বড়গল্প।।কালিতলার বটকেষ্ট ।। শুভাশিস দাশ
কালিতলার বটকেষ্ট
------------------------------ শুভাশিস দাশ
১
অনেকদিন পর গাঁয়ে ফিরলো বটকেষ্ট । অনেকদিন বলতে এক বছর l এরকম মাঝে মাঝে তাকে যেতে হয় কোন চুরি চামারিতে নয়, মারপিট করতে। এক কথায় ভাড়াটে লেঠেল ।জেলে যেতে যেতে ওটা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে । এই করেই চললো অনেক দিন । বিয়ে সাদীও করেছে , তবে নিঃসন্তান !
মাঝে মাঝে গাঁয়ের বৌ ঝিরা বটকেষ্টর বৌকে এনিয়ে বিস্তর কথা শুনায় । সে ভাবে সন্তান না হয়েছে ভালই হয়েছে । মিনসের যা ছিরি !দু দিন পর পর জেলহাজত ! শালার ভাবেন কাকাটা অক্কা পেয়েছে নইলে বেটাকে মিথ্যে বলে বিয়ের ঘটকালি করা বের করে দিতাম । আর ছেলে দেখেনি । একটা রিস্কাওয়ালা হলেও তো মন্দ হতো না । তারা গতর খাটিয়ে দুটো টাকা কামাই করে l আসলে সব ভাগ্য ।তার উপর দুঃসম্পর্কের এক মামা বাড়িতে মানুষ । বাবা মা না থাকলে এরকমই হয় বোধহয় !
দাওয়ায় বসে এসব ভাবছিল বটকেষ্টর বৌ গোলাপী ।
হঠাত্ কানে এলো কি গো বাড়িতে আছো না ?
গোলাপী ভাবে আজ বোধহয় ছাড়া পেয়েছে মিনসে !
গোলাপী উত্তর দেয় -কোন চুলোয় যাব !এই ছয় মাস তো মামার বাড়ি ভালই ছিলা ।
ঘরে খাবার নাই ?
আছে সব আছে !মাংস পোলাও দই মিষ্টি !আহারে কত আহ্লাদ !পাশের বাড়ি মালতীদি র হাত না নাড়লে কবে যমের বাড়ি চলে যেতাম ,বলছে খাবার নাই !
কেন্ প্রধান সাহেব কিছু দিয়ে যায় নি ?
হ্যাঁ দিয়েছে !তার চেলা খয়বর আসি তোমার হাজত যাবার খবর টুকু দিয়েছে ,খাবার দেয়নি ।
বটকেষ্ট এবার রেগে গিয়ে বলে -সত্যি বল ?
তোমাকে মিথ্যা বলে হবে কি ?এবার কেউ কোন টাকা পয়সা দিয়ে যায় নি !
বটকেষ্ট উঠে দাঁড়ায় বলে -শালাগুলো বেজায় হারামীপনা করলো দেখছি !দাঁড়া আজ পরান মন্ডলের একদিন কি আমার একদিন ! এই বলে দুপুর রোদে বেরিয়ে যায় বটকেষ্ট !
২
আর একটু মাংস দেব গো ?
নানা আর লাগবে না । এত খাওয়া যায় এই বয়সে ! বয়েস তো হলো ।শুনছি এবার পঞ্চায়েত ভোটে ইয়ং জেনারেশনকে আনবে !
পরান মন্ডল খেতে খেতে এই সব বলছিল গিন্নীকে । বাইরে থেকে একটা কণ্ঠ ভেসে এলো পরান খুড়ো আছো নাকি ?
চেনা কণ্ঠ !কেষ্টর গলা । কিন্তু ওর তো এখুনি ছাড়া পাবার কথা নয় !
গিন্নী তাড়াতাড়ি করে উঠোন পেরিয়ে গেট খুলে দিলো ।
কি গো খুড়ি খুড়ো বাড়ি তে ?
হ্যাঁ বাবা ,ভিতরে এসো । কেষ্ট সোজা পরান মণ্ডলের রান্না ঘরে গিয়ে খুড়োর সামনে হাঁটু মুড়ে বসলো ।
কবে এলি ?একটু ভাত খা ?
কেষ্টর মাথায় আগুন জ্বলেই ছিল ,পরান মন্ডলের কথায় যেন আগুনে ঘি পড়ল !
শালা মাংস খাচ্ছ ? আর আমার পরিবার না খেয়ে আছে ?কই কথামত টাকা তো কেউ দেয়নি !ভেবেছিলে এবার আর ছাড়া পাব না ?
দেখব এবার ভোটে কে জেতায় ?
এক নিশ্বাসে কথাগুলো বললে কেষ্ট ।
পাতে জল ঢেলে পরান মন্ডল বললো মাথা গরম করিস না কেষ্ট আগে একটু খেয়ে নে ,এই ভরদুপুরে মানুষ যে অতিথি নারায়ণ !
রাখো তোমার নারায়ণ !আমরা আবার কবে মানুষ হলাম ?
তোমার গলায় তো কণ্ঠীর মালা !তুমি তো সারা দিন মানুষকে মিথ্যে বলো ,বলো না ?
তুই দেখি এবার জেলে গিয়ে অনেক তত্ব কথা শিখেছিস !
আয় দাওয়ায় বসে কথা বলি ।
তুই ধরা পড়ার পর প্রতিবারের মত এবারও জীবনের হাতে তোর বৌয়ের সংসারের টাকা পাঠিয়েছি l পায়নি সে আমি কেমন করে বুঝবো বল্ ?
আর তোর বোউটাও যা বাড়ি থেকে বের ই হয়না । ওই তোর পাশে বিরোধী শিবিরের নরেন দাসের বাড়ি ,ওখানেই পাত পারে । নরেনের যা চরিত্র !
খুড়ো মুখ সামলে কথা বলো । বিরোধী শিবিরের হলেও নরেন মাস্টারের চরিত্র ভালই !তোমার মত নয় । সে বার আমি না থাকলে তো জেলেই যেতে । রবির বিধবা কচি বৌটার ঘরে রাতে ঢুকেছিলে মনে আছে ?এই বয়সে তোমার তো ভীমরতির শেষ নেই ! একটু আস্তে বল্ না ! খুড়ি শুনবে যে !
আমার মাল আগে ছাড় বুড়ো !
আমি সব শুনেছি !এবার তো তুমি ছাড়াও নি !দেখি এবার তোমাকে কে জেতায় ?মাল ছাড় নইলে ভালো হবেনা শালা বেঈমান !উত্তেজিত হয়ে কথাগুলো বললো বটকেষ্ট ।
৩
কিরে কেষ্ট কবে এলি ?স্কুল ফিরতি পথে কেষ্ট কে দেখে নরেন মাস্টার বললো -এইতো গত পরশু !তা তুমি কেমন আছো নরেন দা ?
এই চলে যাচেছ !
সাইকেল থেকে নেমে বটকেষ্টর সাথে কথা বলতে বলতে চললো নরেন মাস্টার ।
তা আবার কবে জেলে যাবি ?
না দাদা এবার ভাবছি ওসব ছেড়ে দেব । আর ওদের দলের কোন সিস্টেম নেই । কারো কথা কেউ শোনে না ।
তবু তোমাদের একটা দলের লোকদের কাছে রাশ ছিলো !
কী করবি ?
ভাবছি বাইরে চলে যাবো গোলাপীকে নিয়ে । বেঙ্গালুরুতে কাজের লোকের দাম আছে l এর পর আর কাজের বয়স থাকবে না !
না এবার আমার জন্য তুই থাকবি l সামনের ভোট টা দেখ্ !
আমার জন্য করবি না ?
এতো আমার ভাগ্য !তোমার মত মানুষ তো গ্রাম ঘুরলে আর দুটি পাবো না l
তাহলে তোর পরান মন্ডলের কী হবে ?
না !শালা রা বেঈমান !লাখ টাকা দিলেও ওদের সাথে আর নেই । কেঁচো সারের কেস টা সালটে দিতেই তো এবার হাজত বাসে ছিলাম ।
তাহলে আজ আসি রে বলে নরেন মাস্টার বাঁ হাতের গলিতে চলে গেলো ।
বটকেষ্ট রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বট গাছটার তলায় একটু বসলো । এই গাছটি বাদ গেছে । এখনে মনসার থান ছিলো । উন্নয়নের জন্য গাঁয়ের প্রায় সব গাছ কাটা পড়েছে ।চওড়া রাস্তা বানাবে ।এতো তিন বছর থেকে শুনেই আসছি । শুধু কমিশন আর দাঙ্গা বাজী !
নিজের উপর রাগ হয় ,অনুশোচনাও । কেঁচো সার নিয়ে পরান মণ্ডলে র সাথে গাঁয়ের নিরীহ মানুষ গুলোকে কিভাবে সেবার পেটালাম !
না !এবার দেখি মাস্টার দা কী করেন ।
৪
অঞ্চল অফিসের সামনে বিশাল লাইন । আজ স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণ হবে । সকাল থেকে গাঁয়ের সবাই লাইনে দাঁড়িয়েছে ।
ঠিক বেলা এগারো টায় প্রধান এলো ।টেবিল পেতে শুরু হলো কার্ড বিতরন । প্রত্যেকের কাছে এই কার্ডের জন্য পঞ্চাশ টাকা করে নেয়া হচেছ । রসিদ নেই পত্তর নেই । খবরটি আধ ঘন্টার মধ্যেই ছড়িয়ে গেলো । লাইনে বটকেষ্ট ও ছিলো । প্রথমে কিছু আঁচ করতে পারছিলো না । কেনো না প্রায় পাঁচ শ জন মানুষের লাইন । অনেকটা পিছনে ছিলো বটকেষ্ট । হঠাত্ সামনের সারিতে দুজন যুবক তেড়ে গেলো প্রধান সাহেবের দিকে ।
মুহূর্তে একটা গন্ডগোলের সৃষ্টি হলে বটকেষ্ট এগিয়ে যায় । যে লোকটি কার্ড বিতরণ করছিল তার দিকে যুবক দুটো মারতে উদ্যত হলে বটকেষ্টও ওদের উত্সাহ দেয় ,বলে মার শালা দের !শুধু পয়সা আর পয়সা !ঘর দেবে পয়সা ,জি আর দেবে পয়সা ,লোন দেবে পয়সা !এখন আবার স্বাস্থের জন্য !ধর শালাদের আজ আচ্ছা করে বানাই ।
পাশে বসা পরান মন্ডল বট কে দেখে বিনয়ী কন্ঠে আবেদন করলো -ওরে বাপ কেষ্ট দেখ্ ওরা কি করছে ?
খুড়ো বাঁচতে চাও তো কেটে পর l নইলে তোমারও হবে !
এই বলে টেবিল থেকে সমস্ত কার্ড গুলো নিয়ে দুজন কে ডেকে নিলো । নিজেরাই গ্রামবাসীদের মধ্যে কার্ডগুলো বিতরণ করে দিলো ।
দূরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলো পরান মন্ডল । মনে মনে ভাবলো জনগণ আর আমাদের পাশে নেই ।
লাইন থেকে একজন যুবতী মন্তব্য করল -দেখ্ দেখ্ একদম ফাটাকেষ্ট সিনেমার কেস !
৫
আজ লোকাল কমিটির মিটিং এ ঠিক হলো এবার কালিতলা অঞ্চলে বাম প্রার্থী হবে নরেন দাস l হরিহরপুর হাইস্কুলের শিক্ষক ।
বিকেলে বটকেষ্ট এলো নরেন মাস্টারের বাড়ি l শুনে খুব খুশি হলো কেষ্ট । এত্তদিনে গাঁয়ের হালটা যদি ফেরে ।
কী যে বলিস ?আগে ভোটটা হোক ।
দেখ্ ভোটে আবার কী ফন্দি আঁটে পরান মন্ডলের দল ।
বটকেষ্ট বলে -নাগো দাদা এবার পরান খুড়ো দাঁড়াবে না । জেলে পাড়ার ফটিক চাঁদ দাঁড়াবে !ওকে চেনেই না কেউ আর পরান খুড়ো তো এবার রেগে আছে ওনাকে বাদ দেওয়ায় !
আমি তোমাকে ভোট করার ফাঁক গুলো বলে দেব !সবাই জানে আমি কি করতে পারি !তুমি তোমার মত প্রচার করে যেও ।
কেষ্ট র কথা শুনে অবাক হলো নরেন মাস্টার । ভাবলো মানুষ তো খারাপ হয়ে জন্মায় না ,পরিবেশ মানুষ কে ভালো করে আবার খারাপ ও বানায় ।
তাহলে মাস্টার আজ আসি l বটকেষ্ট চলে যায় ।
নরেন মাস্টারের মনে পড়ে বিরোধী শিবিরের লোক হয়েও আগাগোড়া কেষ্ট তাকে ভালোবেসেছে । কত আগাম খবর দিতো !কী জানি আমার ভিতরে ও কী দেখেছে !অন্ধকার হয়ে এলো !দূরে কোথাও শাঁখ বাজছে সন্ধ্যাপ্রদীপের !
৬
এবার খরার জন্য ফসল ভালো হয় নি । জমিতে জল দিয়ে যারা ধানের চারা রোপণ করেছিল তাদেরও ফলন মোটামুটি হয়েছে l কেষ্ট সকাল হলেই গাঁয়ের পথে বেরিয়ে পড়ে । মানুষের মন বোঝে ।
কি গো গোপাল দা কী দেখছো জমির দিকে চেয়ে ?
কী আর দেখবো এবার তো ফসলের যা অবস্থা !
তা কী মনে করে রে কেষ্ট ?
কিছুনা এখন তো হাতে কাজ নেই তাই একটু ঘুরছি তোমাদের খবর নিচ্ছি ।
ভোট তো এসে গেলো ।
আর ভোট !ভোট কি হবে ?গতবার তো বুথেই ঢুকতে দিস নি । এবার কী করবি ।
নাগো গোপাল দা আমি আর ওসবের মধ্যে নেই !বিশ্বাস করো ।
কেন দল পাল্টালি নাকি ?
না তা নয় !আমি কি আর দল করতাম !
পয়সার জন্য গুণ্ডামি করেছি ওদের হয়ে তবে আর নয় ।
দেখো মাস্টার দাঁড়িয়েছে । খুব ভাল মানুষ গো উনি জিতলে কালি তলা পাল্টে যাবে !
তুই কি নরেন মাস্টারের হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিস ?
না না তা নয় ।
তবে ?
ভালো মানুষ তো তাই বললাম ।
ঠিক আছে !ভোট আসুক তো দেখা যাবে । কেষ্ট চলে যেতে গোপাল ভাবলো এই সেই কেষ্ট !যার ভয়ে কালিতলা কাঁপতো !
ভালো হলেই ভাল !
৭
পরান খুড়ো বিছানায় শয্যাশায়ী । একটানা দুটো টার্ম প্রধানগিরি করে গেছেন । এবার আর তাঁকে টিকিট দেয় নি দল !এই শোকে একেবারে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছে পরান মন্ডল !
খবর পেয়ে বটকেষ্ট গেলো খুড়োকে দেখতে !হাজার হোক একটা সময় তার নুন খেয়েছে সে ।বয়স্ক মানুষ তার উপর অসুস্থ তাই সাতপাঁচ না ভেবে এসেছে পরান মন্ডলের বাড়িতে ।
কোমরের ব্যথাটা একটু বেড়েছেরে কেষ্ট
বহু কষ্টে উঠে বসতে চেষ্টা করে কেষ্ট বাধা দিয়ে বলে উঠো না খুড়ো ।
তুই চেয়ারটা টেনে বস ।
ঠিক আছে তোমাকে অস্থির হতে হবে না ।
এরপর খুড়ো আপন মনে বলতে থাকে --এবার আর টিকিট পেলাম নারে কেষ্ট । শেষ বার !ইচ্ছে ছিলো দাঁড়ানোর । ভাবলাম গাঁয়ে এবার একটি হাইস্কুল করব । সে ইচ্ছে আর পুরন হলো না !তা খবর টবর কী ? নরেন কে জিতিয়ে দে ।
কী যে বলো খুড়ো ?
তোমার পার্টির লোকদের তুমি চেনেl না ?
ভোটের দিন একটি গন্ডগোল পাকাবে ।
নারে শুনেছি এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে ।
দুর্ তোমার বাহিনী ,যার ক্ষমতা তার ভোট । এদেশে আবার গণতন্ত্র আছে নাকি ?
আমাকে টাকা দিয়ে পুষতে না ?গত বছর তো পাঁচটি ঘর কে বুথে ঢুকতেই দিই নি ,মনে নেই ?
এখন আর ওসব ভেবে কাজ নেই !যা হবার হবে তুমি দাঁড়াও নি ভাল হয়েছে । তা ছাড়া বয়স তো হলো । তবে এ কথা ঠিক যদি সত্যিকার ভোট হয় তবে নরেন মাস্টার কে ঠেকায় কে ?
তুমি বিশ্রাম করো আমি উঠি গো খুড়ো !
এই সেই কেষ্ট !আমার হয়ে কত লড়েছে অথচ ওর জন্য স্থায়ী একটি কিছু করে দিই নি । নিজের মনে অনুশোচনায় জ্বলতে থাকে পরান মন্ডল !
৮
নমিনেশন পেপার সাবমিট শেষ ॥ পর্যবেক্ষণ হয়ে গেছে ।জোড় দার প্রচার চলছে কালিতলায় ।এবার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে হাওয়া নরেন মাস্টারের দিকে । এলাকার মানুষ জন কানা ঘুষো করছে !কিন্তু রাতে মাঝে মাঝেই হামলা হচ্ছে বিরোধী শিবিরের মানুষজনের বাড়ি । নরেন মাস্টারের দলে তেমন মানুষ নেই যে তারা পাল্টা আক্রমণ করবে ।ওই একা কেষ্ট ।যেটুকু সামাল দেয় রাতের আঁধারে ,তাও আবার গোপন ভাবে । মুখে কালো কাপড় জড়িয়ে ।
কী জানি কী হবে !তবে নরেন মাস্টার কেষ্ট কে বারণ করেছে ।ও কোনো কথা শুনছে না ।
ভোটের আগে প্রচার বন্ধ হয়ে গেলো । রাত পোহালে ভোট ।প্রস্তুতি শেষ !বুথে পোলিং পার্টির লোকজন চলে এসেছে ।
কালি তলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্র নরেন মাস্টারের । দলের প্রথম ভোটটি দিতে হবে । তাই বাড়ি থেকে সাত সকালে বেরিয়েছে ।বুথে না যেতেই শুনতে পেলো গত রাতে নিজ বাড়িতেই খুন হয়েছে বটকেষ্ট !
খবর টি শোনা মাত্র ঝিমিয়ে গেলো নরেন মাস্টার । কত বার বারণ করেছে তুই অত ঝুঁকি নিস না ,হায় রে !আমাকে ভালবেসে ওর জীবনটা গেলো !গোটা কালি তলা যেন ভেঙ্গে পড়ল নরেন মাস্টারের মাথায় !
--------------------------------------------
শুভাশিস দাশ
দিনহাটা
মো :9932966949