প্রবীর বারিক
কোভিড মহামারীর রূপ গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয় সরষে গাছ দোলা দেওয়ার মতো।গত দুই বছর উৎসব পুজো পার্বণ নমো নমো করে সম্পন্ন হয়।
সালটা ২০২২।খুব স্বচ্ছন্দে কাটছিল রাধু ও রাধার ভরা সংসার।দুর্গাপুজোর মরশুম আসন্ন।
রাধা স্বামীর কাঁধে হাত রেখে আহ্লাদের সুরে বলে উঠলো , " এবার পুজোয় আমার দুটো লাল শাড়ি চাই। কোনো কথাই শুনবো না"।
স্ত্রী কোনবারই এরূপ আবদার করেনি। " আচ্ছা" বলে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে একটু হাসার চেষ্টা করে রাধূ।
সৌভিক অনতিদূরে পুরনো সাইকেল নিয়ে রাস্তার এপার ওপার খেলা করছে।পুজোর গন্ধ পেয়েই পিতার কাছে এসে ফোকলা দাঁতে আধো তোতলামো ভাষায় বলে ওঠে ," বাবা এবার কনক দুর্গার মন্দিরে যাবো। ডুলুং নদীর চড়ে নাগরদোলায় চড়ব।সকাল থেকে যাবো । ব্রেক ড্যান্স,ঘোড়ার গাড়ি, জিকজাক ট্রেনে চাপব।মোগলাই খাবো।অনেক খেলনা নেব। " এইসব বলতে বলতে বাবার পিঠে লাফ দেয়।
রাধু মনে মনে ভাবে সামান্য সিভিক পুলিশের চাকরি করে কিভাবে বউ বাচ্চার শখ মেটাবে ।" ঠিক আছে বাবু সব হবে ।এবার তুমি একটু বই খুলে পড়াশোনা করোত।"
" কোন বহানা শুনবো না" -- চোখ গোলগোল করে আঙুল উঁচিয়ে সৌভিক পিতাকে শিশুসুলভ ধমক দেয়।
মহালয়া এসেছে।আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি।পুজো এসেই গেলো । ভোর তিনটের সময় ঘুম ভেঙে গেল রাধুর।" রোহিনী যাব" বলেই বাসি মুখটা একটু জল দিয়ে ধুয়ে প্যান্টজামা পড়ে নেয়।এক মিনিটের মধ্যে বাইক নিয়ে উধাও হল।ন্যাশনাল হাইওয়েতে দূরপাল্লার লরি,মালগাড়িগুলি দ্রুত গতিতে ছুটে চলেছে ।
রাস্তা পারাপারে বরাবরই সাবধানী নীতি মেনে চলে রাধু। সুবর্ণরেখার গা ঘেঁষে সাঁকরাইলের রোহিনীতে সবজি ফলনের আড়তে ভোর থেকেই লোকের আনাগোনা শুরু হয়ে গেছে।বস্তা বস্তা সবজি আনাজপাতি মাথায় নিয়ে গ্রামের চাষীরা বাজারে ঢুকছে। ঝিঙে,পটল,বেগুন,মটরশুঁটি,সজনে ডাঁটা,কেশর আলু,লাল আলু,মুলা,গাজর, লাউ, কুমড়ো,শসা,নানান শাক --- কি নেই সেখানে ।দু বস্তা সবজি ভর্তি করে রাধু বাইকের পেছনে শক্ত করে বেঁধে চললো নেতুরা বাজারের উদ্দেশ্যে।
মনে মনে দুর্গা মায়ের নাম জপো করতে করতে পৌঁছে গেল নেতুরা- আগুইবনী- একতাল বাজারে।গ্রামের ভেতরেও বাড়ি বাড়ি হাঁক দেয় --- " ও বৌদি, ও কাকিমা,ও ঠাকুমা সবজি নেবে গো সবজি।"
মোড়ে মোড়ে লোকজন ঝুড়ি ব্যাগ নিয়ে ছুটে এলো।
" তুমি কত ভোরে বেরিয়েছো ভাই,আমাদের তো তোমার ডাকে ঘুম ভাঙে।"
সবার সাথে সবজিওয়ালার খুব ভাব ।সরল মনের মানুষ সে। এপাড়া ওপাড়া ঘুরতে ঘুরতে লোকের বাড়িতে সবজি ,কলার মোচা ইত্যাদি ফলেছে দেখে সাগ্রহে কিনে নেয় সে যাতে পরের দিন দু চার টাকা বেশি উপার্জন হয় । ছেলে,বউয়ের পুজোর নতুন পোশাক আনতে হবে যে।
" মন্টুদা একটু মুড়ি দাও তো" বিধ্বস্ত চেহারায় চোখে মুখে জলের ঝাপটা দিয়ে হাত কচলাতে শুরু করে রাধু।
"তুই পারিসও ভাই ।কত সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলি?" বিস্ময়ে ঠেলাগাড়ির মালিক জিজ্ঞেস করে।
গোগ্রাসে ঘুগনি,মুড়ি,চপ গিলে ফেললো রাধু।
" আজ বেশি লাভ হল না দাদা" বিষন্ন স্বরে বলে ওঠে ।" কেন রে ? পাইকারি দর কি বাড়া?"
"না দাদা আগেই ওই বগা এ বাজারে চক্কর দিয়ে গেছে ।আমাকে আরো ভোরে আসতে হবে।"
বগার বাড়ি তো কাছেই ।তাই সে রাধূর আগেই সবজি নিয়ে বাজারে হাজির হয়ে যায় ।সব জায়গাতেই প্রতিযোগিতা।
" পুজো দু দিন বাদেই ।অথচ হাত শূন্য।কি করে যে গিন্নির আবদার মেটাব?"বলতে বলতেই ছৌ মেরে
চোখের বাইরে চলে গেল ।
টাকার থলেটা বউকে দিয়ে বলে," এটা গুণে রেখে দাও। আমি স্নান করতে যাচ্ছি।থানা থেকে ফোন করেছিল ডিউটি যেতে হবে।আজ ডে নাইট দুটো শিফটেই আমার পালা পড়েছে।"
সৌভিকও ছুটে এসে টাকা গুনতে শুরু করে - " ওয়াও! এত টাকা।সব আমার ।"
রাধা দশ,একশো, খুচরোগুলো আলাদা করে গুনতে থাকে।
একটা পাঁচশো টাকার নোট ছোঁ মেরে তুলে নিয়ে পালায় সৌভিক।
" বাবু ওটা আমায় দে,তুই ফেলে দিবি ,বাবা খুব রাগ করবে ।"
মুখটা প্যাঁচার মতো হয়ে গেলো রাধার।" মোটে বারোশ টাকা!" স্নান সেরে রাধু খেতে বসে।
" কি আর করবো আমি কি এরোপ্লেন হবো নাকি?ভোর তিনটে থেকে বেরিয়েছি।পাইকারি রেট বেশি।"
ভাত,আলুমাখা, ডাল, মাছভাজা দিতে দিতে রাধা বলে উঠলো, " এবার বোধহয় আর লাল শাড়ি কেনা হবে না।"
রাধু কিছু না বলেই সিভিক পুলিশের নীল শার্টটা পরে বাইক নিয়ে থানার উদ্দেশ্যে রওনা দিল।
থানায় বড়োবাবু সবাইকে ডেকে বললেন, " আজকে চন্দ্রীমোড়ে সবাই নাইটে এলার্ট থাকবে ।পুজো অবধি সব ছুটি বাতিল।"
সন্ধের সময় রাধু বাড়ি ফিরল।ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল তাড়াতাড়ি।নয়টার সময় আবার ডিউটি যেতে হবে।সৌভিক বাবার পিঠে চেপে দুষ্টুমি করতে থাকে।
" ওগো ওঠো নয়টা বেজে গেছে "
ক্লান্ত শরীরে ঘুম যেন ভাঙতে চাইছে না।টলটল শরীরে বিরক্তিতে চোখে মুখে জল দিল রাধু।দুপুরের চিকেন কষা ছিল , তা দিয়ে আটটা রুটি পকপক করে খেয়ে নিল ।ব্রয়লারের দাম মাছের থেকে কম তাই তিন জনের জন্য এক কেজি মাংস এনেছিল।তিন বেলাই মাংস খাওয়া হল।সপ্তাহে প্রায় দিনই চিকেন হয় বাড়িতে।আর সবজি যা বাড়তি হয় তা বাড়িতে খাওয়া হয় ।
টর্চলাইট ও হাফহাতা সোয়েটার সহ মাফলারটা নিয়ে বাইকে স্টার্ট দেয় রাধু। চন্দ্রীমোড়ে সারারাত গাড়ি চেকিং করে।ঘুম তেমন হল না।
পোড়াদার মিষ্টি দোকানে চা-বিস্কুট খায় সকলে মিলে।"জিলিপি নেবে বাবু তোমরা?" চারজন সিভিক ভাই জিলিপি খেতে শুরু করলো। রাধুর জিলিপি খুব পছন্দ ।মুখের থেকে যেন স্বাদ কিছুতেই সরছে না।
"দাদা,এগুলো কি ভালো?বাড়ি নেওয়া যাবে?" পোড়াদা একগাল হেসে বলল, "নিয়ে যাও পুরোটাই নিয়ে যাও।টাকা দিতে হবে না।"
মহানন্দে সকাল সকাল দুই কেজি জিলিপি নিয়ে রাধু বাড়ি ফিরল।
ছেলে,বউ ও মা মিলে জিলিপি মুড়ি খাওয়া শুরু করলো।টসটসে গরম রসে ভরা জিলিপি , সত্যিই অপূর্ব। রাধু তো দশ বারোটা খেয়ে নিল।
"তুমি কি রাক্ষস নাকি? পোড়ামুখো কি জিলিপি দিয়েছে ঠিক আছে? বাসিও হতে পারে।"রাধা চেঁচিয়ে উঠল। রাধু করো কথায় কর্ণপাত করলো না।
বাইকে করে সৌভিক ও পাড়ার তিনজন ছেলেকে নিয়ে মানিক মাস্টারের বাড়িতে ছেড়ে আসলো।নয়টার সময় ছুটি হবে তখন আবার ফিরবে।
রাধু বাড়ি ফিরে বিছানায় গা হেলিয়ে দিল। সারারাতের উজাগর চোখ বন্ধ করলো।কিছুক্ষণ ঘুমানোর পর ধড়পড় করে উঠে বসল।
" বাবুকে আনতে যেতে হবে।" বলেই একলাফে বিছানা ছেড়ে বেরিয়ে পড়ল রাধু।
চারজন বাচ্চাকে টিউশনি থেকে বাড়ি পৌঁছায়।এদিকে কৃষ্ণ শ্যালক ফোন করেছে সে নাকি আজ বাড়ি ফিরছে টাটানগর থেকে।সামনে পুজো তাই কাজের ছুটি।" বহরাগড়া আসলে একবার ফোন করো" ফোন কেটে বিছানায় রাধু গড়াগড়ি দিতে লাগল।
"আহ! কাজের শেষ নেই।"
" ভাই তাড়াতাড়ি আয়।সর্বনাশ হয়ে গেছে "কাঁদো কাঁদো গলায় রাধা কৃষ্ণকে বলতে লাগলো।
রান্না করছিল রাধা।দুম করে এক বিকট শব্দে চমকে ওঠে ।দ্রুত গ্যাসের ওভ্যান নিভিয়ে ঘরের দিকে পা বাড়ায়।
" কি অদ্ভুত!দরজা বন্ধ । ওগো বাবুর বাবা তুমি কোথায়?" কোন সাড়াশব্দ নেই।দরজা বন্ধ।কে দিনের বেলা দরজা বন্ধ করলো?
দরজা ঠেলা দিতেও খুলে না।মেয়ে মানুষের গায়ের জোর।" তুমি কি শুরু করলে দিনের বেলা।দরজা ঠেলে দাঁড়িয়ে আছো কেন?"।
ছেলেটা বাইরে সাইকেল চালাচ্ছে মনের আনন্দে। শাশুড়িমাকে ডেকে দুজন মিলে ধাক্কা মারে দরজায়।
দরজা একটি ফাঁক হল।কেউ যেনো ঠেলে রেখেছে মনে হল।কে এমন কাজ করবে? মনে ভয় হতে লাগলো রাধার।একটি পাল্লা ফাঁক করে ভেতরে ঢুকে দেখে তার স্বামী অচৈতন্য হয়ে পড়ে আছে।তার পা দুটো দরজায়।" কি হল গো!" বলে সজোরে রাধা কেঁদে উঠলো।
রাধার কান্না শুনে পাড়া পড়শীরা উপস্থিত হয়।
সকলে মুখে জল দেয় ।কোন কথা বলে না। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে জ্বলজ্যান্ত মানুষটা।
তড়িঘড়ি বর্গীডাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করে। এম্বুলেন্সে যাওয়ার সময় মুখ দিয়ে লালা বের করে একবার।সরকারি হাসপাতালে সেলাইন দিয়ে ফেলে রাখে ।তেমন চিকিৎসা করা হয় না।
সিভিক পুলিশের বন্ধুরা নিজেদের মধ্যে চাঁদা করে চল্লিশ হাজার টাকা তুলে সেই রাতেই বারিপাদা নেওয়ার মনস্থির করে।
রাধা পাগলের মতো পাড়াপড়শিদের কাছে হাত পাততে থাকে।এক সাধারণ গৃহবধূ কথা থেকে টাকার সংস্থান করবে?
কৃষ্ণ ভ্রাতাও সম্বলহীন ।কিভাবে চিকিৎসা হবে?ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছে না কেউ।
দুর্গা নার্সিংহোম রোগীর অবস্থা দেখে ভর্তি নিল না। এতবড় শহরে কোথায় কি আছে কিছুই জনে না রাধা। সাই নার্সিংহোমে কোনমতে হাতেপায়ে পড়ে রোগীকে ভর্তি নেয়।প্রত্যহ দশ হাজার টাকা করে খরচ হবে।
" বোন ,অনুকে বল সাহায্য করতে।আমার সিঁথির সিঁদুর মুছে যাচ্ছে।তোর বাপি সারাজীবনের মত বাবা ডাকতে পারবে না "কথাটা ফোনের ওপার থেকে বলতে না বলতেই হৃদয় বিদারক কান্নায় ফেটে পড়ে রাধা ।
" দিদি আমি কি করবো?" বলে দিদির সাথে মীরাও একনাগাড়ে কাঁদতে থাকে।
দুর্গাপুজোর সপ্তমীর দিন।মা যেন অন্ধকার নিয়ে এলেন চেট্যাল পরিবারে।
রাধা বারংবার মূর্ছা খেতে থাকে ।ডাক্তারবাবু চেকআপ করার পর বাড়ির লোককে ডাকলেন।রাধা নিজেকে স্ত্রী পরিচয় দেয় ।
" তুই ছাড়া আর কে অছি মা" ওড়িয়াতে ডাক্তার জিজ্ঞেস করেন।ভ্রাতা কৃষ্ণকে ভেতরে ডাকেন ডাক্তার ।রাধাকে বাইরে অপেক্ষা করতে বলেন ডাক্তারবাবু ।
ডাক্তারের কথা শুনে কৃষ্ণ সইতে পারে না। ভোঁ ভোঁ করে কেঁদে উঠলো।দিদির কাছে এভাবে ভেঙে পড়লে চলবে না।চোখে মুখে জল দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এলো কৃষ্ণ।
" কি বললো ডাক্তার? খারাপ কিছু!"
কৃষ্ণের মুখ থেকে কোন কথাই সরছে না ।
" আমার মাথার দিব্যি খা।বল কৃষ্ণ কি বলছে?"
পাষাণ হৃদয়ের রূপ নেয় কৃষ্ণ ।কি করে দিদিকে বলবে ডাক্তারের কথা।
বাহাত্তর ঘণ্টা পর্যন্ত সাই নার্সিংহোমে অপেক্ষা করতে থাকে মিরাকেল যদি কিছু ঘটে।
অষ্টমীর পুজোতে সবাই দুর্গা মায়ের পূজার্চনায় ব্যস্ত।
এদিকে রাধা সিঁথির সিঁদুর হারাতে বসেছে ।দেওয়ালে মাথা ঠুকছে। কৃষ্ণ ভ্রাতাই সখা হয়ে দিদিকে সামলানোর চেষ্টা করছে।সৌভিকের কথা বলতে থাকে অনবরত।গত চারদিন মুখে অন্ন দেয়নি রাধা। ভুবনেশ্বরে স্থানান্তরিত করা হয় নবমীর দিন।ভগ্নী মীরা ও ভগ্নিপতি অণুও হাজির হয়।
রাধুর ভাই অরূপও দাদার বিপদে ঝাপিয়ে পড়েছে। দিল্লী থেকে এসে শেষ চেষ্টায় ব্রতী হয়।অসুস্থ মাতা কমলা দেবীও হাসপাতালে বসে প্রার্থনা করছেন।
কটকের ডাক্তারবাবু মা সম্বোধন করে সান্ত্বনা দেয় রাধাকে ।" মা রে দুইটাকার ওষুধের জন্য আজ এতবড় বিপদ। প্রেসার হল মারণ ঘাতক।যা হওয়ার হয়ে গেছে মা।নিজের ছেলের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।রোগী কোমায় চলে গেছে ।রোগী সুস্থ হওয়ার কোন লক্ষণ দেখছি না । ভেন্টিলেশনে এইভাবে টিকে থাকবে । ভেন্টিলেশন থেকে বের করলেই মৃত্যু "
রাধা উন্মাদের মতো কাঁদতে থাকে। শাঁখা সিঁদুর সব খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে আছে ।
রাধুর জ্যাঠতুতো দাদা প্রণব সব সহোদর অরূপ বোঝাতে থাকে শোকবিহ্বলা রাধাকে।পাশে থাকার আশ্বাস দেয়।কৃষ্ণ ভ্রাতাও সারাজীবন দিদির পাশে থাকার প্রতিজ্ঞা নেয় ।
মেডিক্যাল রিপোর্টে কাঁপা কাঁপা হাতে রাধা ভেনটিলেশন খোলার অনুমতি দিয়ে নিজ স্বাক্ষর করে।রাধার মনে হতে লাগলো এই বুঝি আমি স্বামীকে টুটি টিপে মেরে ফেললো।
গাড়িতে রাধুকে ধরে রাধা ও কৃষ্ণ ভ্রাতা । ভেন্টিলেশান খুলতেই রোগী নড়তে থাকে । ধুকপুক করতে করতে হৃৎপিণ্ড চিরদিনের জন্য থেমে গেল।
লাল শাড়ী আর পরা হল না। বাবার সাথে নাগরদোলা চাপার দরজা বন্ধ হয়ে গেল সৌভিকের।
অভিশপ্ত দুর্গাপুজো আজও হৃদয়কে গোপনে কাঁদায় শোকবিহ্বল দিনের কথা ভেবে।
মনে মনে বলে " ঠাকুর এমন অভিশপ্ত দুর্গাপুজো যেন কারো জীবনে না আসে "
পুজো এলে আজও আলমারি খুলে রাধা লাল শাড়ি টা দেখে আর অন্তরের অন্তঃস্থলে জমে থাকা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়।
======================
Prabir Barik
Vill + PO - Dokra
PS - Nayagram
Dist - Jhargram