ভৌতিক গল্প ।। ভূতদের উপদ্রব ।। শ্যামল হুদাতী
0
জুন ০১, ২০২৫
ছবিঋণ - ইন্টারনেট
ভূতদের উপদ্রব
শ্যামল হুদাতী
আমার পলিএথলিন ব্যাগের কারখানা জন্য একটা জমি সহ বাড়ির খোঁজ করছিলাম অনেকদিন থেকেই। কিন্তু কলকাতার আশেপাশে কোন জায়গা এখনও পেলাম না। অথচ অনেক অর্ডার ইতিমধ্যে চলে এসেছে। দুটি নতুন মেশিন বাক্সবন্দী হয়ে পড়ে আছে। অনেক ব্রোকারকে বলা আছে। আর তাছাড়াও খবরের কাগজে ও বিজ্ঞাপন তিনবার বেরিয়েছে। কেউ কোন খবর ঠিকমতো দিতে পারছিল না। হঠাৎ একদিন রামু এসে খবর দিল - "একটা ভালো খবর আছে। জমিসহ দোতলা বাড়ি - ভাড়া নয়, কিনে নিতে হবে। দামও অনেক সস্তা।"
- 'কত স্কোয়ার ফিট হবে?'
- 'গ্রাউন্ড ফ্লোর ২০০০ স্কোয়ার ফুট। ফার্স্ট ফ্লোর ২০০০ স্কোয়ার ফুট আর তাছাড়া ছাদ। বাড়ির সামনের জমিটা প্রায় 5 কাঠা হবে।'
- 'কত দাম চাইছে রে?'
- 'জলের দাম মাত্র ১০ লাখ। তবে কিছু খরচা করতে হবে। গ্রাউন্ড ফ্লোরটা প্রিন্টিং প্রেস ছিল। প্রায় ৩০ জন লোক দুই শিফটে কাজ করত। হঠাৎ কারখানাটা আগুন লেগে পুড়ে যায়। কয়েকজন কর্মচারী মারা যায়। জমি-বাড়ির মালিক এখন আর ভাড়া দেবে না, বিক্রি করবে।'
কলকাতা আশেপাশে কারখানা বা কারখানার উপযুক্ত জমি পাওয়া এক দুরূহ ব্যাপার। যদি কারখানা সহ জমিটা পাওয়া যায় মন্দ কি? বাড়িটা আমি আমার পার্টনার দুজনে মিলে দেখতে গেলাম। বেশ পছন্দ হলো। দামেও অনেক সস্তা।
আর বেশি দেরি করলাম না। সাত দিনের মধ্যে জমি সহ বাড়ি রেজিস্ট্রি হয়ে গেল। রিপেয়ারিং কাজ আরম্ভ করে দিলাম। বাড়ির সামনে ঝোপঝাড় সব পরিষ্কার করে দিলাম। কারখানায় যে আগুন লেগেছিল তা বেশ স্পষ্টই বোঝা যায়, নিচের তলায় অর্ধেকটা পুড়ে ছাই হয়ে গেছিল। দশ-বারজন কর্মী নাকি মারা গেছিল।
জমিসহ বাড়িটা এত কম দামে পাব ভাবতেই পারিনি। বাড়ির মালিক যেন জমি সহ বাড়িটা বেচে দিতে পারলেই বেঁচে যান।
দোতালায় আমি, আমার পার্টনার,আর একটা চাকর সহ থাকবার ব্যবস্থা করেছি। আর রাতে ওখানে না থাকলে কাজকর্ম তদারক করা মুশকিল। আমাদের ঠাকুর সুকুমারও রয়েছে। দোতলার রান্নাঘরটা ভালো করে পরিষ্কার করে নিলাম।
আশেপাশে লোকালয় নেই বললেই চলে। বিকেল বেলায় কারখানার সামনের রাস্তায় পায়চারি করছি, হঠাৎ একজন বয়স্ক লোকের সাথে দেখা -
তিনি বললেন, ' আপনি বুঝি এই বাড়িটা কিনেছেন?'
- 'হ্যাঁ।'
- 'আপনি কি এখানে থাকবেন?'
- 'আমি এখানে একটা ছোটখাটো কারখানা চালাবো এবং ওপর তলায় আমি এবং আমার পার্টনার থাকবো।'
- 'বেশ ভালো জায়গা কিন্তু আপনারা বেশিদিন হয়তো থাকতে পারবেন না।'
- 'কেন বলুন তো?'
- 'রাতে ঝড় বাতাসের যা উপদ্রব।'
- 'তার মানে?'
- 'সামনের দুটো বাড়ি আগে আমি আমার পরিবারের সাথে থাকতাম। বেশিদিন থাকতে পারিনি। ঝড়, বাতাস, ওনাদের যা উপদ্রব, বাড়ি বিক্রি করে পালিয়ে বাঁচলাম।'
আমি ভাবলাম ভদ্রলোক নিশ্চয়ই চোর ডাকাতের কথা বলছেন, হয়তো এই জায়গায় চোর ডাকাতের খুব উপদ্রব। আশেপাশে লোকালয়ে নেই বাড়িগুলো একটু দূরে দূরে।
আমি ভদ্রলোককে বলি, ' চোর ডাকাতে ভয় তেমন করি না। আমার সঙ্গে আত্মরক্ষার জন্য বন্দুক ও রিভলবার দুই-ই আছে।'
- ওনাদের কি আর বন্দুক রিভলবার নিয়ে সামলাতে পারবেন?'
- 'তার মানে।'
- 'আপনারা কি আজ রাতটা এখানেই কাটাবেন?'
- 'হ্যাঁ, আজ শুধু নয় আপাতত এই দোতলাটাতে থাকবো ঠিক করেছি।'
- ' আপনি কি একা?'
ভদ্রলোকের জেরা শুনে আমার মনে সন্দেহ জাগে, ভদ্রলোক আবার কোন ডাকাত দলের অনুচর নয় তো! হয়তো খোঁজখবর নিতে এসেছিলেন।
আমি এত সহজে ঘাবড়াবার পাত্র নই। বললাম আমি একা নই। আমার সঙ্গে আমার বন্ধু ও ঠাকুর/চাকর রয়েছে। আর বন্ধুটিও বেশ ভালই বন্দুক চালাতে পারে।
- 'আজ রাতটা কাটালেই বুঝতে পারবেন। এই এলাকার সবাই জানে এটা ওনাদের বাড়ি। দিনের বেলায় কিছু নয় রাতের বেলায় হৈচৈ চেঁচামেচি সে কি বীভৎস কান্ড! আশেপাশে পর্যন্ত থাকার উপায় নেই। আমি অনেক আশা করে ওই পাশের জমিটা কিনেছিলাম। একটু শান্তিতে থাকবো আর একটা ছোটখাটো দোকান দেব। সব ছেড়ে পালাতে হলো। এখানে রাতে থাকাটা খুব রিস্কি। খুব সাবধানে থাকবেন।'
বয়স্ক ভদ্রলোক সাবধান বাণী উচ্চারণ করে চলে গেলেন।
বন্ধু অমরকে সব কথা বললাম। বন্ধু এক ফুঁয়ে সব উড়িয়ে দিয়ে বলল - 'ভদ্রলোক মনে হয় জায়গাটায় চায় ,তাই মনে ভয় ঢুকিয়ে গেছে। আমরা এ যুগের লোক এখন আবার ভূতের ভয় কিসের। তাছাড়া আমার সঙ্গে বন্দুক আছে। দুই একটা ভূতকে সামনা সামনি পেলে ফায়ার করব। তোর ভূত পালিয়ে পথ পাবে না।'
আমি অবশ্য ভূত- টূত বিশ্বাস করিনা। ভদ্রলোক যে ভাবে বলে গেল, তাতে মনে একটু খটকা লাগার কথা। সুকুমার বলল, বাবু তাড়াতাড়ি রান্না করে রাখছি, খেয়ে দেয়ে নেবেন।
সুকুমার কষা মাংস আর রুটি করল। আমরা নিচতলায় দরজা বন্ধ করে আমরা সবাই ওপরে উঠলাম।
রাত তখন দশটা বাজে নি, হঠাৎ দরাম করে নিচ তলার দরজা খোলার শব্দ হলো।
অমর বলল, 'সে কিরে নিচতলার দরজা বন্ধ করিস নি?'
আমি বললাম, 'ভালোভাবেই খিল এঁটে এসেছি। টর্চ হাতে নিয়ে আমি আর সুকুমার নিচে নেমে দেখি, দরজা খোলা। আশ্চর্য ব্যাপার তো!'
অমর বলল,' তুই খিল আঁটকাতে ভুলে গেছিলি।'
কিন্তু আমার স্পষ্ট মনে আছে আমি খিল আঁটকেছি। বিন্দুমাত্র ভুল হয়নি । আশেপাশে টর্চের আলো ফেলে দেখা হল । তেমন কিছুই নজরে পরলো না। আবার খিল আটকে দুজনে ওপরে চলে আসলাম।
সুকুমার রান্না করা খাবার সবাইকে ভাগ করে দিচ্ছে। আমরা দুজনে গল্প করছি। কিছুক্ষণ পরে আবার নিচে তলার দরজা খোলার ভীষণ শব্দ। অমর ভয় পেয়ে বন্দুক হাতে নিয়ে উঠলো, কে কে? সুকুমার ঠক্ ঠক্ করে কাঁপছিলো।
আবার তিনজনে মিলে নিচে এলাম। অবাক কান্ড দরজাটা খোলা নিচতলার জানালাগুলো সব পরীক্ষা করলাম। সব বন্ধ ঘরে কাউকে দেখতে পেলাম না। তবে দরজাটা খুললো কে?
আবার দরজাটা ভালো করে বন্ধ করে তিনজনই উপরে উঠে আসলাম। সুকুমারের চোখে মুখে ভয়ের চিহ্ন। কিছুক্ষণ পর নিচতলা থেকে কথা বলার শব্দ ভেসে আসলো। হো হো করে অট্ট হাসি ভেসে এলো। আমরা সবাই মিলে চুপচাপ বসে শুনলাম।
কিছুক্ষণ পর সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করে, বিছানায় চুপচাপ বসে রইলাম। আমার বিছানার পাশে রিভলবার আর টর্চ, অমরের পাশে বন্দুক মাঝখানে সুকুমার চাটাই পেতে শুয়ে। শুয়ে আছি বটে, তিনজনের কারো চোখে ঘুম নেই।
অমর বলল,' না না ভয়ের কিছু নয় - এসব বাতাসের কারসাজি।'
অমরের কথা মানতে পারলাম না। হাওয়া, বাতাসের কারসাজি হলে দরজা খুলবে কে? অট্টহাসি হাসবে কে? কথাবার্তা বলবে কে?
ঘুম নেই কারো চোখে, তবু ঘুমাবার চেষ্টা করছি। ঘুমের মধ্যেই যদি রাতটা কেটে যায়, মন্দ কি? হঠাৎ নিজ থেকে প্রিন্টিং প্রেস মেশিন চালু হলো। দু তিনটে মেশিন একসাথে চালু হলো। সুকুমার বলল, 'বাবু শুনতে পাচ্ছেন তো?'
- 'হ্যাঁ শুনতে পাচ্ছি।'
তারপর নিচ থেকে আসলো সাংঘাতিক হই হই শব্দ। যেন অনেকগুলো লোক নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে।
নিচ থেকে অনেক কণ্ঠের চিৎকার আগুন আগুন। তারপর কিছুক্ষণ সবকিছু চুপ। তারপর - বাঁচাও বাঁচাও বলে অনেকের সমস্বরে আর্তনাদ!
আমি অমর কে বললাম, ' আর চুপচাপ বসে থাকা যায় না বন্দুক নিয়ে চলো ভূতের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই করে দেখা যাক। এত কষ্ট করে অনেক পয়সা খরচা করে বাড়িটা কিনলাম এখন ভূতের হাতে ছেড়ে দিতে ছেড়ে দিয়ে যাব কি?
আমি ও অমর বন্দুক, রিভলবার, আর টর্চ হাতে নিয়ে নিচে নেমে এলাম। নিচে নেমে এসে আমরা হতভম্ব হয়ে যাই। পুরোদমে প্রেসের কাজ চলছে। কতগুলো ছায়ামূর্তি বসে বসে প্রেসের অফসেটের কাজ চালাচ্ছে। একটা ভূত লম্বা লম্বা পা ফেলে আমাদের দিকে এগিয়ে আসতে আমার রিভলবার আর অমরের বন্দুক গর্জে ওঠে। কিন্তু ভূতের কিছুই হলো না। ও আবার আমাদের দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো। আমরা পিছু হটতে হটতে ফায়ার করতেই থাকি।
তারপর আমাদের আর কোন কিছু মনে পড়ছে না। পরদিন স্থানীয় থানার দারোগা আশেপাশের লোকজনসহ আমাদের তিনজনকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে, আমার আর সুকুমারের জ্ঞান ফিরে এসেছিল কিন্তু অমরের জ্ঞান ফিরতে বেশ কিছু দেরি হয়েছিল।
আমাদের বন্ধুরা অনেকেই আমাদের বোঝাতে লাগলো কারখানাটা ছেড়ে দিতে। এত ঘটনা হয়ে যাওয়ার পরও আমাদের মন চাইলো না কারখানাটা ভূতের হাতে ছেড়ে দিতে। অতগুলো টাকা যখন কারখানার পেছনে খরচ হয়েছে, তার শেষ দেখেই ছাড়বো।
আমি এবং আমার বন্ধু অমর দুজনে মিলে এক আশ্রমে আসি। আশ্রমের মহাধক্ষ্য জানালেন -
ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তি পরিষ্কার করার প্রথম ধাপ হল ভূত বা অন্যান্য আত্মা লুকিয়ে থাকা যেকোনো জিনিস থেকে মুক্তি পাওয়া। আপনার অবাঞ্ছিত জিনিসপত্র দান করুন বা বিক্রি করুন, যেমন পুরানো ডাকঘর, আসবাবপত্র এবং পোশাক যা আপনি আর ব্যবহার করেন না। অনেকেই মনে করেন ভূত বিশৃঙ্খলা উপভোগ করে, তাই এটি ঘন ঘন করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এরপর, আপনার বাড়ির প্রতিটি ঘর, নিচতলা থেকে উপরের তলা পর্যন্ত পরিষ্কার করার জন্য কিছুটা প্রচেষ্টা করুন। আপনার প্রতিটি কোণা এবং ফাঁক ঝাড়ু দেওয়া, ধুলো এবং ভ্যাকুয়াম করা উচিত যাতে সবচেয়ে গোপন জায়গাগুলিও দাগহীন থাকে। যদি আবহাওয়া অনুমতি দেয়, তাহলে জানালাগুলি খুলে দিন এবং বাইরের বাতাস কিছুটা ভেতরে ঢুকতে দিন।
অশুভ শক্তি তাড়ানোর জন্য সবচেয়ে প্রচলিত অভ্যাসগুলির মধ্যে একটি, ধূনো বাতাসে একটি মনোরম সুবাস ছেড়ে যায়। একটি ধূপকাঠি বা শুকনো ঋষির গুচ্ছ এই উদ্দেশ্যে কাজ করবে। ধূপ কাঠিটি সেই জায়গায় পোড়ান যেখানে আপনি সবচেয়ে বেশি আধ্যাত্মিক শক্তি অনুভব করেন এবং ধোঁয়া ভূতদের তাড়িয়ে দেয়।
অশুভ শক্তি নাশ করতে পবিত্র গঙ্গা জল ব্যবহার করা হয়, এবং একই ধারণা গৃহস্থালিতে ব্যবহারের জন্য পবিত্র জলের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা যেতে পারে। আপনার বা আপনার ধর্মীয় নেতার আশীর্বাদপ্রাপ্ত পবিত্র জল বা তেল ব্যবহার করুন। জলের শিশি বা লবঙ্গ তেলের উপর ব্যক্তিগত আশীর্বাদ বা প্রার্থনা করার জন্য একজন জীবন্ত মনোবিদের নির্দেশিকা ব্যবহার করুন। ভূতুড়ে অঞ্চলে জল ছিটিয়ে দেওয়া হল অলৌকিক কার্যকলাপ মোকাবেলার একটি পদ্ধতি। আপনার দরজার চৌকাঠে একটি ধর্মীয় প্রতীক আঁকার জন্য তেল ব্যবহার করুন।
আপনার বাড়ির ক্ষতি রোধ করতে সমুদ্রের লবণ ব্যবহার করুন
যদি আশীর্বাদের কাঙ্ক্ষিত প্রভাব না পড়ে, তাহলে ঘরকে সুরক্ষিত রাখার জন্য অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। সমুদ্রের উৎসস্থলের কারণে, সমুদ্রের লবণের প্রাচীন ক্ষমতা রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়, যা এটিকে মন্দ আত্মাদের তাড়াতে ব্যবহৃত প্রাচীনতম উপকরণগুলির মধ্যে একটি করে তোলে। লবণের কয়েকটি ব্যবহার রয়েছে। আপনার বাড়ির যে অংশগুলিতে ভূতদের দ্বারা সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সেখানে লবণ ছড়িয়ে দিয়ে শুরু করুন। ভূতদের তাড়াতে চিৎকার করার সময় মুঠো করে লবণ ছুঁড়ে ফেলুন।
যদি আপনি নিশ্চিত করতে চান যে আপনার বাড়ি দীর্ঘ পথের জন্য নিরাপদ, তাহলে আপনার বাড়ির সমস্ত প্রবেশপথে নুড়ি বা লবণের দানা ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। এটা সম্ভব যে আপনি যখন এই বাধা তৈরি করবেন এবং তাদের কাছে স্পষ্ট করে দেবেন যে তাদের স্বাগত জানানো হবে না, তখন অশুভ আত্মারা স্থায়ীভাবে চলে যাবে।
অশুভ আত্মাদের উপদ্রব অনেকটা কমে যায়। কিন্তু পুরোপুরি কমেনি এটা বোঝা যাচ্ছিল।
কীর্তন হল এক ধরনের সঙ্গীত যা বিশেষ করে কৃষ্ণলীলা বিষয়ক গান বা ভক্তি প্রকাশ করে। এটি একটি জনপ্রিয় ধর্মীয় অনুষ্ঠান, যেখানে ভক্তরা একসঙ্গে গান গেয়ে ঈশ্বরের গুণগান করে।
কীর্তনীয়ারা আসতেই ভূতেরা ঢিল মারতে শুরু করল কিন্তু কীর্তনীয়ারা ভয় না পেয়ে তারা হরে কৃষ্ণ হরে রাম নিতাই গৌড় রাধে শ্যাম বলে কীর্তন জুড়ে দিল। আট দিন আট রাত ধরে কীর্তন চলতে লাগলো কীর্তনের ঠেলায় অস্থির হয়ে ভূতেরা সব দল বেঁধে কোথায় যে চলে গেল তা জানা যায়নি। তবে এরপর থেকে এখন আর কখনো রাতের বেলায় ওনাদের উপদ্রব ওই বাড়িতে হয়নি।
---------------------------------------------------------------
শ্যামল হুদাতী
৩৫৭/১/১৩/১, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড
কলকাতা - ৭০০০৬৮