
প্রকাশিত : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫ সংখ্যা
ফেব্রুয়ারী ০১, ২০২৫
কয়েকজন বন্ধু মিলে গিয়েছি গাড়োয়াল হিমালয়ে এক পদযাত্রায় । সাতদিন পদযাত্রা শেষে ফিরে আসা হরিদ্বারে। পাহাড়ে পদযাত্রা বা যে কোনও অভিযানেই কখনোই খিদে নিবৃত্তির জন্য পেট ভরে খাওয়া যায়না। কারণ শারীরিক নানা অসুবিধার সৃষ্টি হতে পারে। যাই হোক, তখন সকলেই আমরা কৈশোর পেরনো যুবক। সাতদিন পর হরিদ্বারে নেমে এসে , গঙ্গা স্নানের পর এতদিনের স্বল্পভোজী শরীর গুলোতে ভাতের খিদেটা উঠলো চাগাড় দিয়ে। তখন হরিদ্বারে যতদূর মনে পড়ে দশ থেকে কুড়ি টাকার মধ্যে নিরামিষ মিল পাওয়া যেত। প্রায় আট, ন'জনের দল দেখে বিখ্যাত দাদা- বৌদির হোটেলে ডেকে বসালো আমাদের। সেদিন নাকি ফুলকপির তরকারি স্পেশাল আইটেম। এছাড়া ঘি, কাঁচালঙ্কা, বেগুন ভাজা ডাল। ভাতপ্রেমী কয়েকজন বাঙালি যুবক খাওয়া শুরু করতেই দাদা-বৌদির পরিষেবাকারী লোকজন বুঝতে পারলো আমাদের ডেকে কি ভুলটাই না করেছে। অনেক বিনয় করে ঘি , কাঁচালঙ্কা দিয়ে দুবার করে ভাত খাওয়ার পর, ডাল , বেগুন ভাজা দিয়ে দু-থালা ভাত নিমেষে উড়ে গেল সবার পাত থেকে। এরপর এল সেই স্পেশাল আইটেম ফুলকপির তরকারি। আর একবার ডাল এবং ফুলকপির তরকারি সহ আবার দু'থালা ভাত নিমেষে সাবার। মনে হচ্ছিল সত্যিই কতকাল ভালো করে পেটে ভাত পড়েনি। সে এক আজব খাওয়া। পাহাড়ে পদযাত্রায় এর পরেও যাওয়া হয়েছে। কিন্তু সমতলে নেমে এসে এমন আজব খাওয়ার অভিজ্ঞতা আর ফিরে আসেনি।====================
মানস কুমার সেনগুপ্ত, ১৭/৮, আনন্দ মোহন বসু রোড, দমদম, কলকাতা ৭০০০৭৪.