ছবি - সংগৃহীত ।
হৃদি
দেবদাস কুণ্ডু
- সরে এসো বৃষ্টিতে ভিজে যাবে কাপড় , দিগন্ত বলল।
হৃদি দুহাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল— বৃষ্টি আমার ভালো লাগে।
- তাহলে ছাতা আনো কেন সংগে? দিগন্ত জিগেস করল।
-দুটি কারনে। এক, ছাতা না নিলে মা খুব রাগারাগি করে। দুই, রোদ থেকে বাঁচতে।
দিগন্ত সিগারেট ধারাল। বলল—রোদে কি তুমি পুড়ে মরবে?
হৃদি অদ্ভুত হাসল।বলল—রোদে পুড়ে কেউ মরে না। সাদা রঙ কালো হয়ে যায়। কোন পুরুষ তাকায় না।
-বুঝলাম। তুমি চাইছো অনেক পুরুষ তোমার দিকে তাকাক। তোমাকে দেখুক, তাই তো?
-আয়নার ভেতরে নিজেকে দেখে, নিজের রুপ দেখে তৃপ্তি পাই না আমি। যত বেশি পুরুষ আমার দিকে তাকাবে তখন আমার মনে বিশ্বাস জন্মাবে যে, আমি সত্যি সুন্দরী।
হৃদি একটা নিশ্বাষ ফেলে কথাগুলো বলল। কিছু সময় চুপ থেকে আবার বলল—আমি বুঝতে পারবো আমার রুপ ঐশ্বর্যের অমোঘ টান আছে। না হলে এতো পুরুষ তাকাবে কেন?
- ধর যেদিন কোন পুরুষ তোমার দিকে তাকাল না, সেদিন তুমি কি করবে?দিগন্ত সিগারেটের লম্বা একটা টান দিল।
--সেদিন আমার কিছু ভালো লাগবে না। নিজের অস্তিত্বকে ভেঙ্গে চূর্ন বিচূর্ন করে দিতে ইচ্ছে করবে।
-এতো সাংঘাতিক ব্যাপার।
--কিছু বললে?
--না। কিছু না।দিগন্ত কিছু সময় চুপ করে থাকে।
--কি হলো দিগন্ত চুপ করে গেলে কেন?
--হঠাৎ মাথা যন্ত্রণা শুরু হলো।দিগন্ত মাথার চুলে আঙুল চালায়।
--তুমি কি একা বাড়ি যেতে পারবে?হৃদি জিগেস করে।
--পারবো।
--তাহলে আমি আসি। রাতে ফোন করবো। হৃদি বাসের দিকে হাঁটা দিল।
রাতে হৃদি ফোন করল। দিগন্ত দেখল হৃদি নামটা স্কিনে জ্বল জ্বল করছে। সেদিকে তাকিয়ে থাকলো। সকালের কথা মনে পড়ল। রিং হয়ে যাচ্ছে। দিগন্ত ধরল না।কিছু সময় পর আবার ফোন বেজে উঠলো। দিগন্ত দেখল হৃদি আবার ফোন করেছে। । এবার দিগন্ত ফোনটা কেটে দিল।
________________
Debdas kundu
6D Gorapada sarkar Lane
Block B flat 4
GANAPATIAPPRTMENT
Kolkata 700067