সোনালী দিনের উপাখ্যান
দেবব্রত ঘোষ মলয়
পূর্বকথন:
মনন কলকাতার ছেলে। কদিনের ছুটিতে আকাশী নদীর তীরে সুন্দর গ্রাম ধানসিঁড়িতে এসেছে বেড়াতে। মামা মামীর আদর আর বাড়ির সবার সাহচর্যে তার বেশ দিন কাটে।বাড়ির বাচ্ছারা খেলতে গিয়ে মাথা ফাটায় অমলকান্তি বা অমু। তাকে নিয়ে মনন ছোটে মামাতো দাদা সূর্যশেখরের চেম্বারে। তার চিকিৎসায় বিপদ কাটে।
পর্ব - ২
‘‘মনদা, মনদা, উফ্, কি কুম্ভকর্ণ ঘুম রে বাবা।’’ — মননের গায়ে আলতো করে ঠেলা দিতে দিতে ফিসফিস করে ডাকে ঝিন্টি।
‘‘উফ্, সকাল থেকেই জ্বালাতে এসেছে পেত্নীটা’’ — পাশ ফিরতে ফিরতে আরো জোরে কোলবালিশটাকে আঁকড়ে ধরে মনন। একটুক্ষণ নীরবতা। কি মনে করে হঠাৎই ধড়মড় করে উঠে পড়ে সে। দুহাতে চোখ কচলে সোজাসুজি তাকায় বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটির দিকে। তার তখন মুখ অবনত, চোখ ছলছল।
‘‘এই, এই, ঠিক যা ভেবেছি, একটা কিছু বলেছি কি না বলেছি অমনি মেয়ের মুখে অমাবস্যা। আচ্ছা বাবা আচ্ছা, ঘাট হয়েছে, এই কান ধরছি।’’ দুহাতে কান ধরার অভিনয় করে মনন। তার মুখভঙ্গী দেখে অভিমান ভুলে ফিক্ করে হেসে ফেলে ঝিন্টি, বলে — ‘‘বা রে, তুমিই তো কাল বললে বিশালাক্ষীতলার আমবাগানে বেড়াতে যাবে সকালে, তাই তো তোমাকে ডাকতে এসেছি।’’
‘‘ঠিক আছে ঝিন্টি, তুই একটুক্ষন অপেক্ষা কর, আমি মুখচোখ ধুয়ে আসছি।’’ — ঘর থেকে বেরিয়ে টানা দালানের শেষপ্রান্তে স্নানঘরের দিকে যায় মনন। ইতিমধ্যেই রাজলক্ষী দেবী তাঁর পৃথুল শরীর নিয়ে হেলতে দুলতে উঠে আসেন উপরে। সদ্য স্নাত লালপেড়ে গরদের শাড়ী তাঁর পরনে, হাতে পুজোর থালা। তিনি চলেছেন ছাদে ঠাকুরঘরে পুজো করতে। ঝিন্টিকে দেখেই মিষ্টি হেসে বললেন — ‘‘এই মুখপুড়ি, সকালে কিছু মুখে দিয়েছিস না ধেই ধেই করে নাচতে নাচতে পাড়া বেড়াতে বেরিয়ে পরেছিস।’’ ঝিন্টির উত্তরের অপেক্ষা না করেই হেলতে দুলতে তিনি ছাদের সিঁড়ির দিকে এগিয়ে যান।
ঝিন্টি এঁদের বাড়ির কূলপুরোহিত রাজেনঠাকুরের মেয়ে। সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত রাজেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তীর সাত পুরুষের বাস এই ধানসিঁড়ি গ্রামে। প্রতিপত্তিশালী এই পরিবারকে এখানকার সাত-আটটি গ্রামের মানুষ খুবই মান্য করেন। তবে এই বাড়িতে তাঁর স্থান একেবারেই স্বতন্ত্র। এই বসুপরিবারে বহু প্রাচীন দূর্গামণ্ডপ আছে, যেখানে বহুকাল আগে থেকেই দূর্গাপুজো হয়। যদিও পারিবারিক পূজো, এই পূজো কালান্তরে এই ধানসিঁড়ি গ্রামের মানুষের সবাকার পুজো হয়ে গেছে মূলতঃ এই পরিবারটির মিশুকে স্বভাবের জন্য। বর্তমানে এঁরা পূজো আয়োজনের সব দায়িত্ব রাজেন ঠাকুরের উপর দিয়ে নিশ্চিন্ত। রাজেন ঠাকুর বিপত্নীক প্রায় বছর দশেক। তখন তাঁর পঞ্চাশ-একান্ন বছর বয়স। হঠাৎই মাত্র দুদিনের জ্বরে তাঁকে একা করে চলে গেলেন সহধর্মিনী হৈমবতী। রেখে গেলেন দুই নাবালক সন্তানকে। কিশোরপুত্র রাজকুমার পড়াশুনোয় ছোট থেকেই অত্যন্ত ভাল। মাকে হারিয়ে সে যেন আরোও মনোযোগী হয়ে পড়ল তার অধ্যয়নে। একটার পর একটা বড় পরীক্ষায় অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে সেরার তকমা অর্জন করে গ্রামের নাম উজ্জ্বল করতে থাকল সে। আর ছোট্ট ঝিনটি, যার পোশাকী নাম রাজকুমারী, সে পড়াশোনায় অত মেধাবী না হলেও গান, নাচ এবং ডানপিটেপনায় গ্রামের সবার নয়নের মণি। রাজকুমার এখন ডাক্তারী পড়ছে বাঁকুড়ার মেডিক্যাল কলেজে আর ঝিন্টি বারো ক্লাসে উঠল এই বছর।
ইতিমধ্যেই নীচে সকালের চা জলখাবার প্রস্তুত। বাড়ির পুজোপাঠের দিকটা যেমন বড়মামীর সাম্রাজ্য, তেমনি গৃহস্থালীর সব দায়িত্ব মেজোমামী বিনতার। অত্যন্ত বিদুষী এই মহিলা সংসারের সব দায়িত্ব পরিচালনার ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন, উপরন্তু বাড়ির ছোটদের পড়াশুনোর তদারকীও এনার হাতে। মননের খুব আদর এই মামারবাড়িতে। গ্রাম ঘুরতে যাবে শুনে ওকে জোর করে ভারী জলখাবার খাইয়ে দিলেন মেজোমামী। ঝিন্টিকেও ছাড়লেন না। তাতে অবশ্য কোন না নেই ঝিন্টির, কারণ এই বাড়িতে খাওয়া আর তার নিজের বাড়িতে খাওয়া তার কাছে একই। কপট শাসনের সুরে ঝিন্টিকে বললেন মেজোমামী — ‘‘এই দস্যি মেয়ে, দাদাকে গ্রাম দেখিয়ে তাড়াতাড়ি চলে আসবি, এখানের রোদ খুব চড়া, ওর অভ্যাস নেই।’’ ঝিন্টিও ছাড়বার পাত্রী নয়, চোখ গোল গোল করে বলে — ‘‘ওঃ, তোমার ভাগ্না তো ননীর পুতুল। আমার বুঝে রোদ লাগে না।’’ হাসতে হাসতে ওর সঙ্গে রওনা দেয় মনন।
মেঠো রাস্তা এখন রূপ পালটেছে। লাল মোরামে ঢাকা। গ্রামও এখন অনেক সুন্দর। একশো দিনের কাজের সুবাদে সব পুকুর পরিস্কার, মাছ চাষ হচ্ছে। রাস্তার দুপাশে ইউক্যালিপটাস ও অন্যান্য গাছের বনসৃজন। হাটতলার কাছটাতে ওরা বড় রাস্তা পার করে। এই রাস্তা একদিকে চলে গেছে সোজা বর্ধমান সদর, অন্যদিকে শ্রীরামপুর। ফলতঃ খুবই ব্যাস্ত রাস্তা, প্রচুর বাস, লরি, ধানবোঝাই ট্রাকটর, মানুষ বোঝাই ট্রেকার তো চলেই, পাশ দিয়ে রিকশাও চলে বা মোটরসাইকেল, সাইকেল। রাস্তা পার করে আবার ঢালু মেঠো রাস্তায় নেমে পড়ে ওরা। এখানটায় দুপাশ জুড়ে ধান ও শস্যক্ষেত, তার উপর দিয়ে উঁচু উঁচু পোস্টে ইলেকক্ট্রিক তার চলে গেছে দূর দূরান্তে। মাঠের মাঝামাঝি এসে একটা বিশাল বটগাছ, অনেকটা জায়গা জুড়ে তার ছায়া বিস্তার। মৃদু হাওয়ায় গাছটির নীচে মনোরম পরিবেশ। এই গাছের পাশেই একটু ছোট পুকুর। যেটি থেকে এই মাঠে চাষের কাছে জল লাগে। এখন, এই সকাল নটায় ক্ষেতে ধান রুইছে প্রচুর মানুষ, তারা সারি দিয়ে মাথা ঝুঁকিয়ে একটার পর একটা চারা পুঁতছে, মাথার উপর দিয়ে মাঝে মাঝে উড়ে যাচ্ছে নানারকম পাখি। ক্ষেতের একদিকে আবার লাঙল দিয়ে জমি চষছে একজন, একজনের হাতে সারের বস্তা। মনন মুগ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। কলকাতায় এই সময়ে ও দেখেছে মানুষ বাসে, ট্যাক্সিতে, ট্রামে বা হেঁটে যে যার কর্মক্ষেত্রে রওনা হচ্ছে। অর্থাৎ আমাদের এই বিশাল পৃথিবী, সকাল থেকেই জেগে ওঠে কর্মব্যাস্ততায়, কেবল সে কাজের ধরন স্থান কাল পাত্র বিশেষে পরিবর্তিত হয়।
‘‘এই হাঁদা গঙ্গারাম, য়া কিছু দেখ হাঁ করে দাঁড়িয়ে পড় কেন, চল চল, মাঠটা পার করলেই সেই বিশালাক্ষীতলা আর আমবাগান।’’ ঝিন্টির কথায় সম্বিত ফেরে মননের, বলে — ‘‘কি সুন্দর রে এই গ্রামের সকাল।’’ ঠোঁট উলটে বলে ঝিন্টি — ‘‘তোমার যেন সব উলটোপালটা কথা মনদা, যে যার কাজ করছে মাঠে, এর আবার সুন্দর অসুন্দর কি। সুন্দর দেখবে তো দেখ এইদিকে’’ — বলেই মননের মুখটা ঘুরিয়ে দেয় তার দিকে। অবাক চোখে মনন তাকিয়ে দেখে তাকে। একটা উজ্জ্বল হলুদ সবুজ রঙের চুড়িদার তার পরনে, মাথার চুলে হেয়ার ব্যান্ড, মুখের উপর সামনের চুলগুলি এসে পড়েছে। অনিন্দ্যসুন্দর লাগছে তার একমুখ নিষ্পাপ হাসিটিকে। এই মেয়েটির সঙ্গে তার সম্পর্ক কি আজও বুঝতে পারে না মনন, তবে ছোট থেকে মামার বাড়ি এলেই এই মেয়েটি তার খুব ন্যাওটা। আজ অনুভব করে মনন, ঝিন্টি বড় হয়েছে, ঝিন্টিও তাহলে বড় হয়!
বিশালাক্ষীতলায় এসে মননের চোখ জুড়িয়ে যায়। এই মেঠো রাস্তা এই মন্দিরেই শেষ। বেশ বড় প্রাচীন লাল রঙের খিলান দেওয়া মন্দির। চারপাশে নাটমন্দির আর একদম মধ্যিখানে মূল মন্দির, মধ্যে গর্ভগৃহ। জুতো বাইরে রেখে ওরা নাটমন্দিরে ওঠে। সাদা পাথর দিয়ে বাঁধানো আর সেই পাথরের বিশাল মেঝের মাঝে মাঝে নামফলক বসানো। কোথাও লেখা, ‘‘ঈশ্বর শ্রী গঙ্গাদেবীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে তাঁরই সুযোগ্য পুত্র মন্মথ নাথ চৌধুরী, আমতা, হাওড়া’’। কোথাও লেখা ‘‘শোভাবাজার নিবাসী ব্যাবসায়ী ঈশ্বর গোবিন্দলাল সেনের স্মৃতির উদ্দেশ্যে কন্যা সুষ্মিতা ও জামাতা কৈলাশ কর্তৃক একহাজার একশত টাকা মায়ের সেবায় নিবেদিত হল’’ ইত্যাদি। বোঝাই যায়, গ্রাম ছাড়াও বাইরের মানুষের কাছেও এই মন্দির ও দেবতা সম্পর্কে শ্রদ্ধা অশেষ। মন্দিরের ভেতরে বেশ অন্ধকার এই সকালেও। আর খুব ঠান্ডা, বসে থাকতে ইচ্ছে হয়। মন্দিরের ভিতর উত্তরীয় পরিহিত একজন পুরোহিত নিত্য পুজোর আয়োজন করছেন নিজেই। ঝিন্টিকে তিনি প্রশ্ন করেন — ‘‘কাকে নিয়ে এলি রে মা, তোদের বাড়ি এসেছে?’’ মননের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে ঝিন্টি বলে — ‘‘নাও প্রণাম কর ঠাকুরকে।’’ প্রণাম করে মনন জানতে চায় — ‘‘রোজ পুজো হয় এখানে?’’ ঠাকুরমশাই জানান — ‘‘এই মা বড় জাগ্রত। নিত্য পুজো করি আমি এখানে। আর বৈশাখ মাসের শেষ শনিবার ধুমধাম করে পুজো হয় এখানে। সাত গ্রাম থেকে মানুষ আসে, তিনদিন ধরে মেলা বসে এইখানে। তখন এই জায়গা পালটে যায় জেনারেটরের আলো, মাইকের আওয়াজ আর মানুষের কলরোলে। এই বছর তুমি এসো ওই সময়, ভাল লাগবে।’’
মন্দিরের চারপাশে কোন বসতি নেই। কেবলই চাষের ক্ষেত তিনদিকে আর উত্তরদিকে এক বিরাট আমবাগান। এখানেই মেঠো রাস্তাটি শেষ এই আমবাগানে। আমবাগানের ভিতর কিছুটা গিয়েই একটু গা ছমছম করে মননের। কত, কত আমগাছ আর কি বিশাল বিশাল তাদের আকৃতি। এই সমস্ত বাগানটাই লিজ দেওয়া আছে ব্যাবসায়ীদের, তাদের নিজস্ব পাহারার ব্যবস্থাও আছে যাতে আম চুরি না হয়। সে প্রশ্ন করে ঝিন্টিকে — ‘‘এই, এখানে সাপখোপ আছে না কি রে?’’ হেসে গড়িয়ে পড়ে ঝিন্টি — ‘‘কি হাঁদা গো তুমি, গ্রামে জঙ্গলে সাপ থাকবে না? সাপ আছে, কাঠবেড়ালী আছে, শেয়াল আছে, বেজী আছে, আরো কত কি আছে কে জানে!’’ মনন তাকিয়ে থাকে ঝিন্টির দিকে একদৃষ্টে, হঠাৎই তার মনটা মায়ায় ভরে যায়, এই হাসিখুশী মেয়েটা ছোট থেকে মাতৃহারা, সবাইকে কত ভালবাসে। ও এখানে এলে ওকে খুশী করার জন্য কি না করে। কিন্তু সে কোনদিন তো জানতে চায়নি, কিসে খুশী হবে ঝিন্টি, কি করতে পারে সে। আজ, এই নির্জন আমবাগানে, হঠাৎই সে বলে বসে — ‘‘তুই খুব ভাল রে ঝিন্টি, তোকে তো আমি কোনদিন কিছু দিতে পারি নি, তুই কি পছন্দ করিস তাও জানি না।’’ হঠাৎই ঝিন্টির চোখদুটি সজল আসে, মনের দুহাত ধরে ওর চোখের দিকে সোজাসুজি তাকিয়ে বলে — ‘‘দিত তো মা। সেই ছোটবেলায়। যা চাইতাম, তাই দিত। বাবাও দেয়। কিন্তু মাকে যেভাবে চাইতাম, সেভাবে বাবাকে চাইতেই পারি না, বাবাও তো মা চলে যাওয়ায় কত কষ্ট পেয়েছে। কেন তুমি এসব বললে, কেন আমার মন খারাপ করে দিলে’’ বলেই মুখ নিচু করে সে, তার বড় বড় দু চোখ দিয়ে টপ টপ করে জল পড়তে থাকে। মনন আর থাকতে পারে না, এই প্রথমবার, জীবনে, জড়িয়ে ধরে ওকে, বুকের মাঝখানে, আর ধীরে ধীরে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে — ‘‘তুই কাঁদিস না, প্লিজ্, তুই কি চাস বল, আমি দেব তোকে।’’
এক ঝটকায় আলিঙ্গনমুক্ত হয় ঝিন্টি — ‘‘ছি ছি, কেউ দেখে ফেললে কি হত।’’ লজ্জা পেয়ে যায় সে। নাছোড়বান্দা মন বলে — ‘‘কেউ নেই তো এখানে। ঠিক আছে, তুই বল, কি নিবি?’’
একপলক স্থির চোখে ওর চোখের দিকে চেয়ে থাকে ঝিন্টি, তারপর নিচু গলায় বলে — ‘‘যা চাইব তাই দেবে তো মনদা?’’ প্রত্যয়ের স্বরে মন উত্তর দেয় — ‘‘নিশ্চয়ই। তুই চেয়েই দেখ না, তোর জন্য আমি সব দিতে পারি।’’ ‘‘সব? সব দিতে পার মনদা?’’ মৃদু হাসি ফুটে ওঠে তার কোমল ওষ্ঠে — ‘‘ঠিক আছে, আজ নয়, আমি চেয়ে নেব সময়মত, তখন কিন্তু আর না করতে পারবে না’’। মন অবাক চোখে তাকিয়ে দেখে ছোট থেকে তার পরিচিত সেই ছোট্ট মেয়েটাকে, আজ যেন কত বড় হয়ে গেছে। মনটা দ্রব হয়ে ওঠে তার, এর, এর জন্য সব কিছু দিতে পারে ও, শুধু চেয়েই দেখুক না একবার। ওদিকে নেপথ্যে হাসেন অর্ন্তযামী, সব চাওয়া পূরন করা অতই সহজ নয়। জীবন গতিপথে আমরা চাইতে পারি অনেক কিছুই, অনেকের কাছে, কিন্তু দেওয়াটা খুবই কঠিন। সময়ের সাথে, জীবন গতিপথের পরিবর্তনের সাথে, অনেক কিছুই বদলে যায়। সব থেকে বিচিত্র মানবমন, যার বদল হয় সবথেকে দ্রুত, সবথেকে আকস্মিক আর সব থেকে জটিল পদ্ধতিতে।
বাড়ি ফিরতে ফিরতে দুপুর হয়ে যায়। ঝিন্টি আর যায় না ও বাড়ি, মন সদর দরজা পেরিয়ে ঢুকে পড়ে তার প্রিয় মামারবাড়িতে।
(ক্রমশ...)
===================
দেবব্রত ঘোষ মলয়
১৮/১/১/২, নবনারিতালা ১ম বাই লেন
বাকসারা, হাওড়া - ৭১১ ১১০
ফোন - 9331271825