী আয়োজন। মূলত এই সময় থেকেই বর্তমান সময়ের মতো করে নতুন জিনিসকে লঞ্চ করা শুরু হয়। দেশীয় পোশাকে বিদেশী কারুকার্য, আবার বিদেশী প্রসাধনীতে দেশীয় উপকরণ -এইভাবেই পত্তন হয় নতুন দিনের বাণিজ্যের, যার সাক্ষী হয়ে থাকে বাংলা নববর্ষ। অনেক স্থানে যেখানে নববর্ষের দিনেই বসতো চড়কের মেলা সেখানে দেখা যেত বাংলা মাটির গান। কোম্পানির কিছু সাহেবদের কাছে চড়ক বিষয়টা একটা অদ্ভুত উৎসব বলে মনে করলেও সব সাহেব অবশ্য তা মনে করতো না। দক্ষিণবঙ্গের তৎকালীন আধিকারিকরা এই উৎসবকে বলতেন" Childish round festival"। এই উৎসব ঘিরেই চলতো মেলা। ছোট্টো ছোট্টো দোকানের সারি থেকে শিল্পকর্ম ক্রয় করতেন ক্রেতারা। পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও কিনতেন। স্বদেশী আন্দোলন যখন একদম উচ্চগতিতে বহমান তখন নববর্ষেও এসেছিলো নতুন এক রূপ। দেশজ বস্ত্রর পাশাপাশি দেশজ প্রসাধনীর দোকানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। তৎকালীন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রবন্ধগুলো থেকে জানা যায়, জমিদার আর ব্যবসায়ীরা প্রত্যুষের আলো গায়ে মেখে রওনা হতেন বাজারের কেন্দ্রে। সাহেবরা যোগদান করতেন এই আড্ডায়। আর বাবুদের একাংশ জিনিসপত্র কিনতে কিনতে দেশজ না বিদেশী উপাদান কে সর্বশ্রেষ্ঠ তা নিয়ে তর্ক লাগিয়ে দিতেন। স্বাধীনতা আন্দোলনে আন্দোলিত হওয়া
আধা শহরে এ দিন গাওয়া হতো জাগরণী সঙ্গীত। পশ্চিমের অঞ্চলগুলিতে বিদ্রোহের নীল নকশা তৈরী হতো এই দিন। বাংলার একাধিক রাজপরিবারের সদস্যরা এদিন মেতে উঠতেন ঘুড়ির লড়াইয়ে। আবার জমিদারদের মধ্যেও চলতো সাংস্কৃতিক লড়াই। সেই লড়াই বৃদ্ধি পেতে পেতে এমন অবস্থা হয়েছিল যে সুদূর ইতালি থেকে এসেছিলেন সঙ্গীতশিল্পী। কারণ একটাই। বাংলার লোকগান ও ভারতীয় গানকে পরাজিত করা। কিন্তু তা কি আর হয়ে ওঠে? রক্তে,শিকড়ে, অস্থিতে, অস্তিত্বতে যে গান মিশে আছে তার কোনো ধ্বংস নেই। কালের নিরিখে এই আয়োজনে কিছু বদল আসে। বৈশাখী গান, মাটির গানের সাথে যুক্ত হয় ভারতীয় রাগ রাগিনী আর বিদেশী সুর সহযোগে গঠিত নতুন সঙ্গীত। ইতিহাস অনুযায়ী, বর্ধমান, বাঁকুড়া সহ মেদিনীপুরের জমিদাররা প্রত্যেক নববর্ষের আয়োজন করতেন সঙ্গীতের আসর। শুধু কি তাই? আধুনিক ফুড ফেস্টিভ্যালের মতোই তখনকার দিনে শুরু হয়েছিল রেসিপির প্রদর্শনী। বাঙালী রান্নার মাঝে থাকা ঝাঁঝ, স্নিগ্ধতা আর মিষ্টতা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছিল তৎকালীন প্রোগ্রেসিভ পরিবারে। বিপ্লববাদী ভাবধারাকে সামনে রেখে নতুন সাজপোশাকে উৎসবে মাতোয়ারা হতেন মানুষজন। একাধিক রাজবাড়িতে পালন হতো শরবত পার্বন, অবশ্যই তা দেশীয় শরবত যা তৈরী হতো বাঙালীয়ানার স্পর্শে। উত্তর দিকের নানা রাজপরিবারে চলতো শিঙ্গারা ও মিষ্টান্ন উৎসব। সবথেকে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার ছিল এই উৎসবকে কেন্দ্র করে তৎকালীন তরুণ প্রজন্ম ও বিপ্লবীদের সংগযোগস্থাপন। বাংলায় বিপ্লববাদী ভাবধারা যখন চরমে তখন রাজপরিবারের তরুণরা একদিকে যেমন সাধারণের মাঝে শিক্ষার আলো আনছেন ঠিক তেমনি বুনছেন স্বাধীনতার অক্ষর। নববর্ষের দিন ও বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ জুড়ে সংগঠিত হতো নবজাগরণী সভা। একের পর এক আন্দোলনের ঢেউ যত আছড়েছে ততই উৎসব হয়েছে বর্ণময়।
তৎকালীন বাংলায় রেওয়াজ ছিল নববর্ষের ক্রীড়া উৎসবের, যা স্থায়ী হতো এক কি দু সপ্তাহ পর্যন্ত। আবার, এর পাশাপাশি শুরু হয়েছিল হস্তশিল্পের আসর। জমিদারগিন্নিদের নিয়ন্ত্রণে চলতো নববর্ষের বিশেষ আসর। এই প্রসঙ্গে একটা বিষয় ভীষণ উল্লেখযোগ্য। তা হল সমাজসংস্কারকদের দ্বারা এদেশে উদ্বোধিত হওয়া রেনেসাঁ নারীদের একটা বড়ো অংশকে প্রভাবিত করেছিল। আর কর্তাদের সাথে সাহেবদের যোগাযোগ পরোক্ষভাবে সক্রিয় করেছিল অভিজাত পরিবারের বধূদের। এবং পরবর্তী সময়কালে তাঁরা উদ্যোগী হয়েছিলেন এইসব কাজে, যার শুভসূচনা অনেকসময় হতো নববর্ষতে। বহুস্থানে তরুণ তুর্কিদের একাংশ উন্নত শিক্ষাঙ্গন ও সংস্কৃতির কেন্দ্র গড়ে তুলতো নবর্ষের লগনে। নববর্ষতে বিশেষ যাত্রাপালা আর টপ্পার আসর বসতো প্রাচীন মেদিনীপুরে। সাহানার ছন্দে, কাফির আবহে মাতোয়ারা হতো দেশ পাড়াগাঁ। জমিদারবাড়ি সাজতো রোশনাইতে, রাস্তাঘাট সাজতো জৌলুসে, আর মধ্যবিত্তরা আনন্দে ভরে উঠতো হরেক রকম মিষ্টান্নতে। এ সবের পাশাপাশি নববর্ষের আরেক বিশেষ দিক ছিল,তা হল প্রেম। প্রাচীন বাংলার চিঠিপত্র, প্রবন্ধ ইত্যাদি থেকে জানা যায়,সেসময়ের প্রেমিক প্রেমিকাদের কাছে স্নিগ্ধ বাতাস ছিলো নববর্ষ। বিশেষত বিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে এই বিষয় বেশ সক্রিয় হয়ে ওঠে। বিকেলে হালখাতা করতে বেরিয়ে ইশারায় সাড়া দেওয়া কিংবা ক্যালেন্ডার বিনিময় সবকিছুতেই মিশে রয়েছে মিষ্টি মধুর দিনলিপি। শহর ও নগরের কেন্দ্রস্থলে চিত্র শিল্পীরা জমায়েত হতেন তাঁদের শিল্পকর্ম নিয়ে। শোনা যায় জমিদার কর্তৃক এই জিনিসপত্র সরাসরি পৌঁছে যেত সাহেবদের কাছে। কখনো আবার সাহেবরা সরাসরি এসে সেই সব জিনিস তুলনায় সস্তায় ক্রয় করে বাইরে পাঠাতেন। শিল্পীরাও প্রত্যেক নববর্ষে চেষ্টা করতেন মৌলিক বিষয়কে ও জীবনের বিষয়কে শিল্পের মাধ্যমে তুলে ধরতে।
দক্ষিণবঙ্গের বহু অঞ্চলে সারা সপ্তাহ জুড়ে পালিত হওয়া নববর্ষতে যুক্ত হয়েছিল শিব দুর্গা উৎসব। মূলত গাজনের দিন থেকে এই মেলা চলতো সাত দিন। অনেক স্থানে তা পনেরো দিন পর্যন্ত চলতো। নববর্ষের সন্ধ্যায় গ্রামের সাধারণ মানুষরা এসে পৌরাণিক গাথা শুনতেন। শিব ও শিবানীকে নিয়ে বোনা আঞ্চলিক কাহিনী পাঠ করা হতো। প্রাচীন বাংলার একাধিক গ্রাম নববর্ষে এভাবেই সংযুক্ত হয়ে পড়তো। জমিদারদের মধ্যে পারস্পরিক সখ্যতা বজায় রাখর জন্য উপহার বিনিময় করা হতো। তাছাড়া সম্পর্ককে দৃঢ় করতে নববর্ষর দিন দুই পরিবার একও হতো। নববর্ষের দিন প্রকৃতির কোলে বসে প্রেমের উদযাপনও করতো অনেকে।
ব্রিটিশদের মাঝে থেকে সাধারণ মানুষদের নববর্ষ উদযাপনেও সাহেবিয়ানা ফুটে উঠতে থাকে। মধ্যবিত্ত বাড়ির শিক্ষিত তরুণরা তাঁদের স্ত্রীদের নিয়ে যেতেন বিভিন্ন আসরে। আন্দোলনকারী তরুণ তরুণীরা একে অপরকে অভয়মন্ত্র দান করে উপহার স্বরূপ অস্ত্রশস্ত্র তুলে দিতেন। সাহেবি কায়দায় কার্ড বানিয়ে তাতে বিশুদ্ধ বাংলায় লেখা হতো শুভেচ্ছাবার্তা। গ্রীষ্মের অগ্নিতে তেতে ওঠা পল্লব দ্বারা সুসজ্জিত হতো ব্যবসায় লাভ করা কোনো ব্যবসায়ীর দোকান। পশ্চিম ও উত্তরের রাজবাড়িতে দীপাবলির মতো করে সাজানো হতো পুরো দালান। প্রদীপের গাত্রে থাকতো নকশা। বাড়ির ও পাড়ার মেয়েরা নববর্ষের বিশেষ আল্পনা দিতেন সারা উঠোনজুড়ে। আলাপের আবহে নিমজ্জিত হওয়া মেমসাহেবরাও প্রেমে পড়তেন আতিথেয়তার। ইতিহাসের পাতায় গিয়ে ভাবলে এটা মনে হতেই পারে, সাহেবরা বিপদ বুঝেই হয়তো সহজ হতে চাইছিলেন দেশজ সংস্কৃতির প্রতি। কিন্তু এটাও তো ঠিক, মন থেকে যদি বরণকার্য হয় তাহলে বিপরীত দিকের কঠোর বরফ গলবেই। আর আমাদের বাংলার আসল শক্তি তো এটাই, যা ভালোবাসার বাহুডোরে বেঁধে রেখেছে অন্য অংশের বিহঙ্গদের।
গাজন,চরক ও নববর্ষের মধ্যে থাকা গাঢ় সম্পর্ক, সামাজিক উষ্ণতা ছুঁয়ে গিয়েছিলো এই দেশের আবহে চাকরি করা সাহেবদের। সেইজন্যই ইংরেজি নববর্ষকে এগিয়ে রাখা মানুষরা বাংলা নববর্ষকে ভালোবাসতে পেরেছিলেন। ব্রিটিশ ঐতিহাসিকগণ একবার বলেছিলেন সংস্কৃতির রঙ প্রকৃত কোমল সত্ত্বা খুঁজে বের করে। এখানেও যে তাই হয়েছিল তা বলাই বাহুল্য।
অন্যান্য সবকিছুর পাশাপাশি নববর্ষে প্রকাশিত হতো বিশেষ পত্রিকা,ক্রোড়পত্র। তৎকালীন প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা তাতে লিখতো আবেগ দিয়ে। শীতল বাতাস গায়ে মেখে হালখাতার মিষ্টিতে মজে তৎকালীন বাঙালিরা জাগিয়েছে স্বপ্নশিখর। স্বপ্ন দেখা বাঙালিরা, আবেগের স্রোতকে গুরুত্ব দেওয়া বাঙালিরা কখনো এই দিনে ভাসিয়েছে স্বপ্নপ্রদীপ, কখনো বা কাউকে দেখিয়েছে রঙীন ভবিষ্যৎ।
সময় বদলেছে। বদলেছে আবহ। ফলস্বরূপ বদলেছে সংস্কৃতির ধারা। কিন্তু এই ক্রমপরিবর্তনশীল স্বরলিপির মাঝে অবস্থান করেও আমাদের মনে রাখতে হবে -শিকড়েই আছে নতুনত্বের ধারা, যা বর্ষর পর বর্ষকে সতেজ, সজীব ও প্রাণবন্ত করে রাখে।
========================
মৃণাল কান্তি দেব
ঘাটাল, কোন্নগর, পশ্চিম মেদিনীপুর