গল্প।। আমার প্রথম সমুদ্রযাত্রা ।। দীপক পাল
ছবি - সংগৃহীত ।
আমার প্রথম সমুদ্রযাত্রা
দীপক পাল
আমার প্রথম সমুদ্রযাত্রা ছিল খুবই কষ্টকর এবং ঘটনাবহুল। সেই ভ্রমণে লক্ষ্যে পৌঁছতে যে করুণ অবস্থার মধ্যেও এক যুদ্ধ জয়ের স্বাদ আমরা পেয়েছিলাম আট বন্ধু মিলে তা কিছুতেই ভোলার নয়। সেটা হচ্ছে আমাদের দীঘা যাত্রা। এরপরেও আমি ভারতবর্ষের বহু সমুদ্র দেখেছি এমনকি কন্যাকুমারী পর্যন্ত, কিন্তু প্রথম সমুদ্রযাত্রা আমার এই জীবনের সায়াহ্নে এসেও ভুলিনি।
সেটা ছিল ১৯৬৫ কি ৬৬ সালের এক সন্ধ্যাবেলার আড্ডায়। শুক্রবার ছিল আবার সেদিন। হঠাৎ শ্যামল বলে, ' এই শোন রোজ রোজ আড্ডা মেরে একঘেয়েমি এসে গেছে, বুঝলি। চল, কাছে-পিঠে কোথাও বেরিয়ে আসি। এই তো গত বছর নান্টু আর সোমেন রাঁচি, হাজারীবাগ আর গয়া কি সুন্দর ঘুরে এলো।' অশোক বললো, ' কেন, আমরা প্রতি বছরই তো বাইরে কোথাও না কোথাও পিকনিকে যাই।' বুটো বলে, ' না, শ্যামল একটা ভাল প্রসঙ্গ তুলেছে। আমি বলছিলাম কি আমাদের ওয়েস্ট বেঙ্গলেও একটা ভালো সি-বীচ আছে, দীঘা। ওয়েস্ট বেঙ্গল টুরিং অফিস থেকে দীঘা যাবার ভাল ব্যবস্থা আছে তা জানিস? আমরা সবাই দীঘা থেকে ঘুরে আসতে পারি সবার মত থাকলে।' শ্যামল বলে, ' তাই ব্যবস্থা করতো। কাল শনিবার সবার হাফ ছুটি, কালই অফিস থেকে ফিরে জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে বেরিয়ে যাবো।' আমি বললাম, 'রবি ও শনি দুদিনই বুটো'র অফিস ছুটি। আমি আর ও কালকে সকালে বিবাদী বাগের ট্যুরিস্ট অফিসে গিয়ে ৮টা টিকিট কেটে নিয়ে আসবো সন্ধ্যাবেলার বা কাল সকালের, কেমন?'
পরের দিন সকাল দশটার পরে বিবাদী বাগ ট্যুরিস্ট অফিসে গিয়ে দেখি অফিসের ভিতরে খুব ট্যুরিস্টদের ভীড়। সবাই মনে হলো দীঘার যাত্রী। ট্যুরিস্ট অফিসে দুই মহিলা স্টাফ খুব জোরে জোরে বলছে, ' দীঘায় আমাদের ট্যুরিস্ট অফসে বেশ কিছু দিনের জন্য সম্পূর্ণ ভর্তি হয়ে গেছে। এখন বুকিং বন্ধ হয়ে গেছে। বুকিং আবার শুরু হলে তখন আসবেন। মাঝে মাঝে খোঁজ নেবেন। কাঁথির BDO আমাদের খবর দিয়েছে যে যারা না জেনে দীঘায় বেড়াতে গেছে তারা কোথাও জায়গা না পেয়ে সি-বীচে সব শুয়ে আছে এই রোদ বৃষ্টির মধ্যে। সেই সংখ্যাটা নাকি অনেক।' মন খারাপ করে ফিরে এলাম। বাস থেকে নামতেই দেখি রাস্তার মোড়ে কার্তিক দাঁড়িয়ে আছে। সব কথা শুনে বললো, আমাদের কপালে দীঘা যাত্রা নেই, কি করা যাবে।' বাড়ি ফিরে আসতে আসতে আমি বললাম, 'সেটা তো ঠিক আছে, কিন্তু এবার তো সবাই একে একে আমার কাছে আসতে থাকবে। সবাই তো আশায় থাকবে। আমাকেই সবাইকে হতাশ হওয়ার খবরটা দিতে হবে। তোদের আর কি।'
প্রথমেই আসলো নানতু। তাকে সকালের ট্যুরিস্ট অফিসের অভিজ্ঞতার কথা শোনালাম। এ কথা শোনাতে শোনাতেই তুতুন এসে গেল। সব শুনে মন খারাপ করে চলে গেলো ওরা। একই গলিতে থাকে দুজন। যাবার সময় বলে গেল সন্ধ্যেবেলা আবার দেখা হবে। এরপর এলো অজিত, সেও সব শুনে ' দুর ' বলে চলে গেলো। ঘড়িতে তখন ৪টে বাজতে চললো। এরপরই এলো শ্যামল, অশোকের সাথে। দুজনেই এক অফিসেই কাজ করে। সেও সব শুনে ভীষণ হতাশ হলো। অশোক বিদ্রুপ করে শ্যামলের উদ্দেশ্যে বললো, ' খুবতো দীঘা যাব, দীঘা যাব করছিলি, হল তো দীঘা যাওয়া?' শ্যামল ক্ষেপে গিয়ে বললো, 'যখন দীঘা যাব ঠিক করেছি, তখন আজই যাবো। চল তো নান্টু, বুটোর বাড়ি যাই।' আমি একটু আশান্বিত হলাম। বললাম, 'সত্যি যাবি দীঘায়?' ও বলে, হ্যাঁ বলছি তো। আগে বুটোকে রাজি করাই, চল।'
গেলাম বুটোর বাড়ী। বুটো বলল,' সেকি রে, এতো ঘোর অনিশ্চিতের মধ্যে গিয়ে পড়া। ' অশোক বলে, ' এই ব্যটার জানিস মাথা খারাপ হয়ে গেছে।' বুটো বলল, ' চল তাহলে বেরিয়েই পড়ি।' পাশের বাড়িতেই অজিত থাকে, সেও শুনে বেরিয়ে এলো। এরপর পাঁচজন মিলে নান্তু ও তুতুনের বাড়ি গিয়ে ওদের যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হলো। তুতুন চটপট ওদের একতলা বাড়ির ছাদে উঠে পরের গলির ওর বরাবরে পিছনের বাড়িতে থাকা কার্তিককে ডেকে বললো তাড়াতাড়ি চলে আসতে। ও আসতেই সবাই আমরা আলোচনা করে ঠিক করলাম যে যাই থাক কপালে আমরা দীঘা যাত্রায় বেরিয়ে পড়ি। এখন আমরা বাড়ি গিয়ে গোছগাছ করে ফেলি। তারপর রাতের খাওয়া করে নিয়ে সাড়ে আটটার মধ্যে বেরিয়ে পড়ি বাড়ি থেকে। রাত সাড়ে দশটার পরে মাদ্রাজ মেলে উঠে খড়গপুর স্টেশনে নেমে দীঘা যাবার বাসে উঠবো। তখনো ম্যাড্রাস মেল চেন্নাই এক্সপ্রেস হয়নি।
যেই কথা সেই কাজ। আটটা টিকিট কেটে আমরা সাড়ে দশটার মধ্যেই ম্যাড্রাস মেলে উঠলাম। কিন্তু বসার কোনো সিট পেলামনা। শ্যামল আবার একটা বেডিং এনেছিল বেঁধে। ওটার উপরই আমরা ভাগা ভাগি করে বসতে থাকলাম। অশোক আবার একটা এমন ট্রানজিস্টর নিয়ে বেরিয়েছিল যে সেটা থেকে যে কটা দিন ছিলাম সে কটা দিন সমুদ্রের আওয়াজের সাথে পাল্লা দিয়েছে নব ঘোরালেই। কি আর বলবো। যাই হোক আমরা প্রায় রাত দেড়টার আগে পরে কোন এক সময় খড়গপুর স্টেশনে এসে পৌঁছলাম। স্টেশন থেকে বেরিয়ে দীঘা যাবার বাস খুঁজতে বড়ো রাস্তায় এলাম। একজন বললেন ওই দিকে পাবেন দীঘা যাবার বাস। একটু এগিয়ে যেতে দেখলাম একটা বাসের গায়ে কন্ডাক্টর চাপড় মারছে আর বলছে চিত্কার করে, ' দীঘা যাবে দীঘা যাবে।' আমরা সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে গেলাম আর গিয়ে দেখি খালি বাসের পাদানিটাতেই কেউ নেই। বাকি বাসে এত ভীড় যে ভেতরে দাঁড়াবার জায়গা নেই। 'এটাই শেষ বাস দীঘা যাবার এটাতেই কষ্ট করে যেতে হবে উঠে পড়ুন সবাই' কন্ডাক্টর বলে আমাদের। বলে, 'ছাদে চড়েও যেতে পারেন।' উঠে পড়লাম এক এক করে। কিন্তু যাবো কোথায়। দুদিকে দুটো করে মোট চারটে লাইন অলরেডি হয়ে গেছে। এদিকে সবাই বলে এগিয়ে যান এগিয়ে যান। ঠেলে ঠুলে কারও পা মাড়িয়ে কিছুটা গিয়ে আর যেতে পারলাম না। একদম শেষের ঠেলাটা বোধহয় একটু বেশি হয়ে গেছিল আর সে ঠেলায় দ্বিতীয় লাইনের একজন গিয়ে পড়লো প্রথম জনের ওপর। তার আবার এক হাতে ব্যাগ আর অপর হাত ওপরের হ্যান্ডেল ধরা। দাঁড়িয়ে থাকার দরুন চাপের চোটে সে ঘুরে যেতেই রেগে গিয়ে বলে উঠলেন, ' আরে আরে আরে ও মশাই আমাকে যে একেবারে বেঁকিয়ে দিলেন।' সে ভদ্রলোকও কিছু কম যান না। বললেন,' আপনি তো মশাই অনেক ভালো আছেন, আমার পিঠের ও পায়ের ওপর যে অত্যাচারটা চলছে আপনি হলে তো মশাই সিধে থাকলেও প্রাণটা আর থাকত না। আমি তো মশাই একেবারে চিমসে গেছি।' আমি একদম চুপ। নানতু আর অজিত আমার আগে, আমার পিছনে কার্তিক।বুটো এদিকে না ঢুকে সামনের দিকে গেছে। ওকে দেখতে না পেলেও কথা বলা বা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু বাসের ভিতরে এত গরম যে দর দর করে ঘামছি। দম বন্ধ হবার উপক্রম আর কি। বাস ছাড়লে যদি একটু আরাম লাগে। জানলার বাইরে থেকে শ্যামল বললো, ' এই নানতু, আমি এই বেডিং নিয়ে অশোক আর তুতুনের সাথে বাসের ছাদে গিয়ে উঠছি। হাওয়া খেতে খেতে যাবো। ওরা সব ছাদে উঠতেই বাস ছাড়লো। বাসের দুলুনির সাথে সাথে আমরাও এ ওর ঘাড়ে পড়ছি বটে কিন্তু পা সবার একদম ফিক্সড। তাতে করে ভয়ানক কষ্ট হচ্ছে সবার। ঘনটা দেড়েক চলার পর মুষলধারে বৃষ্টি নামলো। বাসের গতিও অনেক কমে গেলো। ওপরে শ্যামলদের যে কি হাল হচ্ছে তা আমরা বেশ টের পাচ্ছি। কাঁথিতে যখন বাস থামলো তখন বৃষ্টির তেজ অনেক কমে গেছে। বাস বেশ অনেক খালি হয়ে গেলো। শ্যামল ভেজা বেডিং সমেত সবাইকে নিয়ে বাসের ওপর থেকে নিচে নেমে এসে ভিতরে ঢুকলো। বেডিং ওয়াটারপ্রুফ হওয়ায় বাঁচোয়া। ওই বৃষ্টি মাথায় করে খোলা ছাতা হাতে বিডিও সাহেব সমানে বলে যেতে লাগলো, 'আপনারা যারা দীঘায় যেতে চাইছেন তারা দয়া করে ফিরে যান। এগোবেন না আর। দীঘায় আর কোনো থাকার জায়গা নেই। বহু লোক থাকার জায়গা না পেয়ে সী বিচের ওপর পড়ে থেকে রোদে পুড়ছে আর বৃষ্টিতে ভিজছে বুঝলেন। আপনারা গেলে বিপদের মধ্যে পড়বেন। তাই এখান থেকেই আপাতত ভালোয় ভালোয় ফিরে যান।'
বিডিও- র আবেদনে কেউ সাড়া দিয়েছে কিনা আমরা জানিনা কিন্তু আমরা সাড়া না দিয়ে সবাই খালি সিটগুলো দখল করে বসলাম। বাস ছাড়লো আর আমরা আসন্ন প্রথম সমুদ্রযাত্রার জন্য অধীর হয়ে অপেক্ষায় থাকলাম। কৌতুহল হচ্ছে খুব। অবশেষে বাস দীঘায় পৌঁছলো। ক্লান্ত দেহগুলো কোনোমতে টেনে নিয়ে একটা মিষ্টির দোকানের সামনে রাস্তাতেই বসে পড়লাম। বড় বড় কড়াইতে বড় বড় রাজভোগ ফুটছে। এদিকে ভয়ানক খিদে পেয়েছে। শ্যামল সবাইকে বসে আগে কিছু খেয়ে নিতে বলল, তাতে করে একটু জিরনোও হবে। বুটো হঠাৎ বললো, ' সমুদ্র দেখতে এসে খাওয়াটাই বড়ো হলো? আগে সমুদ্র দেখে আসি, তারপর খাবো।' বলে সে হন হন করে হাঁটা দিল। আমিও লাফ দিয়ে ওর পেছন পেছন ছুটলাম। সমুদ্র কি জিনিস চাক্ষুষ করে ধন্য হলাম। আবার ফিরে এলাম দলে। শ্যামল দেখছি শাল পাতায় করে দোকান থেকে দুটো করে রাজভোগ সবার হাতে হাতে দিচ্ছে। আমরা দুজনেও নিলাম। এত গরম রাজভোগ এর আগে কোনদিন খাইনি চমৎকার তার স্বাদ। এরপরে আরও একটা করে নিলাম। এরপর ঠিক পাশেই ট্যুরিস্ট অফিসে শ্যামল ও অশোক ঢুকে হতাশ হয়ে বেরিয়ে এলো। কিন্তু এখন এখানে বসে থাকলে চলবে না। থাকার জন্য একটা ব্যবস্থা তো করতে হবে। স্থানীয় অনেক গ্রামবাসী এসে দাঁড়িয়েছিল। শ্যামল আর অশোক ওদের কাছে ঘুর ঘুর করছিল। একটু পরে এসে বললো, ' এই শোন, একটা থাকার সন্ধান পেয়েছি একজনের কাছে, আমি আর অশোক দেখে আসি। যদি থাকার মত হয় তাহলে নিয়ে নেব বুঝলি।' অশোক আর শ্যামল একটা লোকের সাথে বেরিয়ে গেলো। আমিও বসে বসে গ্রামবাসীদের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি। আমার ঠিক পাশে এক চাষাভুষা লোক দাঁড়িয়েছিল। মনে হলো সে যেন কিছু বলতে চায় আমাকে। আমিই তাকে জিজ্ঞেস করলাম কোনো থাকার ব্যবস্থা করে দিতে পারবে কিনা সে। সে বলে গ্রামে তার একটা কুঁড়ে ঘর আছে। খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। আমরা দেখতে পারি একবার। আমি জিজ্ঞেস করলাম যে সে কি করে। সে বলে সামনে তার একটা জমি আছে সেটা সে চাষ করে। আমি অজিতকে বললাম, ' চল একবার দেখে আসি।' রাস্তা দিয়ে কিছুদূর যেতেই রাস্তা থেকে নেমে পায়ে চলা একটা রাস্তা দিয়ে নিয়ে গেল তার কুঁড়ে ঘরে। মাটির বাড়ি হলেও বেশ পরিষ্কার এবং সুন্দর করে নিকোনো ঘর ও বারান্দা। ঘরটা বড়, বারান্দাটাও বেশ চওড়া ইংরেজি L টাইপ। বললাম,' আমাদের ঘরটা ছেড়ে দিলে সে পরিবার নিয়ে কোথায় থাকবে?' সে বারান্দার একটা কোণ দেখিয়ে দিয়ে বললো, ' ওই ওখানে ।' দেখি ওর স্ত্রী একটা শিশুকে নিয়ে এক কোণে বারান্দায় বসে। কষ্টও লাগলো দুটো পয়সার জন্য সে নিজের ঘরটা ভাড়ার জন্য ছেড়ে দিতে পারে। তার স্ত্রীও করুণ চোখে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আমাদের দুজনের পক্ষে কথা দেওয়া মুস্কিল। সবাই রাজি হলে তবে তো। ওদিকে শ্যামলরাও একটা পাকা বাড়ি দেখতে গেছে। আমি ফিরে যেতে যেতে সেই কথাটাই লোকটাকে বলতে বলতে আসলাম। সে খালি মাথা নাড়ালো। আমরা গিয়ে দেখি শ্যামলও এসে হাজির। পাকা ঘর হলেও যেই ঘরটা আমাদের থাকতে দেবার জন্য সে রেডী, সেই ঘরটার নাকি ওপরের অনেকটা বেশ ফাঁকা অর্থাৎ মোটেই ঠিক সেফ নয়। এদিকে আমার আর অজিতের দেখা কুঁড়ে ঘরটাই সবার ভালো লাগলো। শক্ত দরজা, খিল তুলে দিলেই সেফ। দুদিনের জন্য ভাড়া নেওয়া হলো। সব মালপত্র ঘরে ঢুকিয়ে গামছা আর চাপা হাফ প্যান্ট নিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে বেরোলাম।
প্রায় দুঘন্টা ধরে সমুদ্র স্নান করে নীলাচলে ভাত-ডাল-মাছের ঝোল খেয়ে কুঁড়ে ঘরে ফিরলাম। ঘরের মালিক ঘরের মেঝেতে কয়েকটা চাটাই পেতে দিয়েছিল। আমরা তার ওপর নিজের চাদর পেতে আর ফোলান বালিশে শুয়ে ক্লান্ত শরীরে জড়ানো গলায় কথা বলতে বলতে জানলা দিয়ে ধেয়ে আসা সমুদ্রের হাওয়া ও গর্জন শুনতে শুনতে গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম সবাই। প্রায় মড়ার মতো দু ঘন্টা ঘুমিয়ে শরীরটা যেন বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠলো। এরপর তালা লাগিয়ে যখন সমুদ্র বেলায় পৌঁছলাম তখন থেকে দুটো দিন শুধু আনন্দ আর আনন্দ।
============================
Dipak Kumar Paul,
DTC Southern Heights,
Block-8, Flat-1B
Diamond Harbour Road,
Kolkata - 700104.