মুড়িমাসী
বদরুদ্দোজা শেখু
ভোর ছ'টার মধ্যেই তার ডাক শোনা যায়।
"মুড়ি নিবা মাসী মুড়ি- ই-ই"। বহরমপুরের চালতিয়া নতুন পাড়ায় সে মাথায় মুড়ির বিশাল প্লাস্টিকের বস্তা নিয়ে, হাতে একটা দাঁড়িপাল্লা বাটখারা পয়সার থলি ইত্যাদির
নাইলনের ব্যাগ নিয়ে সপ্তাহে তিন চার দিন ফেরি ক'রে মুড়ি বিক্রি করে। সে প্রভা মাসী। সবাই তাকে মুড়িমাসী নামেই ডাকে।
কিছু কিছু বাড়ি তার নির্দ্দিষ্ট খদ্দের আছে। প্রভার বাড়ি ভগবানগোলার চরবেলিয়া গাঁয়ে। ওখানকার বেশ কয়েকজন মাঝ-বয়সী নারী পুরুষ মুড়ি বিক্রি করতে লালবাগ কাশিমবাজার বহরমপুর বেলডাঙা প্রভৃতি এলাকায় ফেরি করতে আসে। ভোর চারটে নাগাদ তারা ভগবানগোলায় ট্রেন ধরে। বহরমপুর ষ্টেশনে পাঁচটা সোয়া পাঁচটায় নামে। স্টেশনের বাইরে এসে চা পাঁউরুটি খায়।
তারপর মাথায় বস্তা নিয়ে বাড়ি বাড়ি মুড়ি ফেরি করার কাজ। মুড়ি প্রত্যেক বাড়িতেই একটা জরুরী খাদ্য।কমবেশি এর একটা চাহিদা আছে। যেহেতু হাতে -ভাজা মুড়ি।
আর ট্রেনে আসা যাওয়ার জন্য মাসিক টিকিট থাক বা না-থাক, রেল পুলিশকে নিয়মিত বখরা দিতে হয়।
মুড়িমাসীর বাবা দিনমজুর ছিলো। গাঁয়ের একখণ্ড খাস জমিতে তারা বাংলাদেশ হওয়ার সময় এসে বাস করতে শুরু করে।
বাঁশ খলপা বাতা ফুসের চাল দিয়ে একটা ছোট দু'কামরার কুঁড়েঘর তৈরী করেছিলো।
তার মা বাড়ি বাড়ি কাজ করতো। তাদের চার সন্তান হয়, চার জনই মেয়ে। বাবা মা বেঁচে থাকতে বড়ো মেয়ের বিয়ে দিতে পেরেছিলো , গাঁয়ের তাদের মতো উদ্বাস্তু পরিবারের ছেলে মদনের সাথে। সেও গ্রামে গ্রামে চটি -চপ্পল এইসব ফেরি ক'রে বেড়ায়।তার শ্বশুরের দেওয়া সাইকেলে।
বাকি তিন বোনের বিয়ে আর হয়নি। তার আগেই তার মা বাবা রোগে অচিকিৎসায় ভুগে মারা যায়। মেয়েদের বিয়ে দেওয়া
একালের বড়ো কঠিন কাজ। একে তো মেয়ে সুন্দরী হওয়া চায়। তার ওপর পাত্র যতোই অকর্মা বা নিষ্কর্মা হোক, তাদের নানান দাবিদাওয়া---, সাইকেল ঘড়ি রেডিও আঙটি মেয়েকে গয়না কতো কী চায়।এখন আবার মোটর বাইক টিভি নগদ টাকা এইসবও।
মুড়িমাসীরা তিন বোন এখন ওই ভিটেটুকুতেই থাকে। একজন বাড়ি বাড়ি কাজ ক'রে বেড়ায়, অন্য দু'জন মুড়ি ভাঁজে আর তা ফেরি করে। সপ্তাহে তিন চার দিন, অন্যান্য দিন মুড়ির চাল কেনা ,মুড়ি ভাজা ঝাড়া পাছুড়া বস্তাবন্দী করা আর সংসারের অন্যান্য কাজকর্ম নিয়ে তারা জীবন কাটায়।
চরবেলিয়ার বেশী ভাগ মানুষই ওই শ্রেণীর। তার মধ্যেও কেউ কেউ ব্যবসা বাণিজ্য দু'নম্বরি কাজ এইসব ক'রে একটু সম্পদশালী হয়েছে। ভালো বাড়ি করেছে।
তাদের ছেলেমেয়েরা কেউ কেউ স্কুলে যায়।
স্কুল একটু দূরে ভগবানগোলায়।বাদবাকি
কেউ মুনিশ খাটে , কেউ ফেরিওয়ালা কেউ ছুতোর মিস্ত্রি কেউ রাজমিস্ত্রি বা তার তলপেটে, কেউ দালাল কেউ নাপিত কেউ জেলে কেউ আবার ভিখারী। কেউ আবার কোয়াক ডাক্তার , কেউ টিউশন মাষ্টার। এই লালগোলা থেকে ভোরে যে প্রথম ট্রেনটি আসে , সেই ট্রেনে ভগবানগোলা থেকে যে সমস্ত যাত্রী ওঠে ,তাদের অধিকাংশই ফেরিওয়ালা মুড়িমাসী সব্জিবিক্রেতা আর ভিখারী। তারা লালবাগ কাশিমবাজার বহরমপুর বেলডাঙা পলাশী প্রভৃতি ষ্টেশনে নামে। দিনের কাজ শেষ ক'রে ফিরতি দু'টোর বা চারটের ট্রেনে বাড়ি ফিরে যায়। নিত্য এই কাজ।
তো মুড়িমাসী ও এইসব ফেরিওয়ালাদের উপর প্রথমে আঘাত নেমে আসে যখন নাগরিকত্ব বিল পাশ হয়। সেই সময় জনবিক্ষোভে অনেক বাস ট্রেন বিক্ষোভকারী জনতা আগুন লাগিয়ে দ্যায়।
ট্রেন চলাচল বেশ কিছুদিন বন্ধ হ'য়ে যায়
এই মুড়িমাসী সব্জিমাসী ফেরিওয়ালা আর ভিখারীরাও খুব সমস্যার মধ্যে পড়ে।তখন সরকার কড়া হাতে অবস্থা আয়ত্ত্বে আনে আর মাস খানেকের মধ্যে সব আবার চলতে শুরু করে লিমিটেডভাবে। সবকিছু ক্রমশঃ স্বাভাবিক হ'য়ে আসছিলো, এমন সময় শোনা যায় নতুন আতঙ্কের কথা---করোনা সংক্রমণ। চারিদিকে নানান খবর , নানান গুজব, আতঙ্কে বাড়তে থাকে। এমন সময়
২২শে মার্চ ২০২০ থেকে শুরু হয় সরকারী লকডাউন যা এখনও চলছে।সাধারণ
মানুষের জীবনে নেমে আসে অভাবিত বিপর্যয়।মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব রাখা, ঘরে ঘরে বন্দী হ'য়ে থাকা, হাটবাজার বাস ট্রেন ট্যাক্সি অটো বাইক সব সারা দেশে বন্ধ। দোকানপাট অফিসকাছারি ওগুলোর প্রায় বন্ধ। শুধু জরুরী পরিষেবা থানা পুলিশ আর হাসপাতাল চালু। অকস্মাৎ
নেমে আসে এক সর্বগ্রাসী আতঙ্ক ।কারফিউ যেন সর্বত্র। পুলিশ প্রশাসন সক্রিয় হ'য়ে উঠে।
মুড়িমাসী ও তার পরিবারের কাজ বন্ধ হ'য়ে যায় ,তারা বেকার হ'য়ে পড়ে। বাড়ি বাড়ি কাজ করানোও সবাই বন্ধ ক'রে দ্যায়
করোনার আতঙ্কে। যদু মাস্টার টিউশন ক'রে সংসার চালায়। তার কাজও বন্ধ।
স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সব বন্ধ। মুদির দোকান ,নাপিতের দোকান এগুলোও বন্ধ।
সব্জিওয়ালী তানু রহিমা ছবি মাসীরাও কর্মহীন। দিনমজুর শ্রমিক ছুতোর মিস্ত্রি এমন-কি প্রাইভেট ডাক্তারের ক্লিনিকও বন্ধ। ডাক্তার বা সম্পদশালী মানুষদের তেমন কোনো অসুবিধা না হ'লেও এইসব দিন- আনা দিন-খাওয়া মানুষের সংকট চরমে উঠলো। তাদের তো সঞ্চয় বা মজুতকরা খাদ্য প্রায় থাকেই না আর ভিখারী শ্রেণীর মানুষের তো কথাই নাই। তাদের জীবিকাও সম্পূর্ণ বন্ধ। অর্থাৎ ওই চরগাঁয়ের গুটিকয় পরিবার ছাড়া কার্যত সবাই বেকার। আরো সংকট বাড়ায় যারা কেরল মুম্বাই এর্নাকুলাম চেন্নাই প্রভৃতি রাজ্য বা শহরে রাজমিস্ত্রি বা অন্য কাজ করতে গেছিল তাদের কর্মহীন হওয়া ও বিদেশ বিভুঁইয়ে তাদের আটকে'পড়া। তাদের হাতের টাকাপয়সা সব শেষ হ'য়ে আসছে , অথচ তাদের বাড়ি ফেরার কোনো উপায় নাই। তাদের বাড়ির লোকজন শুকনো মুখে পথ চেয়ে থাকে। শহরে এই সময় সরকারী অথবা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ত্রাণকার্য একটু যেন অক্সিজেন দ্যায়। কিন্তু সেখানেও চরম বিশৃঙ্খলা অনিয়ম। যেসব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ত্রাণ দিচ্ছে , তারাও বেছে বেছে নিজেদের দলের বা প্রধানের কাছের লোকেদের ত্রাণ বিলি ক'রে দূর থেকে যথেচ্ছ ছবিটবি তুলে কেটে পড়ছে, যারা প্রান্তিক বা সামাজিকভাবে দুর্বল তারা বাদ প'ড়ে যায়। রেশন দোকানেও ভিড় উপচে' পড়ছে , কোনোরকম সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বালাই নাই। চরগাঁয়ে
ত্রাণকার্যের কোনো উদ্যোগ নাই।
এই চরবেলিয়ার অনেক যুবক যুবতী প্রৌঢ় প্রৌঢ়া আশপাশের দোকানে বাড়িতে কাজ করতে যেতো তারা এখন সবাই বেকার। বাড়িতে ব'সে থাকে।কতো আর কর্মহীন সঙ্গহীন ব'সে থাকা যায়? ফোন ঘাঁটা যায় ?
এখন সকলেরই অন্ততঃ একটা ফোন, স্মার্টফোন না হ'লেও, সাধারণ কথা বলা
ফোন আছে। এমন-কি মুড়িওয়ালী সব্জিওয়ালী রিক্সাওয়ালা এদেরও।এরাও ফোনে কাজ চালানোর মতো কথা বলা শিখে গেছে। কিন্তু তাদের সীমিত আয়ে কোনো রকমে চার্জ করে , দরকারী যোগাযোগ রাখে ; কিন্তু এখন তাতেও টান পড়েছে। যোগাযোগের ন্যূনতম ভরসাটুকুও
বিচ্ছিন্ন হ'য়ে যাচ্ছে। খাবারদাবার দৈনন্দিন প্রয়োজন প্রত্যেকের বাড়িতে টানাটানি। এই খেটে খাওয়া মানুষদের না আছে কোনো নির্দিষ্ট পেশা , না আছে নির্দিষ্ট আয়। তারা কোনোপ্রকারে সংসার-জীবন চালায়। তারা এখন সবাই বেকার , সবাই বিপন্ন। কেউ একবেলা খায় , কেউ ধারদেনার কবলে পড়ে। এখানে কোনো কলকারখানা নাই।
শহুরে বেকারদের চরিত্র অনেকটা আলাদা।
সেখানে শিক্ষিতের হার বেশী, অধিকাংশই বেকার হয়ে গেছে।। কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বেকার হ'য়েছে অনেকে।সমস্ত অফিস কাছারী স্টেশন বন্দর বন্ধ থাকায় কাজ হারিয়েছে আরো অনেক। হকার চা-পান বিড়ির দোকান হোটেল রেস্তোঁরায় কাজ বন্ধ। বস্তির মেয়েরা যারা শহরে আসে কাজের জন্য তারাও বেকার।
অভাবী সংসার গুলোতে এখন হাহাকার।
একদিকে করোনার আতঙ্ক, অন্যদিকে কর্মহীনতা অপরিসীম দারিদ্র্য।লকডাউন কবে উঠবে তা কেউ জানে না। খবরে তো দিনদিন সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বেড়ে চলেছে ফেকনিউজ , গুজব, আসল খবর চেপে দেওয়ার অভিযোগ।
ঘরে ঘরে অশান্তি শুরু হয়েছে। অভাবী সংসারগুলোয় শুরু হয়েছে নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্য আর পারস্পরিক অবিশ্বাস।
ইতস্ততঃ ডোমকল সুতি ভগবানগোলা মধুপুর প্রভৃতি এলাকা থেকেও সংক্রমণের খবর আসছে।পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বিশেষ ট্রেন আসছে বহরমপুরে, তাদের থেকেও সংক্রমণ ছড়ানোর চরম আশঙ্কা রয়েছে।কিন্তু তারা তো ঘরে আসবে।
এই প্রবল আশঙ্কা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পেটের টান বড়ো বালাই। তা কোনো বিধি-নিষেধ নিয়ম- নীতি ন্যায় অন্যায় কিছুই পরোয়া করে না। কর্মহীন কেউ কেউ সাইকেলে, টোটো ভাড়া নিয়ে বা পায়ে হেঁটে
নানান কাজের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ছে। পুলিশ প্রশাসন লকডাউন সব কিছুকে উপেক্ষা ক'রে তারা আশেপাশের শহর শহরতলিতে সবজি মাছ ফল মুড়ি চাল দই মিষ্টি ফেরী করা শুরু করেছে গলি গলি রাস্তা দিয়ে পুলিশের চোখকে ধুলো দিয়ে বা পুলিশকে বখরা দিয়ে। তারা মরিয়া , তারা বেপরোয়া ; জীবন আগে : খাদ্য চায়, আয় চায় ; করোনা যদি হয়, হবে; তার আগে যেটুকু জীবন আছে , ধুঁকেধুঁকে বৌ বাচ্চা মা বাপ নিয়ে মরা যায় না। আর উঠতি তরুণ তরুণী , অবিবাহিত যুবক যুবতী---- তাদের সঙ্গ দরকার, মনের খোরাক দরকার , ভালবাসাবাসি দরকার , প্রেম দরকার। কোনো কিছুই এইভাবে ঘরবন্দী হ'য়ে থেমে থাকতে পারে না।। জীবনের চাহিদাও অপ্রতিরোধ্য। চরবেলিয়া ছোট বস্তি গ্রাম।
সব জাত-ধর্মের মানুষ এখানে গায়ে গায়ে বাস করে।
হঠাৎ একদিন ভোর বেলায় ডাক শোনা যায় মুড়িমাসীর।- - - - লকডাউন তো এখনও উঠেনি ; ট্রেন বাস কিছুই তো চলছে না ।
তবে মুড়ি মাসী এলো কী ক'রে ? সেই পরিচিত কণ্ঠস্বর ও ডাক----" মুড়ি নিবা গো মাসী মুড়ি "।
আকরাম আলিও একসময় গ্রামে ছিলো।
এখন মাস্টার হ'য়ে শহর বহরমপুরে চালতিয়ার নতুন পাড়ায় বাড়ি করেছে। সে মুখে মাস্ক লাগিয়ে বাইরে বেরোয়, দ্যাখে --- সেই মুড়িমাসী কড়া নেড়ে' দাঁড়িয়ে আছে ;
তারা নিয়মিত খদ্দের। আকরাম আলি মুড়ি নিলো, সাথে দু'চার কথায় জরুরী খবরাখবর নিলো। মুড়িমাসী বললো, কতো আর না-খেয়ে থাকবো, আমাদের সঞ্চয় তো কিছু থাকে না বাবু ; তাই পাড়ার দু'তিনজন মিলে টুকটুক ভাড়া ক'রে আসতে শুরু করেছি ।
---- পুলিশ ধরছে না ?
----- ধরবে না আবার ! টাকা নিয়ে ছেড়ি দ্যায়।
মুড়ির বস্তা বাঁধতে বাঁধতে মুড়িমাসী কাঁচুমাচু হ'য়ে বলে, বাবু, একটো কথা ছিলো, কিছু সাহায্য করবেন । আমার ছোট বুনের বিহ্যা লাগাইছি, কিছু সাহায্য দ্যান বাবু। বুনটাকে পার করি। সবার কাছেই কিছু কিছু চাইছি।
---এই লকডাউনের মধ্যে বিয়ে ? কী ক'রে হলো ?
মুড়িমাসী কাঁচুমাচু হ'য়ে বলে, মুর বুনটো মুড়ির চাল আর টুকটাক বাজার করতে
ভগবানগোলায় যেতো। ওখানে এক ছোট চালওয়ালার সাথে তার আলাপ হয় ।সেই থেকে ভালবাসা হইয়েই গেছে ; এখন বিহ্যা না দিলেই নয়। আমরা জানতি পারিনি বাবু, - - - - - কেউ তো আসবে না,ওই মন্দিরের পুরোহিতের খরচখরচা কাপড়জামা এইসব দিয়ে সেরে ফেলবো- - ।
---ও-ও ! দাঁড়াও আমি আসছি , - - - আকরাম ফিরে এসে মুড়িমাসীর হাতে সামান্য কিছু টাকা তুলে দিলো, দূরত্ব রেখে।
মুড়িমাসী গদগদ হ'য়ে বললো, বাবু আবার কবে মুড়ি লাগবে ?
----- এসো, এক সপ্তাহ পরে।
-----আচ্ছা। ব'লে সে মুড়ির বড়ো বস্তাটা
কষ্ট ক'রে মাথায় তুলে নিয়ে চললো অন্য বাড়ির দিকে। আকরাম দাঁড়িয়ে তার চ'লে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। ভাবতে থাকে, পেট আর প্রেম-ভালবাসা কোনো লকডাউন করোনা দুর্ভিক্ষ যুদ্ধ কোনো কিছুকে পরোয়া করে না। প্রকৃতির এ এক অমোঘ আকর্ষণ ও বন্ধন। আর কেউ কেউ পারিবারিক দায়দায়িত্ব টানতে টানতে বুড়ো বা বুড়ী হ'য়ে যায় , তাদের কখনো বিয়ে করা হয়না। তারা সংসারী অথচ সর্বত্যাগী সন্যাসী ।।
( ১৪৮২ শব্দ )
© বদরুদ্দোজা শেখু ,বহরমপুর
------------------------------------------------
লেখকের নাম-- বদরুদ্দোজা শেখু
ঠিকানা-- 18 নিরুপমা দেবী রোড , বাইলেন 12 ,
শহর+পোঃ- বহরমপুর , জেলা--মুর্শিদাবাদ,
PIN -742101
পঃ বঙ্গ , ভারত ।
হো• অ্যাপ নং 9609882748
----------------------
কবি-পরিচিতি
-------------------
বদরুদ্দোজা শেখু-র জন্ম ১৯৫৫ সালে ফেব্রুয়ারীতে মুর্শিদাবাদ জেলার ঠাকুরপাড়া গ্রামে ।ক্ষুদ্রচাষী সাইফুদ্দীন সেখ ও গৃহবধূ ফজরেতুন্নেশা বিবির সন্তান। দারিদ্র্যের মধ্যেই গণিতশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ।পেশায় অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক। নেশায় কবিতা লেখালেখি। শোভা গোস্বামীকে বিবাহ করেছেন।
এযাবৎ প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ অলৌকিক আত্মঘাত, দুঃস্বপ্নের নগরে নিভৃত নগ্ন,শব্দ ভেঙে সংলাপ,আরো থোড়া দূর,এবং পরী ও পেয়ালা ।তাঁর কবিতা অদলবদল , সপ্তাহ, দৌড় , কবিতীর্থ ,শব্দনগর, ঋতুযান প্রভৃতি পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত । বিভিন্ন পত্রিকাগোষ্ঠী থেকে একাধিক সম্মাননা পেয়েছেন।।
তিনি কিছু কিছু ছোটগল্প ও অণুগল্পও লিখেন
-------------------------------------